Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটবাংলা: তৃতীয় পর্ব শেষে দু’-একটি জিজ্ঞাসা
মেরুনীল দাশগুপ্ত

শেষপর্যন্ত বাংলার ভোটে রক্ত ঝরল। এবারের ভোটপর্বে প্রথম বলি হিসেবে নথিভুক্ত হলেন এক রাজমিস্ত্রি। মুর্শিদাবাদে রানিতলার সরকারপাড়া গ্রামের একটি বুথে মঙ্গলবার কী একটা গণ্ডগোলের জেরে তাঁকে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। হাঁসুয়ার মারাত্মক টানে চিরে দিল তাঁর পেট। বড় হাসপাতালে যাওয়ার পথেই প্রাণ হারালেন সেই প্রৌঢ়। ফের অনাথ হল একটি সাধারণ গরিব পরিবার। বুথে নয়, বুথ থেকে কিছুটা দূরে ঘটে গেল এই হত্যাকাণ্ড। তাঁর সঙ্গেই ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন আরও দু’জন। বুধবার এই লেখা যখন লিখছি তখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন এই দুই হতভাগ্য। বলা বাহুল্য, ঘটনা ঘটল প্রকাশ্য দিবালোকে এবং বেশ কিছু হতবাক আতঙ্কিত চোখের সামনেই। আর এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কিছু সময়ের জন্য হলেও ফিরল ভোট-সন্ত্রাসের চিরচেনা দৃশ্য। মনের মতো জনপ্রতিনিধি বেছে নেওয়ার ‘উৎসবে’ যোগ দিতে আসা মানুষজন সে দৃশ্যের ভয়াবহতা সইতে না পেরে পালালেন নিরাপদ আশ্রয়ে। এবং যথারীতি ঘটনা ঘটে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকা দখল নিয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিস। উত্তেজনা ঠান্ডা করে নিয়ন্ত্রণে এনেছে পরিস্থিতি। মানুষও ফিরেছে বুথে ভোটের ‘উৎসবে’ শামিল হতে, মনের মতো জনপ্রতিনিধি, মনপসন্দ সরকার নির্মাণে হাত লাগাতে।
অন্যদিকে সরকারপাড়া বুথের সামনের এই নারকী কাণ্ড নিয়ে যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে চাপান-উতোর—দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা চলেছে চ্যানেলযুদ্ধে। নিহত রাজমিস্ত্রি কংগ্রেসের স্থানীয় কর্মী বলে চিহ্নিত হয়ে গেছেন। তাঁর সঙ্গে আহত দু’জনের একজন কংগ্রেস, অন্যজন তৃণমূল বলে স্বীকৃতিও পেয়েছেন। ফলে, একটি নির্মম নারকী হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক সংঘর্ষের শিরোপা পেয়ে গেছে এবং সেখানেও জয়-পরাজয় নিয়ে পক্ষে, প্রতিপক্ষে একটা হইহই যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যেমন হয়, যেমনটি আমরা দেখতে অভ্যস্ত তেমনই আর কী! এবং এবারের মোটামুটি শান্তির ভোটে রক্তের ছাপ লাগল কার দোষে—তা নিয়ে বাদানুবাদের আসরও বসে গেছে বিভিন্ন মহলে। এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল কেবল একটাই, যাকে বলে একেবারে বেখাপ্পা ব্যতিক্রম—এক তরুণ। বুক খোলা রক্তে ভেজা শার্ট, বিধ্বস্ত মুখ, কান্না থমকে থাকা ভারী চোখ আর অসহায় মর্মান্তিক একটা চাহুনি। সরকারপাড়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে জেগে ওঠা রাজনৈতিক কোলাহল থেকে দূরে হাসপাতালের বারান্দায় সেই তরুণের বুকফাটা আর্তনাদে কেঁপে কেঁপে চলেছে বৈশাখের তপ্ত নীল কঠিন আকাশ—আমরা তো যে যখন যা বলেছে করেছি, যেমন বলেছে দিয়েছি... তাও কেন এমন হল...! তাকে ঘিরে ছোট্ট ভিড়! নিরুত্তর!
সেটাই স্বাভাবিক। আমরাই কি জানি ছাই ওই সরল প্রশ্নের উত্তর! আমরা যারা শিক্ষিত সভ্যসজ্জন জাতীয় কি আন্তর্জাতিক সব বিষয়ে সমান দক্ষ মার্কসবাদ থেকে মোদিবাদ সব যাদের মুখস্থ কণ্ঠস্থ, আমরা যারা প্রতিনিয়ত গণতন্ত্রের হয়ে ধ্বজা তুলি গরিব মেহনতি মানুষের জন্য যাদের চোখের জল কখনও শুকোয় না, আমরা যারা বক্তৃতার মঞ্চ পেলে কথার কুঠারের দশ-পাঁচ ঘায়ে এভারেস্টকেও চাইলে নামিয়ে আনতে পারি পদতলে—সেই আমরাও কি জানি—সব মেনে নেওয়ার পরও কেন এমন হয়! জানলে তো নিশ্চয়ই আগেভাগে জানিয়ে দেওয়া যেত ওই তরুণের বাপকে—বুঝিয়ে দেওয়া যেত, বাপু ভোট নিয়ে ঝঞ্ঝাটে যেও না। চুপচাপ যাও, পারলে দাও না পারলে ফিরে এস। রাজমিস্ত্রির কাজে চলে যাও। কামাও, খাও বাল-বাচ্চা নিয়ে ঘর কর।
জানি না বলেই বলা হয় না। আর সেই খামতি কেড়ে নেয় টিয়ারুল ইসলামের মতো প্রাণ। আর ঘটনার পর আমাদের যাদের মঞ্চ আছে অজুহাত দিই, যুক্তি খাড়া করি ওই মৃত্যু থেকে দু-চার সের রাজনৈতিক ফায়দা আসে কি না তার হিসেব কষি। আর যাদের সেই মঞ্চ নেই তাদের বাক্স আছে—বাক্স খুলে হত্যা ও তৎসংলগ্ন রাজনীতির রোমাঞ্চকর গল্প শুনি, ছবি দেখি। দেখি কীভাবে রাজমিস্ত্রির মতো একজন সাধারণও মৃত্যুর পর কয়েকদিনের জন্য হলেও রাজনীতির চরিত্র হয়ে উঠছেন, কাগজে মিডিয়ায় ছাপা হচ্ছে তাঁর ছবি, কত লোক তাঁকে নিয়ে তাঁর ঘর-পরিবার নিয়ে কত কিছু বলছেন এবং সব মিলিয়ে ক’দিন আগের অজ্ঞাতপরিচয় মানুষটির ‘বিশেষ’ পরিচয় তৈরি হয়ে যাচ্ছে জনমনে! আজ বলে নয়—এই ট্র্যাডিশন চিরকালই ছিল, আজও চলছে। মিডিয়ামুগ্ধ এই যুগে তার প্রতিপত্তি যে বহুগুণ বেড়েছে—তাতেই বা সন্দেহ কি?
কিন্তু, মঙ্গলবারের ওই ঘটনা নিয়ে এত কথা কেন? সেদিনের ভোটের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে সরকারপাড়ার খুনটাকে একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই তো দেখতে হয়। তার কারণ ওই দিন তৃতীয় দফার ভোটেও অশান্তি প্রায় হয়নি বললেই চলে। ডোমকলের টিকটিকি পাড়ায় অল্পবিস্তর বোমাবাজি (তাও বুথ থেকে ছ-সাতশো মিটার দূরে) দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডিতে বিজেপি সমর্থকদের ভোটদানে বাধা বা হরিহরপুরে একটি বুথের কাছে চা-দোকানে ভাঙচুরের মতো ঘটনা বা বুথের ভিতরে-বাইরে ভোটার প্রভাবিত করার ঘটনা নিয়ে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেসের এজেন্টদের মধ্যে বচসাকে আর যা-ই হোক বড় ঘটনা বলা যায় কি? তাছাড়া, একথা অতি বড় নিন্দুকও স্বীকার করছেন যে, মঙ্গলবার পাঁচ কেন্দ্রের ভোটেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিস যথেষ্ট ছিল। নির্বাচন কমিশনের নজরও ছিল কড়া। ফলে গণ্ডগোল পাকানোর হোতাদের বিশেষ সুবিধা হয়নি। মানুষ মোটের ওপর নির্বিঘ্নেই ভোট দিয়েছেন। অথচ, এমন সামগ্রিক শান্তির পরিবেশেই সরকারপাড়ায় খুনের ঘটনাটা ঘটেছে। প্রথম দুই পর্ব শান্তিতে মিটতে দেখে মানুষের মনে পরবর্তী পর্বগুলো নিয়ে যে আশ্বাস-বিশ্বাস দানা বাঁধছিল—সরকারপাড়া তাতে একটা জোর ধাক্কা দিয়ে গেছে। সেজন্যই এত কথা।
বাংলার ভোটে হিংসা কোনও নতুন ব্যাপার তো নয়। কিন্তু, এবার প্রথম থেকেই ভোটের পরিবেশ পরিস্থিতি একটু আলাদা বলেই মনে হয়েছে। একদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যাপক টহলদারি, নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকদের নজরদারি এবং অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিস প্রশাসনের সক্রিয়তা সহযোগিতায় সাধারণ মানুষজনের মনের ভোটভীতিও অনেকটাই প্রশমিত দেখিয়েছে। ফলে, ভোট প্রচারে যুযুধান পক্ষের নেতানেত্রীর তরজায় উত্তেজনার পারদ যতই চড়ুক, একটা সৌহার্দের পরিবেশে ভোট শেষ হবে এমন প্রত্যাশা বেড়ে উঠছিল মানুষের মধ্যে। মঙ্গলবারের মর্মান্তিক ঘটনা তাতে একটা ধাক্কা দিয়েছে। ধাক্কা দিয়েছে তবে ভাঙতে পারেনি—পথেঘাটে সাধারণের কথায় তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। এবং জনমহলে যে ভোট জল্পনা চলছে সেখানেও এই আঁটোসাটো নিরাপত্তার ভূমিকা স্বীকৃতী হচ্ছে। আসলে, বাংলার মানুষ তা তিনি রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থকই হোন, কি সাধারণ পাবলিক—কেউই রক্তারক্তি খুনোখুনি পছন্দ করেন না। এই ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার যুগেও রক্তপাত এড়িয়ে চলতে চান এ রাজ্যের অধিকতর মানুষ—একথা তথ্যভিজ্ঞজনেরাও স্বীকার করেন। ওইসব পছন্দ যারা করে তাদের একমাত্র পরিচয়—দুষ্কৃতী, সমাজবিরোধী। তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি কিচ্ছু না—খুনেগুন্ডা, দুষ্কৃতী। কিন্তু, দুর্ভাগ্য এই যে, আমাদের দেশে এরা অনেক সময়ই নানা কৌশলে রাজনৈতিক একটা পরিচয় পেয়ে যায়! এক্ষেত্রেও এত বছরে কোনও ব্যত্যয় ঘটেনি! আর এই না ঘটার মাশুল গুনতেই সরকারপাড়া ঘটে! আমাদের ভোট উৎসব কলঙ্কিত হয়। সেজন্যই এত কথা।
যাইহোক ভোট চলছে। সাত পর্বের তিন পর্ব শেষ। সুদূর উত্তর থেকে জেলার পর জেলা পার হয়ে ক্রমশ কলকাতা মহানগরীর দিকে এগিয়ে আসছে নির্বাচন। যত এগিয়ে আসছে তত তাপ বাড়ছে ভোটের ময়দানে। মোদি-মমতার সভা, পাল্টা সভায় সরগরম ভোটবাজার। এবং তৃতীয় পর্বে রক্তপাত প্রাণহানির পর সঙ্গত কারণেই সাধারণ মানুষজনের মহলে প্রশ্ন জেগেছে—শেষ চার পর্বের ভোট রক্তপাতহীন হবে তো? মানুষের নিরাপত্তা ভোটকর্মীদের সুরক্ষা বজায় থাকবে তো? থাকবে কি থাকবে না সেটা বলবে সময়। তবে, ইতিমধ্যেই ভোট-কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, চতুর্থ পর্বে ৯৮ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। রাজ্যের পুলিস তো থাকবেই। ফলে, সাধারণের মধ্যে একটা আশ্বাসের বাতাবরণ নিশ্চিত তৈরি হয়েছে। কিন্তু, পাশাপাশি তক্ষাদের মনে একটা খটকা থেকেই যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদের সরকারপাড়াতেও তো যথেষ্ট আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। পুলিস বাহিনী সবই ছিল। তা সত্ত্বেও হাঙ্গামা হল কীভাবে! কীভাবে দুষ্কৃতীরা একজনকে বুথে না হলেও বুথের কাছাকাছি অমন নৃশংসভাবে খুন করে বেরিয়ে গেল!? যতদূর মনে পড়ছে টিভি চ্যানেলে একজন স্থানীয় বলেছেন, ঘটনার সময় বুথে প্রহরারত নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে সাহায্য চাইতে গেলে তাঁরা নাকি বলেছিলেন, বুথ ছেড়ে যাওয়া যাবে না! এবং, নিরাপত্তার সেই ফাঁকেই ঘটে গিয়েছে ওই মর্মান্তিক হত্যা! দুষ্কৃতীরাও চম্পট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে! প্রশ্ন একটাই, আসন্ন পর্বগুলোতে নিরাপত্তার ওই ফাঁকটা ভরানো হবে তো? না হলে বুথের শুদ্ধতা হয়তো বাঁচবে, কিন্তু ভোটারদের মনে প্রাণচিন্তাটা থেকেই যাবে— তাই না?
25th  April, 2019
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে কী বললেন মমতা
দূরদর্শনের লোগোর গৈরীকিকরণ নিয়ে এবার  বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা ...বিশদ

06:45:26 PM

বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM