Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মানুষই কি মানুষের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়াচ্ছে!
মেরুনীল দাশগুপ্ত

শেষের সেদিন কি আর খুব দূরে নয়?!
সাম্প্রতিককালে বিশ্বজুড়ে প্রকৃতির নজিরবিহীন খামখেয়াল, মানুষের লোভের আগুনে সবুজের নির্বিচার মৃত্যু এবং বহু বহু বছর ধরে সীমাহীন অপচয়ের ফলে ফুরিয়ে আসা পানীয় জলের ভাঁড়ার আমাদের মনে আজ এই ভয়ঙ্কর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কিন্তু, আশ্চর্যের ব্যাপার হল এটাই যে, এখনও ওই প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েও আমাদের অধিকাংশই নির্বিকার, হেলদোলহীন। ভয় ভাবনা যা কিছু ঘুরে বেড়াচ্ছে মুষ্টিমেয় সচেতনজন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য সমর্থকদের মধ্যে। বাদবাকিরা যেমন চলছিলেন তেমনই চলছেন! বছরের পর বছর যা করে আসছিলেন তাই করছেন! কোথাও তাঁদের উদ্যোগে, কোথাও পরোক্ষ সমর্থনে আবার কোথাও তাঁদের নির্মম উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে নানান অছিলায় (কোথাও রাস্তা চওড়া করার নামে, কোথাও জনবসতি গড়ার জন্য, কোথাও সেগুন মেহগনির মতো মহামূল্য গাছ বেচে টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে বা অন্য কোনও কারণে) চলছে বৃক্ষ নিধন গাছ চুরি, চলছে পানীয় জলের ব্যাপক অপচয়, কল-কারখানার যাবতীয় দূষিত বিষাক্ত বর্জ্য সরাসরি গঙ্গার মতো নদীতে ফেলে জল-দূষণের মারাত্মক খেলা—চলছে আরও অনেক কিছুই, যা আখেরে নষ্ট করছে পরিবেশের ভারসাম্য, জীব-বৈচিত্র্য এবং আমাদের বাঁচার রসদগুলোকে ক্রমশ নিয়ে চলেছে তলানির দিকে! প্রতিকারহীন শক্তের এই অপরাধে ক্রমশ ক্রমশ আমাদের অস্তিত্ব সংকট ঘনীভূত হচ্ছে, আমরা জেনে, না-জেনে সেই ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে চলেছি, যেখানে এক ঢোক জল কি এক টান অক্সিজেনের জন্য আমাদের এমন মূল্য চোকাতে হবে যা জোগানোর সামর্থ্য খুব কম জনেরই থাকবে! বিশেষজ্ঞদের অনেকের মত তেমনই।
আজকের এই ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারযুগে কেউ এসব জানেন না এমন নয়। এসবের জন্য আমাদের বিপদ কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে সেটা বোঝেন না এমনও নয়। চিত্তাকর্ষক বিজ্ঞাপন শর্ট-ফিল্ম, পোস্টার-ব্যানার সভাসমিতি আলোচনাচক্র মিছিল ভোরের কাগজ টিভি চ্যানেল অহোরাত্র ২৪ ঘণ্টা সম্ভাব্য প্রাকৃতিক সংকটের অশনিবার্তা আমাদের চোখকানের ভিতর দিয়ে মরমে বিঁধে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু, তাতে কার, ক’জনার পরান আকুল হচ্ছে, ভয় পাচ্ছেন কজন! এভাবে চলতে থাকলে যে কিছু বছরের মধ্যে ‘দ্য ডে আফটার টুমরো’ ছবির সেই অচিন্ত্য প্রাকৃতিক ধ্বংস-প্রলয় আমাদের এই বাস্তব সভ্যতার বুকে নেমে আসতে পারে এবং সেদিন ধনী-দরিদ্র শাসক-শোষিত বুদ্ধিজীবী-বুদ্ধিহীন নেতামন্ত্রী পাবলিক-মাস্তান সিপিএম-কংগ্রেস-তৃণমূল-বিজেপি ছোটলোক-ভদ্দরলোক কেউ রেহাই পাবে না—সে কথাই বা ভাবছেন ক’জন! বরং, একশ্রেণীর মানুষ (তাদের সংখ্যা খুব কম নয়) কোথাও চটজলদি মুনাফার লোভে আবার কোথাও নিছক উদাসীন থেকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে প্রকৃতির এই সর্বনাশ! যশোর রোড, বিটি রোড কি ভিআইপি রোডের মতো রাস্তাগুলো মাত্র কয়েক বছর আগেও কী সুন্দর সবুজে ঢাকা ছিল! শতাব্দীপ্রাচীন গাছগুলো যশোর রোড বিটি রোডের দু’পাশ থেকে উপুড় হয়ে এসে প্রখর গরম দিনেও ছায়ার মায়ায় ঢেকে রাখত পথ। ভিআইপি রোডের দু’পাশের নয়ানজুলিগুলো আশপাশের এলাকার উপচানো বর্ষার জল যেমন বয়ে নিয়ে যেত, তেমনি চোখ জুড়নো সৌন্দর্যের একটা আলাদা মাত্রাও যোগ করত সেই পথে।
আজ কোথায় সেসব! উল্টে কাগজে মাঝেমধ্যেই তো দেখছি কাতারে কাতারে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে যশোর রোড, বিটি রোড বা অন্যত্র! এমনকী রাজ্যে সবুজের অন্যতম পীঠস্থান জঙ্গলমহলেও! শুনলাম সেখানে নাকি পুলিস লাইন তৈরির অজুহাতে বন কেটে সাফ করা হচ্ছে! এমনকী নতুন গাছের চারাবাগানও রেহাই পাচ্ছে না! দার্জিলিং পাহাড় তরাই-ডুয়ার্সের অবস্থাও তথৈবচ। সেসব জায়গাতেও আগাছা পরগাছা কিন্তু গুন্ডামস্তান চোরাকারবারি আর মোটামাথা ধান্দাবাজ ব্যবসায়ী গাছ কেটে সাফ করে দিচ্ছে! বাধা দিতে গিয়ে হেনস্তা হচ্ছেন পরিবেশকর্মীরা! এমনও শুনেছি, বেশি বাধা দিতে গেলে নাকি নলিকাটা বডি মিলবে ডুয়ার্সের বনবাদাড়ে বা দুর্গম পাহাড়ি জঙ্গলে! শুধু পাহাড় ডুয়ার্স কেন হোটেল রিসর্ট দখলদারি প্রোমোটারির ঠেলায় সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ, দিঘা মন্দারমণি শঙ্করপুরের সাগরপ্রকৃতি পূর্ব কলকাতা সহ রাজ্যের দক্ষিণাংশের বিস্তীর্ণ জলাভূমির মতো সম্পদও তো আজ বিপন্নপ্রায়। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ধ্বংস হয়ে গেলে সমুদ্রের লোনা জল কতদূর ঢুকে আসবে, বনের বিখ্যাত রয়্যাল বেঙ্গলের কী দশা হবে, এমনকী এই কলকাতা মহানগরীর কী হাল হবে ভাবছেন কেউ? ভাবলে ওই এলাকায় আইনকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিরেট মূঢ়ের মতো যথেচ্ছ কাতারে কাতারে হোটেল রেস্তরাঁ রিসর্ট গজিয়ে তোলে কেউ!
খোদ কলকাতাতেই দেখুন না—পানীয় জলের ব্যবহারটা কেমন। আমার পরিচিত এক বন্ধুর কাছে শোনা, উত্তর কলকাতার একটি বাড়িতে দু’জনে মিলে নাকি দিনে দু/আড়াই হাজার লিটারেরও বেশি জল খরচ করে! যে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মুখ্যমন্ত্রী পরিবেশ বাঁচাতে, পানীয় জলের অপচয় ঠেকাতে মিছিল করে পথে নামেন, যে মহানগরীতে পুরসভা পানীয় জলের পাশাপাশি গঙ্গার অপরিশোধিত জল নষ্ট রুখতেও ট্যাপকলের মুখে চাবি লাগাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা দেখাচ্ছে, সেই নগরীতে বসে বাড়ি গাড়ি ধুতে কাপড় কাচতে বা স্নানে যথেচ্ছ জল নষ্ট করতে দ্বিধা করছে না নির্বোধ পাবলিকের একাংশ—ভাবা যায়! বলছি না, জল বাঁচাতে লোকে স্নান বাথরুম কাপড় কাচা বন্ধ করে দিন। মোটেই না। কিন্তু, তাই বলে জনপ্রতি হিসেবে হাজার, দেড় হাজার লিটার কি মানা যায়! এমন পরিবারের সংখ্যা উত্তর দক্ষিণ পুব পশ্চিম সাধারণ বাড়ি হোক কি হাই রাইজ—কম নয়। আর এই জাতীয় নির্বিবেক কেবল কলকাতাতেই থাকে এমনও না, সারা রাজ্যেই আছে। এদের সহবত শেখানো সচেতন করা পুরসভা কি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কটা লোকের পক্ষে আদৌ কি সম্ভব? অসম্ভব। ঘরে কর্পোরেশনের অঢেল জল আসছে—অতএব ফেলো ঢালো ছড়াও—মন যত চায়! এই হল মানসিকতা। আর স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বললে ক’মাস আগেও শুনতে হয়েছে, আহা, একটু জলই তো ব্যবহার করছে। কর্পোরেশনের ট্যাক্স দিচ্ছে—ওটুকু করবে না? ও আর এমন কী? সত্যিই তো ‘এমন কী’-টা যে কী ভয়ানক—সেটা বুঝলে তো মিটেই যেত। কিন্তু, বুঝছে না। বোঝার চেষ্টাও খুব বেশি লোকের মধ্যে এখনও খুব আছে বলে মনে হচ্ছে না। এত কথা এত বক্তৃতা এত মিছিলমিটিং প্রচারের পরও এই বুঝতে না পারা বা না চাওয়াটা যে কার্যত এক মারাত্মক আত্মঘাতী প্রবণতা আজও সেই বোধোদয়টা হল না আমাদের অধিকাংশের—এটা সত্যিই বিস্ময়কর!
অথচ, আমাজনে আগুন নিয়ে আমাদের সে কী উদ্বেগ আশঙ্কা! চারদিকে যেন একটা গেল গেল রব উঠে গেল! পথেঘাটে আলাপে আলোচনায় সর্বত্র আমাজন। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার ফেসবুকের মতো যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাগজে খবরে টিভি চ্যানেলে নানান ভিডিও মৃত পশুদের বিকৃত ছবি সহযোগে যেন ‘আমাজন নেভাও পৃথিবী বাঁচাও’ মার্কা আন্দোলনই শুরু হয়ে গেল। আমাজনে দাবানল প্রাকৃতিক না ম্যান-মেড তাই নিয়ে জল্পনার জিলিপিলিও চালু হয়ে গেল জোরকদমে। এবং ক্রমশ পাল্লা ভারী হয়ে উঠল ম্যান-মেডের পক্ষে! যেহেতু আগুনে দগ্ধ আমাজনের বেশিটাই ব্রাজিলে, ফলে সে দেশের প্রেসিডেন্ট উঠলেন জনতার কাঠগড়ায়। এর মধ্যেই মেরু-বরফের গলন বৃদ্ধি ইউরোপে নজিরবিহীন তাপপ্রবাহ বিশ্ব পরিবেশ সংক্রান্ত আশঙ্কা চিন্তার আলোচনা আসরে দুর্ভাবনায় বাড়তি মাত্রা যোগ করে দিল। আমাজনে আগুনের খবর পাওয়ার পর সে দুর্ভাবনা বঙ্গ জীবনের অঙ্গে অঙ্গে যে বিপুল ঢেউ তুলেছিল এখন তার রেশ খানিকটা স্তিমিত। এখন পুজোর মাতন উঠতে শুরু করেছে যে—আর্থিক মন্দা কেনাকাটায় ভাটা বৃষ্টির ভ্রুকুটি বাজেট সংকোচ রোজকার বাজারের চড়াভাব এসব কাটিয়ে শেষ অবধি বাঙালির পুজোর জাঁক এবার কতটা থাকবে, পুজো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পলিটিক্স কতটা জমবে, ছুটিতে বেড়ানোরই বা কী হবে আনন্দের আয়োজনে কোথায় কতটা টান পড়তে পারে—তাই নিয়ে এখন সরগরম হচ্ছে কলকাতা থেকে মফস্‌সল থেকে গাঁ-গঞ্জ।
ফলে, সঙ্গত কারণেই আর আমাজনের আগুন টিআরপি ধরে রাখতে পারছে না। কারণ, একটু ভালোভাবে লক্ষ করলেই দেখা যাবে আমাজনের জ্বলন্ত বৃষ্টি-অরণ্যের দৃশ্যাবলি ও ভয়াবহতা নিয়ে পাবলিকের সাম্প্রতিক আবেগ উৎকণ্ঠার একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল এক ধরনের বিনোদন প্রবণতা! ভয়ের সিনেমা দেখার অনুভূতি! মিম এবং ভিডিওগুলো নিয়ে পথঘাটের প্রতিক্রিয়ায় অন্তত আমার তেমনটাই মনে হয়েছে। আর বলতে কী, আমাজনের আগুনের ভয়াবহতা ও অনিবার্য ফলশ্রুতি যদি আমরা সত্যিই হৃদয়ঙ্গম করতে পারতাম যদি বোঝার চেষ্টা করতাম প্লাস্টিক বিপদ, পৃথিবীর তাপবৃদ্ধি, মেরুপ্রদেশের বরফ গলনে আমাদের নিত্যদিনের অপকর্মগুলোর ভূমিকা—তাহলে এভাবে নির্বিচার সবুজ ধ্বংস বা জল অপচয় জলাভূমি ভরাট ইত্যাদি নষ্টামি করতে পারতাম কি! এই আত্মঘাতী প্রবণতা যে আমাদের মতো বিশ্বের নানা প্রান্তকেও গ্রাস করেছে—আমাজনের আগুন তার সাম্প্রতিকতম এবং নিষ্ঠুরতম দৃষ্টান্ত হতেই পারে। আর সেদিকে চেয়ে মনে হতেই পারে—তাহলে মানুষই কি মানুষের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়াচ্ছে! উত্তরটা বাহুল্য। আজ শুধু অপেক্ষা সচেতনতার অপেক্ষা সংশোধনের। এবং সেই অপেক্ষার অবসান কবে ঘটবে বা আদৌ ঘটবে কি না তা বলবে সময়। ততদিন শেষের সেদিনের লক্ষ্যে আমাজনের আগুন জ্বলেই যাবে—নান্যঃ পন্থা!
05th  September, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM