Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অসহিষ্ণুতা
জিষ্ণু বসু

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭০ সাল। অতি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন পরীক্ষা বয়কটের ডাক দিয়েছে। কেন? কী কারণ? কারণটা অদ্ভুত। কাউকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এক সিংহহৃদয় মানুষ। অধ্যাপক গোপালচন্দ্র সেন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের প্রবাদপ্রতিম অধ্যাপক এই ছাত্রদরদি মানুষটি অস্থায়ীভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। অধ্যাপক সেন বলেছিলেন, পরীক্ষা হবেই। যারা পরীক্ষা দিতে চায় তারা নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দেবে। তিনি পরীক্ষা নিয়েছিলেন এবং সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় দুর্গাপুজোর ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে পরীক্ষার মার্কশিট দিয়েছিলেন।
সেই অপরাধে ১৯৭০ সালের ৩০ ডিসেম্বর যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হত্যা করা হয় গোপালচন্দ্র সেনকে। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সক্রিয় সদস্য রানা বসুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে উপচার্যকে খুনের। পিছন থেকে ছুরির আঘাতে ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান গোপালচন্দ্র সেন। আর ধনী ডাক্তার বাবার ক্ষমতার কারসাজিতে কানাডায় পালিয়ে যান অতি বিপ্লবী রানা বসু। আচ্ছা, রানা যে নিকৃষ্টতম কাজটি করেছিলেন সেটা কি কেবল তাঁর অল্প বয়সের হঠকারিতা? না কি কেউ পরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় প্ররোচনা দিয়ে ধীরে ধীরে তাঁর মাথায় বিষ ঢুকিয়েছিল? তার নাম ‘অসহিষ্ণুতা’!
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ সাল। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কে পি বসু সভাগৃহে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেইসঙ্গে বক্তৃতামালা—‘স্বাধীন ভারতে গণতন্ত্রের স্বরূপ’। আমন্ত্রিত বক্তা ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক অচিন্ত্য বিশ্বাস, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দিলীপকুমার দুবে, শিল্পী অগ্নিমিত্রা পল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এবিভিপি-কে বা বিজেপি-কে কারও অপছন্দ হতেই পারে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তৃতা দেওয়ার অধিকার থাকবে না? তাঁকে ঘিরে ধরে জামাকাপড় ছিঁড়ে দিয়ে হেনস্তা করা হবে? কত বামপন্থী বক্তা ভারতের কত বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, তাঁদের মতামত রাখেন, সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়তো অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও বামপন্থীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু, বাবুল সুপ্রিয়ের সঙ্গে যে অসভ্যতা যাদবপুরে করা হয়েছে সাম্প্রতিককালে ভূভারতে এর উদাহরণ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা এই উচ্ছৃঙ্খল অসহিষ্ণুদের বোঝাবার চেষ্টা করেছেন, উপাচার্য বলেছেন, আচার্য স্বয়ং এসেছেন। কিন্তু প্রতিবাদী ছাত্রদের কেউ কথা শোনেননি। তাঁরা বলেছেন, বাবুল সুপ্রিয়কে ক্ষমা চাইতে হবে। কেন? বাবুল কী অপরাধ করেছেন? যাদবপুরে অবামপন্থী মতবাদী হয়ে বক্তব্য রাখতে এসেছেন—এই তাঁর অপরাধ? কারণ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেদিন ৩ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তো এই দল তাঁকে ছেঁকে ধরে। এই চরম অসহিষ্ণুতাকে কেবল ছাত্রসুলভ চপলতা ভাবলে ভুল হবে। কয়েক দশক ধরে ঠান্ডা মাথায় শেখানো হচ্ছে এই অসহিষ্ণুতা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে বার বার চোখে পড়েছে এই অসহিষ্ণুতা। কেউ যেন সুনিপুণভাবে শিখিয়েছে এই নিষ্ঠুর আচরণ। সংঘবদ্ধভাবে এই অসহিষ্ণুতার প্রদর্শনী যেন কৃতিত্ব! ১৯৯২ সাল। এপ্রিল মাসের এক দুপুরে সেন্ট্রাল লাইব্রেবির সামনে মাটিতে ফেলে একটি ছেলেকে চোরের মতো পেটাচ্ছে এক বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন। সেই বীরের দল তারপর তাঁকে ‘আশীর্বাদ ক্যান্টিন’-এর পিছনে ‘সায়েন্স ক্লাব’-এর সামনে নিয়ে এল। তখনও ছেলেটিকে পেটে ক্রমাগত লাথি মারা হচ্ছে আর জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে—‘বল, কোন কলেজ তোর?’ ছেলেটির তখন আর কথা বলার সামর্থ্য নেই। জানা গেল, ছেলেটি বিদ্যাসাগর কলেজে পড়েন আর এবিভিপি-র পক্ষে রামমন্দির আন্দোলনের উপর আপত্তিকর (?) কিছু লিফলেট বিলি করছিলেন। সেদিন উপাচার্যের অফিসে গিয়ে ছেলেটিকে বাঁচিয়েছিলেন অধ্যাপক ধনঞ্জয় দাস। অধ্যাপক দাস সেদিন প্রশ্ন করেছিলেন—‘এত নিষ্ঠুরতা কেন? ছেলেটিকে বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে এখানে ঢুকেছে বলে? নাকি ও যে লিফলেট বিলি করছিল সেটা দেশের আইনে নিষিদ্ধ?’ উপাচার্যের অফিসে কারও কোনও উত্তর ছিল না। কারণ, উত্তরটা হল—‘আমরা অসহিষ্ণু।’ বিরোধী কোনও মত এখানে প্রকাশ করা যাবে না।
ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির কিছু ছেলে ২০১৬ সালের ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ ত্রিগুণা সেন প্রেক্ষাগৃহে একটি ছায়াছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছিলেন। ছায়াছবিটি সেন্সর বোর্ডের অনুমোদিত একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার-পাওয়া—বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘বুদ্ধ ইন আ ট্রাফিক জ্যাম’। শেষ পর্যন্ত এই অতি বামপন্থীরা কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে ফিল্মটির প্রদর্শন প্রেক্ষাগৃহে করতে দেননি। কিন্তু, ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির স্নাতক স্তরের নাছোড়বান্দা ছাত্ররা ব্লু আর্থ ওয়ার্কশপের সামনে চাদর টাঙিয়ে দেখিয়েছিলেন বুদ্ধ ইন আ ট্রাফিক জ্যাম। ফিল্মের প্রদর্শন বন্ধ করতে না পেরে এই অসহিষ্ণুর দল সেদিন পাগলের মতো আচরণ করেছিল। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর গাড়িতে লাথি মেরে, পরিচালকের গায়ে থুতু দিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল। শেষে বঙ্গবাসী কলেজের অধ্যাপক দেবাশিস চৌধুরীকে ধরে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর অপরাধ ‘থিঙ্ক ইন্ডিয়া’ নামে ছাত্রদের যে সংগঠন এই স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেছিল তিনি তাদের মেন্টর ছিলেন। সেই অপরাধে ‘বহিরাগত’ অধ্যাপককে একটি মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই অসহিষ্ণু দলের আদর্শের ভিত এতটাই ঠুনকো যে তারা ভয় পায়, যে ছাত্রছাত্রীরা এরকম ছবি দেখলে তাদের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।
সেদিন দেখা গিয়েছিল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সময় একদল লোক সেখানে ঢুকল। যাদের সামনে ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব কয়েকজন। একজন পরিণত বয়স্কা একটি হ্যান্ড মাইক হাতে প্রদর্শনস্থলে চিৎকার করছেন। বাবুল সুপ্রিয়কে চুল টানা, জামা ছিঁড়ে দেওয়া কিছু কমবয়সি ছেলের কাজ ভাবলে, তাঁদের মদতদাতাদের পাপকে লঘু করা হবে। হ্যান্ড মাইক হাতে ওই ভদ্রমহিলা—যাঁরা বাম জমানায় নিরন্তর তরুণ মনগুলোকে একটিমাত্র মত ছাড়া সবকিছুকে মেরে থেঁতলে দেওয়ার পাঠ দিয়েছেন, যাঁদের ‘পার্টি ক্লাস’ শুনে রানা বসু তদানীন্তন উপাচার্যকে হত্যা করেছিলেন—সেই পরিণত বুদ্ধির মানুষগুলি সমানভাবে দায়ী। দায়িত্ব থেকে যায় সেইসব সংবাদ মাধ্যমেরও যারা তাদের সুপরিণত বাণিজ্যিক বুদ্ধিতে এই ‘নুইসেন্স ভ্যালু’কে টিআরপি বাড়ানোর কাজে লাগান।
রবীন্দ্রনাথ গান্ধারীর আবেদনে বলেছিলেন—‘‘অধর্মের মধুমাখা বিষফল তুলি/আনন্দে নাচিছে পুত্র; স্নেহ মোহে ভুলি/ সে ফল দিয়ো না তারে ভোগ করিবারে;/কেড়ে লও, ফেলে দাও, কাঁদাও তাহারে।’’ ছাত্রছাত্রীদের প্রকৃত স্বার্থে এই মধুমাখা বিষফল হাত থেকে টেনে ফেলে দেওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন অধ্যাপক গোপালচন্দ্র সেন। আজও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের শারীরিক হেনস্তায় যে শতাধিক ছাত্রছাত্রী সমবেত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজনের মস্তিষ্কেই ওই অদম্য অসহিষ্ণুতা ঢোকাতে পেরেছে ওই অতি বামপন্থীরা। বাকিরা কেউ ভয়ে, কেউ বিপ্লবের স্টেটাস সিম্বল গায়ে লাগাতে আর বেশিরভাগই বন্ধুকৃত্য করতেই এই অশোভন কাজের সঙ্গে ছিলেন। এর জন্য অবশ্যই দায়ী যাদবপুরের মেরুদণ্ডহীন কর্তৃপক্ষ। যে মানুষটির শালগাছের মতো মেরুদণ্ড ছিল সেই উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে সমর্থন করার সাহস হয়নি রাজনৈতিক নেতৃত্বের।
আমার মতো হাজার হাজার প্রাক্তন ছাত্রের কাছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তীর্থক্ষেত্র। প্রযুক্তিবিদ্যায় স্নাতক, স্নাতকোত্তর থেকে পিএইচ-ডি, সবটুকু পাঠই এখান থেকে। দেবদুর্লভ হৃদয়ের, অসামান্য পণ্ডিত অধ্যাপকদের সান্নিধ্য পেয়েছি। এঁরা কত বড় মাপের মানুষ তা গ্রামের দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছিলাম বলে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি। আজও গবেষণার কাজে বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। প্রযুক্তিবিদ্যা বা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিভাগের (সাহিত্য আর সমাজবিজ্ঞানেরও নিশ্চয় আছেন) যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীদের পৃথিবীর নামকরা প্রতিষ্ঠানে দেখে গর্ব হয়। যে-কোনও জায়গায় যাদবপুরের কোনও প্রাক্তনীকে পেলে পরমাত্মীয় বোধহয়। কিন্তু, বিগত তিন দশক ধরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে বার বার এই অসহিষ্ণুতা দেখে মন ভারাক্রান্ত হয়েছে। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব থেকে চিন্তা মননের মুক্তির জন্যই তো ঋষি অরবিন্দের মতো মনীষীরা ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন’ তৈরি করেছিলেন, যেখানে সব মতের সব ভাবনার জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা হবে। সেই তীর্থক্ষেত্রের আজ এ কী অবস্থা! নিজের মতের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের এ কোন বর্বর পন্থা?
একটা জিনিস মনে রাখা প্রয়োজন অতি বামপন্থীরা কোনোভাবে ছাত্র সংসদে টিকে আছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়টা তাদের নয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর যারা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সংঘবদ্ধভাবে বাবুল সুপ্রিয়কে শারীরিক নির্যাতন করেছেন, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন—যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কেবল তাঁদের সম্পত্তি নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় সম্পত্তি। যেসব ছেলেমেয়ে অনেক কষ্ট করে ভারতের অন্যতম বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল পড়াশোনা করতে এসেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরটা তাঁদেরও। পশ্চিমবঙ্গের যে কৃষক, যে দিন মজুর, যে শ্রমিক কর দেন, যাঁদের ছেলেমেয়েরা কখনও হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে না, এই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদেরও। বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেক শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক, সম্মাননীয় কর্মচারী, গবেষক আর পাঠাগারে আসা সকলের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সকল প্রাক্তন অধ্যাপিকা-অধ্যাপকের, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী—সকলের। যে আলিদা প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চা দিতেন, যে বিজনদা ব্লু আর্থ ওয়ার্কশপে কারিগর ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর তাঁদেরও অধিকার আছে। আমাদের সকলের কাছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মায়ের মতো। মায়ের গায়ে কেউ যদি কালি লাগাতে চায় তবে সকলের বুকেই বেদনা হয়। আজ বোধহয় সময় এসেছে, সমবেতভাবে এই অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদ করার। অধ্যাপক গোপালচন্দ্র সেনের ঋণ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় হয়তো কখনও শোধ করতে পারবে না কিন্তু তাঁর পতাকা বহন করার শক্তি আমাদের অর্জন করতেই হবে।
 লেখক কলকাতায় সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এ কর্মরত  
23rd  September, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM