Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সরকারের ভিতরে সরকার 
পি চিদম্বরম

যখন কোনও সরকার একটা মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি হয় তখনই তাকে দেখে অবাক লাগে। কারও দোষত্রুটি ধরা পড়লে কেউই তার দায় নেবে না। দোষারোপের পালা শেষমেশ সরকারের শীর্ষকর্তা—মুখ্যমন্ত্রী অথবা প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে গিয়ে থামে। যাই হোক, বিশদ তদন্তে দেখা যাবে যে দায় বর্তাবার পক্ষে সরকারের শীষর্কতাটিকেই সবার আগে রাখা উচিত নয়, কিন্তু সংসদীয় ব্যবস্থার সরকার ঘুরিয়ে তাঁকেই দায়ী করে থাকে।
নির্দয় মৃত্যু
এনসেফেলাইটিসের মহামারী বিহারে মুজফ্‌ফরপুরে জেলায় এখনও পর্যন্ত ১১৭টি প্রাণ নিয়েছে, এই প্রসঙ্গে একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ম্যানেজমেন্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম অনুসারে, ওই জেলার ১০৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সবগুলি এবং একমাত্র কমিউনিটি হেলথ সেন্টারটির রেটিং ছিল পাঁচের (৫) মধ্যে শূন্য (০)—কারণ, মূল্যায়নের জন্য যে দিকগুলির পূরণ বাধ্যতামূলক ছিল সেগুলি তারা পূরণ করেনি—যেমন মেডিক্যাল অফিসার, নার্স/মিডওয়াইফ প্রভৃতি। অসুস্থ শিশুগুলিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মুজফ্‌ফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পিডিয়াট্রিক ইউনিটে, সেটি পিডিয়াট্রিক আইসিইউ হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য যেসব শর্তপূরণ হওয়া দরকার ছিল তা পূরণ করা হয়নি। এই ঘটনার দায় কে নেবেন? কেউ নেবেন না, সুতরাং আমরা দুষব ছোট সাদা সুস্বাদু ফল লিচুটাকে! ডাক্তাররা বলেছেন যেসব বাচ্চা রাতের খাবার খাবার খায়নি, লিচু খেয়ে কেবল তারাই অসুস্থ হয়েছে! এবং দয়া করে বলুন, ওই বাচ্চারা রাতের খাবার কী কারণে খায়নি? কারণ তারা গরিব এবং খাবার পায়নি। এর থেকে বড় বিপর্যয় এবং বেদনা আর কী হতে পারে? (২০০৮ থকে ২০১৪ সালের মধ্যে এনসেফেলাইটিসে মৃতের সংখ্যা ৬০০০।)
গুজরাতের ভদোদরার নিকটবর্তী এলাকার ঘটনা। দিন কয়েক আগে, একটি হোটেলের সেফটিক ট্যাঙ্ক সাফাই করতে নেমে সাতজন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। এই ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা এই যে প্রথম ঘটল এমন নয়, এবং পরিতাপের বিষয় যে, এটাই শেষ ঘটনা হল বলেও আশা করতে পারি না। সেফটিক ট্যাঙ্ক সাফাই কোনও রকেট সায়েন্স নয়: এই কাজের জন্য অনেক মেশিন পাওয়া যায় এবং কেরলের একটি নতুন সংস্থা এই কাজের উপযোগী একটি ইন্ডিয়ার ভার্সন মেশিনও (বন্দিকুট) বার করেছে। যখন মানুষকে দিয়ে সেফটিক ট্যাঙ্ক এবং স্যুয়ারেজ সিস্টেম সাফাই করা ছাড়া উপায় থাকে না, সেখানে বিশেষ ধরনের পোশাক, মুখোশ এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এই জরুরি সরঞ্জামগুলি দুষ্প্রাপ্য নয় এবং গুজরাতের অন্যতম ধনী জেলা ভদোদরা প্রশাসনের আর্থিক সামর্থ্যের বাইরেও নয়—তবু, সাতজন গরিব মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে দেওয়া হল। (২০১১-২০১৮ সালের ভিতরে ভারতের সব রাজ্যে এইরকম মৃত্যুর যতগুলি খবর নথিভুক্ত হয়েছে, তা থেকে সর্বমোট ১১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।)
হৃদয়বিদারক অবহেলা
আর-একটি অবিশ্বাস্য হৃদয়বিদারক পরিসংখ্যান হল: দিল্লিতে পথদুর্ঘটনায় রোজ গড়ে চারজনের মৃত্যু হয়। আপনি ধরে নিতে পারেন, আগামীকালও জনা-চারেক লোকের এইভাবে মৃত্যু ঘটবে। তার পরের দিন আরও চারজন মরবে। মৃত্যুর গড়পড়তা হিসেবটা এইরকমই চলতেই থাকবে। শুধু এক দিল্লিতেই এই অবস্থা। অথচ, সারা পৃথিবীতে সারা বছরে বিমানদুর্ঘটনায় মোট মৃত্যু যা ঘটে তা এর সামান্য এক ভগ্নাংশমাত্র! তা’হলে আমরা কেন বিমানভ্রমণে নিয়মের কড়াকড়ি করে সড়কপথে ভ্রমণে যত ছাড় দিয়ে বসে আছি? (২০১১-২০১৭ সালের ভিতরে দিল্লিতে পথদুর্ঘটনায় ১২,৭২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।)
আপনি কি কখনও দিল্লির বারাপুলা ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে গিয়েছেন—এটি দিল্লি সরকারের পূর্ত বিভাগের একটি ‘গর্ব’ এবং এটি নির্মাণ করতে অনেক বছর সময়ও নেওয়া হয়েছিল? ফ্লাইওভারটা গড়পড়তা—ডিজাইন এবং এর উপর দিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা মিলিয়ে গড়পড়তাই—কিন্তু নির্মাণের গুণমান যদি বলেন তো জঘন্য। শুধু ফ্লাইওভারের দু’ধারের প্যারাপেটের (কিনারা বরাবর নিচু পাঁচিল) দিকে তাকান দেখবেন কী পরিমাণ ফাটল, ভেঙেচুরেও পড়ছে কোথাও কোথাও, উচ্চতাও সব জায়গায় সমান নয়, স্ল্যাবগুলি সব জায়গায় ঠিকমতো জোড় খায়নি, প্লাস্টার এবং রং যা হয়েছে সেও ভয়ানক খারাপ এবং, সব মিলিয়ে কুচ্ছিত। তার পরেও এই ফ্লাইওভার সমস্ত প্রকার কোয়ালিটি টেস্টে পাশ করেছে, ঠিকাদারকে তাঁর প্রাপ্য টাকা মেটানো হয়েছে (এবং ধরে নেওয়া যায় যে তিনি আপ্যায়িতও হয়েছেন) এবং সেটির উদ্বোধন হয়েছে ২০১০ সালে। মেরামতির জন্য এটা যে বন্ধ করে রাখতে হবে সে আর বেশিদিন নেই।
সংকল্প ও রূপায়ণ
উপরের এই ঘটনাগুলির একটিতেও—আপনি না অন্যদের কথা ভাবতে পারবেন—না বলতে পারবেন যে কোথাও নীতিগত ব্যর্থতা ছিল। প্রত্যেকটি সরকারের পলিসি হল—হাসপাতাল নির্মাণ করা, তার স্বাস্থ্যবিষয়ক সমস্ত দিক সাজিয়েগুছিয়ে তোলা; মানুষকে দিয়ে সাফাই (ম্যানুয়াল স্কাভেনজিং) চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া; ট্রাফিক সংক্রান্ত নিয়মকানুন বলবৎ করবে এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে; শহর নগর প্রভৃতিকে উচ্চমানের পরিকাঠামোসহ সৌন্দর্যায়ন ঘটাবে; এবং এই যুগে আরও যা যা দরকার তারা করবে।
আইনসভা অথবা এক্সিকিউটিভ (অর্থাৎ মন্ত্রীরা) নীতিপ্রণয়ন করেন এবং, স্বভাবতই, তাঁরা চান যে সেই নীতি যথাযথভাবে রূপায়িতও হবে। কিন্তু সংকল্প এবং রূপায়ণের মধ্যে ব্যবধান যেটা সে দুস্তর। কেন? এটা আমাদের বলতে সঙ্কোচ হয়, কিন্তু অবশ্য করে বলাই দরকার: সরকারের (the Government with a capital G—আমরা এখানে ‘বড়’ সরকার বলব) ভিতর আর একটি সরকার (the Government with a small g—আমরা এখানে ‘ছোট’ সরকার বলব) আছে। এখানে ‘ছোট’ সরকারটি ‘বড়’ সরকারটিকে, একইসঙ্গে জনগণকে ব্যর্থ করে দিয়েছে, অনন্ত ভারতের ক্ষেত্রে কথাটি খাটে।
দু’টি বিপরীত দৃষ্টান্তের মাধ্যমে এটা বোঝাতে পারি। ডিমনিটাইজেশন বা বিমুদ্রাকরণ ছিল পলিসিগত দিক থেকে এক বিরাট ভুল (পলিসি ব্লান্ডার); এমন পলিসি নিতে যেসব মন্ত্রী প্ররোচনা দিয়েছিলেন এবং তা ‘বড়’ সরকারকে দিয়ে কার্যকর করিয়েছিলেন, তার দায়টাও তাঁদের অবশ্যই নিতে হবে। অন্যদিকে, পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) একটি দারুণ পলিসি। এই জিএসটি যদি বিমুদ্রাকরণের মতোই দুর্ভোগের কারণ হয়ে থাকে তবে তার দায়টা ‘ছোট’ সরকারটির উপরেই বর্তায়।
‘স্বচ্ছ ভারত’ একটি দারুণ পলিসি, কিন্তু রাজ্যের এবং গ্রামের খোলা স্থানে শৌচকর্ম (ওডিএফ) সম্পর্কে স্টেটাস রিপোর্টে যে মিথ্যে পরিসংখ্যান প্রদান সেটা হল ‘ছোট’ সরকারের জোচ্চুরি। ‘উজ্জ্বলা’ও একটি ভালো পলিসি, কিন্তু বছরে তিনটি করে রিপ্লেসমেন্ট সিলিন্ডার দেওয়ার যে ব্যবস্থা সেটা হল ‘ছোট’ সরকারের একটি ব্যর্থতা।
আমরা কিন্তু ভোটটা দিই ‘বড়’ সরকারের কথা মাথায় রেখে। তার ভিতরে এই যে ‘ছোট’ সরকারটি তার উপরে মানুষের কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই। তাকে বাছাই করা ও নিয়োগ করা, তার প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন, পোস্টিং, অ্যাপ্রাইজাল অথবা প্রমোশন প্রভৃতি কোনও ব্যাপারেই আমাদের করণীয় কিছু থাকে না। এইভাবে আমরা চলতে পারি না। এই ‘ছোট’ সরকারটাকে আমরা অবশ্য করে আমূল বদলে ফেলব। ঠিক যেভাবে আমরা ‘বড়’ সরকারটাকে এবং তার ভোগদখলদারদেরকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পুরস্কৃত করে অথবা শাস্তি দিয়ে থাকি, আমাদের অবশ্যই একটি উপায় বার করতে হবে যাতে একইভাবে পাঁচ বছর অন্তর অথবা তারও আগে ‘ছোট’ সরকারকে এবং তার ভোগদখলদারদেরকে পুরস্কৃত করতে অথবা শাস্তি দিতে পারি।
আজ আমরা যে প্রধান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছি সেটা পলিসি তৈরি সংক্রান্ত নয়। চ্যালেঞ্জটা একেবারেই হল—দক্ষতার সঙ্গে, অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের সঙ্গে এবং সুচারুরূপে পলিসির রূপায়ণ। 
24th  June, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮ বছর। তবু রাজ্যে তৈরি হয়নি পুলিস কমপ্লেন সেন্টার। ফলে এবার স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতি ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবে ভেটো দিল আমেরিকা
রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্যালেস্তাইনকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবে ভেটো দিল আমেরিকা। গতকাল, ...বিশদ

03:55:00 PM

বিজেপিকে হারাতে বিকল্প তৃণমূল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:50:34 PM

পরিযায়ীদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসাথী: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:49:44 PM

আগে বিজেপির ভোট বন্ধ করুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:45:17 PM

৫৯৯ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

03:44:31 PM

বিজেপির এত বড় সাহস বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:44:20 PM