Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সরকারি চাকরির মোহে আবিষ্ট সমাজ
অতনু বিশ্বাস

মাইক্রোসফ্ট-এর মতো নামজাদা কোম্পানি আইআইটি বম্বের প্লেসমেন্টের প্রথম দিনই বছরে ১কোটি ১৪ লক্ষ টাকার চাকরির প্যাকেজ অফার করেছে, এমন খবর মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহজেই। আইআইটি-র উপচে-পড়া গ্ল্যামারের মোহে আবিষ্ট হয়ে আছে সারা দেশের অগণিত জনতা। সে প্রেক্ষিতে ছাত্র এবং অভিভাবকদের আরও বেশি পরিমাণে আচ্ছন্ন করে তোলে সদ্য-স্নাতকের এমন বিপুল মাইনের চাকরির খবর। কিন্তু কেমন হয় যদি আইআইটি-র স্নাতক সেই কোটি টাকার চাকরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন, কেবলমাত্র সরকারি চাকরির নিরাপত্তার মোহে?
হ্যাঁ, এমন ঘটনাও ঘটে। যেমন, সম্প্রতি খবরের শিরোনামে এসেছেন শ্রাবণ কুমার। পাটনার ছেলে। দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইআইটি বম্বে থেকে বি টেক এবং এম টেক পাশ করেছেন শ্রাবণ। এখন তিনি চাকরি করতে ঢুকেছেন ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশনে। চন্দ্রপুরাতে। গ্রুপ ‘ডি’ কর্মী হিসেবে। সেখানে তাঁর কাজ ট্র্যাকম্যান হিসেবে। চন্দ্রপুরা এবং তেলো বিভাগের মধ্যে ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের দেখাশোনা করার কাজ।
আইআইটি বম্বের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার কেন রেলের গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে বছরে মাত্র তিন লাখ টাকার চাকরিতে যোগ দিলেন, সে এক বিস্ময়কর জিজ্ঞাসা অবশ্যই। যেখানে ২০১৮-তেই আইআইটি বম্বের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তির ছাত্রদের প্লেসমেন্টে গড় মাইনে বছরে সাড়ে আঠেরো লক্ষ টাকা। তাই অবাক সকলেই। অবাক ধানবাদ রেল বিভাগের অনেক সিনিয়র কর্মকর্তাও। তাঁরা কখনও ভাবেননি যে, আইআইটির ডিগ্রিধারী কোনও ইঞ্জিনিয়ার বেছে নিতে পারেন কোনও গ্রুপ ডি’র পদ, যার জন্য আবশ্যিক যোগ্যতা মান দশম বোর্ডের পরীক্ষা পাশ করা। শ্রাবণ কুমার নিজে অবশ্য তাঁর এই চাকরিতে ঢোকার কারণ হিসেবে বলেছেন, সরকারি চাকরির সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার কথা। বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত তাঁর আইআইটির বন্ধুরাও তাঁকে টলাতে পারেনি। শ্রাবণ কুমার নিজে অবশ্য শিগগিরই সরকারি চাকরিতেই ‘অফিসার পর্যায়ে’ উন্নতির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
সে যাই হোক না কেন, সরকারি চাকরির প্রতি এই মোহ কিন্তু আমাদের সমাজ-জীবনে একেবারে গা-সওয়া ঘটনা। যে কোনও কাগজের পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনেই এর প্রমাণ মিলবে। যেখানে সদর্পে ঘোষণা করা হয় যে, পাত্র সঃ চাঃ, কিংবা কেবলমাত্র সরকারি চাকুরে পাত্রের তরফেই যেন যোগাযোগ করা হয়, ইত্যাদি ইত্যাদি।
অবশ্য সাধারণত একটা মস্ত বড় ভুল করা হয় এসব ক্ষেত্রে। ‘সরকারি’ চাকরি বলতে এখানে ‘সরকারি’ আর ‘পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং’ বা সরকারি ক্ষেত্রের উদ্যোগের চাকরিগুলোকেও ধরা হয়। এই দু’ধরনের চাকরির চরিত্র আর নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা কিন্তু এক রকমের নয় একেবারেই।
সে যাই হোক না কেন, সেই কবে আমাদের ছাত্রজীবনেও দেখেছি তথাকথিত সরকারি চাকরির প্রতি প্রবল মোহ, গোটা সমাজ-ব্যবস্থাটারই। সেটা বিশ শতকের আটের এবং নয়ের দশকের কথা। বেশিরভাগ ছাত্রই তখন পড়াশুনার শেষে, বা তার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, রেল, এলআইসি, ইত্যাদি নানা চাকরির পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। যাঁরা আরও ভালো, তাঁদের অনেকের আবার পছন্দ আইএএস কিংবা ডব্লুবিসিএস-এর মতো প্রশাসনিক চাকরি, যার গ্ল্যামার, ক্ষমতা এবং মাইনে বেশ উপরের দিকে। সে যুগে বেসরকারি চাকরির সুযোগও ছিল কম, আর ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা ম্যানেজমেন্টের মতো কিছু ক্ষেত্র ছাড়া অন্য ছাত্ররা গোড়াতেই সেসব চাকরির কথা বড় একটা ভাবতেন না। এমনকী বহু সংখ্যক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রও চেষ্টা করতেন সরকারি ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। অবশ্য এটা ঠিক যে, সরকারি চাকরির মাইনে, মাইনের বাৎসরিক বৃদ্ধি, পদোন্নতি, দশ বছর পরপর পে কমিশন, সবই বাঁধাধরা ছক ধরে এগোয়। কর্মীর যোগ্যতা অনেকটা বেশি হলেও তাঁর বাঁধনছাড়া বেশি মাইনে পাবার কোনও সুযোগ নেই। তবে এমনিতে সরকারি চাকরির মাইনে আকাশ-ছোঁয়া সাঙ্ঘাতিক কিছু না-হলেও মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রার নিরিখে বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু আসল কথা ছিল তার নিরাপত্তা, নিশ্চিন্ততা, চিকিৎসা এবং অবসরকালীন বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। আর সেই সঙ্গে অগণিত মানুষ মনে করত, সরকারি চাকরি যেন পাওয়াটাই কঠিন, পেয়ে গেলে কাজ বিশেষ না করলেও চলে।
তারপর নয়ের দশকের গোড়ায় এক মনমোহিনী জাদুতে ভেসে গেল ভারতবর্ষ। মুক্ত অর্থনীতি কিন্তু সঙ্গে করে আনে মুক্ত চিন্তার স্রোতও। গোটা বিশ্বের জীবনস্রোত আর তার প্রকাশভঙ্গির সঙ্গে একাত্ম হয় ভারতবাসী। সেই সঙ্গে এক টেকনোলজিক্যাল বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে তার ড্রয়িংরুমে এসে হাজির হয় গোটা দুনিয়া, স্যাটেলাইট টেলিভিশনের মধ্য দিয়ে। তারপর সময়ের স্রোতে ক্রমে স্মার্ট মুঠোফোনের মাধ্যমে পৃথিবীটা হয়ে যায় আরও ছোট, আর দুনিয়ার সমস্ত খবর আর জীবনশৈলীর চালচিত্র ঢুকে গেছে তার পকেটে। ভারতবাসী অবাক হয়ে দেখে, পশ্চিমি দেশগুলিতে চাকরির নিরাপত্তা কিন্তু বেশ কম। অধিকাংশ চাকরিই সেখানে অস্থায়ী। কিন্তু সে সমস্ত দেশ চলছে বেশ। তাদের সাধারণ জনগণের হাতে অর্থের অভাব নেই, খাবারের অভাব নেই। আর, মজার কথা হল, বড় একটা নেই চাকরি হারাবার ভয়ও। (সাম্প্রতিক অতীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপটে অবশ্য চাকরি হারানোর ভয় ঢুকেছে পশ্চিমের। সে অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।) আসলে চাকরি সেখানে প্রচুর। নানা ধরনের। হোক না বেসরকারি। তাই নিয়োগকর্তা যেমন কর্মীকে ছাঁটাই করে দিতে পারে সহজে, কর্মীর মাথাতেও আকাশ ভেঙে পড়ে না চাকরি চলে গেলে। এমনকী চাকরির সুযোগের এই আধিক্য কর্মীকেও সুযোগ দিয়েছে সহজে চাকরি বদল করার। তাই কর্মী এবং নিয়োগকর্তা উভয়ের হাতে পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে পারিশ্রমিক এবং চাকরির শর্তাবলি নিয়ে দরাদরির। অর্থনীতির নবজাগরণের সুতো ধরে ভারতের বাজারেও অচিরে এসে গেল বিভিন্ন ধরনের চাকরি। তার সবই যে খুব বেশি মাইনের চাকরি, তা অবশ্য নয়। তবু, অবাক হয়ে দেখি, আজকের ছাত্রসমাজ তাদের ছাত্রজীবনের শেষলগ্নে এসে সরকারি চাকরির মোহের আবর্তে আর ঘুরপাক খায় না তিন দশক আগেকার তাদের অনন্যোপায় আগের প্রজন্মের মতো। তারা এখন বিনা দ্বিধায় বেসরকারি চাকরিতে যোগ দেয়। আবার খুব সহজেই এক চাকরি ছেড়ে বেছে নেয় অন্য চাকরি। কখনও আবার চাকরি থেকে ‘ব্রেক’ নেয় এক-দু’বছরের জন্য। হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও কোর্স করতে, কিংবা ব্যাকপ্যাক নিয়ে দুনিয়ার একটা অংশ ঘুরে দেখতে। যে মানসিকতা পশ্চিমি দেশের ছেলেমেয়েদেরই ছিল বলে আমরা জানতাম আমাদের ছাত্রজীবনে। এই পরিবর্তনটা কিন্তু ঘটে গিয়েছে আমাদের সমাজেও। ইতিমধ্যেই। তবু, তার মধ্যেও, সরকারি চাকরির প্রতি এক মহিমান্বিত আকর্ষণ, এক মোহের অন্তঃস্রোত, অবশ্যই বয়ে চলেছে কোথাও। এখনও। শ্রাবণ কুমাররা চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দেন।
শ্রাবণ কুমার আইআইটি-তে পড়তে ঢোকেন ২০১০ সালে, আর পাশ করে বেরন ২০১৫-তে। তারপর এতদিন তিনি কী করেছেন, সে খবর অবশ্য পাওয়া যায়নি মিডিয়া থেকে। আবার আইআইটির আর পাঁচজন ছাত্রের মতো কোনও বেসরকারি বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে মোটা মাইনের চাকরিতে যোগ দিলে, দু-এক বছরের মধ্যেই তিনি হয়তো আয় করে ফেলতে পারতেন তাঁর রেলের দশ-বিশ বছরের মাইনে। তাই তথাকথিত যে ‘সুরক্ষা’ এবং ‘নিরাপত্তা’র কথা তিনি বলেছেন, সেটা এক্ষেত্রে কষ্টকল্পনা বলেই মনে হয়।
তবে, সমাজ বদলাবে আরও। আমি বা আপনি চাইলেও, কিংবা গভীরভাবে বিরোধিতা করলেও। সরকারি বা আধা-সরকারি চাকরির নিরাপত্তার চক্রব্যূহ ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে পড়বে আরও অনেকটা। এবং দ্রুতগতিতে। গোটা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ এক প্রকারের ভবিতব্যই। একসময় আমরা দেখব, চাকরি বাঁচাতে গড়পড়তা সরকারি চাকুরেদেরও খাটতে হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরেদের মতো। সরকারি চাকরির নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের নিরাপত্তার ‘মিথ’ ভেঙে চুরচুর হয়ে পড়বে। এবং সে-পথ ধরেই ক্রমে বিদায় নেবে পাত্রপাত্রী চাই-য়ের বিজ্ঞাপন থেকে ‘সঃ চাঃ’ নামক অ্যাক্রোনিম।
এই সামাজিক পরিবর্তনগুলি ভালো না মন্দ, সে প্রসঙ্গ অবশ্য ভিন্ন।
 ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতার রাশিবিজ্ঞানের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত
21st  September, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার চান্দামারি অঞ্চলের রাজপুর এলাকায় বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

08:24:14 AM

৪ লক্ষ টাকার সুপারি
বলিউড তারকা সলমন খানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় ...বিশদ

08:22:00 AM

জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে বিজেপির বুথ অফিসে আগুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

08:17:29 AM

জরিমানা বার্সার
সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না বার্সেলোনা। পিএসজি’র কাছে ঘরের মাঠে ...বিশদ

08:15:00 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: ভোট দিতে পৌঁছলেন দক্ষিণী অভিনেতা অজিত কুমার

08:14:55 AM

মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু
দেশজুড়ে শুরু হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। গোটা দেশের ...বিশদ

08:12:00 AM