Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পঞ্চায়েত নির্বাচন, ৩৭০ কিংবা ৩৫এ
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গ ২০১৮, আর ত্রিপুরা ২০১৯। পঞ্চায়েত ভোটে ফলাফল একইরকম। ঠিক কত আসন সেটা গোনার দরকার নেই। সহজ অঙ্কে বিষয়টা এরকম। ধরা যাক, মোট আসন ১০০, শাসক দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৭০টি আসনে। বাকি তিরিশের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের শেষে শাসক দল ২০, বিরোধীরা দশ। পাটিগণিতের অঙ্ক একেবারে মিলে গেল। কোন রাজ্য সেটা বিচার্য বিষয় নয়, কোন রাজনৈতিক দল সেটাও জানার প্রয়োজন নেই।
মূল কথা হল, শাসক কে? সে কতটা দখলদারি রাখতে চাইছে? এই মুহূর্তে দেশে বিজেপির একচ্ছত্র আধিপত্য। সেই কারণেই সংসদে ফটাফট বিল পাশ, ভারতের মানচিত্রের মাথার দিকের রাজ্যে উল্লম্ব বক্ররেখা টেনে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। একটায় বিধানসভা থাকবে, একটায় থাকবে না। কাশ্মীরে দীর্ঘ স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত বেশ পুরনো কিছু ধারা এক খোঁচায় উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাই শুধু অঙ্কের ৩৭০ কিংবা লেজে অক্ষর নিয়ে ৩৫এ, সবই বাতিলের পথে। সেই প্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা তো তুচ্ছ। ত্রিপুরায় বিজেপিরই সরকার, এবং তারা ক্ষমতায় এসেছে বামেদের দীর্ঘ শাসনের অবসান ঘটিয়ে।
ফলে, সেখানকার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়জয়কার নিয়ে খুব বেশি ভুরু কোঁচকানোর জায়গা নেই। এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক। পশ্চিমবঙ্গ বা ত্রিপুরায় বাম শাসনের ইতিহাসের সঙ্গে এর পার্থক্য কতটা? তা হল, বাম আমলে বিভিন্ন পৌরসভা বা পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের দাদাগিরি বজায় থাকলেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিরোধীদেরও অস্তিত্ব ছিল। বাম শাসনের অবসানে বিরোধীদের চিহ্নটুকুও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ত্রিপুরার ক্ষেত্রে আর একটি পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। তা হল ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর বামেদের অবক্ষয় সাংঘাতিক গতিতে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের থেকেও দ্রুত। বিধানসভায় হারার সময়েও বামেরা যথেষ্ট বাহুবলী দ্বিতীয় শক্তি ছিল। তারপর গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট শতাংশের হিসেবে বিজেপি ছিল প্রথম, কংগ্রেস দ্বিতীয় আর বামেরা তৃতীয়। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনও সেই পরিসংখ্যানই পেশ করছে। অর্থাৎ বাম শক্তি ক্ষমতা থেকে সরে গেলে প্রধান বিরোধী পক্ষ হিসেবেও নিজেদের অবস্থান বজায় রাখতে পারছে না, চলে যাচ্ছে একেবারে তৃতীয় সারিতে।
বিজেপির যে ভাবনা, তাতে রাজনৈতিকভাবে বামেরাই সবথেকে বড় শত্রু। সুতরাং তাদের মূল লক্ষ্য সংসদীয় গণতন্ত্রে বামেদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। সেই কাজে অবশ্যই সফল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরায় ভোট শতাংশে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে বামফ্রন্ট। বাকি শুধু কেরল। সেখানেও এবারের লোকসভা নির্বাচনে আসনের হিসেবে বামেরা শূন্যের কাছাকাছি। লোকসভায় প্রতিনিধিত্বের নিরিখে সারা দেশে এক অঙ্ক পার করতে পারে নি এই জোট।
