Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শেষ দফার ভোটে শান্তি বজায় রাখাই
আজ কমিশনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ

শুভা দত্ত

দেখতে দেখতে সাত দফার লম্বা ভোটযুদ্ধ শেষ হয়ে এল। আজ সপ্তম, তথা শেষ দফা। তারপরই শুরু হয়ে যাবে লোকসভা মহাযুদ্ধের চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য কাউন্টডাউন। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৩টির ভোটগ্রহণ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর সমেত বাকি ন’টি আসনের ভাগ্য নির্ধারিত হবে আজ। সঙ্গত কারণেই মহানগরী কলকাতা ও তার দুপাশের দুই পরগনায় উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে। কারণ আজকে যে আসনগুলোতে যুদ্ধ হচ্ছে সেগুলো রয়েছে ওই তিন জেলাতেই। শুধু তাই নয়, আজকের এই মহারণে বিদায়ী লোকসভার তরুণ তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমেত বেশ কয়েকজন তারকা প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে। সে জন্য, অভিষেকের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবার বা জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর যাদবপুর বা দুই প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র যথাক্রমে দমদম ও উত্তর কলকাতা নিয়ে জনমহলে বাড়তি উদ্দীপনা কৌতূহলের সঞ্চারও যে হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই।
কারণ, লোকসভা ভোটযুদ্ধ শুরু হওয়া ইস্তক রাজ্যের রাজনৈতিক বাতাবরণে একটা গুঞ্জন চলছে যে, ওই কেন্দ্রগুলোতে বিরোধীদলের প্রার্থীরা এবার জোরদার লড়াই দেবে। যাদবপুরে সিপিএম প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্য, দমদমে বিজেপি’র শমীক ভট্টাচার্য কি উত্তর কলকাতায় বিজেপি’র রাহুল সিনহা নাকি এবার ভালো ভোট টানবেন। তাতে নাকি ফলাফলে এধার-ওধারও হয়ে যেতে পারে! সম্ভাবনার এই গুঞ্জনকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই মমতা-বিরোধী শিবির ও তার পৃষ্ঠপোষক মহলে যে কিছু ‘আশা’র সঞ্চার হয়েছে তা নির্বাচনী সভার বক্তৃতা বক্তব্য থেকে ঠারেঠোরে নেতানেত্রীরা বুঝিয়েও দিচ্ছেন। তাঁদের ওই ‘আশা’র কথায় জনমহলের একাংশের ভোট জল্পনায় কৌতূহলের নতুন মাত্রাও যোগ হয়েছে তা তথ্যভিজ্ঞজনেরা অনেকেই স্বীকার করছেন। ফলে আজকের ভোট মহারণে ডায়মন্ডহারবার যাদবপুর দমদমের মতো নজরকাড়া কেন্দ্রগুলো নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার বহর যে একটু বেশিই হবে, তা বলাই বাহুল্য। অবশ্য, সেটা এমন হাই-ভোল্টেজ ভোটযুদ্ধে একেবারে অপ্রত্যাশিতও কি? বিশেষ করে এবারের ভোটে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর প্রধান সেনাপতি অমিত শাহের এক নম্বর টার্গেট এই পশ্চিমবঙ্গ এবং জাতীয়স্তরে দিল্লির মসনদ দখলের যুদ্ধে গেরুয়াবাহিনীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়াইয়ের ময়দান দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যে ৪২-এ ৪২ করার ডাক দিয়ে আসমুদ্র বাংলায় ঢেউ তুলে দিয়েছেন, তখন প্রতিটি আসন নিয়েই তো এমন গণকৌতূহল আগ্রহ উদ্দীপনা প্রত্যাশিত—তাই নয় কি? বাঙালি হিসেবে মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আসনে পৌঁছতে পারেন কি না তা নিয়েও তো আম-বাঙালির একটা উৎকণ্ঠা ক্রমশ প্রবল হচ্ছে। এবং হলফ করেই বলা যায়, এবার ফল ঘোষণার দিন বাঙালি গোটা দেশের ফলের চেয়ে বেশি আগ্রহ দেখাবে বাংলার ফলাফল নিয়ে—৪২-এ ৪২ কতদূর সফল হল তা দেখতেই সেদিন সকাল থেকে অধীর আগ্রহ আর প্রত্যাশা নিয়ে টিভি’র সামনে বসবেন তাঁরা।
কিন্তু, তার আগে সকলেই জানতে চাইছেন—আজ কী হবে! কেমন যাবে ভোটের শেষ পর্বের দিনটা? প্রথম ছয় দফা একেবারেই ঘটনাশূন্য হয়েছে—এমন বলছেন না কেউই। এই বঙ্গের ভোটে এবারের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল ও বিজেপি’র কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সামান্য কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রাণহানির মতো দুর্ভাগ্যজনক দু-একটি ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের ভোট ময়দানের পরিসর পরিধির বিশালত্ব ও যুদ্ধের তীব্রতার বিচারে সে সবকে সামান্যই বলতে হবে। এবং সেজন্যই হয়তো নির্বাচন কমিশনের কর্তারাও গত ছয় দফার নির্বাচনকে মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে অপ্রীতিকর ঘটনাগুলোকে নিতান্ত ‘বিচ্ছিন্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সত্যি বলতে কী, এবার প্রথম থেকেই বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিসের যৌথ উদ্যোগে নিরাপত্তার বলয় যথেষ্ট আঁটোসাঁটো থাকায় বুথের ভিতরে-বাইরে সার্বিকভাবে শান্তি বজায় ছিল, মানুষ শান্তিতেই ভোট দিয়েছেন। অবশ্য, কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও যে ওঠেনি তা নয়—তবে তা নিয়েও বড় কোনও হাঙ্গামা হয়নি। ফলে, সপ্তম দফা নিয়ে প্রথম দিকে মানুষের মধ্যে একটা নিশ্চিতিই কাজ করছিল—সকলেই ভাবছিলেন শহর মহানগরের ভোটে এবার হাঙ্গামা হুজ্জোত হবে না। মমতার পুলিস প্রশাসন এবং ভোট কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমবেত চেষ্টায় ভোটটা শান্তিতেই হবে।
কিন্তু গত কয়েক দিনের কিছু ঘটনা মানুষের সেই বিশ্বাস যেন খানিকটা টলিয়ে দিয়েছে। চলতি ভোটযুদ্ধের শুরু থেকে প্রচারের শেষ অব্দি মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বা পদ্মদলের সভাপতি অমিত শাহের বাগ্‌-যুদ্ধ যাঁরা উপভোগ করছিলেন, যুদ্ধের তাপ পোহাতে পোহাতে তার ফলাফল নিয়ে তর্কবিতর্ক তরজায় মেতে ছিলেন বিদ্যাসাগরেরে মূর্তি ভাঙার ধাক্কায় উত্তাল বাংলার দিকে চেয়ে তাঁদের অনেকেই এখন রীতিমতো চিন্তায়। বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে ওই মূর্তি কে ভাঙল তা নিয়ে বিতর্ক যত চড়ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নিয়ে টীকাটিপ্পনী, ক্ষোভক্রোধের ঝলকানি যত ছড়াচ্ছে তত যেন সপ্তম দফার লড়াই নিয়ে জনমনে আশঙ্কা বাড়ছে! তার ওপর রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও কলকাতার প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারের মতো পুলিস কর্তাকে আচমকা সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পরিস্থিতি শান্ত করতে নির্বাচন কমিশন নজিরবিহীনভাবে ভোট প্রচারের সুযোগ একদিন কমিয়ে দেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে তার প্রভাবে সাধারণ জনজীবনের আশঙ্কা আরও যেন ঘনীভূত হয়েছে! অবশ্য, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। আইনের পরিধির মধ্যে থেকেই তাঁরা নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে, আইনজীবী মহলের কেউ কেউ ভোট প্রচারের সময় কমিয়ে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতাও কমিশনের সিদ্ধান্তে যে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট সেটা নির্বাচন কমিশনের মর্যাদা ও গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়েও বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা, ভোটপ্রচারের দিন কমানো ইত্যাদি নিয়ে রাজ্য রাজনীতির যুযুধান মহলগুলির মধ্যে উত্তেজনা যে বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য।
সে জন্য অনেকেই মনে করছেন, শেষ দফার ভোটে শান্তি বজায় রাখাই আজ কমিশনের সামনে সবচয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। কারণ, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে পরিস্থিতি এখনও যথেষ্ট উত্তপ্ত। এই ঘটনার প্রভাব পড়েছে আসমুদ্রহিমাচল রাজ্যে, সমাজের সর্বস্তরে। সেই উত্তাপের আঁচ ভোটযুদ্ধের ময়দানে পৌঁছবে না এমন গ্যারান্টি কোথায়? এই আঁচ আজকের শেষ দফার ভোটে যাতে বাড়তি উত্তেজনা ছড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য প্রশাসন নিশ্চয়ই করবে আশা রাখি। তবে যেহেতু নির্বাচন চলাকালীন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, গুন্ডা তাণ্ডব রোখা, ভোটবাক্স ও ভোটারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা ইত্যাদির দায় পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের, সে জন্য রাজ্যের মানুষ আজ শান্তির জন্য মূলত চেয়ে থাকবেন কমিশনের সক্রিয়তার দিকে। একদিক থেকে কমিশনের কাছে এও এক পরীক্ষা। ভোটদাতা সাধারণের বিচারে এই পরীক্ষায় কমিশন কতটা উত্তীর্ণ হয় সেটাও দেখার। লক্ষণীয়, ভোট গণনা অব্দি ইভিএমের সুরক্ষা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই অনেকবার সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাঁর সন্দেহ, ভোটের পর স্ট্রংরুমে রাখা ইভিএমে কারচুপি হতে পারে। এই সংশয় নিঃসন্দেহে কমিশনের কর্তাদের চাপ কিছুটা হলেও বাড়াচ্ছে। এরপর নিশ্চয়ই রাজ্যের বিভিন্ন স্ট্রংরুমে রাখা ইভিএমগুলোর জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনী আরও কঠিন জোরালো হবে।
সে না হয় হল। কিন্তু আসল প্রশ্ন—আজ কলকাতা মহানগরী থেকে বারাসত বসিরহাট মথুরাপুরের মতো মফস্‌সল কি গ্রামবাংলায় ভোটযুদ্ধের হাল কী দাঁড়াবে? যুদ্ধটা রাজনৈতিক আবেগ উত্তেজনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি সংঘাত সংঘর্ষের চূড়ান্ত অপ্রীতিকর রক্তক্ষয়ী পথ ধরবে? খুব নিশ্চিত করে শনিবার অব্দি কেউই বলতে পারেননি। তবে, মমতা প্রশাসন ও কমিশনের ওপর মানুষ এখনও যথেষ্ট আস্থাশীল। তাঁদের বিশ্বাস, এই দুইয়ের যৌথ উদ্যোগে বিগত ছয় দফার মতো আজও শান্তিতেই শেষ
হবে এবারের লোকসভা মহারণের অন্তিম দফা। উত্তেজনার ইন্ধন জোগানো নেতানেত্রী বা গণ্ডগোল পাকানোর ‘বহিরাগত’ পাণ্ডারা বিশেষ সুবিধে করতে পারবে না। এরমধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে পুলিস বহিরাগতদের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে, বেহিসেবি কাঁচা টাকা ধরতে যে সক্রিয়তা দেখিয়েছে তাতে মানুষের ওই বিশ্বাস আরও জোরদার হয়েছে। শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে মানুষ যাতে আজকের ভোটের উৎসবে শামিল হতে পারেন
তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে মমতা প্রশাসনও কোথাও কোনও খামতি রাখেনি—খবর তেমনি। এরপর ভোটদেবতার মর্জি। দিনের শেষে তাঁর
প্রসন্ন আশীর্বাদ কতটুকু মিলল, ভোটযুদ্ধের
ময়দানে শেষপর্যন্ত কতটা বজায় থাকল শান্তির বাতাবরণ, চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় কতটা সাফল্য পেল কমিশন—সব বলবে সময়। আমরা
অপেক্ষায় রইলাম। 
19th  May, 2019
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 10:13:07 PM