Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অশান্তি ঠেকাতে পুলিসের একাংশের ভূমিকা অশান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে না তো?
শুভা দত্ত

রাজ্যের পরিস্থিতি যে আজ রীতিমতো অশান্ত হয়ে উঠেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। মারদাঙ্গা বোমাবাজি ভাঙচুর খুনোখুনি, এমনকী পুলিসের গুলি কিছুই বাকি থাকছে না! আজ বলে নয়, এবার লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তর থেকে দক্ষিণ, পুব থেকে পশ্চিম, বঙ্গের নানা জায়গায় উত্তাপ ছড়িয়েছে, রক্ত ঝরেছে এবং ঝরেই চলেছে। এর মধ্যেই এইসব অশান্তিতে বেশ কয়েকটি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। নিহতরা সকলেই যে রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থক এমন নয়, সাধারণ লোকও ঘটনাচক্রে হাঙ্গামার বলি হয়েছেন। বিশেষ করে ভোটফল বেরনোর পর উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া কাঁকিনাড়া সমেত গোটা বারাকপুর-নৈহাটি শিল্পাঞ্চল জুড়ে অশান্তির যে আগুন জ্বলেছিল তার তাপ এখনও পুরোপুরি ঠান্ডা হয়নি। শাসক, বিরোধী—উভয় দলের শীর্ষ নেতৃত্বই ওইসব এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে মিটিং-বৈঠক করে এসেছেন, বিজেপির দিল্লি কলকাতার নেতারা এলাকায় গিয়ে সরজমিনে সবকিছু দেখে বুঝে এসেছেন, সেইমতো দলীয় নির্দেশও দিয়েছেন, কংগ্রেস-সিপিএম নেতৃত্বও উদ্যোগী হয়েছেন—তাও এলাকায় শান্তি ফেরেনি। এখনও এলাকায় বিজেপি-তৃণমূলের রাজনৈতিক দ্বেষ-বিদ্বেষে অশান্তির আগুনের হলকা ছুটছে মাঝেমধ্যেই। তার তাপ পৌঁছে যাচ্ছে দেশের সংসদে! তাতে পশ্চিমবঙ্গের যে খুব মুখ উজ্জ্বল হচ্ছে না তা বলাই বাহুল্য।
কিন্তু, তাই বলে তো আর ক্ষমতা দখলের রাজনৈতিক লড়াই থেমে থাকতে পারে না। লোকসভা ভোটে ১৮ আসন পাওয়ার পর সঙ্গত কারণেই বিজেপি পাখির চোখ করেছে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা। ২০২১ সালের ভোটে বিধানসভায় গরিষ্ঠ দল হিসেবে রাজ্যের ক্ষমতার মসনদ দখলের জন্য দিল্লি কলকাতা একাকার করে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষেরা। একদিকে তৃণমূলের দল ভাঙানো চলছে, পুরসভা পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা—সর্বস্তরে শাসক সদস্যদের দলে টানার চেষ্টা চালাচ্ছে পদ্মশিবিরের নেতৃবৃন্দ। তাতে বেশকিছু ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে সাফল্যও মিলেছে। বেশ কয়েকটি পুরসভা, পঞ্চায়েত থেকে একটি জেলাপরিষদ কার্যত দখলে চলে এসেছে বিজেপির। বিধানসভায় সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিজেপির পরিষদীয় নেতারা বসার জন্য স্পিকারের কাছে বড় ঘরের দাবি জানিয়েছেন বলে খবর। টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়াতেও বিজেপির পদসঞ্চার শুরু হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি নানান অপ্রীতিকর ঘটনাকে শিখণ্ডী করে চলছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলে রাজনৈতিক মাইলেজ ও জনসমর্থন বাড়ানোর রাজনৈতিক প্রয়াস। চলতি অশান্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে কদিন আগে লালবাজার অভিযান চালিয়েছে বিজেপি ও তার সহযোগীরা। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, জলকামান অবরোধে মধ্য কলকাতা বেশ কিছুক্ষণের জন্য অচল হয়েছে, বিজেপির এক রাজ্য নেতা সেই ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়েছেন। কাঁচরাপাড়া ভাটপাড়া নিয়েও তাঁরা আন্দোলন প্রতিবাদে সরগরম করে তুলছেন শহর, শহরতলি। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে একটা রাজনৈতিক সংঘাত সংঘর্ষের আবহ ক্রমশ সাধারণ জনজীবনে চিন্তার ছায়া ফেলতে শুরু করেছে। আপ্রাণ চেষ্টা করেও মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর প্রশাসন পুলিস এই ছায়া পুরোপুরি মুছে ফেলতে পারছে না!
আর এখানেই পুলিসের একাংশের ভূমিকা ও সক্রিয়তার ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে! এনআরএসে ডাক্তার নিগ্রহই হোক কি ভাটপাড়া কাঁচরাপাড়া—পুলিস যে যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি, বরং অনেক ক্ষেত্রে একেবারে নিষ্ক্রিয় নীরব থেকেছে—এমন অভিযোগও উঠেছে! এনআরএসে আন্দোলনরত ডাক্তারদের অনেকে সে সময় অভিযোগ করেছেন, বহিরাগতরা যখন ট্রাকে করে হামলা চালাতে এসেছিল তখন পুলিস তাদের ঠেকাতে নাকি কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। নিলে জুনিয়র ডাক্তার পরিবহকে অমন মারাত্মক আহত হতে হতো না। হাসপাতালের হাজার হাজার মরণাপন্ন রোগীকে অত দিন অত কষ্টও স্বীকার করতে হতো না। ভাটপাড়া কাঁচরাপাড়া সমেত বারাকপুর-নৈহাটি শিল্পাঞ্চলের অশান্তির ক্ষেত্রেও সেই এক কথা—এলাকায় পুলিসের অভাব ছিল না। কিন্তু, কার্যকালে তাদের একাংশের ভূমিকা সন্তুষ্ট করতে পারেনি যুযুধান রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রী থেকে সাধারণ মানুষ কাউকেই! অভিযোগ এমনই। কিন্তু কেন? রাজ্য পুলিসের বড় কর্তারা এলাকা সফর করে আসার পরও নাকি পরিস্থিতিতে খুব একটা রকমফের হয়নি! এটা আশ্চর্যের নয়! বিশেষ করে খোদ মুখ্যমন্ত্রী যখন বলছেন, যে কোনও মূল্যে হাঙ্গামা সন্ত্রাস থামান, কে কোন দলের কী গোত্রের তা না দেখে গুন্ডা বদমাস বহিরাগতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করুন— তখনও পুলিসের একাংশের এই আচরণ কি সন্দেহ জাগায় না?
শুধু কি তাই? গত কয়েক দিনে তো দেখা গেল অবস্থা সামাল দিতে না পেরে পুলিসের হাতিয়ার থেকে গুলিও চলে যাচ্ছে! তাতে হতাহতও হচ্ছে! কী মর্মান্তিক! এ আবার কী! এসব চলতে থাকলে বিরোধীরা তো বলবেই, সিপিএম আমলের শেষদিকে নন্দীগ্রাম সিঙ্গুর নেতাইয়ের মতো জায়গায় যে ‘ট্রিগার হ্যাপি’ পুলিস দেখা দিয়েছিল তাদের উত্তরসূরিরা এখন রাজ্যের কোথাও কোথাও দেখা দিচ্ছে! বৃহস্পতিবার গুড়াপে বিজেপি সমর্থকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাতে পুলিসের বিরুদ্ধে আঙুল তো উঠেছে! সাম্প্রতিকে এর আগেও পুলিসের গুলি চলেছে অন্যত্র। পুলিসের কারও কারও এমন উগ্র ভূমিকায় বিশিষ্টজনেরা যে বিশেষ উদ্বিগ্ন এবং সাধারণ মানুষজনের মধ্যে যে যথেষ্ট উদ্বেগ ছড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আসলে রাজ্যের সাধারণ জনতা তো এমন পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত নন। তাঁদের তাই এখন একটাই প্রশ্ন, হিংসা হানাহানি ঠেকাতে পুলিস লাঠি চালাক, গ্যাস ছুঁড়ুক, জলকামান ব্যবহার করুক কিন্তু গুলি কেন? অনেকেই এও বলছেন, পুলিসের গুলিচালনা একটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর ব্যাপার। জনমনে তার একটা আলাদা এবং গভীর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সিপিএমের সর্বনাশ করে ছেড়েছিল পুলিসের এই গুলি। আবার তার পুনরাবৃত্তি কেন? এতে তো বিরোধীরা, বিশেষত বিজেপি তাঁদের শাসকবিরোধী আন্দোলনে বাড়তি রসদ পেয়ে যাচ্ছে! সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে উদ্বেগ উত্তেজনা বাড়ছে। এহেন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এমন সংশয় জড়িত প্রশ্নও উঠছে যে, অশান্তি ঠেকাতে পুলিসের একাংশের এই অপ্রত্যাশিত ভূমিকা অশান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে না তো?
প্রশ্নটি নিতান্ত অমূলক বলা যাবে কি? যাবে না। তার কারণ, সাম্প্রতিকে এনআরএস, ভাটপাড়া ইত্যাদি কয়েকটি ঘটনায় দেখা গেছে সংশ্লিষ্ট পুলিসের একাংশ তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন তো করেইনি, উল্টে এমন সব আচরণ করেছে যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল এবং উত্তেজক করে তুলেছে! কেবল আমরা নয়, তথ্যভিজ্ঞরাও বলছেন এমন কথা। আমরা বলছি না যে সব পুলিস এমন করছেন। কিন্তু কয়েকজনের জন্য বদনাম হচ্ছে গোটা পুলিস বাহিনীর, পুলিসের উপর লোকের বিরূপতা বাড়ছে। তার চেয়েও বড় কথা পুলিসমন্ত্রী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতার অস্বস্তি বাড়ছে! বিজেপি কংগ্রেস সিপিএমের মতো বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে স্ব-স্ব রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। এবং ওইসব পুলিসের জন্য জনমনেও যে কাঁটার খোঁচা বাড়ছে তাতেই বা সন্দেহ কী? ইতিমধ্যেই রাজ্যের পুলিস প্রশাসনে কিছু রদবদল করেছেন মমতা। তাতে হয়তো পুলিসের কাজকর্মে কিছু উন্নতি হয়েছে বা হবে। কিন্তু, মাদক বিরোধী অনুষ্ঠানে যে পুলিস অফিসার আকণ্ঠ পান করে অংশ নেওয়ার দুঃসাহস দেখায় বা চোখের সামনে মারদাঙ্গা খুনোখুনি হতে দেখেও যে পুলিস উদাসীন দর্শকের ভূমিকা নেয় বা যে পুলিস হাইওয়েতে লরি-গাড়ি থামিয়ে যানজট বাধিয়ে তোলা আদায় করে বা যে পুলিস অকারণে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করে নির্বিকার চিত্তে— শুধু বদলিতে তাদের চিত্তশুদ্ধি হবে, তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সৎ স্বচ্ছ স্বাভাবিক জনদরদি হয়ে পড়বে এমনটা ভাবা বোধহয় একটু বেশিই হয়ে যায়, তাই না? কিন্তু উপায় কী? রদবদল করেই এদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়—এমনটাই বলছেন কর্তারা।
এখন কথা হল—লোকসভার ভোটফল প্রকাশের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে যে মেজাজি রাজনীতি শুরু হয়েছে, তৃণমূল বিজেপির মধ্যে সমানে সমানে রাজনৈতিক লড়াইয়ের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে (এবং যার জন্য মাঝেমধ্যেই রাজ্যের নানা এলাকা গরম হয়ে উঠছে, রক্ত ঝরছে) তার সুর যে আগামী দিনে আরও চড়া হবে তা বলাই বাহুল্য। এ রাজ্যে আগামী বছরের পুরভোট বা তার পরবর্তী বিধানসভার নির্বাচন কতটা শান্তিতে হবে তা নিয়ে তাই এখন থেকেই রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞদের অনেকে বিশেষ চিন্তিত। সাধারণের মহলেও তা নিয়ে একটা চাপা উদ্বেগ লক্ষ করা যাচ্ছে। ভোট পরবর্তী উত্তপ্ত পরিস্থিতি সন্ত্রাসের চোখরাঙানি, বিবদমান রাজনৈতিক শিবিরগুলির হুমকি প্রতিহুমকি নিঃসন্দেহে সেই উদ্বেগে শঙ্কার বাড়তি ইন্ধন জোগাচ্ছে। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা জনজীবনকে রাজনৈতিক সংঘাতের তাপোত্তাপ থেকে বাঁচাতে অন্যতম ভরসা পুলিস।
পুলিসি দক্ষতা এবং সময়ানুগ সক্রিয়তা বজায় থাকলে অনায়াসে অনেক কিছুই সহজে মিটে যায় বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রাণও বাঁচে। কিন্তু, মার ঠেকাতে গিয়ে যদি পুলিসই প্রাণঘাতী মারমুখী হয়ে ওঠে তবে তো বিপদ। সেই বিপদের আভাস মিলেছে। যতদূর খবর, বিপদ যাতে বাড়তে না পারে তার
জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিচ্ছে মমতা সরকার।
সেই ব্যবস্থায় শেষপর্যন্ত কতটা কাজ হয় এখন
সেটাই দেখার।
30th  June, 2019
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
একনজরে
একাধিক মামলায় তিনি ছিলেন পুলিসের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। জানুয়ারিতেই তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত, থাইল্যান্ডে ধরা পড়লেন নয়ডার স্ক্র্যাপ মাফিয়া তথা উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রবি কানা। ...

একটা নেটে অনবরত হাত ঘুরিয়ে চলেছেন সুয়াশ শর্মারা। আর একটা নেট পেসারদের দখলে। মূল পিচের ঠিক পাশের নেটে আবার থ্রো ডাউনের বিরুদ্ধে টক টক করে ...

তাপমাত্রা বাড়তেই ভাবনা বদল। বুধবার বালুরঘাটে এই মরশুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন পারদ আরও চড়ার পূর্বাভাস পেয়ে ভোট দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন ভোটাররা। ...

কলকাতা বেলেঘাটার বাসিন্দা গণেশ দাসকে খুনের ঘটনায় বুধবার উদ্ধার হল কিছু হাড়গোড়। জয়পুর থানার পুলিস জানিয়েছে, গাইঘাটা খাল থেকে ফিমার, কোমরের সহ সাতটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি জলে ডুবিয়ে রাখতে ব্যবহৃত বস্তা, দড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM