Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ব্যবহার একবার, দূষণ লাগাতার 

রঞ্জন সেন: ঙ্গল-ইউজ-প্লাস্টিক (এসইউপি) বা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক এখন দেশের পরিবেশের সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ। খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এর বিরুদ্ধে লালকেল্লা থেকে লড়াইয়ের ডাক দিতে হচ্ছে। নানা সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা সত্বেও এই প্লাস্টিককে কিছুতেই কব্জা করা যাচ্ছে না। নানা ধরণের নেশার জিনিসের পাউচ কিংবা দোকান বাজার থেকে যাতে বোঝাই করে আমরা নানা জিনিস নিয়ে আসি সেই ফিনফিনে পাতলা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবেশের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ। শুধু ক্যারিব্যাগই নয়, বোতল, জলের গেলাস, খাওয়ার প্লেট ইত্যাদি নানা অবতারে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক আমাদের সামনে এসে হাজির হয়। প্রয়োজন মিটলেই আমরা তা অবহেলায় ফেলে ফেলে দিই। সামান্য প্লাস্টিক এরপরে হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। হাওয়া ও জলের ডানায় ভর দিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে যত্রতত্র। হয়ে ওঠে এই মুহূর্তে পরিবেশ দূষণের বড় কারণ। তুচ্ছ এই প্লাস্টিক সামগ্রীটিকে বাগে আনতে বাদ সাধছে আমাদের বদভ্যাস, আমাদের সচেতনতার অভাব, হয়ে উঠছে পরিবেশ দূষণের একটা বড় কারণ।
শহর-গ্রাম-মফস্বলের বর্জ্যের সিংহভাগই এখন এই একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের দখলে। এবং তা পরিমাণে এতটাই বেশি যে সেটা বর্জ্যের সামগ্রিক চরিত্রটাই বদলে দিচ্ছে। আমাদের চলতি সাফাই ব্যবস্থা ও নিকাশি পদ্ধতি কোনকিছুর সঙ্গেই না মিশতে চাওয়া ও দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়া এই ধরণের বর্জ্যগুলির সমস্যার মোকাবিলা করতে পারছে না। কারণ আমাদের প্লাস্টিক বর্জ্যের বেশিরভাগই হল পলিব্যাগ ও পান-গুটখা, বিড়ি, পান মশলা এবং খাবার দাবারের মাল্টিলেয়ারড পাউচ। এই সামগ্রীগুলির বেশিরভাগই পলিএথিলিন বা লো ডেনসিটি পলিএথিলিন। এগুলি মূলত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকেই আসে। আমাদের দেশের প্লাস্টিক বর্জ্যের ৬৬ শতাংশই এসব জিনিস। এই বর্জ্যের সমস্যা থেকে বাঁচার কোন উপায় এখনও আমরা বার করতে পারিনি। অনেক রাজ্য প্লাস্টিক বন্ধ করার ফরমান দিয়েছে কিন্তু তবুও বহাল তবিয়তে রয়েছে ক্যারিব্যাগ, তাই সমস্যাও রয়েছে।
এমনিতেই আমাদের দেশের বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা জড় হওয়া জঞ্জালের পরিমাণের তুলনায় দুর্বল। নাগরিক বদভ্যাস তা আরও ব্যাপকতর করে তুলেছে। একটা উদাহরণ দিলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে। কয়েকবছর আগে রাজ্যের অনেক পুর এলাকাতেই রাস্তায় জঞ্জাল না ফেলা এবং প্লাস্টিক বর্জ্যগুলিকে আলাদা করার জন্য পরিবার পিছু দুটো করে বাকেট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কোন কাজে লাগেনি। কেউ তাতে রাখছেন চাল, কেউ রাখছেন জল, কেউবা ময়লা জামাকাপড়। ড্রেন, পুকুর, নিকাশি পাইপ, জলের নালা, মাঠ ময়দান সবকিছুতে দখল কায়েম করার পর একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ঢুকে পড়ছে ভূগর্ভে। নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা শক্তি। নিজেদের অসচেতনতার বলি হচ্ছি আমরা নিজেরাই।