Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটফল ২০১৯: ভালো মন্দ যা-ই ঘটুক উৎসবের মেজাজটি যেন বজায় থাকে
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আজ সেই বহু প্রতীক্ষিত বৃহস্পতিবার, ২৩ মে। জল্পনা-কল্পনা, আন্দাজ-অনুমানের যাবতীয় কুহেলিকা সরিয়ে আজ প্রকাশ পাবে ২০১৯ লোকসভার চূড়ান্ত চিত্র। দেশজনতা আগামী পাঁচ বছরের জন্য কার হাতে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র এই ভারতের শাসনভার তুলে দিলেন— জানা যাবে আজ। আংশিকভাবে হলেও ভিভি প্যাট গণনার জন্য নতুন লোকসভার পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে হয়তো গড়িয়ে যাবে বৃহস্পতিবার রাত, হয়তো জয়ের আনন্দ পুরোমাত্রায় উদ্‌যাপনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে শুক্রবারের সকাল অবধি—কিন্তু তাতে দেশ জুড়ে আবেগ-উত্তেজনা, উদ্বেগ-উন্মাদনার বিস্ফোরণে কোনও খামতি থাকবে বলে মনে হয় না। কারণ, আমাদের দেশে ভোটফলের প্রত্যাশায় মুখর উন্মুখ দিনগুলিতে শহর-গ্রাম, নগর-মহানগরের সামগ্রিক পরিবেশ পরিস্থিতিটা চিরকাল এমনই থাকে—আনন্দ-বিষাদের আলোছায়া মাখা একটা উৎসবের আমেজ, তর্ক-বিতর্কে উচ্ছল একটা প্রাণখোলা হাসি উল্লাসের আবহে টলোমলো। এই আবহ ধীর লয়ের ব্যালট গণনার দিনেও ছিল, আজ চটজলদি ইভিএমের দিনেও তার ব্যতিক্রম খুব একটা হয়নি। বলতে কি, ভোটফলের দিনে স্বাধীনতার পর থেকে এমন দৃশ্যই দেখে এসেছে আসমুদ্রহিমাচল এই ভারতবর্ষ, আজও দেখছে।
অবশ্য তফাৎ যে একেবারেই হয়নি এমন বলছি না। হয়েছে, নিশ্চয়ই হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু বদলায়, তো ভোটফলের দিনের পরিবেশ বদলাবে না—তাই কখনও হয়! স্বাধীনতার পর যত দিন গিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহে রেষারেষির উগ্রতা অসহিষ্ণুতা যত বেড়েছে ততই যে তার নেতিবাচক প্রভাবে ভোট উৎসবের আবহে লেগেছে হিংসা-দ্বেষ, সংশয়-বিস্ময়, আশঙ্কা-উদ্বেগের ছোঁয়া, তাতে সন্দেহ কী! ভোটের দিন ফলাফল প্রকাশের সময় ততটা না হলেও তারপর বহুক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে হিংসার বাতাবরণে ঢেকে যাচ্ছে অনেক এলাকা— আর তার জেরে ‘ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস’ বলে একটা কথা এখন দৈনন্দিন রাজনীতি থেকে সাধারণের মহল, মিডিয়া সর্বত্রই চালু হয়ে গেছে। তবে, তার আঁচ এখনও সব জায়গা সবকিছুকে গ্রাস করতে পারেনি—এই রক্ষে! সাধারণভাবে আমজনতাই বলুন, কি রাজনৈতিক শিবিরের সহিষ্ণু নেতাকর্মী—সকলেই এখনও ভোটফলের দিনটাকে আবেগ উত্তেজনায় ঠাসা একটা রাজনৈতিক উৎসবের দিন হিসেবেই দেখতে চান, দেখেনও। তার মধ্যে কাঁকিনাড়া, ভাটপাড়ার চূড়ান্ত অপ্রীতিকর ঘটনা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম—অন্তত আমরা তো তাই বলতে চাই। বলতে চাই এই কারণেই যে, এখনও বাংলার রাজনীতি-সচেতন মানুষ প্রতিদিনের জীবনে শান্তি সংহতিকেই অগ্রাধিকার দেন, ভোটের সময় বা ভোটফলের দিনে অনিবার্য বাড়তি উত্তাপ-উত্তেজনা সত্ত্বেও প্রত্যাশা করেন শান্তি আমন সৌহার্দ সম্প্রীতি। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে এমন কিছুতেই বলা যাবে না। মঙ্গলবার রাতেও মহানগরীর পথে সাধারণজনের মুখে শুনেছি—ভোটফলে যাই হোক, ভালো মন্দ যা-ই ঘটুক ভাই, উৎসবের মেজাজটি যেন বজায় থাকে গোটা বাংলায়। এবং আমি বলছি, এই প্রত্যাশা কেবল সাধারণ মানুষের নয়, এ রাজ্যের শাসক-বিরোধী উভয় দলের অনেক নেতাকর্মী সমর্থকেরও। তার প্রমাণও মিলছে।
বঙ্গবাসীর এই প্রত্যাশা শেষ অবধি কতটা পূরণ হবে জানি না। তবে অশান্তির ইন্ধন ছড়ানোর একটা চেষ্টা যে কিছু এলাকায় চলছে তার খবর বাতাসে ভালোমতোই উড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও নানান বিপজ্জনক উস্কানি উড়ে বেড়াচ্ছে। অবশ্য, আমাদের বিশ্বাস নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিস প্রশাসনের যৌথ সক্রিয়তা ও কঠোর নজরদারিতে ওই অশুভ শক্তি আজকের ভোট উৎসবে বিশেষ বিঘ্ন ঘটাতে পারবে না। তবে সাবধানের মার নেই যেমন সত্যি, তেমনি মারেরও কি সাবধান আছে? বাংলার সাধারণ গেরস্ত ঘরের চিন্তাটা সেখানেই। কারণ, সকলেই বলছেন, এবারের ভোটটার রকমসকম বড় আলাদা। বড় কড়া তারে বাঁধা। দেশের ক্ষেত্রে তো বটেই, বাংলার ক্ষেত্রেও এবারের ভোটের সুর চলনবলন মোদি-মমতার ধারালো তরজায় নজিরবিহীনভাবে চড়া, মারমুখী। বাংলার ভোটের সেই চড়া সুরকে আরও চড়িয়ে দিয়েছে ভোট শেষের জনসমীক্ষার ফলগুলি। সব সমীক্ষার এক রা—মোদিজি ফিরছেন। টেনেটুনেই হোক, কি আরামসে দ্বিতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। সেই সঙ্গে আর একটা ব্যাপারেও একমত সব পোল—বাংলাতেও বাড়ছেন মোদিজি। লক্ষণীয়ভাবে বাড়ছেন। অর্থাৎ বিজেপি’র আসনগত বলবৃদ্ধি ঘটতে যাচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবেই এই জনসমীক্ষার ফলগুলি জাতীয় রাজনীতির বিরোধী শিবিরগুলিতে যেমন, তেমনি বাংলার শাসক তৃণমূল শিবিরেও রীতিমতো উত্তেজনার সঞ্চার করেছে। কার জন্য, কী জন্য, কার দোষে এমন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তা নিয়ে কাটাছেঁড়াও শুরু হয়ে গেছে বিস্তর! সমীক্ষাগুলো যে নিতান্তই সম্ভাবনার কথা বলেছে এবং অতীতে বহুক্ষেত্রেই যে এই সম্ভাবনা বাস্তবের সঙ্গে মেলেনি— সেই সত্যটি অনেকেই যেন বিস্মৃত হয়েছেন! অথচ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মোদি-বিরোধী জাতীয় শিবিরের অনেক নেতাই ফুৎকারে ওই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, ওগুলো সব বানানো। জোটবদ্ধ বিরোধীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার কৌশল। এবং সেজন্যই সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন, কেসিআরের মতো খানিকটা বিগড়ে যাওয়া নেতাদের বাগে আনার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ আর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মধ্যমণি করে দিল্লিতে বৈঠক করে জোটের একতাবদ্ধতা জোরালো করায় জোর দিয়েছেন এমনকী রাহুল গান্ধীও! অন্যদিকে, অবশ্য ওইসব সমীক্ষার ফলকে ধ্রুব এবং বাস্তব ধরে নিয়ে মঙ্গলবারই বিজেপি শিবির কার্যত একদফা বিজয়োৎসব করে নিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সংবর্ধনা দিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, আবার প্রধানমন্ত্রী তাঁর দলের মন্ত্রীদের সংবর্ধনা দিলেন, এনডিএ শরিক নীতীশ কুমার, রামবিলাস বা উদ্ধব ঠাকরেও সে সংবর্ধনা থেকে বাদ গেলেন না। শুধু তাই নয়, বৈঠক করে আগামী পাঁচ বছরের কর্মসূচিও ঘোষণা করে দিলেন মোদিজি। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে রাজনাথ সিং তথ্য পরিসংখ্যান ও বিপুল অর্থ ব্যয়ের আগাম তালিকা পেশ করে জানিয়ে দিলেন, এবার অসম্ভবও সম্ভব হবে! দেশে প্রগতির গতি আরও বাড়বে।
মঙ্গলবার মোদি শিবিরের নেতামন্ত্রীদের হাবভাবে স্পষ্ট তাঁরা ধরেই নিয়েছেন—ফিরছেন। এখন এই দাবি কতটা শেষপর্যন্ত বাস্তবের সঙ্গে মিলবে তা বোঝা যাবে আজ। এই পশ্চিমবঙ্গেই বা বিজেপি ঠিক কতটা এগল ৮ থেকে ২৩-এর স্কেলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াল তাও চূড়ান্ত হয়ে যাবে আজ। কিন্তু, কথা হল—এই শেষ বেলার মমতাকে সামনে রেখে কংগ্রেস সমেত বিরোধীরা যে তৎপরতা দেখাচ্ছেন তা শুরু থেকে দেখালে কি আজ পদ্মশিবির এমন হালকা মেজাজে আগাম জয়োৎসব মানাতে পারত? কে জিতত কে হারত সে প্রসঙ্গে যাচ্ছি না কিন্তু ছিন্নবিচ্ছিন্নভাবে লড়া বিরোধীরা যদি একজোট হয়ে (আজ যেমন ২২ দলে এককাট্টা হয়ে কমিশনে নালিশ জানাতে যাচ্ছেন) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা রাহুল গান্ধীকে সামনে রেখে ভোট মহাযুদ্ধে নামতেন তবে কি পরিস্থিতি মোদি শিবিরের কাছে এমন অনুকূল মনে হতো? তখনও হয়তো সমীক্ষার যাবতীয় বিচারে মোদিজি এগিয়ে থাকতেন কিন্তু তাঁর শিবির এত নিশ্চিন্ত থাকতে পারত কি না তা নিয়ে অন্তত আমার যথেষ্ট সংশয় আছে। তার কারণ, একদিকে যখন মোদি-অমিত শাহের মতো দুই জবরদস্ত সেনাপতি, জোটবদ্ধ এনডিএ সেনা তখন জনতার সামনে লড়াইয়ের ময়দানে ছিল সেনাপতিহীন টুকরো টুকরো একটা সেনাপতি মুখহীন বিরোধী বাহিনী, একটা ‘ফেসলেস অপোজিশন’। দেশের মানুষ তো চরণ সিং (১৭০ দিন) চন্দ্রশেখর (২২৩ দিন) ভিপি সিং (৩৪৩ দিন) মোরারজি দেশাইয়ের (২ বছর ১২৬ দিন) মতো নেতাদের প্রধানমন্ত্রিত্ব দেখেছেন, অভিজ্ঞতায় হাড়ে হাড়ে বুঝেছেন, কেন্দ্রে স্থিতিশীল সরকার না থাকলে কী হয়? দুর্বল বিবদমান দল ক্ষমতায় গেলে কী হয়?
অথচ, আজ মোদি-বিরোধী শিবিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো এমন ক্যারিশমাওয়ালা জননেত্রী ছিলেন, রাহুল গান্ধীর মতো তরুণতুর্কি ছিলেন। তবে, রাহুলের থেকে অনেকেই বলছেন অনেক বেশি কার্যকরী হতেন মমতা, তাঁর একরোখা লড়াকু ইমেজ, হার না মানা উন্নয়নকামী ভাবমূর্তি দেশের মানুষের কাছে অনেক বেশি মান্যতা পেত। শুধু তাই নয়, গুজরাত উন্নয়নের ‘মিথ’ যদি মোদিজিকে অমন অবলীলায় অমন অকাতর জনসমর্থনে ভাসিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতক পৌঁছে দিতে পারে, তবে আঞ্চলিক থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলার উন্নয়নের সাফল্যখচিত উজ্জ্বল বিজ্ঞাপনগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও অনেকের চেয়ে অনেক এগিয়ে দিত না—কে বলতে পারে? কিন্তু, মহামতি বিরোধীরা সে সুযোগের সদ্ব্যবহার দূরে থাক সম্ভাবনাটা মূলেই খারিজ করে দিয়েছিলেন। ভোটফল বেরলে সেনাপতি (পড়ুন প্রধানমন্ত্রী) ঠিক করার আশ্চর্য প্রস্তাব শুনে সেদিন যাঁরা কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের রাজনৈতিক উদারতার উদ্বাহু প্রশংসায় আকুল হয়েছিলেন আজ ফল প্রকাশের পর তাঁদের হাত কামড়াতে দেখলে অবাক হবেন ক’জন? তবে, বাংলায় কিন্তু লড়াইটা হয়েছে মুখের সঙ্গে মুখের, মোদি-মমতার। মিডিয়া কাগজে লোকমুখে তাই বিজেপি তৃণমূল নয় প্রাধান্য পেয়েছেন—মোদি-মমতা। ফলাফল যা-ই হোক, এখানে অন্তত মোদি-বিরোধী শিবিরে একজন সেনাপতি ছিলেন এবং তিনি বুক চিতিয়ে লড়েছেন শুরু থেকে শেষ অবধি। এটা মানতেই হবে।
তবে সে যা-ই হোক, এখন সব ভুলে প্রসঙ্গ এক ও অভিন্ন—ভোটফল ২০১৯। ভোটফলের জন্য দেশ জুড়ে প্রহর গণনা শুরু হয়ে গেছে। দশদিক জুড়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রকৃতিও যেন বাড়িয়ে চলেছে তার আগুনে তাপ! এ রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। বরং, মমতার ঘাসফুলের একাধিপত্যের এই পশ্চিমবাংলায় পদ্ম কতটা পাপড়ি মেলতে পারে তা দেখার জন্য বাড়তি রোমাঞ্চ এখন সর্বব্যাপ্ত। টানটান উত্তেজনা। এমন পরিস্থিতিতে ঘুরে-ফিরে আমাদের প্রত্যাশা সেই একটাই—শান্তি। ভোটের উৎসব যেন শান্তিতে শেষ হয়। ভালো মন্দ যা-ই ঘটুক উৎসবের মেজাজটি যেন বজায় থাকে। কাঁকিনাড়া, ভাটপাড়া যেন একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়েই থাকে। তার আঁচ যেন আর
কোথাও না ছড়ায়। তাই না?
23rd  May, 2019
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
একনজরে
মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন নাইমা খাতুন। ১২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর চেয়ারে বসলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর অনুমোদনের পরই ...

বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২৮ এপ্রিল, রবিবার অবধি রাজ্যে বজায় থাকবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, জানাল আবহাওয়া দপ্তর

03:45:13 PM

বহরমপুরে জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী

03:03:21 PM

এই নির্বাচনে বিজেপি জিতলে আর দেশে নির্বাচন হবে না: মমতা

02:49:42 PM

আদালতও কিনে নিয়েছে এরা: মমতা

02:49:12 PM

২৬ হাজার চাকরি যাওয়ার প্রতিবাদে কোনও সরকারি কর্মচারী বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না: মমতা

02:48:14 PM

কেউ এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবে না,এটাই চ্যালেঞ্জ: অভিষেক

02:47:00 PM