Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জন্মদিনে এক অসাধারণ নেতাকে কুর্নিশ
অমিত শাহ

আজ, মঙ্গলবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৬৯তম জন্মদিন। অল্প বয়স থেকেই মোদিজি নিজেকে দেশের সেবায় উৎসর্গ করেছেন। যৌবন থেকেই তাঁর মধ্যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর উন্নয়নে কাজের একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণের কারণে মোদিজির শৈশবটা খুব সুখের ছিল না। গরিবি কী, সেটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন। সেই সূত্রে তাঁর মধ্যে গরিবদের জন্য কাজ করার একটা মানসিকতা গড়ে ওঠে। দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ভাঙার জন্য গরিবদের পাশে দাঁড়ান।
একজন একজন করে সব মানুষকে সাহায্য করার আগ্রহ বাড়তে থাকে। তাঁর মধ্যে পুরো মানবজাতির সেবা করার আবেগ কাজ করে। এর পাশাপাশি মোদিজি পরিচিত হয়ে উঠেছেন তাঁর অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য। তাঁর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক বীরত্বপূর্ণ সহিষ্ণুতার গুণ। ১৯৮৭ সাল। তাঁকে দলের গুজরাত রাজ্যের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হল। তখন গুজরাত বিধানসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য মাত্র ১২ জন। কিন্তু মোদিজির সাংগঠনিক দক্ষতা ও কৌশলী রাজনীতির দৌলতে ১৯৯০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দল ৬৭টি আসন দখল করেছিল। সেদিন এটা সম্ভব হওয়া সহজ ছিল না।। তার পর এল সেই ১৯৯৫ সাল। গুজরাত বিধানসভার ১২১টি আসনে জয়ী হল বিজেপি এবং রাজ্যে সরকার গড়ল। সেই থেকে বিজেপি অপরাজিত এবং বিজেপি নেতারা ধারাবাহিকভাবে গুজরাতের মানুষের সেবা করে চলেছেন। বিজেপি একটা শক্তি হিসেবে গুজরাতে আজ যে মান্যতা পাচ্ছে সেটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র মোদিজির দৌলতে। গুজরাত রাজ্যে দলের সাংগঠনিক ভিত তিনিই গড়ে দিয়েছেন। তাঁরই মুখ্যমন্ত্রিত্বে উন্নয়নমূলক কাজকর্মের সূচনা হয়েছিল সেখানে। 
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্বও সামলেছেন মোদিজি এবং ওই পর্বে দলের ‘প্যান ইন্ডিয়া গ্রোথ’-এর বীজ বপন করেছিলেন তিনি। বিজেপি আজ পৃথিবীর বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, এবং এই সবকিছুর নেপথ্যে যে মোদিজির ‘ভিশন’ কাজ করেছে তা মানতেই হবে।  
১৯৯০-এর দশকে মোদিজির নেতৃত্বে গুজরাতে দলের কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। আমার মনে আছে, সেইসময় গুজরাত জুড়ে ব্যাপকভাবে দলীয় সদস্য সংগ্রহ অভিযান করা হয়েছিল। মোদিজি যে কায়দায় তৃণমূল স্তর থেকে দলীয় সদস্য বৃদ্ধির অভিযানটি পরিচালনা করেছিলেন সেটা শুধু দলের কর্মীদের জন্য শিক্ষণীয় ছিল না, সেটা একইসঙ্গে আমারও জ্ঞানচক্ষু খুলে দিয়েছিল।   
২০০১ সাল। মোদিজি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যে উন্নয়নের প্যারাডাইম (দৃষ্টান্ত) বদলের নতুন পথ দেখালেন। সেইসময় তিনি এমন কতকগুলি কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন যেগুলি আধাখেঁচড়া অবস্থায় পড়েছিল। তিনি যখন গুজরাতের সব বাড়িতে সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ জোগানের সিদ্ধান্ত নিলেন তখন আইডিয়াটা খুব বেশি লোকের মনে ধরেনি। কিন্তু রাজনৈতিক বীরত্বপূর্ণ সহিষ্ণুতা, কঠিন সঙ্কল্প এবং গরিবের জন্য কাজ করার যে ‘প্যাশন’ তাঁর মধ্যে রয়েছে, সেসব দিয়েই মোদিজি তাঁর ওই স্বপ্ন সফল করলেন এবং দুনিয়াকে দেখিয়ে দিলেন—ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। মোদিজির উদ্যমী ভাবমূর্তি গুজরাতকে কীভাবে বদলে দিয়েছে তার অগুনতি উদাহরণ রয়েছে। 
মোদিজির নেতৃত্বে গুজরাতে উন্নয়নের যে মডেল সেটাই ভারতব্যাপী বিজেপির পক্ষে কাজ করেছে। এটাই জনগণের কাছে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে নেতৃত্ব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকলে সত্যিকার কল্যাণকামী রাষ্ট্র (ওয়েলফেয়ার স্টেট) গড়া সম্ভব। গুজরাতের শ্রীবৃদ্ধির কাহিনীটাই (গ্রোথ স্টোরি) দেশজুড়ে নীরবে বিজেপির ভিত গড়েছে। আর এর থেকেই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন দুর্নীতিগ্রস্ত, অর্মণ্য, অদক্ষ ইউপিএ সরকারকে প্রস্থানের রাস্তা মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে এবং মোদিজির পক্ষে চূড়ান্ত রায় এসেছে। 
‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর লক্ষ্যে মোদিজি দারিদ্র্য দূরীকরণের অনেকগুলি কর্মসূচি নিয়েছেন, যার ফলে গরিব মানুষের জীবনযাত্রায় একটি গুণগত পরবর্তন এসেছে। এ কোনও অসংগত দাবি নয়, মোদিজি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গরিব মানুষ বিশ্বাস করে যে সরকার তাদের প্রয়োজন, আশা ও প্রত্যাশার কথা ভাবে। এই সরকার যথেষ্ট সংবেদনশীল। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষণীয় যে, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ ব্যয় হওয়া সত্ত্বেও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একটিও অভিযোগ কিন্তু নেই। 
স্বজনপোষণ, জাতপাত এবং তোষণের রাজনীতি আসলে একটি শৃঙ্খল। ভারতের রাজনীতিকে এটাই দীর্ঘদিন যাবৎ আষ্টেপৃষ্ঠে আটকে রেখেছে। দেশকে এগতে দিচ্ছে না। মোদিজির নেতৃত্বে সেটা এবার ভেঙে গিয়েছে। মোদিজির রাজনীতি আরও একটি ‘পলিটিক্যাল মিথ’ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সেই অবাক করা ব্যাপারটা হল—মোদিজির জাতের (কাস্ট) মানুষ গুজরাতের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম, তবু ওই রাজ্য থেকে তিনি জিতেছেন। আর এখন তাঁর বিজয়রথ তো ভারত জুড়ে। এর কারণটি হল তাঁর উন্নয়নের রাজনীতি এবং গরিব ও পিছিয়ে-পড়া মানুষের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার। 
মোদিজির নেতৃত্বে শুধু আমাদের দেশটিই উন্নত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে না, বরং ভারতের ‘প্রোফাইল’ আন্তর্জাতিক মঞ্চেও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল, ৩৭০ ধারা ইস্যুতে বিশ্ব ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করছে এবং পাকিস্তানের অবস্থানটিকে নস্যাৎ করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতকে হেয় প্রতিপন্ন করতে নেমে পাকিস্তানই একঘরে, অসহায় হয়ে পড়েছে। অনুরূপভাবে, মোদিজির প্রস্তাবমতো ‘যোগা দিবস’ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলির মেনে নিয়েছে। এটা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতির লক্ষণ বইকি।
কাঙ্ক্ষিত ফললাভের জন্য মোদিজি ঝাঁকুনি দেওয়ায় বিশ্বাসী। সব দল চিরকাল ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতিরই অঙ্ক কষে গিয়েছে। এর অশুভ দিকটা কেউ গ্রাহ্যই করেনি। কেউ কি ভেবেছিল যে একদিন একটি রাজনৈতিক দল মুসলিম মহিলাদের মুক্তির স্বার্থে ‘তিন তালাক’ বিষয়ে আইন তৈরির হিম্মত দেখাবে কিংবা জম্মু ও কাশ্মীরকে জাতীয় মূল স্রোতে মেশানোর কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্য ৩৭০ ধারা বাতিল করে দেবে। 
জাতি-গঠনের কাজে নাগরিকদের যুক্ত করার উপর মোদিজি সবসময় গুরুত্ব আরোপ করেছেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে মোদিজি সর্বপ্রথম যে কাজটি করেছিলেন সেটা হল ঝাড়ু দিয়ে রাস্তাকে আঘাত করা—উদ্দেশ্য ভারতকে স্বচ্ছ করে তোলা। আজ ‘স্বচ্ছ ভারত’ জাতীয় পর্যায়ের একটি মুভমেন্ট বা আন্দোলন হয়ে উঠেছে। এবার মোদিজি আমাদের সকলের কাছে ভারতকে ‘প্লাস্টিক-মুক্ত’ করে তোলার ‘অ্যাপিল’ রেখেছেন এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা খুব শিগগিরই এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারব। 
তাঁর প্রশাসন পরিচালনার ধরনের অনেকগুলি ‘হলমার্ক’-এর একটি হল সাধারণ মানুষের মনকে স্পর্শ করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। তাদেরকে নিজের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারেন মোদিজি। কোনও সংশয় নেই যে, তিনি যা বলেন, মানুষ সেগুলি শুধু মনোযোগ দিয়ে শোনে না, তাঁকে বিশ্বাস এবং অনুসরণও করে। 
জনগণের, বিশেষ করে অভাবী এবং দুর্বল শ্রেণীর মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নতির জন্য মোদিজি সবসময় বাড়তি দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত। নিজের টিম মেম্বারদের ক্ষমতা ও দক্ষতা বুঝে নিয়ে সেগুলি কাজে লাগাবার অদ্ভুত ক্ষমতা ও কৌশল তাঁর করায়ত্ত। টিম মেম্বারদের উপলব্ধি ও ক্ষমতা চটপট বুঝে নিয়ে তিনি সেইমতো দায়িত্ব বণ্টন করে দেন। এবং, শেষমেশ এই কৌশলটাই কর্মসূচিগুলি অধিক দক্ষতার সঙ্গে রূপায়ণে সাহায্য করে। 
আমাদের প্রধানমন্ত্রী সমস্যা সমাধানের প্রশ্নে অটল এবং তাঁর ধৈর্যও অসম্ভব। সিদ্ধান্তগ্রহণেও তিনি এমন স্থিরসঙ্কল্প যে লক্ষ্যপূরণের পথে কোনও বাধাই বরদাস্ত করেন না। তিনি সকলের মত নিয়ে চলার মানুষ (ম্যান অফ কনসেনসাস), যিনি বিশ্বাস করেন সমাধানের চেষ্টার সময় অজস্র আইডিয়া আসবে এবং সেগুলি গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে।  
আমাদের পক্ষে একটা বিরাট গর্বের বিষয় যে আজ আমরা এমন একজনের নেতৃত্বে কাজ করছি যিনি ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এবং এটাকে একটি ইগ্যালিটেরিয়ান (মানবজাতির সামাজিক ও রাজনৈতিক সমতাবাদী) সোসাইটির রূপ দেওয়ার প্রশ্নে আপসহীন। মোদিজির জন্মদিনে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা থাকছে এবং ভগবানের কাছে তাঁর জন্য এই আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি যে মাতৃভূমি এবং মানবজাতির সেবার প্রয়োজনে তাঁকে আরও শক্তি দিন। 
 লেখক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
17th  September, 2019
স্বঘোষিত ‘ধর্মগুরু’ জিম জোন্সের নাম আজ ক্যালিফোর্নিয়ায় মুখে আনাও পাপ!
মৃণালকান্তি দাস

