Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জিতে গেলেন শ্যামাপ্রসাদ
জিষ্ণু বসু 

দিনটি ছিল ১১ মে, ১৯৫৩। পারমিট ছাড়া কাশ্মীরে প্রবেশের অপরাধে পাঠানকোটের মাধোপুর সীমান্তে গ্রেপ্তার হলেন শ্যামাপ্রসাদ। সেখান থেকে শ্রীনগর ৩০০ কিমির বেশি। এতটা পথ পুলিসের জিপে আনা হল তাঁকে। মাত্র কয়েক বছর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তাঁকে প্রথমে শ্রীনগরের সেন্ট্রাল জেলে রাখা হল। তার পর শহরের বাইরে একটা বাংলোয়। সেখানে না-ছিল ঠিকঠাক খাবার, না-দেওয়া হতো ওষুধপত্র। পুরনো শুকনো হাঁপানি আবার বেড়ে গেল, সঙ্গে পিঠে ব্যথা আর রাত্রে ধুম জ্বর। ২৩ জুন ভোট ৩টে ৪০ মিনিটে চলে গেলেন শ্যামাপ্রসাদ। কিন্তু, কেন অকালে এত কষ্ট সহ্য করে প্রাণ দিতে হল দেশবরেণ্য মানুষটিকে? কী চেয়েছিলেন তিনি? তিনি চেয়েছিলেন এক দেশে একজনই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। একটিই আইন হবে আর জাতীয় পতাকাও এক হবে। মানে, সংবিধানে কাশ্মীরের জন্য যে বিশেষ ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে ৩৭০ ধারাতে তা তিনি মানবেন না। স্বাধীন ভারতে প্রথম শহিদ হলেন তিনি।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট। ভারতের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের কথা ঘোষণা করলেন। সেইসঙ্গে মাননীয় রাষ্ট্রপতি বিলোপ করলেন সংবিধানের ৩৫এ ধারা—যার বলে এতদিন কাশ্মীরে আলাদা করে স্থায়ী বাসিন্দার সংজ্ঞা দেওয়া হতো। ভারতের অন্যকোনও প্রদেশের নাগরিক সেখানে স্থাবর সম্পত্তির অধিকারী হতে পারতেন না। শ্যামাপ্রসাদ ঠিক যেমনটি চেয়েছিলেন ৬৬ বছর পর ঠিক তাই হল। কাশ্মীর ভারতের অন্যসব এলাকার মতোই সমান মর্যাদা পেল। দেশের সর্বস্তরের মানুষ এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিজু জনতা দল, বহুজন সমাজ পার্টি, আম আদামি পার্টির মতো বিরোধীরাও।
সমর্থন করেছে মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর প্রায় সব ক’টি আঞ্চলিক দল। রাজ্যসভায় এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও’ ব্রায়েন। তাঁর মতে, এই ৩৭০ ধারা বিলোপের দিনটি হল ‘কালো সোমবার’! ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিও ৩৫এ ধারা বিলোপের বিষয়ে গভীর আপত্তি জানিয়েছে। কারণ, ওই ধারা মতে, কেবল কাশ্মীরের ভূমিপুত্ররাই কাশ্মীরের জমির অধিকারী হবেন।
কিন্তু ভূমিপুত্র আসলে কারা? যে ছ’লক্ষের বেশি কাশ্মীরি পণ্ডিত মৌলবাদীদের অত্যাচারে নিজের দেশেই উদ্বাস্তু হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা নন? ১৯৮৯ সালের আগস্ট থেকেই উপত্যকায় জেহাদি দৌরাত্ম্য বাড়তে থাকে। রাজ্যের ক্ষমতায় তখন শেখ আবদুল্লার ছেলে ফারুক আবদুল্লা। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জনপ্রিয় রাজনেতা ছিলেন টিকালাল টাপলু। প্রকাশ্যে খুন হলেন তিনি। ১৯৮৯ সালের ৪ নভেম্বর নির্মমভাবে হত্যা করা হল বিচারপতি নীলকণ্ঠ গঞ্জুকে। বিচারপতির দেহ প্রকাশ্য রাজপথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকল। কেউ স্পর্শ করতেও সাহস করল না! শিক্ষিকা গিরিরাজ টিপ্পুকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হল! ১৯৯০ সালের ১৯ জানুয়ারি জেহাদিরা মাইকে ঘোষণা করল—পণ্ডিতরা যেন কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে চলে যান। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সরকার কেবল দর্শকের ভূমিকায় ছিল। সেদিন কিন্তু কোনও বামপন্থী দল, কোনও লেফট লিবারাল স্তম্ভ লেখক প্রশ্ন তোলেননি কেন এই সভ্য যুগেও একটি এলাকার আদি বাসিন্দাদের এত নির্মম অত্যাচার করে বিতাড়িত করা হবে?
সংবিধানের ৩৭০ ধারা কাশ্মীরের হিন্দু বা মুসলমান কারোরই কোনও উপকার করেনি। যেখানে সারা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় ভেবে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছচ্ছেন, তৈরি হয়েছেন এ পি জে আব্দুল কালামের মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব আর সেখানে কাশ্মীরে একটি ছেলে যুবক হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদের পাঠ পেয়েছেন। কখনও জয়েশ-ই-মহম্মদ, কখনও লস্কর-ই-তোইবা, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংস্থার হাতের পুতুল তৈরি হয়েছেন। কাশ্মীরে ৩৭০ বা ৩৫এ ধারা থাকার জন্যই আল কায়েদা বা আইএসআইএস উৎসাহ পেয়েছে কাশ্মীরকে জেহাদের লক্ষ্য বানাতে।
কিন্তু কাশ্মীর থেকে ভারতীয়ত্ব মুছে ফেলা অত সহজ ছিল না। কাশ্মীরের সংস্কৃতির হৃদপিণ্ডই হল ভারতবর্ষ। ইউরোপের অনেক ঐতিহাসিক কারকোটা বংশের রাজা ললিতাদিত্য মুক্তাপিড়কে ‘ভারতবর্ষের আলেকজান্দার’ বলেছেন। কাশ্মীরের এই রাজা আজকের আফগানিস্তান হয়ে মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত এগিয়ে গিয়েছিলেন। সময়টা ৭৫০ খ্রিস্টাব্দের আশপাশে। ভারতবর্ষের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক অভিনব গুপ্ত দশম শতকে এই কাশ্মীরেই জন্মেছিলেন। জগদ্‌গুরু আদি শঙ্করাচার্য কাশ্মীরে এসে খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে এক মন্দির খুঁজে পান। সেই মন্দিরকে সংস্কার করেই তিনি তৈরি করেন জ্যোতিশ্বর শিবের মন্দির। সংস্কৃত সাহিত্যের যুগান্তকারী সৃষ্টি ‘রাজতরঙ্গিনী’ কবি কাশ্মীরে বসেই লিখেছিলেন। ১১৪৮ খ্রিস্টাব্দের কিছু আগে-পরে লোহার রাজহর্ষের রাজসভায় পরিবেশিত হয়েছিল রাজতরঙ্গিনী। স্বামী বিবেকানন্দ অমরনাথ দর্শনে গিয়েছিলেন, ক্ষীরভবানী মন্দিরে গিয়ে আকুল হয়ে কেঁদেছিলেন। কাশ্মীর উপত্যকার কোণায় কোণায় ভারতবর্ষের হাজার হাজার বছরের সভ্যতার স্পর্শ। বিদেশি মদতপুষ্ট জেহাদিরা শত চেষ্টা করেও যা নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। তাই আরও উগ্র আর হিংস্র হয়েছে তাদের আচরণ। হিন্দু কী মুসলমান—যে মানুষই ভারতের পক্ষ নিয়েছেন তাঁকেই তারা নির্দয়ভাবে হত্যা করেছে।
অবাক করার মতো বিষয় হল—এই নরঘাতক জঙ্গিদেরকে আগাগোড়া সমর্থন করে এসেছেন তথাকথিত বাম ‘মুক্তমনা’ বুদ্ধিজীবীরা। দিল্লি বা কলকাতার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে এমন কুখ্যাত জল্লাদদের। ধর্মান্ধ জেহাদি আর নাস্তিক বামপন্থীকে একমঞ্চে এনেছে একটাই স্লোগান—‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে’। দুই শিবিরের মূল লক্ষ্যই হল—ভারতকে টুকরো টুকরো করা। এই বোঝাপড়া তাদের কেবল বিচারের ক্ষেত্রে নয় লড়াইয়ের ময়দানেও এক করেছে। ২০১০ সালে কলকাতার সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির অধিকর্তা এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, কীভাবে মাওবাদীরা কাশ্মীরের মুজাহিদিনদের সাহায্যে আফগানিস্তানের তালিবানদের কাছ থেকে দূর নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ প্রযুক্তি সর্বপ্রথম ভারতে এনেছিল।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা যে এমনই ভয়ানক বিপদ ডেকে আনবে তা সর্দার প্যাটেল, বাবা সাহেব আম্বেদকর, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা বুঝেছিলেন। কিন্তু পণ্ডিত নেহরুর অর্থহীন জেদ আর শেখ আব্দুল্লাকে খুশি করার আশ্চর্য বাসনা দেশের বুকে এত বড় বিপদ ডেকে এনেছিল। শেখ আব্দুল্লাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন বাবা সাহেব আম্বেদকর। সংবিধানের জনক এই প্রাজ্ঞ মানুষটি উত্তেজিত হয়ে বলেছিলেন, ভারতের সেনা জওয়ানরা বুকের রক্ত দিয়ে কাশ্মীরকে পাহারা দেবে আর ভারতের কোনও নাগরিকের সেই ভূখণ্ডে কোনও অধিকার থাকবে না—এরকম অন্যায় তিনি হতে দেবেন না। বেগতিক দেখে বাবা সাহেবকে এড়িয়ে জওহরলাল নেহরু এই ৩৭০ ধারা সংসদে এনেছিলেন। এ নিয়ে আলোচনার দিন আম্বেদকরজি একটিও প্রশ্নের উত্তর দেননি। আর প্রতিবাদ করেছিলেন ভারতকেশরী শ্যামাপ্রসাদ।
শ্যামাপ্রসাদ খুব কম বয়সে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছিলেন। উপাচার্য হিসেবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তিনি সমাবর্তন ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। পরাধীন ভারতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঐতিহ্যমণ্ডিত শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুদেব বাংলায় ভাষণ দিলেন! সে সাহস কেবল শ্যামাপ্রসাদেরই ছিল। আজকে সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের প্রতিষ্ঠার সময় বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার সবচেয়ে বড় ভরসাস্থল ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। কাজী নজরুল ইসলাম এক পত্রে লিখেছিলেন নতুন স্বাধীন ভারতের কাণ্ডারী হবেন সুভাষচন্দ্র বসু আর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এই কৃতী বঙ্গসন্তান দেশের জন্য সবকিছিু ছেড়ে সুদূর কাশ্মীরে গিয়ে প্রাণ দিলেন।
অথচ, আজ যখন শ্যামাপ্রসাদের আত্মবলিদান সার্থক হয়েছে তখন বাংলার মানুষ রাজনৈতিক বিভেদ ভুলতে পারলেন না। ৩৭০ ধারা বিলোপের পথে হাতে হাত ধরে বাধা দিচ্ছে তৃণমৃল কংগ্রেস আর ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। সংসদের উচ্চ কক্ষে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি এর বিরোধিতা করেছেন। সংসদে বাংলা থেকে বামেদের কোনও প্রতিনিধি নেই। তাই তাঁরা বাইরে প্রতিবাদ করেছেন। গত সোমবার মহাজাতি সদনে সিপিএম দলের রাজ্য সম্পাদক সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারা সংরক্ষণের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। দলীয় মুখপত্র প্রথম পাতায় ‘সংবিধানে ছুরিকাঘাত’ বলে অভিহিত করেছে ৩৭০ ধারা বিলোপকে। পাকিস্তানও বিব্রত। ইসলামাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ৩৭০ ধারা খারিজের এই ‘বেআইনি’ এবং একতরফা সিদ্ধান্তের মোকাবিলা করবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান।
কিন্তু সারা ভারতের মহল্লায় মহল্লায় আজ উৎসবের চেহারা। শত শত মানুষ প্রাণ খুলে স্লোগান দিচ্ছেন—‘‘যাহা হুয়ে বলিদান মুখার্জি, ওহ কাশ্মীর হমারা হ্যায়।’’ সত্যিই জিতে গেলেন শ্যামাপ্রসাদ।
 সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এ কর্মরত 
07th  August, 2019
সভাপতি পদে সোনিয়াজির প্রত্যাবর্তনে কংগ্রেস কি ছন্দ ফিরে পাবে
শুভা দত্ত

ছন্দ তো হারিয়েছে বহুদিন। ছন্দে ফেরার চেষ্টা—সেও শুরু হয়েছে বহুদিন। কিন্তু কিছুতেই যেন সেই পুরনো দমদার ছন্দে ফিরতে পারছে না জাতীয় কংগ্রেস! নেহরু-ইন্দিরার আমল থেকে গান্ধী পরিবারের ছত্রচ্ছায়ায় এবং নেতৃত্বে দলের যে অপ্রতিরোধ্য ছন্দ গোটা দেশকে কংগ্রেসি তেরঙ্গায় বেঁধে রেখেছিল, যে ছন্দ কংগ্রেস প্রতীক ইন্দিরার পাঞ্জার উপর বছরের পর বছর দেশের মানুষের আস্থা বিশ্বাস ও আবেগ ধরে রেখেছিল, জরুরি অবস্থা, নাসবন্দির মতো কাণ্ডের পরও যে ছন্দ ক্ষমতার কেন্দ্রে ফিরিয়ে এনেছিল কংগ্রেসকে, ইন্দিরা এবং ইন্ডিয়া হয়ে উঠেছিলেন সমার্থক—জাতীয় কংগ্রেসের সেই অমিত শক্তি রাজনৈতিক ছন্দ অনেক কাল আগেই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছে।
বিশদ

ওয়াল স্ট্রিটের ‘নেকড়ে’-র গল্প!
মৃণালকান্তি দাস

ওয়াশিংটনের অপরিচিত কোনও এক পথে হাঁটতে হাঁটতে গল্পটা শুনিয়েছিলেন এমিলি ব্রাউন। গল্প বলতে, এক অপরাধীর ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনী। জর্ডন বেলফোর্টের গল্প। যিনি জীবনে অপরাধের নেশায় পড়ে সবকিছু হারিয়েছিলেন। কে এই জর্ডন বেলফোর্ট, জানেন? যাঁর জীবন কাহিনী শুনলে মনে হবে, এ এই মার্কিন মুলুকেই সম্ভব! বিশদ

17th  August, 2019
স্বাধীনতা ৭৩ এবং ভূস্বর্গের মুক্তি
মেরুনীল দাশগুপ্ত

গরিবি যতদিন না যাবে ততদিন এই উপত্যকায় শান্তি আসবে না। কারণ, কাশ্মীরি মানুষের গরিবিই ওদের একটা বড় হাতিয়ার। গরিব মানুষজনের অনেকেই ক’টা টাকার লোভে পড়ে সীমান্তর ওপার থেকে আসা লোকজনকে আশ্রয় দিয়ে, লুকিয়ে রেখে, খাবারদাবারের ব্যবস্থা করে ভ্যালির বিপদ বাড়িয়ে তুলছে।
বিশদ

15th  August, 2019
বনে থাকে বাঘ 
অতনু বিশ্বাস

ছেলেবেলায় ‘সহজ পাঠ’-এ পড়েছিলাম ‘বনে থাকে বাঘ’। যদিও এই পাঠটা যে খুব সহজ আর স্বাভাবিক নাও হতে পারে, অর্থাৎ বনে বাঘ নাও থাকতে পারে, সেটা বুঝতে বেশ বড় হতে হল। ছোটবেলায় অবশ্য মনে বদ্ধমূল ধারণা ছিল, বন-জঙ্গল গিজগিজ করে বাঘে। 
বিশদ

13th  August, 2019
রক্ষক আইন যেন ভক্ষক না হয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভিক্টরি ম্যানসনে ঢুকলেন উইনস্টন স্মিথ। বহুতলে ঢুকেই নজরে আসবে দো’তলা সমান আখাম্বা ছবিটা। শুধু একটা মুখ। নীচে ক্যাপশন করা, বিগ ব্রাদার কিন্তু তোমাকে দেখছে। জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাস ১৯৮৪-এর শুরুতেই উল্লেখ এই ছবির। আর এই নভেলের সারমর্মও লুকিয়ে এই ছবিতে—বিগ ব্রাদার দেখছে, তাই সাবধান। সাবধান হও সবাই... সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সাফাইকর্মী, বেসরকারি চাকুরে... মোদ্দা কথা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। সবসময় নজরদারি।  
বিশদ

13th  August, 2019
পুতিন কি পারবেন নতুন বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে?
গৌরীশঙ্কর নাগ

 ১৯১৭ খ্রিস্টব্দে বা তার কিছু আগে থেকে লেনিন, ট্রটস্কি প্রমুখ নিবেদিত প্রাণ কমরেডের হাত ধরে সোভিয়েত সমাজতন্ত্র নামক যে মহীরুহটি ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল তা গর্বাচেভ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর কীভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে—বিস্ময়ের সঙ্গে আমরা সেটা দেখেছি।
বিশদ

12th  August, 2019
স্টেট নয়, শুধুই রিয়াল এস্টেট
পি চিদম্বরম

 জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে প্রায়ই লিখি কিন্তু আজকেরটা অন্যরকম। জম্মু ও কাশ্মীর আর আগের জম্মু ও কাশ্মীর নেই। এটা আর রাজ্য নয়। এটাকে বিভক্ত করা হয়েছে। এখন দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল—লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর। ভারতের সংবিধানে কোনও রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্তরে নামিয়ে আনার ঘটনা এর আগে ঘটেনি।
বিশদ

12th  August, 2019
রাহুল সরে দাঁড়াতেই কংগ্রেস এমন নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে কেন?
শুভা দত্ত

 প্রশ্নটা আজ দেশের সর্বস্তরে। পথে-ঘাটে অফিসে আড্ডায় যেখানেই চলতি রাজনীতি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের উদয় হচ্ছে সেখানেই প্রশ্নটা যেন অনিবার্যভাবে এসে পড়ছে! কংগ্রেসের হলটা কী! রাহুল গান্ধী না বলে দিতেই আর সভাপতি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কংগ্রেসে! গান্ধী ফ্যামিলি ছাড়া কংগ্রেস সভাপতি খুঁজে পাচ্ছে না— এ তো বড় অদ্ভুত ব্যাপার! কংগ্রেসের জন্মের পর থেকে গান্ধী ফ্যামিলির বাইরের দেশ রাজনীতির কত দিকপালই তো জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করেছেন—উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, দাদাভাই নৌরজি, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষচন্দ্র, অ্যানি বেসান্ত, চিত্তরঞ্জন, সরোজিনী নাইডু, বল্লভভাই প্যাটেল, কামরাজ, জগজীবন রাম—কত নাম বলব। নিশ্চয়ই এই তালিকায় নেহরু থেকে ইন্দিরা, রাজীব, সোনিয়া হয়ে রাহুল—গান্ধী পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।
বিশদ

11th  August, 2019
শুধু উন্নয়ন নয়, ভোটের জন্য চাই ভালো মাস্টার
তন্ময় মল্লিক

মোটা বেতন দিয়ে মাস্টার রাখলেই ছেলেমেয়ে মানুষ হয় না। তেমনটা হলে সব বড়লোকের ছেলেমেয়েই উচ্চশিক্ষিত হতো। কিন্তু, তা তো হয় না। ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনায় আগ্রহ, মেধা যেমন থাকা দরকার, তেমনই নজরদারিটাও জরুরি। ফাঁকিবাজি থাকলেই ছাত্র হয় গাড্ডু খাবে, অথবা ‘বিবেচনায়’ পাশ।
বিশদ

10th  August, 2019
পঞ্চায়েত নির্বাচন, ৩৭০ কিংবা ৩৫এ
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গ ২০১৮, আর ত্রিপুরা ২০১৯। পঞ্চায়েত ভোটে ফলাফল একইরকম। ঠিক কত আসন সেটা গোনার দরকার নেই। সহজ অঙ্কে বিষয়টা এরকম। ধরা যাক, মোট আসন ১০০, শাসক দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৭০টি আসনে। বাকি তিরিশের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের শেষে শাসক দল ২০, বিরোধীরা দশ। পাটিগণিতের অঙ্ক একেবারে মিলে গেল।
বিশদ

10th  August, 2019
কাশ্মীর: নতুন চ্যালেঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

 প্রকৃত চ্যালেঞ্জ সরকারের। কাশ্মীরকে আন্তরিকভাবে ভারতের অন্তঃস্থলে মিশিয়ে দেওয়ার কাজটিই কিন্তু হবে কাশ্মীরের নয়া ইতিহাস রচনা। সেটা নিছক একটা ভূমিখণ্ড দখল নয়। কাশ্মীরিয়াৎকে আপন করে নেওয়া। একমাত্র তাহলেই পাকিস্তান সবথেকে বেশি ধাক্কা খাবে! আর কাশ্মীরিদের আমরা যদি শত্রু বিবেচনা করে চলি, তাহলে কিন্তু টেনিসের পরিভাষায় অ্যাডভান্টেজ পাকিস্তান হয়ে যাবে! সে সুযোগ দেব কেন?
বিশদ

09th  August, 2019
সংযুক্তিকরণের মিশ্র অভিজ্ঞতার পংক্তিতে কাশ্মীর
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 সমস্ত প্রশ্ন আসলে আবর্তিত হচ্ছে মূলত কাশ্মীরসমস্যা সমাধানের প্রশ্নে ‘স্বাধিকার বনাম সংযুক্তিকরণ’ ভাবনাকে কেন্দ্র করে। নেহরুর অনুসৃত কাশ্মীরের স্বাধিকার মডেল বিগত ৭০ বছর ধরে কার্যকরী থাকলেও কাশ্মীরসমস্যার সমাধান কিন্তু অধরাই থেকে গিয়েছে। তৈরি হয়েছিল অচলাবস্থা। বিজেপির সংযুক্তিকরণ মডেলে কাশ্মীরের এই দীর্ঘ অচলাবস্থা ভেঙে এগিয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সংযুক্তিকরণ মডেলের যে অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে, তা মিশ্র। চীনের সঙ্গে তিব্বতের সংযুক্তিকরণ সফল হয়েছে। আলাস্কার ক্ষেত্রেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ সফল ছিল। আবার চীনের সঙ্গে হংকংয়ের সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া কিন্তু কঠিন বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এখন দেখার, কাশ্মীরকে ভারতের মূল প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়ার ফল কী হয়? বিশদ

08th  August, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, বসিরহাট: ভ্যাপসা গুমোট গরমের শেষে একটানা বৃষ্টির স্বস্তি এখন অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বসিরহাট পুরসভা এলাকায়। বেশিরভাগ ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি জলের তলায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ...

 সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ি সদর এলাকায় টোটোর দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করতে ময়নাগুড়ি পুলিস প্রশাসন বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ব্যস্ত রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে টোটো পার্কিং করা হলে তা ...

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুর শহরে দলমাদল রোডে ভরসন্ধ্যায় যুবক খুনের ঘটনায় শুক্রবার রাতে পুলিস এক ফুচকা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মধুসূদন মাঝি। তার বাড়ি বিষ্ণুপুর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ,ওইদিন সন্ধ্যায় ফুচকা বিক্রেতার সঙ্গে যুবকের বচসা বাধে। তা ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গোটা বিশ্বেই মধ্যবিত্ত শ্রেণী বাড়ছে দ্রুত। নতুন প্রজন্ম অর্থ উপার্জন করছে বলেই এই শ্রেণীর বাড়বাড়ন্ত। সরকারেরও উচিত তাদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া। সেই কারণেই সরকার যতটা পেনশন খাতে খরচ করে, তার চেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত শিক্ষা খাতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০০: রাজনীতিক বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের জন্ম
১৯৩৬: গীতিকার ও পরিচালক গুলজারের জন্ম
১৯৫৮: ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করলেন প্রথম এশীয় ব্রজেন দাস
১৯৮০: সঙ্গীতশিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৯ টাকা ৭২.২৯ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৮১ টাকা ৮৭.৯৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৮৩ টাকা ৮০.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  August, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৪৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,২৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ ভাদ্র ১৪২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৪৯/৪৯ রাত্রি ১/১৪। পূর্বভাদ্রপদ ২৯/২ অপঃ ৪/৫৫। সূ উ ৫/১৮/২, অ ৬/৩/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৯ গতে ৯/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/২ মধ্যে, বারবেলা ১০/৫ গতে ১/১৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫ গতে ২/৩০ মধ্যে।
৩২ শ্রাবণ ১৪২৬, ১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৪৩/৯/৬ রাত্রি ১০/৩২/৩৬। পূর্বভাদ্রপদনক্ষত্র ২৬/১/৪১ দিবা ৩/৪১/৩৮, সূ উ ৫/১৬/৫৮, অ ৬/৫/৪৬, অমৃতযোগ দিবা ৬/১২ গতে ৯/৩১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৪ মধ্যে, বারবেলা ১০/৫/১৬ গতে ১১/৪১/২২ মধ্যে, কালবেলা ১১/৪১/২২ গতে ১/১৭/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫/১৬ গতে ২/২৯/১০ মধ্যে।
 ১৬ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রাকবিবাহ কথাবার্তাও হতে পারে। বৃষ: সৌখিন দ্রব্যের ব্যবসা শুভ হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯০০: রাজনীতিক বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের জন্ম১৯৩৬: গীতিকার ও পরিচালক গুলজারের জন্ম১৯৫৮: ...বিশদ

07:03:20 PM

নেতাজিনগরে ২টি অটোর সংঘর্ষ, জখম মহিলা 

08:31:00 PM

বেনিয়াপুকুরে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার 

06:21:00 PM

পানিহাটিতে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া যুবকের দেহ উদ্ধার 

05:49:00 PM

পানিহাটিতে গঙ্গায় ডুবে যাওয়া যুবকের দেহ উদ্ধার 

05:46:00 PM