Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোট গণনার সেকাল
একাল ও নতুন চ্যালেঞ্জ
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচনী রাজসূয় যজ্ঞের চূড়ান্ত পর্বে ভোট গণনা ও ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সমগ্র ভারতবাসী তথা বিশ্ববাসী। বিগত কয়েক মাস ধরে চলা রাজনীতির ঘাত-প্রতিঘাত, চাপানউতোর, দাবি, পাল্টা দাবির সত্যতা উঠে আসবে গণনার মধ্য দিয়ে। কে বা কারা জিতবে, কে বা কারা হারবে—সে বিষয়টি যেমন গণনার সঙ্গে যুক্ত আছে তেমনি ইভিএম-এর সঙ্গে ভিভিপ্যাট যুক্ত হওয়া এবং প্রতি বিধানসভা ক্ষেত্রে পাঁচটি করে নমুনা ভিভিপ্যাট গণনা অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় গণনা প্রক্রিয়ায় এসেছে নতুন চ্যালেঞ্জ।
পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫১-১৯৫২ সালে। ওই নির্বাচনে মানুষ ব্যালট পেপারে সংসদের প্রতিনিধি নির্বাচনে তাঁদের মতামত জানিয়েছিলেন। নির্বাচন পরিচালনার অনভিজ্ঞতার কারণে সেবার ভোট গণনা তিনদিন পর্যন্ত গড়িয়েছিল। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৯৯ সালের আগে পর্যন্ত ব্যালট পেপারের মাধ্যমেই ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর ভোট গণনা ছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে প্রথম নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায়ে দ্রুত ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে একদিকে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে লাগল, অন্যদিকে ভোটদানের হার বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরাট সংখ্যক ব্যালট পেপার গণনা করে ফল প্রকাশ করা নির্বাচন কমিশনের কাছে আক্ষরিক অর্থেই চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিল।
১৯৫২-এর নির্বাচনে যেখানে মাত্র ১৭ কোটি ভোটার ছিলেন সেখানে এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৯০ কোটি। প্রথম নির্বাচনে যেখানে কেবল ৪৪.৮৭ শতাংশ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন সেখানে এবারে ভোটদানের হার গড়ে ৬৪ শতাংশের মতো। ৮০-র দশকের পর ভোটার সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যালট পেপার গণনাকে কেন্দ্র করে বিস্তর সমস্যা উঠে এসেছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল—
(ক) প্রার্থীর প্রতীকে সঠিক স্থানে ছাপ না পড়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক, (খ) ব্যালট পেপার নষ্ট করে দেওয়া বিশেষ করে ছিঁড়ে দেওয়া, জল দিয়ে নষ্ট করার মতো অভিযোগ, (গ) প্রার্থী পিছু যে ব্যালট পেপারের বান্ডিল গণনা কেন্দ্রে বাঁধা হতো, তাতে জালিয়াতি করার মতো অভিযোগ উঠত। পাশাপাশি একটি লোকসভা নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল জানতে দু’দিন থেকে তিনদিন সময় পর্যন্ত লেগে যেত। এই দীর্ঘ গণনা প্রক্রিয়ায় ভোট কর্মীরা যেমন ক্লান্ত হয়ে পড়তেন তেমনি ভোটপ্রার্থী ও তাঁর এজেন্টরাও এক সময় ক্লান্ত হয়ে বহু ক্ষেত্রেই গণনা থেকে উঠে আসতে বাধ্য হতেন, নতুবা প্রার্থীর এজেন্টদের ক্লান্তির সুযোগ নিয়ে ভোটের ফলকে প্রভাবিত করার ঘটনা বারবার লক্ষ করা গেছে। দু-তিনদিন ধরে ব্যালট পেপার গণনা পর্বে গণনা কেন্দ্রেই ব্যালট পেপার ছিনতাই থেকে শুরু করে ব্যালট পেপার নষ্ট করবার ঘটনা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের মুখে শোনা যেত। গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তা বিধান করাও ছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘ গণনা পর্বে এগিয়ে থাকা প্রার্থীর প্রভাব সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকত, উঠত পরাজিত প্রার্থী এবং তাঁর এজেন্টদের উপর হামলা, ভয় দেখানোর মতো অভিযোগ।
১৯৫২-১৯৮৯ পর্যন্ত ব্যালট পেপার গণনা পর্বে মানুষ মূলত রেডিও সংবাদের মাধ্যমে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফল জানত। ১৯৭৭ সাল থেকে কলকাতা দূরদর্শন ঘণ্টায় ঘণ্টায় নির্বাচনী সংবাদ পরিবেশন শুরু করে। সেই সময় ইডেনের ক্রিকেট খেলায় যেভাবে কাঠের বোর্ড ব্যবহার করে স্কোর দর্শকদের জানানো হতো, তেমনি দূরদর্শনের বোর্ডের নম্বর পরিবর্তন করে বিভিন্ন দলের ফলাফল দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হতো।
টি এন সেশন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পর একের পর এক নির্বাচনী সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন। সংস্কারের অঙ্গ হিসেবে তিনি ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ১৯৯৯ সালে ইভিএম মেশিন অন্তর্ভুক্ত করেন। ইভিএম মেশিন অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে চলে আসা ব্যালট পেপার গণনার ক্লান্তিকর কর্মযজ্ঞের পরিসমাপ্তি ঘটে। ভোট গণনায় শুরু হয় নতুন এক যুগের। এক একটি লোকসভা বা বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নাগরিকদের জানানো সম্ভব হয় ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়। তবে সেই সঙ্গে বুথ ভিত্তিক ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার দরুন নতুন করে সমস্যাও উঠে আসে। কোন দল কোন বুথে হেরেছে বা জিতেছে তার উপর ভিত্তি করে নতুন করে তৈরি হয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা জাতিগত দ্বন্দ্ব। ১৯৮৯ সালের নির্বাচন থেকে সারা দেশে ভোটগণনাকে লাইভ টেলিভিশন সম্প্রসারণ করে দূরদর্শন। ওই পর্যায়ে ব্যালট পেপারের মাধ্যমেই ভোট হয়েছিল এবং ব্যালট পেপার মিশ্রিত করে গণনা প্রক্রিয়া চলে। ফলে গণনার সময় আরও বেড়ে গিয়েছিল। প্রায় তিন দিন ধরে দূরদর্শনের লাইভ সম্প্রসারণের মাঝে দর্শকদের মনোরঞ্জন-এর জন্য সিনেমা প্রদর্শন করা হয়েছিল। এ প্রজন্মের ভোটাররা অবগত না হলেও পঞ্চাশোর্ধ্ব সমস্ত ভোটারদের কাছে ১৯৮৯ সালের দীর্ঘ গণনাপর্বে দূরদর্শনে লাইভ সম্প্রসারণ এবং সিনেমা দেখার স্মৃতি অটুট হয়ে রয়েছে।
ইভিএম চলে আসার পর ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএম নিয়ে সন্তুষ্টই ছিল। এরপর থেকেই শুরু হয় ইভিএম মেশিনকে নিয়ে সন্দেহ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে ইভিএম মেশিনকে বিকৃত করে ভোটের ফল প্রভাবিত করার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। কোনও কোনও দল দাবি জানাতে শুরু করে ইভিএম-এ ভোট গ্রহণের পরিবর্তে পুরনো ব্যালট পেপার ফেরত আনতে। বিশেষ করে ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর অধিকাংশ অ-বিজেপি দলগুলি দাবি তোলে ইভিএম-এর পরিবর্তে ব্যালট পেপার দিয়ে ভোট করানোর বিষয়ে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন পুরনো ব্যালট পেপারে ফিরে যেতে নারাজ। এই অবস্থায় সমাধান সূত্র হিসেবে ইভিএম-এর সঙ্গে ভিভিপ্যাট যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভিভিপ্যাট যুক্ত হওয়ায় ভোটার যাকে ভোট দিয়েছেন, সেখানে ভোট পড়েছে কি না ভোটার সরাসরি তা চাক্ষুষ করতে পারেন। ভিভিপ্যাটে যে পাত্র থাকে ভোটদানের পর প্রদত্ত ভোটের একটি ছোট্ট স্লিপ সেখানে জমা হয়। বিরোধীদের দাবি ছিল ভিভিপ্যাটের সমস্ত স্লিপ ইভিএমের পাশাপাশি গণনা করে দেখতে হবে। এই দাবিতে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট এবং পরবর্তী পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট লোকসভার অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভায় অন্তত পাঁচটি ভিভিপ্যাট নমুনা হিসাবে গণনা করে ভোটের ফলের সঙ্গে যাচাই করে দেখবার কথা বলেছিল। আর তার ফলেই তৈরি হয়েছে এবারের নির্বাচনে গণনাকে কেন্দ্র করে নতুন চ্যালেঞ্জ। ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনি ভিভিপ্যাটের স্লিপ গণনাকে কেন্দ্র করে উঠে আসতে পারে নানা বিতর্ক।
বিগত দুই দশক যেমন করে ভোটের ফল গণনার মধ্য বেলাতে আমরা পেয়ে অভ্যস্ত ছিলাম এবার কিন্তু সরকারিভাবে চূড়ান্ত ভোটের ফল জানতে কোথাও মধ্যরাত কোথাও বা পরের দিন চলে যাওয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে। সকাল ৮টায় গণনার শুরুতেই পোস্টাল ব্যালট দিয়ে গণনা শুরু হয়। পোস্টাল ব্যালট এর মধ্যে আবার সার্ভিস ব্যালট পেপারে যাঁরা ভোট দেন তাঁদের ব্যালটের বৈধতা বিচার করে গণনা করা সময়-সাধ্য কাজ। মূলত ভারতীয় সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত ভোটাররা সার্ভিস ব্যালট পেপারে ভোট দেন। ভোটার তালিকায় নাম সংশোধন পর্বেই কর্মরত ব্যক্তিকে জানিয়ে দিতে হয় তিনি সার্ভিস ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটদান করবেন। সেই অনুযায়ী তিনি যে এলাকায় কর্মরত সেই ইউনিট অফিসে অন লাইন-এ ব্যালট পেপার পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যা নিজস্ব পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে খুলতে হয়। কমিশনের পাঠানো QR Code খামে যুক্ত করে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নির্বাচন আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়। সঙ্গে ডিক্লারেশন ফর্ম ১৩ (ক) পাঠানো বাধ্যতামূলক। গণনা পর্বে QR Code যাচাই করে ব্যালট পেপার বৈধ ঘোষণা করে গণনা করতে যথেষ্ট সময় লাগার কথা। পাশাপাশি ভোটে কর্মরত ভোট কর্মীদের ব্যালট পেপার গণনাও চলবে। এই পর্বের কাজ শুরু হবার পর ইভিএম গণনা পর্ব আরম্ভ হওয়ার কথা। লোকসভার অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভার জন্য ন্যূনতম ১৪টি টেবিলে গণনা হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। অর্থাৎ কোনও বিধানসভায় ২৮০টি বুথ থাকলে ২০ রাউন্ড-এ ইভিএম মেশিনের ভোট গণনা সম্পূর্ণ হওয়ার কথা।
এরপরেই শুরু হবে নির্বাচন কমিশনের নতুন চ্যালেঞ্জ ভিভিপ্যাটের গণনা। ভিভিপ্যাটের নমুনা চয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন ওই কেন্দ্রের নির্বাচন আধিকারিক। বিধানসভা পিছু পাঁচটি ভিভিপ্যাট এক সঙ্গে গণনা হবে না। একটির পর আরেকটি ভিভিপ্যাটের গণনার জন্য চূড়ান্ত ফল প্রকাশে এবার অতিরিক্ত সাত-আট ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মহল। ভিভিপ্যাট গণনার জন্য আলাদা কাউন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। স্লিপগুলো যাতে স্পষ্ট করে দেখা যায় তার জন্য স্বচ্ছ ধারক রাখা হবে এবং ভিভিপ্যাট গণনার কাউন্টারটি বাইরে থেকে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা যাতে প্রত্যক্ষ করতে পারে সেই সুযোগও থাকছে। কিন্তু একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে, ইভিএমের কাউন্টিং শেষ হতেই জানা যাবে (অন্তত আন অফিসিয়ালি) কোন প্রার্থী জয়ী হলেন বা কোন প্রার্থী হারলেন। এই অবস্থাতে ইভিএম গণনার পর দীর্ঘ সময় ধরে ভিভিপ্যাটে স্লিপ গণনাতে কিছু কিছু বিষয়ের আশঙ্কা থেকেই যায়। যেমন—
(ক) ভিভিপ্যাটের স্লিপ এতই ছোট মুখে পুরে দিয়ে নষ্ট করে দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না,
(খ) ইভিএম-এ পরাজিত প্রার্থীর তরফ থেকে ভিভিপ্যাট গণনার সময় অতিরিক্ত বাধাদান-এর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিশেষ করে আমাদের মতো তীব্র রাজনৈতিক লড়াই-এর রাজ্যে তো নয়ই, (গ) সংশ্লিষ্ট বুথের ইভিএম-এ প্রাপ্ত ভোট এবং নমুনা ভিভিপ্যাটের প্রাপ্ত ভোটের মধ্যে যদি সামান্যতম পার্থক্যও দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে গণনা প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। তবে ভিভিপ্যাটের গণনায় পাওয়া ফলাফল কেবলমাত্র ওই সংশ্লিষ্ট বুথের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বলে ধরা হবে। এবং ভিভিপ্যাটের গণনা থেকে পাওয়া তথ্যই চূড়ান্ত ফল বলে ওই সংশ্লিষ্ট বুথের ক্ষেত্রে গণ্য হবে। অর্থাৎ ভিভিপ্যাটের গণনায় অসঙ্গতি ধরা পড়লেও সমগ্র ফলাফলের উপর কিন্তু কোনও প্রভাব পড়বে না।
নির্বাচন কমিশনের কাছে ভিভিপ্যাট গণনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পরবর্তী পর্যায়ে বিরোধীদের দাবি মতো যদি পঞ্চাশ শতাংশ বুথে ভিভিপ্যাট গণনার দাবি মেনে নেওয়া হয়, তবে আমাদের পুরানো ব্যালট পেপার গণনার যুগেই ফিরে যেতে হবে।
 লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক
সবার উপরে ভোট সত্য
হারাধন চৌধুরী 

সিকি শতক আগের কথা। কর্মসূত্রে মেদিনীপুর শহরে থাকি। গ্রীষ্মের সকাল। ভোটের দিন। ভোটের খবর নিতে বেরনোর আগে চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দেব। পঞ্চুরচকে চায়ের দোকানে এসেছি। এক ফেরিওয়ালার সঙ্গে দেখা।  
বিশদ

14th  May, 2019
অর্থনীতি ‘ডেঞ্জার জোন’-এ প্রবেশ করেছে
পি চিদম্বরম

 ২০১৪-র নির্বাচনে পাল্লা দিতে নেমে নরেন্দ্র মোদি অর্থনীতি বিষয়ে একটি হঠকারী মন্তব্য করে বসেছিলেন। প্রতিক্রিয়ায় আমি বলেছিলাম, ‘‘মোদিজির অর্থনৈতিক জ্ঞানটা একটি ডাক টিকিটের পিছনেই লিখে ফেলা যেতে পারে।’’ আমার মন্তব্যটি নির্দোষ ছিল, কিন্তু আমার বিশ্বাস, ওই মন্তব্যের কারণে মোদিজি আমাকে ক্ষমা করেননি!
বিশদ

13th  May, 2019
মমতার নেতৃত্ব মানতে কংগ্রেসি অনীহা কি আখেরে মোদিজির সুবিধে করে দিল?
শুভা দত্ত

প্রবল তাপে পুড়ছে রাজ্য। আকশে মেঘের চিহ্নমাত্র নেই। ঘূর্ণিঝড় ফণীর হাত থেকে এ যাত্রায় রেহাই মিললেও কাঠফাটা রোদ আর মাথা ঘোরানো গরমের হাত থেকে রেহাই মিলছে না। বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার মতো রুখু জেলাগুলো ইতিমধ্যেই চল্লিশ ছাড়িয়েছে, মহানগরী কলকাতাও বসে নেই। সেও প্রায় চল্লিশের ঘরে!
বিশদ

12th  May, 2019
তাহলে, হাওয়া
এবার কোন দিকে?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে মোট সাত দফা ভোটগ্রহণের পাঁচটি দফাই সম্পূর্ণ হয়ে গেল। গোটা দেশে। আমাদের রাজ্যেও। বাকি দুটি দফায় মাত্র ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। যদিও ওইসব কেন্দ্রের ভোট বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
বিশদ

11th  May, 2019
রাজনীতির পাঁকে সরকারের
উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা
শুভময় মৈত্র

দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন অনেক সময়। কেউ কেউ বড্ড বেশি যোগাযোগ রাখছেন ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তারপর সেখানে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক সময় চাকরিতে ইস্তফা দিতে হচ্ছে। নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় যোগ দিতে হচ্ছে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে। ভোটপ্রচারে তাঁদের মুখ ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছে এমন সব ভাষা যা একেবারে রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকেই শেখা।
বিশদ

11th  May, 2019
মোদিময় রাজনীতিতে
নয়া পাঠ ‘বাণপ্রস্থ কথা’
মৃণালকান্তি দাস

তাঁর বাড়িতে পা দিলেই চন্দনকাঠের একটা মূর্তিতে চোখ পড়বেই। তাতে অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ। তার পিছনে মহাভারতের টুকরো নানা ছবি। শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মও। বিজেপিতে আদবানিকে ভীষ্ম পিতামহের সঙ্গে তুলনা করা হয়। নিজের হাতে তৈরি দলে যেভাবে তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, তাকে কি তাঁকে আজ ভীষ্মের সেই শরশয্যার সঙ্গে তুলনা করা যায়?
বিশদ

10th  May, 2019
জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অনেক
সংশোধন প্রয়োজন 
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ভারতীয় সংবিধান রচয়িতারা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করবার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান প্রদত্ত পূর্ণ স্বাধিকার দিয়েছিল। সংবিধানের ৩২৪নং ধারা বলে লোকসভা নির্বাচনে তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নির্বাচনের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব রাখবার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।
বিশদ

10th  May, 2019
নরেন্দ্র মোদি মেজাজ হারাচ্ছেন কেন?
শুভা দত্ত

 নরেন্দ্র মোদির রাজনীতি নিয়ে অনেকের ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু তাঁর সৌজন্যবোধ নিয়ে এ যাবৎ কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। ২০১৯-এর ভোটপর্ব যখন শেষ পর্যায়ে, তখন তিনি মেজাজ হারিয়ে একেবারে রাহুল গান্ধীর প্রয়াত পিতার নামে নিন্দা করে বসলেন। এভাবে তিনি ভদ্রতার সীমা ছাড়ালেন।
বিশদ

09th  May, 2019
কেন্দ্রে শক্তিক্ষয়, রাজ্যে শক্তিবৃদ্ধি—
সম্ভাবনার বিচিত্র জল্পনায় মুখর বঙ্গ
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 বিশেষ করে বিষয় যখন দেশের ক্ষমতা দখলের ভোট-মহারণ সঙ্গে বাংলায় জোড়া ফুলের ৪২-এ ৪২-এর ডাক, আর সে মহাসংগ্রামে দুই প্রধান প্রতিপক্ষের নাম মোদি-মমতা— তখন পায় কে! একেবারে রসিয়ে কষিয়ে গরমে নরমে যুক্তি অযুক্তি কুযুক্তির কড়া পাকে পাহাড় থেকে সাগর জঙ্গলমহল থেকে যাদবপুর যাকে বলে জল্পনা-কল্পনার একটা উৎসবই যেন শুরু হয়ে গেছে।
বিশদ

09th  May, 2019
তাহলে, হাওয়া এবার কোন দিকে?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে মোট সাত দফা ভোটগ্রহণের পাঁচটি দফাই সম্পূর্ণ হয়ে গেল। গোটা দেশে। আমাদের রাজ্যেও। বাকি দুটি দফায় মাত্র ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। যদিও ওইসব কেন্দ্রের ভোট বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
বিশদ

07th  May, 2019
রাজনীতির পাঁকে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা
শুভময় মৈত্র

 দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন অনেক সময়। কেউ কেউ বড্ড বেশি যোগাযোগ রাখছেন ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তারপর সেখানে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক সময় চাকরিতে ইস্তফা দিতে হচ্ছে।
বিশদ

07th  May, 2019
ইরান-মার্কিন দ্বন্দ্ব
তেলসংকটের মুখে ভারত 
গৌরীশঙ্কর নাগ

গত ২২ এপ্রিল ইরান থেকে তেল আমদানির ওপর আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার ফলে ২ মে থেকে ভারতসহ ৬টি রাষ্ট্র (চীন, ইতালি, গ্রিস, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও তুর্কি) ফের অসুবিধার মুখে পড়তে চলেছে।  বিশদ

06th  May, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ১৫ মে (পিটিআই): ষষ্ঠ দফা ভোটের মধ্যেই বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ফেলেছে। সপ্তম দফার ভোট সম্পন্ন হলে বিজেপির আসন ৩০০ অতিক্রম করে যাবে। বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ...

 সংবাদদাতা, মালবাজার: ফুল ঝাড়ুকেই এখন প্রধান অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে বেছে নিয়েছেন কালিম্পং জেলার গোরুবাথান ব্লকের সামসিং ফরেস্ট কম্পাউন্ড বস্তির কয়েকশ চাষি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সকলেই এখন ঝাড়ুকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। কারণ ঝাড়ু ফলিয়ে তাঁরা এখন বেশি লাভের মুখ দেখছেন। একবার ...

  বিএনএ, বর্ধমান: স্ট্রংরুম পরিদর্শনে গিয়ে লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের এজেন্টরা তার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবেন না। প্রার্থীদের এজেন্টরা পরিচয়পত্র নিয়ে নিয়মিত স্ট্রংরুম ভিজিটে যান। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, প্রেমিসেস থেকে বেশকিছুটা দূরে একটি ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। ...

বীরেশ্বর বেরা, কলকাতা: বালিগঞ্জ ফার্ন রোডের অভিজাত এলাকায় সাদা রঙের দোতলা বাড়ির বাসিন্দা মিতা চক্রবর্তী। এবার তিনি কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী। প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়ালেও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা সাবাতিনির জন্ম
১৯৭৫: প্রথম মহিলা হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন জুঙ্কো তাবেই
১৯৭৮: অ্যাথলিট সোমা বিশ্বাসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৪৯ টাকা ৭১.১৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৮১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,১৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৮/৮ দিবা ৮/১৬। চিত্রা ৫৮/১০ রাত্রি ৪/১৬। সূ উ ৫/০/৮, অ ৬/৫/৪৪, অমৃতযোগ দিবা ৩/২৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৫/৩২/৪৭ দিবা ৭/১৩/২৬। চিত্রানক্ষত্র ৫৭/১১/১৩ রাত্রি ৩/৫২/৪৮, সূ উ ৫/০/১৯, অ ৬/৭/১৫, অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৪ গতে ৬/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৮ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ২/৪ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৫/০ মধ্যে, বারবেলা ৪/২৮/৫৩ গতে ৬/৭/১৫ মধ্যে, কালবেলা ২/৫০/৩১ গতে ৪/২৮/৫৩ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৩৩/৪৭ গতে ১২/৫৫/২৫ মধ্যে।
১০ রমজান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: উচ্চশিক্ষায় সাফল্য। বৃষ: উচ্চপদস্থ ব্যক্তির আনুকূল্যে কর্মক্ষেত্রে প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা ...বিশদ

07:03:20 PM

ঝড়-বৃষ্টিতে তার ছিঁড়ে অন্ধকারে ডুবল জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়ি শহরের বিস্তীর্ন অংশ ডুবে রয়েছে অন্ধকারে। সন্ধ্যা থেকে ঝড়-বৃষ্টির ...বিশদ

08:10:08 PM

ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও এবং আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

07:27:00 PM

বিমান সংস্থার উপর চটলেন শ্রেয়া
বিমানে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয় সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালকে। ...বিশদ

06:21:47 PM

ভোটের দিন গরম বাড়বে
উত্তর বঙ্গের পাঁচ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভোটের দিন কিন্তু ...বিশদ

06:10:39 PM