জিম জোন্সের নাম শুনেছেন? এ এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর গল্প। যাঁর বিশ্বাসের উপর ভর করে আত্মহত্যার আড়ালে এক নিদারুণ গণহত্যার সাক্ষী হয়েছিল আমেরিকা। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের একটি দরিদ্র পরিবারে জিমের জন্ম। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন বেশ বুদ্ধিমান এবং কিছুটা অদ্ভুত স্বভাবের। কিশোর বয়স থেকেই ধর্মের প্রতি তাঁর টান ছিল প্রবল।
বিশদ

অসহিষ্ণুতা
জিষ্ণু বসু

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭০ সাল। অতি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন পরীক্ষা বয়কটের ডাক দিয়েছে। কেন? কী কারণ? কারণটা অদ্ভুত। কাউকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এক সিংহহৃদয় মানুষ। অধ্যাপক গোপালচন্দ্র সেন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের প্রবাদপ্রতিম অধ্যাপক এই ছাত্রদরদি মানুষটি অস্থায়ীভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। 
বিশদ

পুজোর মুখে
শুভা দত্ত

পুজো আসছে। মাঝে আর মাত্র ক’টা দিন—তারপরই শুরু হয়ে যাবে দেবী দুর্গার আরাধনায় মত্ত বাঙালির উৎসব যাপন। আমাদের বিশ্বাস, সেই উৎসবের আনন্দ কোলাহলে আলোর বন্যায় জনস্রোতে ক’দিনের জন্য হলেও এনআরসি হোক কি যাদবপুর, কি সারদা নারদা রাজীব কুমার—সব তলিয়ে যাবে। চিহ্নমাত্র থাকবে না। এতদিন তাই হয়েছে—এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
বিশদ

22nd  September, 2019
এনআরসি, সংখ্যালঘু ভোট ও বিজেপি
তন্ময় মল্লিক

‘এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের আরও বেশি করে বিজেপির ছাতার তলায় নিয়ে আসতে হবে। সেই মতো গ্রহণ করতে হবে যাবতীয় কর্মসূচি।’ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বকে এই কথাগুলি যিনি বলেছিলেন তিনি আর কেউ নন, ‘গেরুয়া শিবিরের চাণক্য’ অমিত শাহ।
বিশদ

21st  September, 2019
সরকারি চাকরির মোহে আবিষ্ট সমাজ
অতনু বিশ্বাস

সমাজ বদলাবে আরও। আমি বা আপনি চাইলেও, কিংবা গভীরভাবে বিরোধিতা করলেও। সরকারি বা আধা-সরকারি চাকরির নিরাপত্তার চক্রব্যূহ ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে পড়বে আরও অনেকটা। এবং দ্রুতগতিতে। গোটা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ এক প্রকারের ভবিতব্যই। একসময় আমরা দেখব, চাকরি বাঁচাতে গড়পড়তা সরকারি চাকুরেদেরও খাটতে হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরেদের মতো। সরকারি চাকরির নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের নিরাপত্তার ‘মিথ’ ভেঙে চুরচুর হয়ে পড়বে। এবং সে-পথ ধরেই ক্রমে বিদায় নেবে পাত্রপাত্রী চাই-য়ের বিজ্ঞাপন থেকে ‘সঃ চাঃ’ নামক অ্যাক্রোনিম।
বিশদ

21st  September, 2019
আলোচনার অভিমুখ
সমৃদ্ধ দত্ত

 প্রাচীন বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতায় দেখা যায় সম্রাটরা অসীম ক্ষমতার অধিকারী প্রমাণ করার জন্য অতি প্রাকৃতিক শক্তি সম্পন্ন হিসেবে নিজেদের প্রতিভাত করতেন। এর ফলে প্রজা শুধু সম্রাটকে যে মান্য করত তাই নয়, ভয়ও পেত, সমীহ করত। প্রাচীন মিশরে শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে ফারাওরা নিজেদেরই ঈশ্বর হিসেবে ঘোষণা করতেন।
বিশদ

