Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ
হারাধন চৌধুরী

আমাদের স্বাধীনতার বয়স বাহাত্তর বছর। পশ্চিমবঙ্গের জন্য এই পর্ব-দৈর্ঘ্যটাকে আমরা চারটি ভাগে ভাগ করতে পারি। কংগ্রেস জমানা, যুক্তফ্রন্ট জমানা, বামফ্রন্ট জমানা এবং চলতি তৃণমূল জমানা। অস্থির ও ক্ষণস্থায়ী যুক্তফ্রন্টের স্বল্পকাল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আট বছর বাদ দিলে বাকি সময়টাই সবচেয়ে লম্বা—যেটা শাসন করেছে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের বকলমে সিপিএম। প্রতিটি জমানার রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার একটি ‘কমন’ দিক হল দুর্নীতি। প্রতিটি জমানার শুভসূচনা হয়েছে। কিন্তু, কিছুদিন পরই শাসকরা উপলব্ধি করেছেন, স্বচ্ছতার প্রশ্নে তাঁরা কথা রাখতে পারছেন না। মানুষ আশাহত হচ্ছে। কাদের জন্য দল এবং/অথবা সরকারের সুপ্রিমোর কথার খেলাপ হচ্ছে—তাও অজানা থাকছে না, দলীয় এবং প্রশাসনিক সূত্র মারফত সবই জেনে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু, দল বা সরকার কিছু করতে পারছে না। ধরে নিচ্ছি, সুপ্রিমো মানুষটি ব্যক্তিগতভাবে সৎ ও স্বচ্ছ। তবু, কিল খেয়ে কিল হজম করার এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি কাটাচ্ছেন তিনি।
একটি বিধানসভার ভোটের মাঝে পুরভোট, পঞ্চায়েত ভোট, লোকসভার ভোট প্রভৃতি হচ্ছে। সেসব ভোটেও দল এবং সরকারের অস্বচ্ছ ভাবমূর্তির স্পষ্ট প্রভাব পড়ছে। পরবর্তী বিধানসভার ভোটের কথা মাথায় রেখে শাসক দল এবং সরকারের সতর্ক হওয়ার কথা। তবু, দল এবং সরকারের অভ্যন্তরের বেচাল প্রভাবশালীদের কিছু করতে পারছেন না শীর্ষকর্তাটি। দলের একাংশের দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে আমলাদের একটি অংশ ব্ল্যাকমেল করেন, যার অর্থ আরও বেশি বেশি দুর্নীতিতে শাসকের ডুব দেওয়া। এই অন্যায়ের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নেওয়া তো কল্পনাতীত!
ট্রাডিশন ভাঙার সাহস দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮ জুন কলকাতায় পুর কাউন্সিলারদের নিয়ে দলের তরফে একটি মিটিং ডাকা হয়েছিল। তৃণমূল সুপ্রিমো কোনও রাখঢাক না-করে সেখানে চাঁচাছোলা ভাষায় নির্দেশ দেন, যাঁরা কমিশন খেয়েছেন অবিলম্বে ফেরত দিন। একইসঙ্গে দলনেত্রীর হুঁশিয়ারি ছিল, এই নির্দেশ অমান্য করলে দোষীদের দল থেকে তাড়িয়ে ছাড়বেন। তাঁর সাফ কথা, দলে চোরেদের কোনোমতেই রাখবেন না। স্মরণকালের মধ্যে এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতির গড্ডলিকা প্রবাহে ভাসলেন না। আর্থিক দুর্নীতির প্রশ্নে তিনি প্রথম আঙুল তুললেন নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে! তিনি কি ভাবলেন না, যা বললেন রাজনীতির মঞ্চে তার গুরুত্ব কতখানি। তাঁর এই কথার ভিতর যে স্বীকারোক্তি আছে সেটাকেই হাতিয়ার করতে এবার মরিয়া হবে বিরোধীরা? ইতিমধ্যেই তৃণমূলের ভিতর থেকে বলা শুরু হয়ে গিয়েছে, দিদি এ কী করলেন! এমনকী দলের এক এমপি এজন্য বেশ ক্ষোভের সঙ্গে প্রকাশ্যে তাঁর আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন।
এসব কথা যাঁরা বলছেন, তাঁরা হয়তো ভুলে যাচ্ছেন বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিটা সবসময় অন্যরকম। তিনি চ্যালেঞ্জ নিতেই পছন্দ করেন, তবে কোনও ছোটখাটো চ্যালেঞ্জ নেওয়া তাঁর ধাতে সয় না। কংগ্রেসে থাকার সময় হাইকম্যান্ডকে বারবার চ্যালেঞ্জ করেছেন নির্ভয়ে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছেন। একাধিক ভোটে কংগ্রেস অথবা বিজেপির সঙ্গে জোট করেছেন। সেই জোট ভেঙেওছেন নিজস্ব ভঙ্গিতে। লোকসভায় একেবারে একা, নিঃসঙ্গও হয়েছেন। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে অগ্নিবর্ষী আন্দোলন করেছেন। আমরা, সাধারণ মানুষ, প্রতিবারই ভেবে নিয়েছি, তিনি ‘ভুল’ করছেন। দলের অতি ভক্ত সমর্থকদেরও অনেকে তার অতিরিক্ত কিছু ভাবতে পারেননি। কিন্তু বাস্তবটা হল—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার ভিকট্রি স্ট্যান্ডে ফিরে এসেছেন রূপকথার পাখির মতোই!
আসলে, তাঁর আপাত ভুলগুলি সবসময়ই এক-সে-এক মাস্টার স্ট্রোক (এই উপলব্ধির কথা অতীতে একাধিকবার এই স্থানে লিখেছি)। তিনি এবার যে চ্যালেঞ্জটি নিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে তাঁর অতীতের সব চ্যালেঞ্জকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। এবারেরটিও ‘আপাত ভুল’ না কি তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা মিথ্যা করে দিয়ে ‘ব্লান্ডার’ হয়ে উঠবে তা দেখার জন্য আমাদের পরবর্তী বিধানসভার ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
তবে, তাঁর কৌশলী রাজনীতির ধারা বিশ্লেষণ করলে পরিষ্কার হয় যে তিনি মুখ ফসকে এত বড় কথাটি বলেননি—যাতে বিজেপির দ্রুত এগতে সুবিধা হয় কিংবা জীবন্মৃত সিপিএম একটু অক্সিজেন পেয়ে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সচেতনভাবেই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছেন বলে মনে হয়। পুর কাউন্সিলারদের নিয়ে ওই মিটিং ডাকার উপলক্ষ ছিল দলে শুদ্ধকরণের বার্তা দেওয়া। লোকসভার ভোটে এরাজ্যে বিজেপির বিস্ময়কর উত্থানের খবরটিই প্রচারের আলো কেড়ে নিয়েছে। ওইসঙ্গে চাপা পড়ে গিয়েছে আর-একটি সত্য—নির্বাচন কমিশনের কড়াকড়ির মধ্যেও রাজ্যের শাসক দলের ভোট কমেনি, বরং কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু, সেটা গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে তৃণমূল অনেকগুলি আসন হারানোয়। ভোট-বৃদ্ধি এমপি-বৃদ্ধির নিশ্চয়তা দেয় না। এর পিছনে থাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ জোট-রাজনীতির সত্য।
তবু, তৃণমূল নেত্রী দলের এই আপাত পরাজয়ের গুরুত্ব স্বীকারসহ নিশ্চয় দেখেছেন—বাংলার ২৭টি গ্রামীণ লোকসভা আসনের মধ্যে ১৫টি বিজেপি ছিনিয়ে নিয়েছে। বিজেপি যতগুলি বিধানসভা আসনে এগিয়ে গিয়েছে তার মধ্যে গ্রামীণ আসন শ’খানেক! স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে—কন্যা, ছাত্র, যুব, কৃষক, শ্রমিক, প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, বেকার, সংখ্যালঘু প্রভৃতির জন্য এত যে কাজ করা হল, এত যে রাস্তাঘাট, হাসপাতাল তৈরি হল—দল সেসবের ডিভিডেন্ড পেল না কেন? অনুসন্ধান করতে গিয়ে দল জেনেছে, কাজ হয়েছে বটে ওইসঙ্গে আর্থিক দুর্নীতিও হয়েছে বিস্তর। তাতে অভিযুক্তদের একাংশ দলেরই জনপ্রতিনিধি, নেতা প্রভৃতি; আছেন সরকারি কর্মী আধিকারিকদেরও একাংশ। স্বভাবতই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—গরিবের জন্য বরাদ্দ সরকারি অর্থ নয়ছয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
তাঁর রাজনীতির ধরন যাঁদের মুখস্থ তাঁরাই জানেন, এমন চ্যালেঞ্জ শুধু তাঁর পক্ষেই নেওয়া সম্ভব। এটাকে যাঁরা ঘোলা জলে মাছ ধরার মওকা ভাবছেন, তাঁরা ভুলই করছেন। মানুষ কিন্তু শুধু তৃণমূলকে আতশকাচের নীচে রাখেনি, একই আতশকাচের নীচে বিজেপি এবং তার বন্ধুদেরও রেখেছে। অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টাকে মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইটাকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখতে পারে। জবাব দেওয়ার বেলা মানুষ কতটা নির্মম হতে পারে, তা এই ভোটেই সদ্য দেখেছি আমরা। অতএব, নষ্টামি করার আগে ২০২১ সালের কথাটিও সব দলকে মাথায় রাখতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অঙ্গীকার শুনিয়েছেন, তার আন্তরিকতা কিছুটা প্রমাণ করতে পারলেই বিরাট ব্যাপার। ঘোষণা কার্যকর করার সূচনা যেটা হয়েছে, ফেলনা নয়। অদূর ভবিষ্যতে কিছু রাঘব বোয়ালের সাদা কলারে টান পড়লে অবাক হবেন না।
এতে একদিকে, দলের ভিতরের গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লরা সমঝে যাবেন। অন্যদিকে, তাঁদেরকে সামনে রেখে যেসব সরকারি কর্মী-আমলা ব্ল্যাকমেল করার কূটনীতি নিয়ে চলেন, তাঁরাও জিভটা ছোট করতে বাধ্য হবেন। সে-খবর বাতাসে ভাসবেই। মানুষের চঞ্চল মন ফের তৃণমূলের দিকে ফিরতে শনি মঙ্গলবার দেখবে বলে মনে হয় না।
মনে রাখতে হবে, এবার লোকসভার ভোটে বিজেপি একজন মান্য নেতা দিতে পেরেছিল। কংগ্রেস এবং তৃতীয় শক্তির মধ্যে সেটারই অভাব ছিল এবং বিরাট। নেতৃত্বের প্রশ্নে বিরোধীদের দিশাহীনতাই চওড়া তফাত গড়ে দিয়েছিল। সেই রাজপথেই নরেন্দ্র মোদির বিজয়রথ ছুটে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গে আগামী বিধানসভার ভোটে একই পার্থক্য গড়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে একটিমাত্র দলের এবং একজনমাত্র নেতার। বলা বাহুল্য, নাম দু’টি হল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই, তৃণমূল সুপ্রিমো দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াইয়ের চাল দেওয়ার পর বিজেপির পক্ষে যে-কোনও অসতর্ক পদক্ষেপই কিন্তু বিপজ্জনক। সবচেয়ে কাল হতে পারে তৃণমূল ত্যাগীদের বিজেপিতে নির্বিচারে অভ্যর্থনার হিড়িক। একদিকে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মমতার লড়াই বানচাল করার ষড়যন্ত্র বলে গণ্য হতে পারে। অন্যদিকে, প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে বিজেপির নীতির রাজনীতির বড়াই।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চেয়েছিলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। একটি নমুনা। তাঁর খনিমন্ত্রী কে ডি মালব্য দশ হাজার টাকা দাবি করে এক শিল্পপতিকে চিঠি লিখেছিলেন, ভোটে এক দলীয় প্রার্থীর জন্য। খবর পেয়ে নেহরু ডেকে পাঠান মালব্যকে। মালব্য অভিযোগ মেনে নিতেই নেহরু বললেন, ‘‘এবার তো আপনাকে পদত্যাগপত্র দিতে হবে!’’ অগত্যা মালব্য ঘণ্টা কয়েকের ভিতর তাঁর পদত্যাগপত্র লিখে দিয়েছিলেন।
রাজনীতিকে বিস্মৃতির সেই অতল থেকে নীতির সরণিতে তুলে আনতে পারবেন কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বঙ্গবাসী, এমনকী দেশবাসী আজ সত্যিই তৃষ্ণার্ত!
25th  June, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM