Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জন্মদিনে এক অসাধারণ নেতাকে কুর্নিশ
অমিত শাহ

আজ, মঙ্গলবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৬৯তম জন্মদিন। অল্প বয়স থেকেই মোদিজি নিজেকে দেশের সেবায় উৎসর্গ করেছেন। যৌবন থেকেই তাঁর মধ্যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর উন্নয়নে কাজের একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণের কারণে মোদিজির শৈশবটা খুব সুখের ছিল না। গরিবি কী, সেটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন। সেই সূত্রে তাঁর মধ্যে গরিবদের জন্য কাজ করার একটা মানসিকতা গড়ে ওঠে। দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ভাঙার জন্য গরিবদের পাশে দাঁড়ান।
একজন একজন করে সব মানুষকে সাহায্য করার আগ্রহ বাড়তে থাকে। তাঁর মধ্যে পুরো মানবজাতির সেবা করার আবেগ কাজ করে। এর পাশাপাশি মোদিজি পরিচিত হয়ে উঠেছেন তাঁর অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য। তাঁর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক বীরত্বপূর্ণ সহিষ্ণুতার গুণ। ১৯৮৭ সাল। তাঁকে দলের গুজরাত রাজ্যের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হল। তখন গুজরাত বিধানসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য মাত্র ১২ জন। কিন্তু মোদিজির সাংগঠনিক দক্ষতা ও কৌশলী রাজনীতির দৌলতে ১৯৯০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দল ৬৭টি আসন দখল করেছিল। সেদিন এটা সম্ভব হওয়া সহজ ছিল না।। তার পর এল সেই ১৯৯৫ সাল। গুজরাত বিধানসভার ১২১টি আসনে জয়ী হল বিজেপি এবং রাজ্যে সরকার গড়ল। সেই থেকে বিজেপি অপরাজিত এবং বিজেপি নেতারা ধারাবাহিকভাবে গুজরাতের মানুষের সেবা করে চলেছেন। বিজেপি একটা শক্তি হিসেবে গুজরাতে আজ যে মান্যতা পাচ্ছে সেটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র মোদিজির দৌলতে। গুজরাত রাজ্যে দলের সাংগঠনিক ভিত তিনিই গড়ে দিয়েছেন। তাঁরই মুখ্যমন্ত্রিত্বে উন্নয়নমূলক কাজকর্মের সূচনা হয়েছিল সেখানে। 
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্বও সামলেছেন মোদিজি এবং ওই পর্বে দলের ‘প্যান ইন্ডিয়া গ্রোথ’-এর বীজ বপন করেছিলেন তিনি। বিজেপি আজ পৃথিবীর বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, এবং এই সবকিছুর নেপথ্যে যে মোদিজির ‘ভিশন’ কাজ করেছে তা মানতেই হবে।  
১৯৯০-এর দশকে মোদিজির নেতৃত্বে গুজরাতে দলের কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। আমার মনে আছে, সেইসময় গুজরাত জুড়ে ব্যাপকভাবে দলীয় সদস্য সংগ্রহ অভিযান করা হয়েছিল। মোদিজি যে কায়দায় তৃণমূল স্তর থেকে দলীয় সদস্য বৃদ্ধির অভিযানটি পরিচালনা করেছিলেন সেটা শুধু দলের কর্মীদের জন্য শিক্ষণীয় ছিল না, সেটা একইসঙ্গে আমারও জ্ঞানচক্ষু খুলে দিয়েছিল।   
২০০১ সাল। মোদিজি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যে উন্নয়নের প্যারাডাইম (দৃষ্টান্ত) বদলের নতুন পথ দেখালেন। সেইসময় তিনি এমন কতকগুলি কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন যেগুলি আধাখেঁচড়া অবস্থায় পড়েছিল। তিনি যখন গুজরাতের সব বাড়িতে সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ জোগানের সিদ্ধান্ত নিলেন তখন আইডিয়াটা খুব বেশি লোকের মনে ধরেনি। কিন্তু রাজনৈতিক বীরত্বপূর্ণ সহিষ্ণুতা, কঠিন সঙ্কল্প এবং গরিবের জন্য কাজ করার যে ‘প্যাশন’ তাঁর মধ্যে রয়েছে, সেসব দিয়েই মোদিজি তাঁর ওই স্বপ্ন সফল করলেন এবং দুনিয়াকে দেখিয়ে দিলেন—ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। মোদিজির উদ্যমী ভাবমূর্তি গুজরাতকে কীভাবে বদলে দিয়েছে তার অগুনতি উদাহরণ রয়েছে। 
মোদিজির নেতৃত্বে গুজরাতে উন্নয়নের যে মডেল সেটাই ভারতব্যাপী বিজেপির পক্ষে কাজ করেছে। এটাই জনগণের কাছে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে নেতৃত্ব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকলে সত্যিকার কল্যাণকামী রাষ্ট্র (ওয়েলফেয়ার স্টেট) গড়া সম্ভব। গুজরাতের শ্রীবৃদ্ধির কাহিনীটাই (গ্রোথ স্টোরি) দেশজুড়ে নীরবে বিজেপির ভিত গড়েছে। আর এর থেকেই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন দুর্নীতিগ্রস্ত, অর্মণ্য, অদক্ষ ইউপিএ সরকারকে প্রস্থানের রাস্তা মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে এবং মোদিজির পক্ষে চূড়ান্ত রায় এসেছে। 
‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর লক্ষ্যে মোদিজি দারিদ্র্য দূরীকরণের অনেকগুলি কর্মসূচি নিয়েছেন, যার ফলে গরিব মানুষের জীবনযাত্রায় একটি গুণগত পরবর্তন এসেছে। এ কোনও অসংগত দাবি নয়, মোদিজি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গরিব মানুষ বিশ্বাস করে যে সরকার তাদের প্রয়োজন, আশা ও প্রত্যাশার কথা ভাবে। এই সরকার যথেষ্ট সংবেদনশীল। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষণীয় যে, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ ব্যয় হওয়া সত্ত্বেও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একটিও অভিযোগ কিন্তু নেই। 
স্বজনপোষণ, জাতপাত এবং তোষণের রাজনীতি আসলে একটি শৃঙ্খল। ভারতের রাজনীতিকে এটাই দীর্ঘদিন যাবৎ আষ্টেপৃষ্ঠে আটকে রেখেছে। দেশকে এগতে দিচ্ছে না। মোদিজির নেতৃত্বে সেটা এবার ভেঙে গিয়েছে। মোদিজির রাজনীতি আরও একটি ‘পলিটিক্যাল মিথ’ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সেই অবাক করা ব্যাপারটা হল—মোদিজির জাতের (কাস্ট) মানুষ গুজরাতের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম, তবু ওই রাজ্য থেকে তিনি জিতেছেন। আর এখন তাঁর বিজয়রথ তো ভারত জুড়ে। এর কারণটি হল তাঁর উন্নয়নের রাজনীতি এবং গরিব ও পিছিয়ে-পড়া মানুষের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার। 
মোদিজির নেতৃত্বে শুধু আমাদের দেশটিই উন্নত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে না, বরং ভারতের ‘প্রোফাইল’ আন্তর্জাতিক মঞ্চেও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল, ৩৭০ ধারা ইস্যুতে বিশ্ব ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করছে এবং পাকিস্তানের অবস্থানটিকে নস্যাৎ করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতকে হেয় প্রতিপন্ন করতে নেমে পাকিস্তানই একঘরে, অসহায় হয়ে পড়েছে। অনুরূপভাবে, মোদিজির প্রস্তাবমতো ‘যোগা দিবস’ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলির মেনে নিয়েছে। এটা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতির লক্ষণ বইকি।
কাঙ্ক্ষিত ফললাভের জন্য মোদিজি ঝাঁকুনি দেওয়ায় বিশ্বাসী। সব দল চিরকাল ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতিরই অঙ্ক কষে গিয়েছে। এর অশুভ দিকটা কেউ গ্রাহ্যই করেনি। কেউ কি ভেবেছিল যে একদিন একটি রাজনৈতিক দল মুসলিম মহিলাদের মুক্তির স্বার্থে ‘তিন তালাক’ বিষয়ে আইন তৈরির হিম্মত দেখাবে কিংবা জম্মু ও কাশ্মীরকে জাতীয় মূল স্রোতে মেশানোর কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্য ৩৭০ ধারা বাতিল করে দেবে। 
জাতি-গঠনের কাজে নাগরিকদের যুক্ত করার উপর মোদিজি সবসময় গুরুত্ব আরোপ করেছেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে মোদিজি সর্বপ্রথম যে কাজটি করেছিলেন সেটা হল ঝাড়ু দিয়ে রাস্তাকে আঘাত করা—উদ্দেশ্য ভারতকে স্বচ্ছ করে তোলা। আজ ‘স্বচ্ছ ভারত’ জাতীয় পর্যায়ের একটি মুভমেন্ট বা আন্দোলন হয়ে উঠেছে। এবার মোদিজি আমাদের সকলের কাছে ভারতকে ‘প্লাস্টিক-মুক্ত’ করে তোলার ‘অ্যাপিল’ রেখেছেন এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা খুব শিগগিরই এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারব। 
তাঁর প্রশাসন পরিচালনার ধরনের অনেকগুলি ‘হলমার্ক’-এর একটি হল সাধারণ মানুষের মনকে স্পর্শ করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। তাদেরকে নিজের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারেন মোদিজি। কোনও সংশয় নেই যে, তিনি যা বলেন, মানুষ সেগুলি শুধু মনোযোগ দিয়ে শোনে না, তাঁকে বিশ্বাস এবং অনুসরণও করে। 
জনগণের, বিশেষ করে অভাবী এবং দুর্বল শ্রেণীর মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নতির জন্য মোদিজি সবসময় বাড়তি দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত। নিজের টিম মেম্বারদের ক্ষমতা ও দক্ষতা বুঝে নিয়ে সেগুলি কাজে লাগাবার অদ্ভুত ক্ষমতা ও কৌশল তাঁর করায়ত্ত। টিম মেম্বারদের উপলব্ধি ও ক্ষমতা চটপট বুঝে নিয়ে তিনি সেইমতো দায়িত্ব বণ্টন করে দেন। এবং, শেষমেশ এই কৌশলটাই কর্মসূচিগুলি অধিক দক্ষতার সঙ্গে রূপায়ণে সাহায্য করে। 
আমাদের প্রধানমন্ত্রী সমস্যা সমাধানের প্রশ্নে অটল এবং তাঁর ধৈর্যও অসম্ভব। সিদ্ধান্তগ্রহণেও তিনি এমন স্থিরসঙ্কল্প যে লক্ষ্যপূরণের পথে কোনও বাধাই বরদাস্ত করেন না। তিনি সকলের মত নিয়ে চলার মানুষ (ম্যান অফ কনসেনসাস), যিনি বিশ্বাস করেন সমাধানের চেষ্টার সময় অজস্র আইডিয়া আসবে এবং সেগুলি গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে।  
আমাদের পক্ষে একটা বিরাট গর্বের বিষয় যে আজ আমরা এমন একজনের নেতৃত্বে কাজ করছি যিনি ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এবং এটাকে একটি ইগ্যালিটেরিয়ান (মানবজাতির সামাজিক ও রাজনৈতিক সমতাবাদী) সোসাইটির রূপ দেওয়ার প্রশ্নে আপসহীন। মোদিজির জন্মদিনে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা থাকছে এবং ভগবানের কাছে তাঁর জন্য এই আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি যে মাতৃভূমি এবং মানবজাতির সেবার প্রয়োজনে তাঁকে আরও শক্তি দিন। 
 লেখক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
17th  September, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সিতাইতে নিজের বুথে ভোট দিলেন কোচবিহারের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া

09:03:25 AM

কোচবিহারের ৬/১১০ নম্বর বুথ ঘিরে রেখেছে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা, ভোটারদের লাইনে আসতে বাধা দিচ্ছে তারা

08:59:30 AM

কোচবিহারের মাথাভাঙায় ৬/২৭৪ বুথের এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

08:55:30 AM

কোচবিহারের ভেটাগুড়ির তৃণমূল ব্লক সভাপতি অনন্ত বর্মনকে মারধরের অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিজেপি

08:54:02 AM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪: ভোট দিলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত

08:53:00 AM

কোচবিহারের ৬/১৯৭ নং বুথে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুষ্কৃতীরা ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ

08:51:53 AM