Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ডাক্তারবাবুদের গণ-ইস্তফা নজিরবিহীন,
কিন্তু তাতে কি হাসপাতাল সমস্যা মিটবে?

সমাধান হয়তো শেষপর্যন্ত একটা মিলবে। কবে মিলবে তা অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। তবে মিলবে। হয়তো এই লেখা আপনাদের হাতে যাওয়ার আগেই মিলবে। মিলতেই হবে। কারণ, এভাবে তো চলতে পারে না! এভাবে সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য-পরিষেবার মতো অত্যাবশ্যক ক্ষেত্র কেবল আন্দোলনের জেরে তো দিনের পর দিন অকেজো হয়ে থাকতে পারে না! দূরদূরান্ত থেকে আসা অসহায় গরিবগুর্বো হাজার হাজার রোগী তো এভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে লাগাতার বঞ্চিত হতে পারেন না। সরকারি হাসপাতালে রোগ সারাতে এসে কার্যত চিকিৎসা-বন্‌঩ধের মুখে পড়ে শিশু বৃদ্ধ থেকে সাধারণ মানুষ চূড়ান্ত নাজেহাল হবে, এমনকী প্রাণ হারাবে— তাও কি নাগাড়ে চলতে পারে! অসম্ভব। ছবির পর ছবি বেরচ্ছে কাগজে মিডিয়ায়। দুধের শিশু থেকে ক্যান্সার রোগী—কী অবর্ণনীয় কষ্ট পাচ্ছে। মারাও যাচ্ছে! মৃত শিশু কোলে হতভাগ্য বাবা-মা— অভিযোগ জানাবার ভাষাটুকুও হারিয়ে ফেলেছেন!
তাছাড়া কার কাছেই বা জানাবেন? ডাক্তারবাবুদের আন্দোলনের জোয়ারে যে সব ভেসে গেছে। গোটা রাজ্য। গোটা দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে সেই ঢেউ। কথায় কথায় ডাক্তার নিগ্রহের প্রতিকার চাই। নিরাপত্তা চাই। এনআরএস কাণ্ডে জড়িতদের সকলের উপযুক্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই। দাবি কোনওটাই অমূলক বা অন্যায্য নয়। আর তাই, দাবি আদায়ে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়ররা, পথে নেমেছেন বিদ্বজ্জন শিল্পী কলাকুশলী থেকে সাধারণ প্রতিবাদী মানুষজন। তাঁদের লম্বা মিছিল শুক্রবার শহরের একাংশ স্তব্ধ করে হেঁটে গেল এনআরএস থেকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল। দিল্লির এইমস থেকে জয়পুর রায়পুর হায়দরাবাদ মুম্বই—হাসপাতালে হাসপাতালে বাংলায় আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে দেখা গেল মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে বা হেলমেট পরে বিচিত্র ভঙ্গির প্রতিবাদ, কোথাও কোথাও স্তব্ধ হল আউটডোর পরিষেবা, হয়রান হলেন লক্ষ রোগী ও তাঁদের অসহায় আত্মীয়-পরিজন। তাঁদের অনেকে হয়তো জানলেনই না কেন এই লাঞ্ছনা, কেন এই চিকিৎসা সংকট।
দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা শনিবার থেকেই স্বাভাবিক হয়েছে আশা করি, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কবে? শনিবার সকালেও জানা বোঝা যাচ্ছে না। সাধারণ স্বাস্থ্য পরিষেবা বা সংকটাপন্ন রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই অচলাবস্থা তো দিনের পর দিন চলতে পারে না। সুতরাং, সমাধান আজ হোক, কাল হোক হবেই। কীভাবে হবে, কে করবেন, মুখ্যমন্ত্রীর আবেগ সদিচ্ছা নাকি আন্দোলনরত ডাক্তারবাবুদের মানবিকতা দায়বদ্ধতা—সমাধান আসবে কোন পথে আমরা জানি না। অন্তত, শনিবার সকালে এই লেখা যখন লিখছি তখনও সেইসব পথের গোটাটাই ঘন কুয়াশার অন্ধকারে ঢাকা। শুক্রবার শেষবিকেলে নবান্নে কয়েকজন প্রবীণ চিকিৎসকের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে সামান্য একটু আলোকরেখা দেখা গেলেও তা কতদূর স্থায়ী হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। তার কারণ, জুনিয়র ডাক্তারেরা শুক্রবার শেষরাত অবধি নিজেদের দাবিতে অনড়, তাঁদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিকিৎসক নিগ্রহের মূল কেন্দ্র এনআরএস হাসপাতালে আসতে হবে এবং আন্দোলন নিয়ে তাঁর বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে!
একথা অনস্বীকার্য, ক’দিন আগে এক বৃদ্ধের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ‘পেসেন্ট পার্টি’র নামে শদুয়েক লোক এনআরএস হাসপাতালে যে কাণ্ড ঘটিয়েছে, যেভাবে কর্মরত জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর হামলা চালিয়েছে তা কেবল ভয়াবহই নয়, রীতিমতো ন্যক্কারজনক এবং ক্ষমার অযোগ্য। পুলিসের ভূমিকাও সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। যতদূর জানা গেছে, পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়েই দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। তাঁদের আক্রমণে তরুণ চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায় সমেত বেশ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার গুরুতর আহত হয়েছেন। কপালের ওপরের খুলি ফেটে পরিবহর তো প্রায় প্রাণসংশয় হয়েছিল। তবে শুনেছি, ভগবানের আশীর্বাদে ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সের ডাক্তারদের দক্ষতায় আপাতত তিনি নিরাপদ। কিন্তু, এই হামলার ঘটনার প্রতিবাদে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তাতে হাজার হাজার সাধারণ গরিব মধ্যবিত্ত রোগী ও তাঁদের আত্মীয়জনেরা যে গভীর সংকটে তা আজ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এবং এই সংকটকে সাংঘাতিক ঘনীভূত করে তুলেছে রাজ্য জুড়ে হাসপাতালে হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র ডাক্তারবাবুদের গণ-ইস্তফা! এনআরএস তো বটেই, তার সঙ্গে আরজিকর, ন্যাশনাল, সাগর দত্ত, পিজি, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের ডাক্তারবাবুদের একটা বড় অংশ শুক্রবার গণ-ইস্তফা দিয়ে চলে গেলেন! আর তাঁদের যাওয়ার পথের দিকে আকুল চোখে অসহায় চেয়ে রইলেন দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা করাতে আসা হাজারো মানুষ শিশু বৃদ্ধ অশক্ত মরণাপন্ন! আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি পূর্ণ সহানুভূতি রেখেই বলতে হচ্ছে, এমন নির্দয় আন্দোলন সত্যি বলতে কী এই পশ্চিমবঙ্গে অভূতপূর্ব!
শোনা যাচ্ছে, হাসপাতালগুলোতে আউটডোর বন্ধ থাকলেও ডাক্তারবাবুদের একাংশ বাইরে বসে আউটডোরে রোগী দেখছেন, জরুরি পরিষেবা ইমার্জেন্সিতেও কাজ করছেন। কিন্তু, প্রয়োজনের তুলনায় এই সহৃদয়তা যে যথেষ্ট নয় তা স্বীকার করছেন সকলেই। বিশেষত, শত শত সিনিয়রের গণ-ইস্তফার পর পরিস্থিতি যে রীতিমতো ঘোরালো হয়ে উঠেছে এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা যে প্রায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে তাতেই বা সন্দেহ কি? সিনিয়র ডাক্তারবাবুরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিতে দিতে হাত ছুঁড়তে ছুঁড়তে দল বেঁধে বেরিয়ে আসছেন আর তা দেখে আন্দোলনরত জুনিয়রদের জমায়েত উল্লাসে ফেটে পড়ছে— এমন দৃশ্য টিভিতে অনেকবার দেখা গেছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিসরে এমন দৃশ্য নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। ডাক্তারবাবুদের গণ-ইস্তফাও নজিরবিহীন। কিন্তু, প্রশ্ন হল— তাতে কি হাসপাতাল সমস্যা মিটবে? হাসপাতালের পরিকাঠামোগত অভাব ঘুচবে? পরিবহর মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঠেকানো যাবে? পুলিসের হুঁশ ফিরবে? ঈশ্বরের দূত হিসেবে ডাক্তারবাবুরা মানুষের শ্রদ্ধাভক্তি ভালোবাসা ফিরে পাবেন?
আমি বলছি না এই আন্দোলন অর্থহীন। প্রতিবাদ আন্দোলন নিশ্চয়ই চাই। কেন কারণে অকারণে লোক চিকিৎসকের গায়ে হাত তুলবে? অমন খুনে মার মারবে? চিকিৎসক ছাড়া আমাদের চলবে? বিভিন্ন সময় তো আমরা দেখেছি চিকিৎসায় গাফিলতি হোক কি অন্য কোনও একটা অজুহাত—রাজনৈতিক নেতামন্ত্রী থেকে সাধারণ লোক কি লুম্পেন, মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে ডাক্তারদের মারধর করছে, হাসপাতালে নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালাচ্ছে—আর পুলিস নিরাপত্তাকর্মীরা হাঁ করে দাঁড়িয়ে দেখছে। শুধু বাংলা বলে নয়, গোটা দেশেই এমন কাণ্ড ঘটেছে এবং ঘটেই চলেছে। সাম্প্রতিক এনআরএস কাণ্ড তারই এক ন্যক্কারজনক উদাহরণ। টিভিতে দেখলাম একজন বলছে, ডাক্তারবাবু এল, ইনজেকশন দিল আর পেসেন্ট মরে গেল! এই কথা বলা যায়, বলা উচিত? আরে, তুমি ডাক্তার? কী ইনজেকশন কেন দিল তখন পেসেন্টের অবস্থা কেমন ছিল কিছুই জান না— বলে দিলে আর এত বড় কাণ্ড বেধে গেল! প্রিয়জন
হারানো রোগী পরিবারের সহমর্মী হয়েই বলছি, ডাক্তারবাবুরা সবসময়ই চান তাঁর রোগী বাঁচুক। তার জন্য শেষপর্যন্ত চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু, তাঁদের আমরা যতই ভগবানের দূত বলি, তাঁরা মানুষ। তাঁদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। মৃত্যুকে তাই সবসময় তাঁরা হার মানাতে পারেন না। এই কঠিন সত্যটা মানতেই হবে। এবং তা মেনে অমন অবিবেচক মন্তব্য করা যতদিন না বন্ধ হবে, হাসপাতালে শান্তি ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হওয়া মুশকিল।
দ্বিতীয়ত, জুনিয়রদের আন্দোলনের যাথার্থ্য স্বীকার করেও বলতে হচ্ছে, গরিব সাধারণের স্বার্থে এবার তাঁরা একটু নরম হবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন আমাদের মতো অসহায় রাজ্যবাসী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো সেদিন একটু কটু কথা বলেছেন। কিন্তু, এ-কথাও তো সত্যি যে, হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বা ডাক্তারবাবুদের যথাযথ নিরাপত্তা বিধানে তাঁর সদিচ্ছা আছে এবং ইতিমধ্যেই তার যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে। এই অচলাবস্থা কাটাতে প্রবীণদের বৈঠকে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী সমাধানসূত্র খুঁজছেন— সেটাও কি ওই সদিচ্ছারই নামান্তর নয়? শুক্রবার রাতেও জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠক করে পূর্ব সিদ্ধান্তেই অটল ছিলেন, তাঁদের দাবি— মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরএসে আসতে হবে, মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতাও কিন্তু চাইছেন আন্দোলনরত ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা শনিবার বিকেলে নবান্নে তাঁর সমাধান বৈঠকে যোগ দিন। এই দুইয়ের টানাপোড়েনে শেষ পর্যন্ত কোথাকার জল কোথায় গড়াবে, কে কার কাছে আসবেন বসবেন জানা নেই— তবে দিনের শেষে যে যাবতীয় দুর্ভোগ দুর্যোগ জ্বালাযন্ত্রণার সিংহভাগ বয়ে চিকিৎসা করাতে আসা মানুষকেই বাড়ি ফিরতে হবে তা নিশ্চিত। এবং অচল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য মাথাকুটে আরও কোনও প্রাণ হারিয়ে গেলেও আশ্চর্যের কিছু নেই।
কারণ, শনিবার সকাল অব্দি তো বরফ গলার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না! কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা রাজ্যপালের উদ্বেগ আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা সমাধান বৈঠক—কিছুই কি কাজে আসবে যদি না আন্দোলনকারী জুনিয়রেরা একটু ভাবেন? সিনিয়রদের গণ-ইস্তফায় চমক থাকতে পারে কিন্তু চলতি সমস্যার সমাধান যে নেই—সেটা কি ডাক্তারবাবুরা জানেন না? আলবাত জানেন। তাহলে? এই প্রশ্নটা কিন্তু মানুষের মনে উঠতে শুরু করেছে। এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর না পেলে শেষপর্যন্ত ডাক্তারদের এই আন্দোলনের প্রতি সহমর্মী জনতার সহানুভূতিতে টান পড়বে না তো? একটু ভাবুন।
16th  June, 2019
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM