Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলায় এনআরসি বিজেপির স্বপ্নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো 
মেরুনীল দাশগুপ্ত

লোকসভা ভোটে অপ্রত্যাশিত ফলের পর বাংলার বিজেপি রাজনীতিতে যে জমকালো ভাবটা জেগেছিল সেটা কি খানিকটা ফিকে হয়ে পড়েছে? পুজোর মুখে এমন একটা প্রশ্ন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আমজনতার মধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। ক’দিন আগে সিইএসসি অভিযান নিয়ে মধ্য কলকাতায় বিজেপি-পুলিস খণ্ডযুদ্ধ বা সেইরকম জঙ্গি ধাঁচের আন্দোলন করে মাঝেমধ্যেই পদ্ম শিবির সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে ঠিকই কিন্তু তার ধারাবাহিকতা যেন তেমন নিবিড় নয়, কেমন ছাড়া ছাড়া অগোছালো। ফলে আন্দোলনগুলো যেন পথে শুরু হয়ে পথেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। পাবলিক মনে তার আলোড়ন কতটা রেখাপাত করতে পারছে তা নিয়েও সংশ্লিষ্ট মহলে কমবেশি ধন্দ জাগছে! অস্বাভাবিক নয়। ২০১৯ লোকসভা ভোটে ২ থেকে এক লাফে ১৮ আসন, ভোট পার্সেন্টেজে ২২ শতাংশ বৃদ্ধির মতো চমকদার ফল তো এই বাংলায় বিজেপি কেবল প্রধান বিরোধীর শিরোপা মাত্র দেয়নি, পরন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই একচ্ছত্র প্রভাব প্রতিপত্তি ও প্রশ্নাতীত গণ-আনুগত্যের রাজ্যে প্রায় নিশ্চিহ্ন বিরোধী শিবিরে নতুন করে প্রাণ সঞ্চারের একটা ঘোর সম্ভাবনা জাগিয়ে দিয়েছিল।
সেই সম্ভাবনার প্রতি গেরুয়া বাহিনী কতটা সুবিচার করে, বাড়তি ভোটের অঙ্কটা ধরে রাখতে বা তাকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বঙ্গবিজেপি নেতৃত্ব কী পদক্ষেপ করেন বঙ্গজনতার দেখার ছিল সেটাই। কারণ, অঙ্কের হিসেবে যে ২২ শতাংশ বাড়তি সমর্থন লোকসভায় বিজেপির রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতাকে একলপ্তে শাসক তৃণমূলের প্রায় সমকক্ষ করে তুলেছিল তা যে পদ্মদলের একান্ত নিজস্ব ছিল না সেটা সকলেই জানেন। এবং এটাও জানেন, এ রাজ্যের মমতা বিরোধী ভোট বাম-কংগ্রেস ছেড়ে পুঞ্জীভূত হয়েছিল বিজেপির ভোটবাক্সে আর সেটাই বাংলার বিরোধী শিবিরে নতুন শক্তি হিসেবে বিজেপিকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিল। সেই অগ্রগামিতা ধরে রাখতে বিজেপির যে কর্মসূচিগুলো জনতার নজরে কেড়েছিল তার মধ্যে সন্দেহ নেই অন্যতম ছিল মূলত মুকুল রায়ের উদ্যোগে তৃণমূলের ‘পদ্ম অভিলাষী’দের ঘরে তোলা এবং সেই সুবাদে এলাকা থেকে পুরবোর্ড যেখানে যেমন মেলে ‘দখল’। বীরভূমের বিতর্কিত মণিরুলকে নিয়ে সংঘ পরিবারে অসন্তোষ সৃষ্টির আগে অব্দি এই কর্মসূচি বেশ জমেও উঠেছিল। এ যাচ্ছে, সে আসছে, আজ দিল্লি কাল কলকাতা—এই বোর্ড তৃণমূলের হাতছাড়া আবার কদিন পরে দলবদলুদের ঘরে ফেরায় বোর্ড আবার তৃণমূলের ঝান্ডাতলে এবং এই বদলাবদলি নিয়ে ভাটপাড়া-জগদ্দল সমেত গোটা নৈহাটি-বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মতো কত জায়গায় কত ধুন্ধুমার, মারদাঙ্গা খুনখারাপি, পুলিস প্রশাসনে যাকে বলে একেবারে তাধৈ মাধৈ অবস্থা! আবার এই বদলাবদলির আর এক চূড়ান্ত নাটকীয় রূপ দেখা গিয়েছিল কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের গেরুয়া শিবিরে যোগদান এবং অনতিকাল পরেই মুখ ফেরানোকে কেন্দ্র করে! সেই নাটকে যবনিকাপাত এখনও পুরোপুরি ঘটেছে কি না আমরা জানি না, তবে দলবদলের হিড়িকটা যে কোনও কারণেই হোক এখন অনেকটাই স্তিমিত। তথ্যভিজ্ঞরা বলছেন, এর জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বা রন্তিদেব সেনগুপ্তের মতো শীর্ষ নেতাদের চেতাবনি বিশেষ ক্রিয়াশীল।
অন্যদিকে, দলের অগ্রগতি ও বিস্তার বজায় রাখতে জনমন জয়ে বিজেপি নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আর যেটা করেছে সেটা ‘আন্দোলন’, বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধাঁচে জঙ্গি প্রতিবাদ সংগঠিত করার চেষ্টা। কিন্তু, সেটা তো খুব সহজ নয়। আগেই বলেছি, মুশকিলটা হল ধারাবাহিকতার অভাব। তাছাড়া, মমতার মতো প্রাণ বাজি রেখে লাগাতার অমন একরোখা আগুনে আন্দোলন করার ক্ষমতাসম্পন্ন নেতানেত্রী আজ কোথায়? নেতানেত্রী থাকলেও পরিবেশের সেই আনুকূল্যও কি মিলবে? বাম আমলের শেষ অধ্যায়ে সিপিএমের একাংশের অবিরাম উৎপাতে ক্যাডাররাজের অত্যাচার লাঞ্ছনায় পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম শহর নগর মহানগরে সর্বস্তরে মানুষের মধ্যে যে অগ্নিময় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল, নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর-নেতাই ইত্যাদি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে যে উত্তাল ঝড়ঝঞ্ঝা সৃষ্টি হয়েছিল— এখন তেমন ইস্যুই বা কোথায়? বলছি না যে রাজ্যের শাসকদলের প্রতি মানুষের অসন্তোষ নেই। অবশ্যই আছে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রাম শহরের পরিষেবা পরিকাঠামো অর্থাৎ রাস্তাঘাট পানীয় জল স্বাস্থ্য শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন, সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ঘরে ঘরে কন্যাশ্রী স্বাস্থ্যসাথী ইত্যাদি হাজারো সরকারি সহায়তা প্রকল্প যেভাবে পৌঁছে দিয়েছেন তাতে বাংলার মানুষের অনেক ক্ষোভ অসন্তোষই চাপা পড়ে যাচ্ছে। হ্যাঁ, কট্টর মমতা বিরোধীদের কথা অবশ্যই আলাদা। তাঁরা হয়তো এখনও মমতা কী কী পারেননি, শিল্পায়ন-কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কতটা কী করল মুখ্যমন্ত্রী মমতার রাজ্য, মমতার দলের কারা সারদা-নারদায় অদূর ভবিষ্যতে ধরা পড়বেন—তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কল্পনা-জল্পনায় মশগুল। এবং এঁদেরই একটা বড় অংশ যে গত লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ঢেলে দিয়েছে তাতেও বা সন্দেহ কী? কিন্তু গোল বেধেছে এবার। অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জির ঢেউ পশ্চিমবঙ্গে ওঠার উপক্রম হতেই মমতার অভক্তিবাদী দলে কোথায় যেন একটা শিরসিরানি গুনগুন করতে শুরু করেছে! এবার কী হবে? আমার পরিচিত এক চরম অভক্তিবাদী সেদিন কথায় কথায় বলছিলেন, মোদিজির আর সব তো ঠিকই আছে। তালাক বন্ধ কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা বন্ধ চাঁদে অভিযান—সব। কিন্তু এনআরসিটা কী হবে বোঝা যাচ্ছে না!
কেন বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অমিত শাহ তো স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, শরণার্থীরা নাগরিক। সমস্যা অনুপ্রবেশকারী নিয়ে। এনআরসি করে অনুপ্রবেশকারীদের দেশছাড়া করলে বা ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখলে ক্ষতি কোথায়! উত্তর এল তৎক্ষণাৎ—অসমে দেখছেন, এগারো লক্ষের ওপর হিন্দু বাঙালি আটকে গেছে। ওখানে তো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বজরং দলের মতো সংঘ পরিবারের প্রভাবশালী দুটি শাখা থেকেই প্রতিবাদ উঠেছে। তাহলে...! কথা ফুরোয় না তাঁর, ভারী হয়ে ওঠে মুখ। কপালে ভাঁজ গাঢ় হয়, তাহলে! আর এখান থেকেই সঙ্গতকারণে সমাজ-রাজনীতিতে সেই সংশয়ের উদ্ভব হচ্ছে, বাংলায় এনআরসি বিজেপির স্বপ্নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো! একথা আজ কারও অজানা নয়, বিজেপি ২০২১ সালের ভোট জিতে এ রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে চায়। সেটাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মনোবাঞ্ছা এবং রাজ্য নেতৃত্বের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন সফল করতে যাঁদের সমর্থন না অত্যাবশ্যক সেই মমতা বিরোধী মহলের মানুষজনের মনে যদি এহেন সংশয়ের উদয় হয় তবে যে কাজটি কঠিনতর হয়ে পড়বে— তা কি বলার অপেক্ষা রাখে?
এর মধ্যে আবার প্রায় পরপর দু-দুটি বোমা ফাটিয়ে দিলেন অমিতজি। এক, এক দেশ এক ভাষা বলে হিন্দিকে সর্বভারতীয় প্রাধান্য দেওয়ার কথা বললেন এবং দুই, ওই একই কারণে বহুদলীয় গণতন্ত্রের এই মহান ভারতে একদলীয় শাসনের নিদান দিলেন! দুটি নিয়েই আসমুদ্রহিমাচল ভারতে আলোড়ন পড়ে গেছে সন্দেহ নেই। হিন্দির একাধিপত্য কায়েমের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে বিগত শতকের ষাটের দশকে দেশ জুড়ে, বিশেষত দক্ষিণ ভারতে প্রবল হিংসা ও প্রাণহানির যে বিরাট ঘটনা ঘটেছিল, অমিত শাহের মন্তব্যের পর অনেকের মনেই তার স্মৃতি উসকে উঠেছে, এ নিয়ে বিতর্কে আলোচনাতেও তার মর্মান্তিক ছায়া পড়ছে। অন্যদিকে একদলীয় ‘গণতন্ত্র’ ব্যাপারেও ঝড় উঠতে চলেছে দেশের রাজনৈতিকমহলে। এনআরসির পাশাপাশি এই দুই নতুন ইস্যুতে সারা দেশে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক। বাংলাও তার ব্যতিক্রম হতে পারে না। একদিকে এনআরসি নিয়ে অসমের মানুষের শঙ্কা-ক্ষোভ অন্যদিকে আঞ্চলিক ভাষার ওপর হিন্দির আগ্রাসন চিন্তা এবং একদলীয় শাসন কায়েম সম্ভাবনার উৎকণ্ঠা—সব মিলিয়ে বাঙালির বিজেপি সমর্থনের স্বতঃস্ফূর্ততা নিশ্চিতভাবেই কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। কট্টর মমতা বিরোধীদের মনেও জেগেছে দোলাচল—মোদিজি না মমতা কে অপেক্ষাকৃত শ্রেয়, কার কাছে অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত বাঙালির ভবিষ্যৎ? কদিন আগে বিকেলে সিঁথি থেকে শ্যামবাজার এনআরসির বিরুদ্ধে মিছিল করে এবং ‘প্রাণ থাকতে বাংলায় এনআরসি হতে দেব না’ বলে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে সাধারণজনের বাড়তি আস্থা অর্জন করেছেন, এমনকী তাঁদেরও যাঁরা মনে করেন অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে এ রাজ্যেও এনআরসি করা উচিত। অসমের উদাহরণে তাঁদের বুকে যে ভয় জমেছে। পথেঘাটে কথায় আলোচনায় সে ভয় উঠে আসছে। শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে মোবাইলে ইলেকশন কমিশনের অ্যাপ ডাউনলোড করে ডি-ভোটার হওয়ার কোপ থেকে বাঁচাতে চাওয়ার মধ্যেও সেই উদ্বেগ টের পাওয়া যাচ্ছে। না হলে অঙ্কের অমন নামজাদা অধ্যাপক কেন বলবেন, সে কি! এখনও করেননি! এখুনি ইলেকশন কমিশনের ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ ডাউনলোড করে তথ্য দিন। না হলে কিন্তু ডি-ভোটার করে দেবে। তখন ঝক্কি সামলাতে প্রাণ বেরিয়ে যাবে।
এনআরসি নিয়ে বাংলার মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া এই শঙ্কা এই উদ্বেগের মোকাবিলা বিজেপিকে করতেই হবে। এবং করতে হবে ভোট ময়দানে নামার আগেই। সঙ্গে দোসর হিসেবে হিন্দির সর্বাত্মক প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা এবং একদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার বার্তা নিয়ে শাসক তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেসের কড়া প্রতিক্রিয়া ও বাংলার জনমনে তার প্রভাবও সামলাতে হবে। এই তিন গুরুতর ‘সমস্যা’ তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার মতো অসাধারণ কৌশলী, অমিত প্রভাবশালী রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সামলে বিজেপির বঙ্গনেতৃত্ব ২০২১ জয়ের লক্ষ্যে শেষ পর্যন্ত কতদূর এগতে পারেন এখন সেটাই দেখার। তাই না?  
19th  September, 2019
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
একনজরে
কলকাতা বেলেঘাটার বাসিন্দা গণেশ দাসকে খুনের ঘটনায় বুধবার উদ্ধার হল কিছু হাড়গোড়। জয়পুর থানার পুলিস জানিয়েছে, গাইঘাটা খাল থেকে ফিমার, কোমরের সহ সাতটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি জলে ডুবিয়ে রাখতে ব্যবহৃত বস্তা, দড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। ...

ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম সমালোচক তথা বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান। জেলের ভিতর সেই মৃত্যু নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিন্দার মুখে পড়েছেন পুতিন। ...

একটা নেটে অনবরত হাত ঘুরিয়ে চলেছেন সুয়াশ শর্মারা। আর একটা নেট পেসারদের দখলে। মূল পিচের ঠিক পাশের নেটে আবার থ্রো ডাউনের বিরুদ্ধে টক টক করে ...

একাধিক মামলায় তিনি ছিলেন পুলিসের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। জানুয়ারিতেই তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত, থাইল্যান্ডে ধরা পড়লেন নয়ডার স্ক্র্যাপ মাফিয়া তথা উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রবি কানা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM