Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভাড়াটে সেনা নিয়ে যুদ্ধ জেতা যায় না, জয়ের জন্য লাগে আবেগ
তন্ময় মল্লিক

লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির সাফল্যকে অনেকেই সুনামির সঙ্গে তুলনা করেছেন। গেরুয়া ঝড়ে আসমুদ্রহিমাচল বিরোধীরা কার্যত ধুয়েমুছে সাফ। জাতীয় রাজনীতিতে শাসক দলের এমন বিধ্বংসী চেহারা মানুষ বহুদিন প্রত্যক্ষ করেনি। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের ‘জোড়া ফলা’য় ছিন্নভিন্ন হয়েছে বিরোধীদের সব প্রতিরোধ। সুনামির চেয়েও ভয়ঙ্কর, আইলা, ফণীর চেয়েও বিধ্বংসী সেই দাপটে কেঁপেছে লড়াই ও আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তৈরি ‘মা মাটি মানুষে’র সরকারের ভিত। ঝড়ে পাওয়া ১৮টি আসনে বলীয়ান গেরুয়া শিবিরের চোখে সরকার বদলের স্বপ্ন—মিশন-২০২১। লক্ষ্য স্থির করা এবং টার্গেট হিট করা ‘জোড় ফলা’র অভ্যেসে দাঁড়িয়েছে। তবে, সাফল্য লাভই যখন শেষ কথা হয়ে দাঁড়ায়, তখন পথ গুরুত্বহীন হয়। তখনই অনিবার্য হয়ে ওঠে দ্বন্দ্ব, সংঘাত। আর সেটাই বিজেপির ‘মিশন-২০২১’ এর পথে অন্তরায় হতে পারে।
ঝড় বিধ্বংসী হলেও তা ক্ষণস্থায়ী। তবে, থেকে যায় ঝড়ের প্রভাব ও স্মৃতি। যে কোনও বিধ্বংসী ঝড়ের পর মিস্ত্রির চাহিদা আকাশ ছোঁয়। ধ্বংসস্তূপ সরানো থেকে পুনর্নিমাণ সব ক্ষেত্রেই দরকার মিস্ত্রির। শুধু পার্থিব ঝড়ের ক্ষেত্রেই নয়, রাজনৈতিক ঝড়ঝঞ্ঝার পরও মিস্ত্রির চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া ঝড়ের পর রাজ্যজুড়ে মিস্ত্রি জোগাড়ে নেমেছে বিজেপি। শাসক দলের ‘নেগেটিভ ভোট’ আর জাতীয়তাবোধের ধাক্কায় সাফ঩ল্যের নৌকা তীরে ভিড়লেও ২০২১ সালে লড়াইটা বেশ কঠিন তা ‘কেশব ভবন’ খুব ভালো করেই জানে। কারণ ২০২১ সালের ভোটে বালাকোট থাকবে না। কাটমানি ইস্যুতে তৃণমূলের বহু মাতব্বরের গলায় লেগেছে ‘বকলেস’। তার উপর তৃণমূল যদি কৌশলে ‘কাটমানি নেতা’দের শোকেস থেকে গোডাউনে পাঠিয়ে দিতে পারে, তাহলে বিজেপির লড়াইটা আরও কঠিন হবে।
লড়াইটা কঠিন হবে বুঝেই সংগঠনে মন দিয়েছে বিজেপি। শুরু হয়েছে ‘সদস্যতা অভিযান’। দল না বাড়লে ক্ষমতা দখল করা যায় না। তাই শুরু হয়েছে ক্ষমতা দখলের প্রস্তুতি। আর সেখানেই বেধেছে বিপত্তি। তবে ক্ষমতা দখল, আর এলাকা দখল এক নয়। ক্ষমতা দখলে লাগে মানুষের সমর্থন, আর এলাকা দখলের হাতিয়ার বোমা, বন্দুক ও মস্তান। ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে মানুষই সম্পদ। আর এলাকা দখলে দাগিরা হয়ে ওঠে ‘দলের সম্পদ’। ‘দলের সম্পদরা’ চটজলদি রেজাল্ট দেয় বলে দলে তাদের দাপটও মারাত্মক। ভোট রাজনীতিতে সাফল্যই শেষ কথা হওয়ায় ‘দলের সম্পদ’দের গুরুত্ব অসীম। ইতিহাস সেকথাই বলে। ২০০০ সালে সিপিএমের কেশপুর, গড়বেতা, চমকাইতলা পুনর্দখলের সময় অন্তত তেমনটাই দেখা গিয়েছিল। গ্রাম দখল অভিযানে
সামনে থাকত কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীরা। তাদের হাতে থাকত লং রেঞ্জের রাইফেল। সেই রাইফেলে অনেক দূর থেকে বিরোধীদের দখলে থাকা গ্রামের ‘যোদ্ধা’দের শুইয়ে দেওয়া যেত। লড়াইয়ের দিনগুলিতে মস্তানদের পিছনে পিছনে ঝাণ্ডা নিয়ে যেতেন ক্যাডার ও নেতারা। গ্রাম দখলের পর গাছের মগডালে বেঁধে দেওয়া হতো লাল ঝাণ্ডা। সেই ঝাণ্ডার আস্ফালনই বুঝিয়ে দিত, গ্রামের মালিক সিপিএম।
শাসক বদলায়, ক্ষমতা বদলায়, কিন্তু এলাকা দখলের কৌশল বদলায় না। তাই মানুষের ভোটে জিতেও শাসকদল ভিত শক্ত করতে প্রশ্রয় দেয় সেই ‘দলের সম্পদ’দেরই। মানুষ হয়ে যায় গৌণ। এই একই ভুল শাসকদল সর্বত্র করে। বারে বারে করে। কারণ ক্ষমতার দম্ভ মানুষের বিবেচনা শক্তিকে শুষে নেয়। তবে, ‘দলের সম্পদ’দের সঙ্গে ভোটারদের সম্পর্কটা অনেকেটা গণিতের ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কের মতোই। একজন বাড়লে, অন্যজন কমে। দলে মস্তানদের আধিপত্য বাড়লে জনগণ সরে যায়, আবার মস্তান নির্ভরতা কমলে জনসমর্থন বাড়ে। এর অন্যথা হয় না।
টানের বাজারে জোগাড়েও কর্নিক হাতে নিয়ে রাজমিস্ত্রি হয়ে যায়। আবার কেঁট আলু, দাগি আলু, এমনকী পচা আলুও বাজারে বিক্রি হয়ে যায়। অনেকটা সেইভাবেই বিজেপির টানের বাজারে সিপিএম আর তৃণমূলের দাগি, পচারা গেরুয়া শিবিরের রাজা, উজির হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই মুহূর্তে বিজেপিতে সংগঠকের বড়ই প্রয়োজন। কারণ ‘আবেগের সমর্থন’ আর মেঘ অনেকটা একই রকম। যে কোনও সময় ভেসে ভেসে এদিক থেকে ওদিকে চলে যেতে পারে। তবে, মৌসুমী বায়ুর ছোঁয়া পেলে অবশ্য সেই মেঘই বৃষ্টি হয়ে ঝরে। আর বৃষ্টি হলে রুখাশুখা মাঠও সুজলা সুফলা হয়ে ওঠে। তাই সংগঠকদের বাজার এখন তুঙ্গে।
রাজনীতিতে মৌসুমী বায়ুর কাজটা করে সংগঠকরাই। সেই কারণেই সংগঠকদের এত চাহিদা। তাতে কেঁট হোক, পচা হোক বা দাগিই হোক, গায়ে সংগঠকের ছাপটা থাকলেই হল। সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না তৃণমূল ও সিপিএমের সুযোগ সন্ধানীরা। কারণ তাঁরা ভাবছেন, আকাশে যে মেঘ জমেছে তাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সেই কারণেই লেগেছে হুড়োহুড়ি। বিশেষ করে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা প্লেয়াররা তো পায়ে বল ছোঁয়ানোর জন্য মরিয়া। তবে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রকৃতি কেমন যেন খামখেয়ালিপনা শুরু করেছে। দামি দামি যন্ত্রের সাহায্য নিয়েও আবহাওয়াবিদদের দেওয়া পূর্বাভাস মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা হয়তো বলছেন, সারাদিন বৃষ্টি হবে। অথচ সকাল থেকে রোদে কাঠ ফাটছে। আবার উল্টোটাও হচ্ছে। হঠাৎ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমে যাচ্ছে। তাই পূর্বাভাসে মানুষ আর আগের মতো ভরসা রাখতে পারছে না। সব সময় যেন মনের মধ্যে কেমন একটা কিন্তু-কিন্তু ভাব থেকেই যাচ্ছে।
মেঘের সঙ্গে মৌসুমী বায়ুর সংযোগ স্থাপন হবে কি না, সেটা সময়ই বলবে। তবে মস্তান, দাগি, পচাদের ভিড় বাড়লে দলের ইমেজ যে কেরোসিন হতে পারে সেটা বিজেপির অনেকেই আশঙ্কা করছেন। আর তা হলে মুখ থুবড়ে পড়বে ‘মিশন-২০২১’। সেই জন্যই ‘সবারে করি আহ্বান’ গানে অনেকে আপত্তি জানিয়েছেন। তবে এব্যাপারে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছেন আসানসোলের সংসদ সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সম্ভবত দলের মধ্যে আপত্তি জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না বুঝেই তিনি দুম করে বাজারে ছেড়ে দিয়েছেন একটি ‘ভয়েস মেসেজ’। দুর্গাপুরের ‘চিন্তন শিবিরে’র আগের দিন ওই ‘ভয়েস মেসেজে’ তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, দল বাড়াতে হবে ঠিকই। তবে তৃণমূলের নেতাদের নেওয়ার ব্যাপারে তাঁর ঘোর আপত্তি আছে। কারণ তৃণমূলের নেতারাই বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন এবং চালাচ্ছেন। শুধু আপত্তির কথা জানিয়েই তিনি ক্ষান্ত হননি, তিনি যোগদান প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন।
চিন্তন শিবির বিজেপি নেতাদের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ চিন্তন শিবিরের দ্বিতীয় দিনে দুর্গাপুরে প্রকাশ্য সভায় তৃণমূল নেতার যোগদানকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি হয়। ‘সুশৃঙ্খল’ পার্টির কর্মী সমর্থকরা সভাস্থলে চেয়ার ভেঙে নেতাদের কাজের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, যারা এতদিন বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছে, লুটপাট চালিয়েছে, তাদের দলে নিলে চলবে না। গেরুয়া শিবিরের আদি কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন, যাদের উপর রেগে মানুষ তাদের দলকে সমর্থন করেছে ফের তারাই যদি ‘বিজেপির মুখ’ হয়ে যায় তাহলে কেন বিজেপিকে চাইবে?