এখানে প্রশ্ন উঠবেই যে বিজেপি কি সামরিক শক্তি ব্যবহার করে বামেদের নিশ্চিহ্ন করেছে? মোটেই তা নয়। একেবারে সংসদীয় ব্যবস্থার মধ্যে থেকে বামেদের বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজিয়েছে তারা। রণে আর প্রণয়ে নীতির বালাই কখনওই থাকে না। সেটুকু গোলমালের সুযোগ বামেরা তাদের সুসময়ে নিয়েছে। আর সেই হিসেব কড়ায়গণ্ডায় নয়, একেবারে কয়েকগুণ বাড়িয়ে ক্ষমতা দখল করছে বিজেপি। সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিধিতে বিজেপির যে আগ্রাসী মনোভাব, তা সামলানোর জন্যে এই সময় প্রস্তুত নয় ভারতের অন্যান্য রাজনৈতিক দল।
এই বিজেপি বাজপেয়ি আমলের বিজেপি নয়। যেখানে বিরোধীদের জন্যে কিছুটা জায়গা রাখা থাকত। নরেন্দ্র মোদি আর অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপি এখন পুরোপুরি ডানপন্থী। মোটামুটিভাবে সংবিধানের আওতায় থেকে যে কোনও উপায়ে ক্ষমতা দখল তাদের কর্মসূচি। সেই পথেই চলছে তারা। কর্ণাটক দখল হয়ে গেছে বিধায়ক সরিয়ে। মধ্যপ্রদেশও টলোমলো। পশ্চিমবঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। সামনের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি বিজেপির কাছে হেরে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। দুহাজার কুড়ির শেষের দিকে গোটা দেশে বিজেপি কিংবা বিজেপির বন্ধু সরকার থাকবে প্রায় সব জায়গাতেই। বড়জোর চার পাঁচটি রাজ্যে থাকতে পারে বিরোধী পক্ষ। সেই হিসেবে ছোট্ট ত্রিপুরার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি তার বিরোধী দলগুলোকে আসন পেতে দুপুরের ভাত মাছের ঝোল সাজিয়ে দেবে এরকমটা ভাবার কোনও কারণ নেই।
বরং বিজেপি এখন এমন একটা ক্ষমতার জায়গায় এসে গেছে যে তারা ঠিক করে নিতে পারে যে কোন রাজ্যে তাদের বিরোধী কে হবে। অবশ্যই সারা দেশের নিরিখে বিজেপির সবথেকে পছন্দের বিরোধী দল কংগ্রেস। দুর্বল নেতৃত্ব সমেত একটি সর্বভারতীয় বিরোধী দলকে খাড়া করে রাখতে পারলে বিভিন্ন নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলোর ভোট কেটে দেওয়া যায় সঠিক অঙ্কে। ফলে কংগ্রেসকে দ্বিতীয় স্থানে রাখার দায় বিজেপির আছে।
সেই কারণেই বাম-বিদায়ের পর ত্রিপুরায় কংগ্রেসের উত্থান প্রধান বিরোধী দল হিসেবে। যেখানে বিজেপির জিততে কিছুটা সময় লাগবে, সেখানে বাম দলগুলোর তুলনায় কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকা বিজেপির পক্ষে মঙ্গলের। কেরলের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। বামেরা নিশ্চিহ্ন, আর প্রায় সব আসন পেয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপির অগ্রগতি সেখানে লক্ষণীয়। সামনের বিধানসভা নির্বাচনে কেরল অবশ্যই দেখবে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সেখানে বামেরা তিন নম্বরে নেমে গেলে খুব অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে শক্তিশালী আঞ্চলিক দলও তো একেবারে বিনা যুদ্ধে লড়াই ছাড়বে না। সেই হিসেবে আলোচনা করতে হবে তৃণমূলের কথা। তাদের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাঁতের তত্ত্ব অবশ্যই বামেদের নির্বাচনী ইস্তাহারে থাকবে।
কিন্তু সেটা না-মেনে যদি সত্যিই বিজেপি এবং তৃণমূলকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা যায়, তাহলে সেখানেও লড়াইটা নিজেদের এক-দুই-এ রেখে বাকিদের অনেকটা পেছনে ফেলে দেওয়া। লক্ষ করলে দেখবেন, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট যথেষ্ট ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধী জোট হলেও তারপর থেকে বিজেপির প্রকৃত উত্থান শুরু। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল গায়ের জোর দেখালেও বিজেপি সেখানে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিল বেশ ভালোভাবেই। এখানেও সেই একই তত্ত্ব লাগানো যায়, যে রাজ্যের হিসেবে বামফ্রন্ট কিংবা বামঘেঁষা কংগ্রেসের তুলনায় তৃণমূল এবং বিজেপির নিজেদের এক আর দুই-এ রাখাটা অনেক বেশি যুক্তিযুক্ত। যথাক্রমটা তারাই ঠিক করবে।
লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস শেষমেশ কোনওভাবে দুটি আসন জোটালেও বামেরা এই রাজ্যে একেবারে শূন্য। অর্থাৎ ২০১৮ এবং ২০১৯-এ ভারতের ক্ষুদ্রতম (পঞ্চায়েত) থেকে বৃহত্তম (লোকসভা) নির্বাচনের সবকটাতেই বামেরা বিপর্যস্ত এবং ভ্যানিশ। বিজেপি রাজনীতির এখানেই চূড়ান্ত সফলতা।
আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে বামেদের পক্ষে নতুন করে ক্ষমতায় ফেরা প্রায় অসম্ভব। ‘প্রায়’ শব্দটি যোগ করতে হল কারণ রাজনীতিতে কখনও কখনও অবাক করার মতো কিছু ঘটনা ঘটে। যদিও তার সম্ভাবনা কম। তাহলে বামেরা করবেনটা কি?
একটা সহজ সমাধান দলে দলে বিজেপিতে যোগ দেওয়া, এবং সেই দলের মধ্যে ঢুকে নিজেদের বাম মতামত প্রকাশের চেষ্টা করা। আরএসএস-এর বেশ কিছু কর্মসূচিতে দেশের পিছিয়ে-পড়া মানুষের উন্নয়নের কথা আছে। সেই সমস্ত কাজে যোগ দিতে পারেন বাম নেতৃত্ব। বিজেপিরও এ ব্যাপারে বিশেষ ছুঁতমার্গ নেই। যে-কোনও দল থেকেই লোক নিতে তারা আগ্রহী। আর এর মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু বাম জনপ্রতিনিধি তৃণমূল কিংবা বিজেপিতে ঢুকে আবার ভোটে জিতেছেন।
তবে শিক্ষিত বাম নেতৃত্ব তো এরকম সহজ সমাধান মেনে নেবেন না। সুতরাং জটিল হিসেবে দলটা থাকবে। সেখানে অন্য দলগুলোর তুলনায় হয়তো শিক্ষিত এবং সৎ নেতাকর্মীর ঘনত্ব চূড়ান্ত অবক্ষয় সত্ত্বেও কিছুটা বেশিই হবে। সিপিএমের স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্যে অন্তর্জালে নাম লেখানোর সাম্প্রতিক আহ্বানে অবশ্যই সাড়া দেবেন গুটিকয়েক যুক্তিবাদী যুবক-যুবতী। তবে তাতে আজকের পরিস্থিতিতে ভোট আসবে না। সংবাদমাধ্যমে প্রায় হারিয়ে যাবে এই দলের উপস্থিতি। বড়জোর দু-একটি বাক্যে খবর হবে যে কাশ্মীরে সিপিএম বিধায়ক তারিগামিকেও গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সারা দেশের বাম ভোট ধীরে ধীরে শতাংশের হিসেবে দশমিকের ডানদিকের অঙ্কেও হারিয়ে যাবে। অন্তত আজকে সামনে তাকিয়ে তেমনটাই মনে হচ্ছে। গত বছরে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন তাই তৃণমূলের দেখানো পথ, যেটা বছর বদলানোর পর ত্রিপুরায় রূপায়ণ করেছে বিজেপি।
কিন্তু, বিজেপির মতো উন্নত সাংগাঠনিক শক্তির অভাবে তৃণমূলের পক্ষে সে ধারা ধরে রাখা শক্ত। আর একটি মাত্র রাজ্যে ক্ষমতায় থেকে গোটা দেশের শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন, যদি না ভেতরে ভেতরে কিছুটা বোঝাপড়া করা যায়। ফলে, সামনের দিনগুলোতে রাজ্য কিংবা দেশের আসন-বিন্যাস ত্রিপুরার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের মতোই হবে। বিজেপিই ঠিক করবে কোথায় তারা জিতবে, কোথায় তারা বিরোধীদের ক’টা আসন দেবে। গোপনে বা প্রকাশ্যে বিজেপির বিরোধিতা করে তাদের গাল দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু ফলাফল বদলানো কঠিন।
সেই কারণেই বোধহয় কাশ্মীর সংক্রান্ত বিষয়ে ভোট না-দিয়েই সংসদ ছেড়েছে তৃণমূল। পাড়ার ক্লাবের সভাসদ নির্বাচন তাই কাগজের ব্যালটেই হোক কিংবা বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রে, দুর্গাপুজোয় এবার এরাজ্যের অনেকটা দখল নেবে বিজেপি। সামনের দু’বছর বিজেপিই স্থির করবে পশ্চিমবঙ্গে তারা কী চায়। থুড়ি, সারা ভারতেই—ত্রিবান্দ্রম থেকে ত্রিপুরা, কন্যাকুমারিকা থেকে কাশ্মীর।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত
10th  August, 2019
সভাপতি পদে সোনিয়াজির প্রত্যাবর্তনে কংগ্রেস কি ছন্দ ফিরে পাবে
শুভা দত্ত

ছন্দ তো হারিয়েছে বহুদিন। ছন্দে ফেরার চেষ্টা—সেও শুরু হয়েছে বহুদিন। কিন্তু কিছুতেই যেন সেই পুরনো দমদার ছন্দে ফিরতে পারছে না জাতীয় কংগ্রেস! নেহরু-ইন্দিরার আমল থেকে গান্ধী পরিবারের ছত্রচ্ছায়ায় এবং নেতৃত্বে দলের যে অপ্রতিরোধ্য ছন্দ গোটা দেশকে কংগ্রেসি তেরঙ্গায় বেঁধে রেখেছিল, যে ছন্দ কংগ্রেস প্রতীক ইন্দিরার পাঞ্জার উপর বছরের পর বছর দেশের মানুষের আস্থা বিশ্বাস ও আবেগ ধরে রেখেছিল, জরুরি অবস্থা, নাসবন্দির মতো কাণ্ডের পরও যে ছন্দ ক্ষমতার কেন্দ্রে ফিরিয়ে এনেছিল কংগ্রেসকে, ইন্দিরা এবং ইন্ডিয়া হয়ে উঠেছিলেন সমার্থক—জাতীয় কংগ্রেসের সেই অমিত শক্তি রাজনৈতিক ছন্দ অনেক কাল আগেই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছে।
বিশদ

ওয়াল স্ট্রিটের ‘নেকড়ে’-র গল্প!
মৃণালকান্তি দাস

ওয়াশিংটনের অপরিচিত কোনও এক পথে হাঁটতে হাঁটতে গল্পটা শুনিয়েছিলেন এমিলি ব্রাউন। গল্প বলতে, এক অপরাধীর ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনী। জর্ডন বেলফোর্টের গল্প। যিনি জীবনে অপরাধের নেশায় পড়ে সবকিছু হারিয়েছিলেন। কে এই জর্ডন বেলফোর্ট, জানেন? যাঁর জীবন কাহিনী শুনলে মনে হবে, এ এই মার্কিন মুলুকেই সম্ভব! বিশদ

17th  August, 2019
স্বাধীনতা ৭৩ এবং ভূস্বর্গের মুক্তি
মেরুনীল দাশগুপ্ত

গরিবি যতদিন না যাবে ততদিন এই উপত্যকায় শান্তি আসবে না। কারণ, কাশ্মীরি মানুষের গরিবিই ওদের একটা বড় হাতিয়ার। গরিব মানুষজনের অনেকেই ক’টা টাকার লোভে পড়ে সীমান্তর ওপার থেকে আসা লোকজনকে আশ্রয় দিয়ে, লুকিয়ে রেখে, খাবারদাবারের ব্যবস্থা করে ভ্যালির বিপদ বাড়িয়ে তুলছে।
বিশদ

15th  August, 2019
বনে থাকে বাঘ 
অতনু বিশ্বাস

ছেলেবেলায় ‘সহজ পাঠ’-এ পড়েছিলাম ‘বনে থাকে বাঘ’। যদিও এই পাঠটা যে খুব সহজ আর স্বাভাবিক নাও হতে পারে, অর্থাৎ বনে বাঘ নাও থাকতে পারে, সেটা বুঝতে বেশ বড় হতে হল। ছোটবেলায় অবশ্য মনে বদ্ধমূল ধারণা ছিল, বন-জঙ্গল গিজগিজ করে বাঘে। 
বিশদ

13th  August, 2019
রক্ষক আইন যেন ভক্ষক না হয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভিক্টরি ম্যানসনে ঢুকলেন উইনস্টন স্মিথ। বহুতলে ঢুকেই নজরে আসবে দো’তলা সমান আখাম্বা ছবিটা। শুধু একটা মুখ। নীচে ক্যাপশন করা, বিগ ব্রাদার কিন্তু তোমাকে দেখছে। জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাস ১৯৮৪-এর শুরুতেই উল্লেখ এই ছবির। আর এই নভেলের সারমর্মও লুকিয়ে এই ছবিতে—বিগ ব্রাদার দেখছে, তাই সাবধান। সাবধান হও সবাই... সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সাফাইকর্মী, বেসরকারি চাকুরে... মোদ্দা কথা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। সবসময় নজরদারি।  
বিশদ

13th  August, 2019
পুতিন কি পারবেন নতুন বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে?
গৌরীশঙ্কর নাগ

 ১৯১৭ খ্রিস্টব্দে বা তার কিছু আগে থেকে লেনিন, ট্রটস্কি প্রমুখ নিবেদিত প্রাণ কমরেডের হাত ধরে সোভিয়েত সমাজতন্ত্র নামক যে মহীরুহটি ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল তা গর্বাচেভ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর কীভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে—বিস্ময়ের সঙ্গে আমরা সেটা দেখেছি।
বিশদ

12th  August, 2019
স্টেট নয়, শুধুই রিয়াল এস্টেট
পি চিদম্বরম

 জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে প্রায়ই লিখি কিন্তু আজকেরটা অন্যরকম। জম্মু ও কাশ্মীর আর আগের জম্মু ও কাশ্মীর নেই। এটা আর রাজ্য নয়। এটাকে বিভক্ত করা হয়েছে। এখন দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল—লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর। ভারতের সংবিধানে কোনও রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্তরে নামিয়ে আনার ঘটনা এর আগে ঘটেনি।
বিশদ

12th  August, 2019
রাহুল সরে দাঁড়াতেই কংগ্রেস এমন নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে কেন?
শুভা দত্ত

 প্রশ্নটা আজ দেশের সর্বস্তরে। পথে-ঘাটে অফিসে আড্ডায় যেখানেই চলতি রাজনীতি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের উদয় হচ্ছে সেখানেই প্রশ্নটা যেন অনিবার্যভাবে এসে পড়ছে! কংগ্রেসের হলটা কী! রাহুল গান্ধী না বলে দিতেই আর সভাপতি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কংগ্রেসে! গান্ধী ফ্যামিলি ছাড়া কংগ্রেস সভাপতি খুঁজে পাচ্ছে না— এ তো বড় অদ্ভুত ব্যাপার! কংগ্রেসের জন্মের পর থেকে গান্ধী ফ্যামিলির বাইরের দেশ রাজনীতির কত দিকপালই তো জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করেছেন—উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, দাদাভাই নৌরজি, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষচন্দ্র, অ্যানি বেসান্ত, চিত্তরঞ্জন, সরোজিনী নাইডু, বল্লভভাই প্যাটেল, কামরাজ, জগজীবন রাম—কত নাম বলব। নিশ্চয়ই এই তালিকায় নেহরু থেকে ইন্দিরা, রাজীব, সোনিয়া হয়ে রাহুল—গান্ধী পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।
বিশদ

11th  August, 2019
শুধু উন্নয়ন নয়, ভোটের জন্য চাই ভালো মাস্টার
তন্ময় মল্লিক

মোটা বেতন দিয়ে মাস্টার রাখলেই ছেলেমেয়ে মানুষ হয় না। তেমনটা হলে সব বড়লোকের ছেলেমেয়েই উচ্চশিক্ষিত হতো। কিন্তু, তা তো হয় না। ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনায় আগ্রহ, মেধা যেমন থাকা দরকার, তেমনই নজরদারিটাও জরুরি। ফাঁকিবাজি থাকলেই ছাত্র হয় গাড্ডু খাবে, অথবা ‘বিবেচনায়’ পাশ।
বিশদ

10th  August, 2019
কাশ্মীর: নতুন চ্যালেঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

 প্রকৃত চ্যালেঞ্জ সরকারের। কাশ্মীরকে আন্তরিকভাবে ভারতের অন্তঃস্থলে মিশিয়ে দেওয়ার কাজটিই কিন্তু হবে কাশ্মীরের নয়া ইতিহাস রচনা। সেটা নিছক একটা ভূমিখণ্ড দখল নয়। কাশ্মীরিয়াৎকে আপন করে নেওয়া। একমাত্র তাহলেই পাকিস্তান সবথেকে বেশি ধাক্কা খাবে! আর কাশ্মীরিদের আমরা যদি শত্রু বিবেচনা করে চলি, তাহলে কিন্তু টেনিসের পরিভাষায় অ্যাডভান্টেজ পাকিস্তান হয়ে যাবে! সে সুযোগ দেব কেন?
বিশদ

09th  August, 2019
সংযুক্তিকরণের মিশ্র অভিজ্ঞতার পংক্তিতে কাশ্মীর
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 সমস্ত প্রশ্ন আসলে আবর্তিত হচ্ছে মূলত কাশ্মীরসমস্যা সমাধানের প্রশ্নে ‘স্বাধিকার বনাম সংযুক্তিকরণ’ ভাবনাকে কেন্দ্র করে। নেহরুর অনুসৃত কাশ্মীরের স্বাধিকার মডেল বিগত ৭০ বছর ধরে কার্যকরী থাকলেও কাশ্মীরসমস্যার সমাধান কিন্তু অধরাই থেকে গিয়েছে। তৈরি হয়েছিল অচলাবস্থা। বিজেপির সংযুক্তিকরণ মডেলে কাশ্মীরের এই দীর্ঘ অচলাবস্থা ভেঙে এগিয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সংযুক্তিকরণ মডেলের যে অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে, তা মিশ্র। চীনের সঙ্গে তিব্বতের সংযুক্তিকরণ সফল হয়েছে। আলাস্কার ক্ষেত্রেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ সফল ছিল। আবার চীনের সঙ্গে হংকংয়ের সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া কিন্তু কঠিন বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এখন দেখার, কাশ্মীরকে ভারতের মূল প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়ার ফল কী হয়? বিশদ

08th  August, 2019
জিতে গেলেন শ্যামাপ্রসাদ
জিষ্ণু বসু 

দিনটি ছিল ১১ মে, ১৯৫৩। পারমিট ছাড়া কাশ্মীরে প্রবেশের অপরাধে পাঠানকোটের মাধোপুর সীমান্তে গ্রেপ্তার হলেন শ্যামাপ্রসাদ। সেখান থেকে শ্রীনগর ৩০০ কিমির বেশি। এতটা পথ পুলিসের জিপে আনা হল তাঁকে।  বিশদ

07th  August, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গঙ্গাবক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে মুর্শিদাবাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন। ভাগীরথী নদীর উপর এই সাঁতার প্রতিযোগিতা হবে ৮১ ও ১৯ কিলোমিটার দূরত্বে। ...

সংবাদদাতা, বসিরহাট: ভ্যাপসা গুমোট গরমের শেষে একটানা বৃষ্টির স্বস্তি এখন অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বসিরহাট পুরসভা এলাকায়। বেশিরভাগ ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি জলের তলায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ...

করাচি, ১৭ আগস্ট (পিটিআই): পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের একটি মসজিদে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল পাঁচজনের। এঁদের মধ্যে রয়েছেন শীর্ষ তালিবান নেতা মুল্লা হাইবাতুল্লার ভাই হাফিজ আহমাদুল্লা। কোয়েত্তা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে কুচলক এলাকায় রয়েছে শেখ হাইবাতুল্লা মাদ্রাসা। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর উপায় নেই। সুপ্রিম কোর্ট এবার রাজ্য সরকারের ‘রিভিউ পিটিশন’ খারিজ করে দেওয়ায় ২০০৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ১২০০ প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০০: রাজনীতিক বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের জন্ম
১৯৩৬: গীতিকার ও পরিচালক গুলজারের জন্ম
১৯৫৮: ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করলেন প্রথম এশীয় ব্রজেন দাস
১৯৮০: সঙ্গীতশিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৯ টাকা ৭২.২৯ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৮১ টাকা ৮৭.৯৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৮৩ টাকা ৮০.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  August, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৪৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,২৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ভাদ্র ১৪২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৪৯/৪৯ রাত্রি ১/১৪। পূর্বভাদ্রপদ ২৯/২ অপঃ ৪/৫৫। সূ উ ৫/১৮/২, অ ৬/৩/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৯ গতে ৯/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/২ মধ্যে, বারবেলা ১০/৫ গতে ১/১৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৩২ শ্রাবণ ১৪২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৪৩/৯/৬ রাত্রি ১০/৩২/৩৬। পূর্বভাদ্রপদনক্ষত্র ২৬/১/৪১ দিবা ৩/৪১/৩৮, সূ উ ৫/১৬/৫৮, অ ৬/৫/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/১২ গতে ৯/৩১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৪ মধ্যে, বারবেলা ১০/৫/১৬ গতে ১১/৪১/২২ মধ্যে, কালবেলা ১১/৪১/২২ গতে ১/১৭/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫/১৬ গতে ২/২৯/১০ মধ্যে।
 ১৬ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রাকবিবাহ কথাবার্তাও হতে পারে। বৃষ: সৌখিন দ্রব্যের ব্যবসা শুভ হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯০০: রাজনীতিক বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের জন্ম১৯৩৬: গীতিকার ও পরিচালক গুলজারের জন্ম১৯৫৮: ...বিশদ

07:03:20 PM

নেতাজিনগরে ২টি অটোর সংঘর্ষ, জখম মহিলা 

08:31:00 PM

বেনিয়াপুকুরে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার 

06:21:00 PM

পানিহাটিতে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া যুবকের দেহ উদ্ধার 

05:49:00 PM

পানিহাটিতে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া যুবকের দেহ উদ্ধার 

05:46:00 PM