Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আলোচনার অভিমুখ
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রাচীন বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতায় দেখা যায় সম্রাটরা অসীম ক্ষমতার অধিকারী প্রমাণ করার জন্য অতি প্রাকৃতিক শক্তি সম্পন্ন হিসেবে নিজেদের প্রতিভাত করতেন। এর ফলে প্রজা শুধু সম্রাটকে যে মান্য করত তাই নয়, ভয়ও পেত, সমীহ করত। প্রাচীন মিশরে শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে ফারাওরা নিজেদেরই ঈশ্বর হিসেবে ঘোষণা করতেন। আর সেই ঘোষণার পিছনে ছিল একটাই লক্ষ্য, যাতে কোনও বিদ্রোহ না হয়। ঈশ্বরের প্রতি ও ভক্তিতে প্রজারা সদা অনুগত থাকবে এটাই মূল উদ্দেশ্য।
প্রশাসন পরিচালনা সম্পর্কে নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি ১৫১৩ সালে তাঁর ‘দ্য প্রিন্স’ গ্রন্থে লিখেছিলেন, ভালোবাসা আর ভয় পাশাপাশি অবস্থান করতে পারে না। তুলনামূলকভাবে ভয় অনেক বেশি নিরাপদ ভালোবাসার থেকে। অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন প্রশাসককে প্রজা ভালোবাসে, এই প্রবণতা খুবই আনন্দাদায়ক হতে পারে, কিন্তু সেই ভালো লাগা অবস্থান যে কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে বদলে যেতে পারে। তখন আর ভালোবাসা না থেকে সেই প্রজা‌ হয়তো বিদ্রোহী হয়ে যাবে। তাই ভয় অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ যতদিন ভয় বজায় থাকবে,ততদিনই সিংহাসন সুরক্ষিত। আর তাই প্রাচীন ও মধ্যযুগে দেখা যেত এই ভয় কায়েম করে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত রাজতন্ত্র কিংবা একনায়কতন্ত্র কিছু না কিছু একটা ক্রাইসিস তাদের সাম্রাজ্যে হয় নির্মাণ করছে অথবা বজায় রেখে প্রচার করছে। যাতে অন্তহীন একটার পর একটা আশঙ্কার বাতাবরণ সারাক্ষণ রাষ্ট্রে জোরালোভাবে থাকে। তাহলে জনগণ সেই জানাঅজানা আশঙ্কা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, ভীত হয়। সাধারণত মানবসভ্যতায় দুই রকমের সরকার দেখা যায়। একটি হল ওয়ারফেয়ার প্রশাসন। অর্থাৎ সারাক্ষণই কেমন যেন একটা যুদ্ধ যুদ্ধ মনোভাব। আর একটি হল ওয়েলফেয়ার সরকার। যে সরকার নিভৃতে নানাবিধ জনকল্যাণমূলক কার্যে ব্যাপৃত থাকে এবং চেষ্টা করে রাষ্ট্রে যতটা সম্ভব সংঘাত কিংবা অস্থিরতাকে নিবৃত্ত করে রেখে শান্ত একটি আবহে সরকার পরিচালনা করতে। নীতি আদর্শ অনুযায়ী যুগে যুগে বিভিন্ন সরকার এই দুটি নীতি সামনে রেখেই এগিয়েছে।
এই প্রসঙ্গগুলি সামনে আসার কারণ হল আমরা লক্ষ্য করছি আমাদের জীবন এখন অনেক বেশি রাষ্ট্রীয় স্তরের ঘটনাপরম্পরা পরিচালনা করে চলেছে। প্রভাবিত করে চলেছে। কিছু বছর আগেও এভাবে সারাক্ষণ সাধারণ মানুষ নানাবিধ কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে চর্চা, প্রতিবাদ, সমর্থন কিংবা তর্কবিতর্কের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করেনি। কিন্তু বর্তমান মোদি সরকারের আমলে এই প্রবণতা বহুল পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সূক্ষ্মভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, পরোক্ষে একটি ভয়, আশঙ্কা এবং অনিশ্চিয়তার চর্চাই সবথেকে বেশি স্থান করে নিচ্ছে দৈনন্দিন জীবনে। প্রতিটি আলোচনায় চলে আসছে পক্ষে বিপক্ষে দুটি প্রকট বিভাজন। আবার কি কোনও বিশেষ নোট বাতিল হয়ে যেতে পারে? ব্যাঙ্কের সুদ কি আবার কমবে? এনআরসি কি আমাদের এখানেও চালু হবে? যদি চালু হয় তাহলে ডেটলাইন কী হবে? কোন কোন কাগজপত্র রেডি রাখা দরকার? হিন্দি কি একমাত্র অফিসিয়াল ভাষা হতে চলেছে? ইংরেজি তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে? হিন্দি না শিখলে তাহলে আগামীদিনে কি শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে বড়সড় সঙ্কট হবে? পাকিস্তান যদি পরমাণু বোমা ফেলে তাহলে কী হবে? উত্তর পূর্ব ভারতের আশঙ্কা কাশ্মীরের ৩৭০ অবলুপ্তির পর এবার কি ওইসব রাজ্যে ৩৭১ অবলুপ্তি হয়ে যাবে?
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন নোটবাতিল। তারপর থেকে লক্ষ করা যায়, যখনই সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয় আজ রাত আটটায় কিংবা বিকেল চারটেয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন, তৎক্ষণাৎ একটা অনিশ্চয়তা, আশঙ্কা ও চরম কৌতূহলের সঞ্চার হয়ে যায় গোটা দেশে যে ‘এবার আবার কী নতুন হতে চলেছে ঘোষণা?’ গরিব খেটে খাওয়া এবং জীবিকার জন্য প্রাণান্তকর পরিশ্রম করে চলা প্রান্তিক কোটি কোটি মানুষগুলিকে বাদ দিলে প্রায় গোটা ভারতই উৎসুক, উদগ্রীব হয়ে টিভির সামনে হাজির হয় যে দেখা যাক নতুন কী ঘোষণা হবে!
এনআরসি চালু করা হলে প্রকৃত যাঁরা ভারতবাসী তাঁদের তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আর মোটামুটি বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের টার্গেট করা হবে যারা বেআইনি নাগরিক। কিন্তু অসমে দেখা যাচ্ছে বাদ যাওয়া ১৯ লক্ষের মধ্যে ১২ লক্ষই হিন্দু বাঙালি। মুসলিম অনেক কম। সুতরাং তারপরও যখন অমিত শাহ ঘোষণা করেন গোটা দেশেই চালু করা হবে এনআরসি, তখন স্বাভাবিকভাবেই আর নিশ্চিন্ত থাকা যায় না। হিন্দু মুসলিম সকলের মধ্যেই ভয় আর আশঙ্কা ঢুকে গিয়েছে। তাই আজকাল সর্বত্র এনআরসি নিয়ে আলোচনা। কিছুদিন আগে পর্যন্ত আলোচনা আবর্তিত হয়েছিল ৩৭০ নিয়ে। এনআরসির পাশাপাশি এখন এসেছে হিন্দি ভাষার আগ্রাসনের আশঙ্কা। সেই রেশ কাটার আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবার বলেছেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অর্থাৎ জল্পনা চলছে তাহলে কি বিজেপির আগামীদিনের লক্ষ্য ওয়ান নেশন, ওয়ান পার্টি, ওয়ান ল্যাংগুয়েজ?
বস্তুত প্রশ্ন হল এভাবে নিরন্তর আলোচনার কেন্দ্রে থাকা আর অনিশ্চয়তার বাতাবরণ নির্মাণ করে সরকার পরিচালনার পদ্ধতি কি সম্পূর্ণ পরিকল্পনামাফিক? সম্ভবত এটাই একটি সূক্ষ্ম রাজনৈতিক কৌশল বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার। তাঁরা একটি ব্যাপারে সম্পূর্ণ সফল হয়েছেন। সেটি হল ভারতজুড়ে প্রতিনিয়ত তাঁরাই আলোচনার কেন্দ্রে থাকছেন সর্বদাই। একটা দিনও এরকম যাচ্ছে না যে সাধারণ মানুষ কোনও একটি বিষয়কে সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদি অথবা অমিত শাহকে নিয়ে আলোচনা করছে না। এই যে অবিরত আলোচনায় থাকার প্রয়াস এর কারণ কী? কারণটি হল একটা পরোক্ষ বার্তা প্রদান যে এই সরকার নজিরবিহীনভাবে সক্রিয়। মোদি এবং অমিত শাহ এটাই প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন যে তাঁরা অতীতের প্রধানমন্ত্রী কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের তুলনায় অনেক বেশি অ্যাকটিভ। আধুনিক সমাজের একটি বিশেষ অংশের পালস তাঁরা সম্যকভাবে ধরে ফেলেছেন। সেই অংশটি অ্যাকটিভিটি পছন্দ করে। তারা সর্বদাই চায় একটা কিছু উত্তেজনাকর ঘটনা ঘটুক। এবং সরকার সর্বদা অ্যাকটিভ থাকুক। সেই অ্যাকটিভিটি আদতে ভালো না মন্দা বার্তা নিয়ে আসছে তা না ভাবলেও চলবে।
কিন্তু একটা পারসেপশন তৈরি হয়ে যায় যে এই সরকার অতি সক্রিয়, অলস নয়, আগে যা কেউ পারেনি এরা সেটা করে দেখাচ্ছে ইত্যাদি। আধুনিক যুগের এই ইনস্ট্যান্ট ডেমোক্রেসিতে এটা অত্যন্ত জনপ্রিয়। মনে করলে দেখা যাবে ডঃ মনমোহন সিংকে নিয়ে এরকম নিরন্তর আলোচনা, চর্চা হতো না। অথচ তাঁর ১০ বছরে ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি, তথ্য জানার অধিকার, কৃষকদের ৭০ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব, ২০০৮ সালের বিশ্বজুড়ে মন্দার সময়ও ভারতের আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো থাকা ইত্যাদি বহু ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে। যা আজও সমান কার্যকর। কিন্তু যেহেতু মনমোহন সিং, প্রণব মুখোপাধ্যায় অথবা পি চিদম্বরমরা অতটা ভোকাল ছিলেন না, তাই সেইসময় কেন্দ্রীয় সরকারকে ঘিরে সারাক্ষণ কোনও চর্চা, আলোচনা হতো না। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা লার্জার দ্যান লাইফ এক ইমেজে পর্যবসিত হননি তখন।
এখন কিন্তু সেটাই হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ অথবা সামগ্রিকভাবে সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত ভুল হতে পারে, রাষ্ট্রের পক্ষে দীর্ঘকালীন ক্ষতিকর হতে পারে, অত্যন্ত অবিমৃশ্যকারী হতে পারে, আবার সেই সিদ্ধান্তগুলি ভালোও হতে পারে। এসব চর্চার থেকেও বড় যে বার্তাটি সামনে আসছে তা হল বিরোধী রাজনৈতিক দল ও নেতানেত্রীদের থেকে প্রচারের হাওয়াটি কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন এই দুজন। সমর্থন অথবা নিন্দা, প্রতিদিন আমজনতা মোদি, অমিত শাহকেই নিয়েই ব্যস্ত। তাঁদের নিয়েই চলে চর্চা। রাজনৈতিকভাবে এই যে নিজেদের একটা অবিরত রাজনৈতিক-সামাজিক ডিসকোর্সের কেন্দ্রে নিয়ে আসা এটা একটা বৃহৎ সাফল্য। মোদি এবং অমিত শাহ সর্বদাই চাইছেন মানুষ তাঁদের নিয়েই আলোচনা করুক। অন্য কোনওদিকে চর্চার অভিমুখ ঘোরানোর সুযোগই দেন না তাঁরা।
তাই দেখা যাচ্ছে, ক্রমাগত একটির পর একটি ইস্যু সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। একটি ইস্যু থিতিয়ে গেলেই আবার অন্য একটি বিষয় নিয়ে তোলপাড়। আজ আম জনতা আর কাশ্মীরে সত্যিই কতটা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে তা নিয়ে খোঁজখবর নেয়? নেয় না। এটাই জনতার প্রবণতা। দ্রুত ইস্যু থেকে ইস্যু থেকে সরে যাওয়া। আর এই প্রবণতাকেই কাজে লাগিয়ে নিজেদের সর্বদাই মানুষের মস্তিষ্কে স্থান করে দিয়ে চলেছেন মোদি ও অমিত শাহ। তাঁদের সম্পর্কে বিরক্তি কিংবা ভালো লাগা যাই হোক, মানুষের চর্চা তাঁদের ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে।
শাসকের অন্যতম প্রিয় অস্ত্র হল ভয়। সেটা সর্বদাই যে জনতাকে প্রত্যক্ষভাবে ভয় দেখানো এমন নয়। সম্ভাব্য শত্রু ও অজানা আশঙ্কার একটি অবয়ব তৈরি করে প্রতিটি সমস্যার কারণ হিসেবে সেই অবয়বের দিকে আঙুল তোলা একটি বিশেষ প্রশাসনিক কৌশল। প্রাচীনকাল থেকে এরকমই একটি বিশেষ শাসনপ্রক্রিয়ার নাম হল পপুলার ফিয়ার। অর্থাৎ যে ভয়টি জনপ্রিয়। মানুষ যে ভয়কে বিশ্বাস করতে পছন্দ করে। বৃহৎ সংখ্যক মানুষ ওই ভয়টাকে সত্যি মনে করে। তাই মাঝে মধ্যেই প্রচার করা হয় সমস্যা, সঙ্কট, বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এজন্য দায়ী হল কোনও বিশেষ জাতি, কোনও বিশেষ সম্প্রদায়, বিশেষ একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র, দেশের অভ্যন্তরের বিশেষ শ্রেণী। এরা সক঩লেই শত্রুপক্ষ। বৃহত্তর সংখ্যক জনগণের কাছে এই ধারণাটি গ্রহণযোগ্য হয়। অবিশ্বাস আর ভয়ের ককটেল।
জনগণকে তাই সর্বদাই পাশে পেতে মাঝেমধ্যেই সঙ্কট তৈরি করা নিয়ম। অর্থাৎ যুদ্ধ হতে পারে, অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, রক্তক্ষয়ী কোনও বিপ্লবের চক্রান্ত হতে পারে। এরকম আশঙ্কা এবং সম্ভাবনায় সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবেই সরকারের পাশে থাকবে। আর সেটাই কাম্য। এই পদ্ধতি নতুন কিছু প্রবণতা নয়, প্রাচীন ইওরোপ এশিয়ার ইতিহাস থেকেই জানা যায়, এই প্রক্রিয়ার নাম ‘পপুলার ক্রাইসিস!’
20th  September, 2019
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হলদিয়ার সুপার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, ভস্মীভূত একাধিক দোকান
গভীর রাতে হলদিয়ার দুর্গাচক সুপারমার্কেটে ভয়াবহ আগুন লেগে ভস্মীভূত হল ...বিশদ

10:08:57 AM

বাঘাযতীন বাজারে প্রচার চালাচ্ছেন যাদবপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য

10:06:00 AM

দৌলতাবাদে নির্বাচনী প্রচারে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম

10:04:00 AM

প্রখর রোদের তাপ এড়াতে সকাল সকাল নামাবলি গায়ে প্রচারে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ

10:02:00 AM

পাঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলে  বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ, মৃত ২
বন্দিদের মধ্যে ব্যাপক হিংসা ছড়াল পাঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলে। এই সংঘর্ষের ...বিশদ

09:58:52 AM

বাসুকি নাগের সন্ধান!
পৌরাণিক কাহিনি কি তবে সত্যি হল? সমুদ্রমন্থনের সময় সাহায্য নেওয়া ...বিশদ

09:57:58 AM