20th  September, 2019
হিন্দু বাঙালির বাড়ি ভাঙছে, হারাচ্ছে দেশ 
শুভময় মৈত্র

জয় গৃহশিক্ষকতা করেন, বাড়ি সিঁথি মোড়ের কাছে, বরানগরে। নিজেদের তিরিশ বছরের পুরনো বাড়ি, সারানোর প্রয়োজন। একান্নবর্তী পরিবার, দাদা বড় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আর একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন কাছেই। 
বিশদ

20th  September, 2019
বাংলায় এনআরসি বিজেপির স্বপ্নের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো 
মেরুনীল দাশগুপ্ত

লোকসভা ভোটে অপ্রত্যাশিত ফলের পর বাংলার বিজেপি রাজনীতিতে যে জমকালো ভাবটা জেগেছিল সেটা কি খানিকটা ফিকে হয়ে পড়েছে? পুজোর মুখে এমন একটা প্রশ্ন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আমজনতার মধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। 
বিশদ

19th  September, 2019
ব্যাঙ্ক-সংযুক্তিকরণ কতটা সাধারণ মানুষ এবং সামগ্রিক ব্যাঙ্কব্যবস্থার উন্নতির স্বার্থে?
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

অনেকগুলি ব্যাঙ্ক সংযুক্ত করে দেশে সরকারি ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমিয়ে আনা হল আর সংযুক্তির পর চারটি এমন বেশ বড় ব্যাঙ্ক তৈরি হল, আকার আয়তনে সেগুলিকে খুব বড় মাপের ব্যাঙ্কের তকমা দেওয়া যাবে। এসব ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, এতে দেশের অর্থনীতির খুব উপকার হবে।  
বিশদ

16th  September, 2019
রাজনীতির উত্তাপ কি পুজোর আমেজ
জমে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে?
শুভা দত্ত

 পরিস্থিতি যা তাতে এমন কথা উঠলে আশ্চর্যের কিছু নেই। উঠতেই পারে, উঠছেও। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের মুখে প্রায় প্রতিদিনই যদি কিছু না কিছু নিয়ে নগরী মহানগরীর রাজপথে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে, পুলিস জলকামান, লাঠিসোঁটা, কাঁদানে গ্যাস, ইটবৃষ্টি, মারদাঙ্গা, রক্তারক্তিতে যদি প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং তাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনজীবন ব্যবসাপত্তর উৎসবের মরশুমি বাজার কিছু সময়ের জন্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তবে এমন কথা এমন প্রশ্ন ওঠাই তো স্বাভাবিক।
বিশদ

15th  September, 2019
আমেরিকায় মধ্যবয়সের
সঙ্গী সোশ্যাল মিডিয়া
আলোলিকা মুখোপাধ্যায়

যে বয়সে পৌঁছে দূরের আত্মীয়স্বজন ও পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ক্রমশ আগের মতো সম্ভব হয় না, সেই প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধার জীবনে ইন্টারনেট এক প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিয়েছে। প্রয়োজনীয় এই কারণে যে, নিঃসঙ্গতা এমন এক উপসর্গ যা বয়স্ক মানুষদের শরীর ও মনের উপর প্রভাব ফেলে। বিশদ

14th  September, 2019
মোদি সরকারের অভূতপূর্ব কাশ্মীর পদক্ষেপ পরবর্তী ভারতীয় কূটনীতির সাফল্য-ব্যর্থতা
গৌরীশঙ্কর নাগ

 এই অবস্থায় এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ৩৭০ ধারা বিলোপ পর্বের প্রাথমিক অবস্থাটা আমরা অত্যন্ত উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছি।
বিশদ

14th  September, 2019
একনজরে
শ্রীনগর, ২২ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পর কেটে গিয়েছে টানা ৪৯ দিন। এখনও থমথমে উপত্যকা। স্বাভাবিক হয়নি মানুষের জীবনযাত্রা। এই পরিস্থিতিতে অস্থায়ীভাবে সাপ্তাহিক বাজার বসল শ্রীনগরের রাস্তায়।  ...

সংবাদদাতা, মালদহ: ইংলিশবাজার শহরে চলাচলের অনুমতি দিতে শুরু হয়েছে টোটো বা ই-রিকশর নিবন্ধীকরণ কর্মসূচি। এই সুযোগে শহর জুড়ে পুজোর মুখে ফের হুহু করে বাড়ছে টোটো’র সংখ্যা।  ...

বিএনএ, বর্ধমান: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৫টি বেডের নতুন ডায়ালিসিস ইউনিটের কাজ শেষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে উদ্বোধন করিয়ে শীঘ্রই ওই ইউনিট চালু করতে চাইছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস। এবার তার থিম পর্যটন এবং চাকরি। সেই ভাবনাকে সামনে রেখেই পর্যটন শিল্পে চাকরির পরিসর বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কলকাতায় আজ, সোমবার থেকে চাকরির মেলা শুরু করছে পর্যটন মন্ত্রক। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম
১৯৩২: চট্টগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু
১৯৩৫: অভিনেতা প্রেম চোপড়ার জন্ম
১৯৪৩: অভিনেত্রী তনুজার জন্ম
১৯৫৭: গায়ক কুমার শানুর জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.১৯ টাকা ৭২.৭০ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৪৪ টাকা ৯১.১২ টাকা
ইউরো ৭৬.২৬ টাকা ৮০.৩৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  September, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৩৩৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৩৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬, ৯১৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬, ১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬, ২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  September, 2019

দিন পঞ্জিকা

৬ আশ্বিন ১৪২৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার, নবমী ৩২/৫১ রাত্রি ৬/৩৭। আর্দ্রা ১৫/১ দিবা ১১/২৯। সূ উ ৫/২৮/৫৭, অ ৫/২৯/৪১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৮/৪১ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ১১/৫ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে ৩/৫ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩০ গতে ৪/০ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/০ গতে ১১/৩০ মধ্যে। 
৫ আশ্বিন ১৪২৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার, নবমী ১৯/৪৮/৫৫ দিবা ১/২৪/১৪। আর্দ্রা ৫/৩৮/১৫ দিবা ৭/৪৪/৮, সূ উ ৫/২৮/৫০, অ ৫/৩১/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৭/৭ মধ্যে ও ৮/৪১ গতে ১১/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২ গতে ১০/৫৯ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৬ মধ্যে, বারবেলা ২/৩০/৫০ গতে ৪/১/১০ মধ্যে, কালবেলা ৬/৫৯/১০ গতে ৮/১৯/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ১/০/৩০ গতে ১১/৩০/১০ মধ্যে। 
২৩ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বৃষ: কর্মে উন্নতি। মিথুন: কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি প্রাপ্তি। কর্কট:  ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম১৯৩২: ...বিশদ

07:03:20 PM

নদীয়ার কলেজে বোমাবাজি, জখম ২
নদীয়ার মাজদিয়া কলেজে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল। টিএমসিপি-এবিভিপি একে অন্যের বিরুদ্ধে ...বিশদ

06:28:00 PM

গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা চন্দননগরে
এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভার ...বিশদ

06:23:18 PM

ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী কেমন হচ্ছে কর্মচারীদের বেতন
ক্যাবিনেটেও অনুমোদিত হয়ে গেল ষষ্ঠ বেতন কমিশন । নতুন এই ...বিশদ

05:49:00 PM

ফায়ার লাইসেন্স ফি কমাল রাজ্য
ফায়ার লাইসেন্স ফি ৯২ শতাংশ কমিয়ে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। ...বিশদ

04:54:52 PM