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এই অবস্থার মোকাবিলার ব্যাপারে একটা রোডম্যাপ তৈরি করেছে। তা কীভাবে কার্যকর করা যায় তা নিয়ে বেশ কয়েকটা বৈঠকও হয়ে গেছে কিন্তু কোন সমাধান সূত্র মেলেনি। গ্রাম-শহরে ছড়িয়ে থাকা অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষ ও শিল্প এই গোত্রের প্লাস্টিকের একটা বড় অংশ। একটু লক্ষ করলেই দেখা যাবে, ট্রেনে রাস্তায় পাড়ার বাজারে নানা সাইজের পাতলা প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগে বিক্রি হচ্ছে সবজি ফল ফুল মাছ পুরি তেলেভাজা। পাড়ার মুদির দোকান থেকে জিনিস আনতে সেই ক্যারিব্যাগই ভরসা। মদের ঠেক থেকে ফুটপাথের হোটেল সর্বত্র প্লাস্টিকের বোতল গেলাস প্লেটের রমরমা। কাজেই সমাজের সবস্তরের মানুষদের এধরণের প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার বন্ধ করার কর্মসূচির আওতায় না আনলে এই সমস্যা মিটবে না। আবার সব দায়িত্ব কিন্তু এগুলো যারা বাধ্য হয়ে ব্যবহার করছেন তাদের নয়, ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকারকে বিকল্প প্যাকেজিং এর ব্যবস্থা করার কথা ভাবতেই হবে।
এই সমস্যা শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের। সারা বিশ্বের ৪৭ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্যই মূলত মাল্টিলেয়ারড পাউচ। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের সমস্যা সবচেয়ে বেশি আমাদের এই এশিয়াতে। এমনিতেই সব প্লাস্টিক বর্জ্যগুলির মাত্র ৯ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায়। ১২ শতাংশ প্লাস্টিক জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং ৭৯ শতাংশ মাটিতে মেশে। সেগুলি পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা, সংশোধন করা বা নতুন চেহারা দেওয়া কোনটাই এখানে তেমনভাবে হয়না। হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় এতই কম যে সেটার ওপর নির্ভর করে কোন পরিকল্পনা করা যায় না।
২০০৯ সালে হিমাচল প্রদেশ থেকে শুরু হয়েছিল প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধ করার অভিযান। এ বছরের গোড়ায় দেশের ২৯টি রাজ্য এবং ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ক্যারিব্যাগ বন্ধ করার জন্য আইন তৈরি করেছে। রাজধানীতে তো দু’বছর আগে থেকেই শুধু প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগই নয়, প্লাস্টিকের কাপ, প্লেট সবকিছুই বন্ধ হয়ে গেছে। খুব সামান্য হলেও আগের তুলনায় কমেছে মানুষের প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রবণতা। প্রস্তুতকর্তাদের ওপর ব্যবহারের পর এগুলো সংগ্রহ করা এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার দায়ও চাপানো হচ্ছে। কিন্তু এত কিছু করার পরও প্রায় ‘আত্মার’ মতোই অজর-অমর-অক্ষয় এসইউপি সামগ্রীগুলিকে নিয়ে আমাদের সমস্যা মেটেনি।
তার একটা বড় কারণ হল আমাদের জনসংখ্যা। এমনিতে মাথাপিছু হিসেবে আমাদের দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার খুব একটা বেশি নয়, বছরে মাত্র ১১ কিলো। আমেরিকাসহ বহু উন্নত দেশের তুলনায় তা অনেক কম। কিন্তু বাদ সেধেছে জনসংখ্যা। এই ১৩৫ কোটি জনসংখ্যার দেশে বর্জ্যের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রতিদিন ২৫ হাজার ৯৪০টন। ওজনে যা এশিয়ার ৯০০০ হাতির ওজনের সমান। বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থার দুর্বলতা, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাব এবং মানুষের সচেতনতার অভাব সমস্যা আরও বাড়াচ্ছে। দেশের শহরতলিতে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে ১৫ হাজার মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য।
দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা যায়না। সেগুলি পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার সমস্যাও রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হল ধাপা ও শহরের অন্যান্য জায়গা থেকে পুরসভা ছাড়াও যারা বর্জ্য সংগ্রহ করেন তারা পাতলা ক্যারিব্যাগ ও পাউচ সংগ্রহ করার ব্যাপারে কোন আগ্রহ দেখান না। কারণ এর বিক্রয় মূল্য কম তাছাড়া পাতলা পাউচ ও ক্যারিব্যাগগুলি হাওয়াতে চারদিকে দ্রুত ছড়িয়ে যায় বলে এগুলি সংগ্রহ করাটাও একটা সমস্যা। দেশে সব থেকে বেশি প্লাস্টিক জমে দিল্লি ও কলকাতায়। দুটো শহরেই একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার রোখার সত্যিই একটা বড় সমস্যা। এগুলোকে চালু রাখার জন্য একশ্রেণীর ব্যবসায়ী মহলও সমান সক্রিয়। কারণ প্যাকেজিংয়ের খরচ কম, মুনাফাও বেশি।
কাজেই রণে বনে জলে জঙ্গলে সর্বত্র বিরাজ করছে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক। সস্তা নির্ভরযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প প্যাকেজিং ছাড়া এর থেকে মুক্তির কোন পথ নেই। এগুলির বিপদ সম্পর্কে সাধারণ মানুষ মোটেই সচেতন নন। আইন করে এর ব্যবহার বন্ধ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। অন্য রাজ্যের কথা জানি না, বাংলায় কিন্তু সাবেক আমলের সেই চটের থলি পাতলা ক্যারিব্যাগের একটা চমৎকার বিকল্প হতে পারে। চটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়লে বাংলার চটকলগুলোও চাঙ্গা হবে। আমরা ভাবতে পারি পুরনো আমলে যাতে করে মিষ্টির দোকান থেকে কচুরি, শিঙাড়া, মিষ্টি কিনে আনার জন্য শালপাতার ঠোঙা কিংবা মাটির ভাঁড়ের ব্যবহার আবার বেশি করে চালু করার কথা। দুটোই প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেছে।
চেনা ছকের বাইরে বেরিয়ে একটু অন্যরকমভাবে ভাবলেই সমাধান মিলবে। এই ভাবনাটা আমাদের পরিবেশের দূষণ মুক্তি এবং নিজেদের স্বাস্থ্যের কারণেই খুব জরুরি, নইলে প্লাস্টিকের স্তূপে ডুবে যাব আমরা। তুচ্ছ ভেবে যে প্লাস্টিকগুলিকে হাওয়ার উড়িয়ে দিয়েছি সেটাই এখন আমাদের শ্বাসরোধ করতে আসছে। শুধু ক্যারিব্যাগ বন্ধ করার কথা বললে কোনও কাজ হবে না। বলতে হবে পরিবেশবান্ধব নির্ভরযোগ্য বিকল্পের কথা, দেখতে হবে তার দাম যেন মানুষের আয়ত্তের মধ্যে থাকে। না-হলে তা ব্যবহারে কেউ উৎসাহী হবেন না। পাট, মাটির পাত্র ও ভাঁড়, শালপাতা, কলাপাতা, কচুরিপানার মত প্রাকৃতিক সম্পদনির্ভর পরিবেশবান্ধব বিকল্প প্যাকেজিংয়ের কথা না-ভাবলে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে লড়াই নেহাত কথার কথাই থেকে যাবে।  
02nd  September, 2019
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM