Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

স্টেট নয়, শুধুই রিয়াল এস্টেট
পি চিদম্বরম

জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে প্রায়ই লিখি কিন্তু আজকেরটা অন্যরকম। জম্মু ও কাশ্মীর আর আগের জম্মু ও কাশ্মীর নেই। এটা আর রাজ্য নয়। এটাকে বিভক্ত করা হয়েছে। এখন দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল—লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর। ভারতের সংবিধানে কোনও রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্তরে নামিয়ে আনার ঘটনা এর আগে ঘটেনি।
৫ ও ৬ আগস্ট, ২০১৯ সরকার তিনটি জিনিসের জন্য সংসদের অনুমোদনলাভে সফল হল:
১. ধারা ৩৭০ প্রত্যাহার এবং প্রতিস্থাপন: ৩৭০ ধারার অনুচ্ছেদ (১) এনে এবং ৩৭০ ধারার অনুচ্ছেদ (৩) সংশোধনের মাধ্যমে ৩৭০ ধারাটা বাতিল করা হল। এটা একটা মারাত্মক ত্রুটি হল কি না কিংবা অতি-চালাক আইনি কৌশল হল কি না, সেটা কেবল সময় এবং আদালত বলবে। আমাদের মতো মরণশীল মানুষ এটাকে সাংবিধানিক মহড়া হিসেবে বর্ণনা করতে পারি—যেটা বিখ্যাত বিভঙ্গবিনোদক (কনটরশনিস্ট) সোফি ডসির কৃৎকৌশলের সঙ্গে তুলনীয়। কেবলমাত্র একটি অনুচ্ছেদযুক্ত নতুন ৩৭০ ধারাটি আর কোনও বিশেষ ব্যবস্থার নির্দেশ করে না, এটার দ্বারা সমগ্র সংবিধানটি জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য প্রযোজ্য হল।
২. জম্মু ও কাশ্মীর বিভাগ এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির প্রস্তাবে সংসদের অভিমত গ্রহণ: যে গণপরিষদে (কনস্টিট্যুয়েন্ট অ্যাসেমব্লি) অভিমত ব্যক্ত করার অধিকার ন্যস্ত হয়েছিল সেটাই রচনা করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর সংবিধানের খসড়া। বিস্ময়করভাবে, এক খোঁচায়, সেই গণপরিষদটা হয়ে গেল জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা (অ্যাসেমব্লি) এবং তারপর সংসদ (পার্লামেন্ট)! সুতরাং, সংসদ প্রস্তাব (রেজোল্যুশন) পাশ করেছিল সংসদের অভিমত নেওয়ার পর। আমার মনে হয়, এর ভেতরে কোনও অতিলৌকিক নীতি কাজ করেছে যেটা মরণশীলদের উপলব্ধির বাইরে।
৩. জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের পুনর্গঠন এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সৃষ্টি: একটি রাজ্য ভেঙে দুটি রাজ্যগঠনের পুরনো দৃষ্টান্ত অনুসরণের ভণিতা করেছে জম্মু ও কাশ্মীর (পুনর্গঠন) বিল, ২০১৯, অথচ বিলটি একটি রাজ্য ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সৃষ্টি করেছে। স্বভাবতই, সরকার পক্ষ অন্যভাবে ভাবেনি; তবে বিস্মিত হয়েছি রাজ্যে রাজ্যে শাসক এআইএডিএমকে, বিজেডি, জেডি(ইউ), টিআরএস, আপ এবং ওয়াইএসআরসিপি প্রভৃতি আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকায়—তারাও এর ভেতর কোনও অসংগতি দেখেনি। তৃণমূল কংগ্রেস কক্ষত্যাগ করেছিল।
একটা বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত
এই দৃষ্টান্ত অনুসৃত হলে দার্জিলিংকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেটে নিয়ে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ে দেওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। নিয়মরক্ষার ব্যাপারটা হবে যে, রাজ্য বিধানসভাকে তার অভিমত জানাতে বলা হবে অথবা রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হবে এবং বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হবে। আর সেসব বাসনা মনে লম্ফঝম্প করছে সেগুলো হল—ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলা, ওড়িশার কেবিকে জেলাগুলি (কালাহান্ডি-বলাঙ্গির-কোরাপুট), মণিপুরের পার্বত্য জেলাগুলি এবং অসমের বোড়োল্যান্ড।
আইনি প্রশ্নের চেয়ে রাজনৈতিক প্রশ্নগুলিই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। জম্মু ও কাশ্মীরের ব্যাপারটা ৬ আগস্ট চূড়ান্ত করা হল। তার আগে কিংবা এই প্রক্রিয়া চলাকালে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও আলোচনাই করেনি। উল্লেখ্য করা যায় যে, ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কিংবা তাদের নেতাদের সঙ্গে—যাঁদের মধ্যে ওই রাজ্যের চার চারজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন—সরকার কোনও আলোচনা করেনি। সরকার হুরিয়ত কনফারেন্সের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি, কারণ মোদি সরকার এই সংগঠনের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে অথবা তাদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেছে। বলা বাহুল্য যে, সরকার মানুষের মতামত নেয়নি, এমনকী মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমেও নয়। সরকার তার এই ভূমিকাকে নির্বাচনী ইস্তাহারে বিজেপির প্রতিশ্রুতিপূরণ হিসেবে দেখাচ্ছে। সেটা আংশিক সত্য মাত্র। ৩৭০ ধারা খারিজ করাটা বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল, সত্য, কিন্তু এও সত্য যে, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করার প্রতিশ্রুতি বিজেপি কখনও দেয়নি। এমনকী যদি লাদাখটাকে কেটে নিয়ে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করাও হতো, তবুও জম্মু ও কাশ্মীরের বাদবাকি অংশটিকে রাজ্য হিসেবেই রেখে দেওয়া যেত। সেটা কেন করা হল না—এই একটি গভীর প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই।
মানুষ উপেক্ষিত হল বটে, কিন্তু জিতবে
সরকারের অস্বাভাবিক পদক্ষেপের সাফল্য অথবা ব্যর্থতা কাশ্মীর উপত্যকার ৭০ লক্ষাধিক মানুষের দ্বারাই নির্ধারিত হবে—সরকারের মোতায়েন করা কয়েক হাজার বাহিনীর দ্বারা তা হবে না। সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে উপত্যকার মানুষ কীভাবে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানাবেন?
ক) ৩৭০ ধারা খারিজের ঘটনাটি সাংবিধানিক নিশ্চয়তা লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে এবং সেইসঙ্গে গণ্য হবে জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল (যাঁকে সহায়তা করেছিলেন এন গোপালস্বামী আয়েঙ্গার এবং ভি পি মেনন), বাবাসাহেব আম্বেদকর এবং অন্যসকল সংবিধানপ্রণেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিভঙ্গ হিসেবেও।
খ) বাজপেয়িজির একটি স্মরণীয় উক্তি এই—‘‘কাশ্মীর সমস্যার সমাধান রয়েছে ইনসানিয়াত, জামহুরিয়াত ও কাশ্মীরিয়াত-এর ভেতরে।’’ তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাশ্মীর বিষয়ক পদক্ষেপটিকে মানুষ বাজপেয়িজির এই উক্তিকেই অস্বীকার হিসেবে দেখবে।
গ) লাদাখকে আলাদা করে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (লেহ এটা চেয়েছিল, কিন্তু কার্গিল বিরোধিতা করেছিল) গঠনের পদক্ষেপটি—জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মানুষকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের প্রচেষ্টা হিসেবে গণ্য হবে।
ঘ) জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সৃষ্টির পদক্ষেপটি উপত্যকার মানুষের অপমান এবং তাঁদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনপ্রণয়নের (লেজিসলেটিভ) অধিকার খর্ব করার প্রচেষ্টা হিসেবে গণ্য হবে।
আমার কাছে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে বিজেপির দৃষ্টিতে কাশ্মীর উপত্যকা হল স্রেফ একটা ভূসম্পত্তি (রিয়াল এস্টেট) এবং তার ৭০ লক্ষ নাগরিক নয়। বিজেপির দৃষ্টিতে ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম এবং কাশ্মীরিদের সংগ্রাম অপ্রাসঙ্গিক। হাজার হাজার কাশ্মীরি যখন হিংসা এবং বিচ্ছিন্নতার বিরোধিতা করছেন তখন তাঁদেরকে বিক্ষোভের জায়গায় কিংবা পাথরছোঁড়াদের দলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অধিক স্বশাসনের দাবিতে তাঁরা একসারিতে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। পরের সারিতে ছিল জঙ্গিরা এবং তাদের পক্ষে সদ্য নিযুক্ত বন্দুক হাতে যুবকরা। ভগবান না করুন, যদি প্রথম সারির হাজার হাজার মানুষ দ্বিতীয় সারিতে গিয়ে যোগ দেয়—তবে সেটাই হবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিণাম! বিজেপি টের পেয়ে যাবে যে ‘রিয়াল এস্টেট’ মোটেই সস্তা দরের কিছু নয়।
12th  August, 2019
সভাপতি পদে সোনিয়াজির প্রত্যাবর্তনে কংগ্রেস কি ছন্দ ফিরে পাবে
শুভা দত্ত

ছন্দ তো হারিয়েছে বহুদিন। ছন্দে ফেরার চেষ্টা—সেও শুরু হয়েছে বহুদিন। কিন্তু কিছুতেই যেন সেই পুরনো দমদার ছন্দে ফিরতে পারছে না জাতীয় কংগ্রেস! নেহরু-ইন্দিরার আমল থেকে গান্ধী পরিবারের ছত্রচ্ছায়ায় এবং নেতৃত্বে দলের যে অপ্রতিরোধ্য ছন্দ গোটা দেশকে কংগ্রেসি তেরঙ্গায় বেঁধে রেখেছিল, যে ছন্দ কংগ্রেস প্রতীক ইন্দিরার পাঞ্জার উপর বছরের পর বছর দেশের মানুষের আস্থা বিশ্বাস ও আবেগ ধরে রেখেছিল, জরুরি অবস্থা, নাসবন্দির মতো কাণ্ডের পরও যে ছন্দ ক্ষমতার কেন্দ্রে ফিরিয়ে এনেছিল কংগ্রেসকে, ইন্দিরা এবং ইন্ডিয়া হয়ে উঠেছিলেন সমার্থক—জাতীয় কংগ্রেসের সেই অমিত শক্তি রাজনৈতিক ছন্দ অনেক কাল আগেই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছে।
বিশদ

ওয়াল স্ট্রিটের ‘নেকড়ে’-র গল্প!
মৃণালকান্তি দাস

ওয়াশিংটনের অপরিচিত কোনও এক পথে হাঁটতে হাঁটতে গল্পটা শুনিয়েছিলেন এমিলি ব্রাউন। গল্প বলতে, এক অপরাধীর ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনী। জর্ডন বেলফোর্টের গল্প। যিনি জীবনে অপরাধের নেশায় পড়ে সবকিছু হারিয়েছিলেন। কে এই জর্ডন বেলফোর্ট, জানেন? যাঁর জীবন কাহিনী শুনলে মনে হবে, এ এই মার্কিন মুলুকেই সম্ভব! বিশদ

17th  August, 2019
স্বাধীনতা ৭৩ এবং ভূস্বর্গের মুক্তি
মেরুনীল দাশগুপ্ত

গরিবি যতদিন না যাবে ততদিন এই উপত্যকায় শান্তি আসবে না। কারণ, কাশ্মীরি মানুষের গরিবিই ওদের একটা বড় হাতিয়ার। গরিব মানুষজনের অনেকেই ক’টা টাকার লোভে পড়ে সীমান্তর ওপার থেকে আসা লোকজনকে আশ্রয় দিয়ে, লুকিয়ে রেখে, খাবারদাবারের ব্যবস্থা করে ভ্যালির বিপদ বাড়িয়ে তুলছে।
বিশদ

15th  August, 2019
বনে থাকে বাঘ 
অতনু বিশ্বাস

ছেলেবেলায় ‘সহজ পাঠ’-এ পড়েছিলাম ‘বনে থাকে বাঘ’। যদিও এই পাঠটা যে খুব সহজ আর স্বাভাবিক নাও হতে পারে, অর্থাৎ বনে বাঘ নাও থাকতে পারে, সেটা বুঝতে বেশ বড় হতে হল। ছোটবেলায় অবশ্য মনে বদ্ধমূল ধারণা ছিল, বন-জঙ্গল গিজগিজ করে বাঘে। 
বিশদ

13th  August, 2019
রক্ষক আইন যেন ভক্ষক না হয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভিক্টরি ম্যানসনে ঢুকলেন উইনস্টন স্মিথ। বহুতলে ঢুকেই নজরে আসবে দো’তলা সমান আখাম্বা ছবিটা। শুধু একটা মুখ। নীচে ক্যাপশন করা, বিগ ব্রাদার কিন্তু তোমাকে দেখছে। জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাস ১৯৮৪-এর শুরুতেই উল্লেখ এই ছবির। আর এই নভেলের সারমর্মও লুকিয়ে এই ছবিতে—বিগ ব্রাদার দেখছে, তাই সাবধান। সাবধান হও সবাই... সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সাফাইকর্মী, বেসরকারি চাকুরে... মোদ্দা কথা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। সবসময় নজরদারি।  
বিশদ

13th  August, 2019
পুতিন কি পারবেন নতুন বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে?
গৌরীশঙ্কর নাগ

 ১৯১৭ খ্রিস্টব্দে বা তার কিছু আগে থেকে লেনিন, ট্রটস্কি প্রমুখ নিবেদিত প্রাণ কমরেডের হাত ধরে সোভিয়েত সমাজতন্ত্র নামক যে মহীরুহটি ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল তা গর্বাচেভ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর কীভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে—বিস্ময়ের সঙ্গে আমরা সেটা দেখেছি।
বিশদ

12th  August, 2019
রাহুল সরে দাঁড়াতেই কংগ্রেস এমন নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে কেন?
শুভা দত্ত

 প্রশ্নটা আজ দেশের সর্বস্তরে। পথে-ঘাটে অফিসে আড্ডায় যেখানেই চলতি রাজনীতি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের উদয় হচ্ছে সেখানেই প্রশ্নটা যেন অনিবার্যভাবে এসে পড়ছে! কংগ্রেসের হলটা কী! রাহুল গান্ধী না বলে দিতেই আর সভাপতি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কংগ্রেসে! গান্ধী ফ্যামিলি ছাড়া কংগ্রেস সভাপতি খুঁজে পাচ্ছে না— এ তো বড় অদ্ভুত ব্যাপার! কংগ্রেসের জন্মের পর থেকে গান্ধী ফ্যামিলির বাইরের দেশ রাজনীতির কত দিকপালই তো জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করেছেন—উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, দাদাভাই নৌরজি, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষচন্দ্র, অ্যানি বেসান্ত, চিত্তরঞ্জন, সরোজিনী নাইডু, বল্লভভাই প্যাটেল, কামরাজ, জগজীবন রাম—কত নাম বলব। নিশ্চয়ই এই তালিকায় নেহরু থেকে ইন্দিরা, রাজীব, সোনিয়া হয়ে রাহুল—গান্ধী পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।
বিশদ

11th  August, 2019
শুধু উন্নয়ন নয়, ভোটের জন্য চাই ভালো মাস্টার
তন্ময় মল্লিক

মোটা বেতন দিয়ে মাস্টার রাখলেই ছেলেমেয়ে মানুষ হয় না। তেমনটা হলে সব বড়লোকের ছেলেমেয়েই উচ্চশিক্ষিত হতো। কিন্তু, তা তো হয় না। ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনায় আগ্রহ, মেধা যেমন থাকা দরকার, তেমনই নজরদারিটাও জরুরি। ফাঁকিবাজি থাকলেই ছাত্র হয় গাড্ডু খাবে, অথবা ‘বিবেচনায়’ পাশ।
বিশদ

10th  August, 2019
পঞ্চায়েত নির্বাচন, ৩৭০ কিংবা ৩৫এ
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গ ২০১৮, আর ত্রিপুরা ২০১৯। পঞ্চায়েত ভোটে ফলাফল একইরকম। ঠিক কত আসন সেটা গোনার দরকার নেই। সহজ অঙ্কে বিষয়টা এরকম। ধরা যাক, মোট আসন ১০০, শাসক দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৭০টি আসনে। বাকি তিরিশের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের শেষে শাসক দল ২০, বিরোধীরা দশ। পাটিগণিতের অঙ্ক একেবারে মিলে গেল।
বিশদ

10th  August, 2019
কাশ্মীর: নতুন চ্যালেঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

 প্রকৃত চ্যালেঞ্জ সরকারের। কাশ্মীরকে আন্তরিকভাবে ভারতের অন্তঃস্থলে মিশিয়ে দেওয়ার কাজটিই কিন্তু হবে কাশ্মীরের নয়া ইতিহাস রচনা। সেটা নিছক একটা ভূমিখণ্ড দখল নয়। কাশ্মীরিয়াৎকে আপন করে নেওয়া। একমাত্র তাহলেই পাকিস্তান সবথেকে বেশি ধাক্কা খাবে! আর কাশ্মীরিদের আমরা যদি শত্রু বিবেচনা করে চলি, তাহলে কিন্তু টেনিসের পরিভাষায় অ্যাডভান্টেজ পাকিস্তান হয়ে যাবে! সে সুযোগ দেব কেন?
বিশদ

09th  August, 2019
সংযুক্তিকরণের মিশ্র অভিজ্ঞতার পংক্তিতে কাশ্মীর
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 সমস্ত প্রশ্ন আসলে আবর্তিত হচ্ছে মূলত কাশ্মীরসমস্যা সমাধানের প্রশ্নে ‘স্বাধিকার বনাম সংযুক্তিকরণ’ ভাবনাকে কেন্দ্র করে। নেহরুর অনুসৃত কাশ্মীরের স্বাধিকার মডেল বিগত ৭০ বছর ধরে কার্যকরী থাকলেও কাশ্মীরসমস্যার সমাধান কিন্তু অধরাই থেকে গিয়েছে। তৈরি হয়েছিল অচলাবস্থা। বিজেপির সংযুক্তিকরণ মডেলে কাশ্মীরের এই দীর্ঘ অচলাবস্থা ভেঙে এগিয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সংযুক্তিকরণ মডেলের যে অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে, তা মিশ্র। চীনের সঙ্গে তিব্বতের সংযুক্তিকরণ সফল হয়েছে। আলাস্কার ক্ষেত্রেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ সফল ছিল। আবার চীনের সঙ্গে হংকংয়ের সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া কিন্তু কঠিন বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এখন দেখার, কাশ্মীরকে ভারতের মূল প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়ার ফল কী হয়? বিশদ

08th  August, 2019
জিতে গেলেন শ্যামাপ্রসাদ
জিষ্ণু বসু 

দিনটি ছিল ১১ মে, ১৯৫৩। পারমিট ছাড়া কাশ্মীরে প্রবেশের অপরাধে পাঠানকোটের মাধোপুর সীমান্তে গ্রেপ্তার হলেন শ্যামাপ্রসাদ। সেখান থেকে শ্রীনগর ৩০০ কিমির বেশি। এতটা পথ পুলিসের জিপে আনা হল তাঁকে।  বিশদ

07th  August, 2019
একনজরে
 সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ি সদর এলাকায় টোটোর দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে ময়নাগুড়ি পুলিস প্রশাসন বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ব্যস্ত রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে টোটো পার্কিং করা হলে তা ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গোটা বিশ্বেই মধ্যবিত্ত শ্রেণী বাড়ছে দ্রুত। নতুন প্রজন্ম অর্থ উপার্জন করছে বলেই এই শ্রেণীর বাড়বাড়ন্ত। সরকারেরও উচিত তাদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া। সেই কারণেই সরকার যতটা পেনশন খাতে খরচ করে, তার চেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত শিক্ষা খাতে ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গঙ্গাবক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে মুর্শিদাবাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন। ভাগীরথী নদীর উপর এই সাঁতার প্রতিযোগিতা হবে ৮১ ও ১৯ কিলোমিটার দূরত্বে। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর উপায় নেই। সুপ্রিম কোর্ট এবার রাজ্য সরকারের ‘রিভিউ পিটিশন’ খারিজ করে দেওয়ায় ২০০৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ১২০০ প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০০: রাজনীতিক বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের জন্ম
১৯৩৬: গীতিকার ও পরিচালক গুলজারের জন্ম
১৯৫৮: ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করলেন প্রথম এশীয় ব্রজেন দাস
১৯৮০: সঙ্গীতশিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৯ টাকা ৭২.২৯ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৮১ টাকা ৮৭.৯৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৮৩ টাকা ৮০.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  August, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৪৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,২৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ভাদ্র ১৪২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৪৯/৪৯ রাত্রি ১/১৪। পূর্বভাদ্রপদ ২৯/২ অপঃ ৪/৫৫। সূ উ ৫/১৮/২, অ ৬/৩/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৯ গতে ৯/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/২ মধ্যে, বারবেলা ১০/৫ গতে ১/১৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৩২ শ্রাবণ ১৪২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৪৩/৯/৬ রাত্রি ১০/৩২/৩৬। পূর্বভাদ্রপদনক্ষত্র ২৬/১/৪১ দিবা ৩/৪১/৩৮, সূ উ ৫/১৬/৫৮, অ ৬/৫/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/১২ গতে ৯/৩১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৪ মধ্যে, বারবেলা ১০/৫/১৬ গতে ১১/৪১/২২ মধ্যে, কালবেলা ১১/৪১/২২ গতে ১/১৭/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫/১৬ গতে ২/২৯/১০ মধ্যে।
 ১৬ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রাকবিবাহ কথাবার্তাও হতে পারে। বৃষ: সৌখিন দ্রব্যের ব্যবসা শুভ হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯০০: রাজনীতিক বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের জন্ম১৯৩৬: গীতিকার ও পরিচালক গুলজারের জন্ম১৯৫৮: ...বিশদ

07:03:20 PM

নেতাজিনগরে ২টি অটোর সংঘর্ষ, জখম মহিলা 

08:31:00 PM

বেনিয়াপুকুরে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার 

06:21:00 PM

পানিহাটিতে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া যুবকের দেহ উদ্ধার 

05:49:00 PM

পানিহাটিতে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া যুবকের দেহ উদ্ধার 

05:46:00 PM