তবে ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের আশঙ্কার জায়গাটা আরও বড়। তাঁদের ধারণা, বিভিন্ন জায়গায় অন্য দলের যে সব নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁরা বেশিরভাগই প্রচুর টাকার মালিক। টাকার জোরে একদিন তাঁরাই দলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন। তারপর তাঁরাই সুযোগ বুঝে আমাদের উপর অত্যাচার চালাবেন। ঠিক এটাই হয়েছিল তৃণমূলে। তাহলে আমরা কি সব সময় পড়ে পড়ে মারই খাব? দুর্গাপুর বা আসানসোলের ঘটনা হয়তো খণ্ডচিত্র। তবে, প্রায় একই ঘটনা ঘটছে বর্ধমান, কেশপুর, গোঘাট, বীরভূম সহ রাজ্যের প্রায় সর্বত্র। সিপিএম এবং তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির হয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে।
দল বাড়ানোর জন্য একটা সময় তৃণমূল যে ভুল করেছিল, বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যের বহু জায়গায় সেই একই কাজ করে যাচ্ছে। এসব দেখে চিন্তন শিবিরের পর বিজেপির এক প্রবীণ কর্মী বলেন, নিজেদের লোককে তৈরি করে নেওয়ার আনন্দটা যে সন্তান মানুষ করার চেয়ে কম নয়, সেটা আমাদের কেউ কেউ বুঝতে পারছেন না। এই দেখুন, চন্দ্রযান-২ নিয়ে আমাদের এত আবেগ কেন? কারণ সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে, দেশের বিজ্ঞানীরা এই চন্দ্রযান তৈরি করেছেন। সেই জন্য চন্দ্রযান-২ এর সঙ্গে গোটা দেশের মানুষের আবেগ জড়িয়ে গিয়েছে। আজ যদি এটা আমেরিকার নাসার সঙ্গে যৌথভাবে করত তাহলে কি এই আবেগ থাকত? না, কিছুতেই থাকত না। দেখুন, চন্দ্রযান-১ চাঁদে নামতে পারেনি। সেই ব্যর্থতা ভুলে গিয়ে মানুষ চন্দ্রযান-২’কে নিয়ে আবেগে ভেসেছে। কারণ নিজেদের তৈরি জিনিসের প্রতি মানুষের আবেগ অসীম। সেই জন্যই তো নিজের গাছের টক আমও সুস্বাদু লাগে।
ওই প্রবীণ বিজেপি কর্মী বলেন, আসলে আবেগ এক ভয়ঙ্কর শক্তি। আবেগ অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারে। আবেগ ছিল বলেই মোহন বাগানের খেলোয়াড়রা খালি পায়ে ফুটবল খেলে বুট পরা ইংরেজদের হারাতে পেরেছিল। আবেগ ছিল বলেই এরাজ্যে প্রায় কোনও রকম সংগঠন ছাড়াই বিজেপি আজ ২ থেকে ১৮। আবেগ আছে বলেই তো মানুষ আর যন্ত্র আলাদা। তা না হলে সব এক হয়ে যেত। ভাড়াটে সৈনিকের মধ্যে আবেগ থাকে না। তাই ভাড়াটে সৈনিক এনে হয়তো সংখ্যা বাড়ানো যায়, বিরোধীদের চাপে রাখা যায়, কিন্তু যুদ্ধ জেতা যায় না। এই সহজ সত্যিটা আমাদের নেতারা যত তাড়াতাড়ি বোঝেন ততই মঙ্গল।
25th  August, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM