মধ্যবিত্তের ভোটচর্চা
সমৃদ্ধ দত্ত: ভোট নিয়ে সবথেকে বেশি গল্প কারা করে? মধ্যবিত্ত। ভোট নিয়ে সারাদিন বন্ধুবান্ধব আর পরিচিতদের সঙ্গে ঝগড়া কারা করে? মধ্যবিত্ত। যে নেতানেত্রীরা তাঁদের চেনেনই না, তাঁদের হয়ে জানপ্রাণ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছোটবেলার বন্ধু কিংবা আত্মীয়স্বজন অথবা পরিচিত ফ্যামিলি ফ্রেণ্ডকে আক্রমণ করে কারা? মধ্যবিত্ত। রাজনীতির আলোচনায় প্রিয়জনের সঙ্গেও মনোমালিন্য করতে দ্বিধা করে না কারা? মধ্যবিত্ত। সাহিত্য নয়, সিনেমা নয়, সঙ্গীত নয়, বিজ্ঞান নয়, যে কোনও আড্ডা, আলোচনার ভরকেন্দ্রে সবথেকে বেশি করে চলে আসে রাজনীতি কোন শ্রেণীর কাছে? মধ্যবিত্ত। অথচ লক্ষ করে দেখলে দেখা যাবে কৃষকের জন্য স্পষ্ট করে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস বলেছে ক্ষমতায় এলে বছরে ৭২ হাজার টাকা নিশ্চিত আয়ের ব্যবস্থা করা হবে। নরেন্দ্র মোদির বিজেপি বলেছে ৬ হাজার টাকা বছরে ব্যাঙ্ক ট্র্যান্সফার করা হবে দেশের সমস্ত কৃষককে। ক্ষুদ্র দোকানিদের জন্য বলা হয়েছে ৬০ বছরের পর পেনশনের ব্যবস্থা হবে। শ্রমিকদের পেনশন ছাড়াও বিমা এবং বিশেষ সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা হবে। আয়ুষ্মান ভারত নামক স্বাস্থ্যপ্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা করে মেডিক্লেম পাবেন বিপিএল মানুষেরা। কংগ্রেস ঘোষণা করেছে ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টিকে এবার ১৫০ দিনে পরিণত করা হবে। বামপন্থীদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বলা হয়েছে যে কোনও শ্রমের ন্যূনতম মজুরি এমন করা হবে যাতে মাসিক রোজগার অন্ততপক্ষে ১৮ হাজার টাকা হয়। শিল্পপতিদের জন্য লগ্নির সুবিধা ও কর্পোরেট ট্যাক্স ছাড়ের অবাধ সুবিধা দেওয়া হবে।
এই যে এত প্রতিশ্রুতি তার প্রত্যেকটি কিন্তু খুব ফোকাসড। অর্থাৎ কোনও ধোঁয়াশা নেই। স্পষ্ট। কৃষকরা কত টাকা ব্যাঙ্ক ট্র্যান্সফার পাবেন সেই টাকার অঙ্ক স্পষ্ট। কত টাকা প্রিমিয়াম দিলে দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষের মেডিক্লেম পাওয়া যাবে সেটা স্পষ্ট। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য ১০০ দিনের কাজ বেড়ে ১৫০ দিন হবে এই আশ্বাসটি স্পষ্ট যে ৫০ দিন আরও বেড়ে যাবে জব কার্ড পাওয়ার সুযোগ। কৃষক, ক্ষুদ্র দোকানি ও শ্রমিকদের বয়স ৬০ হলে পেনশন পাওয়া যাবে এটাও স্পষ্ট। কিন্তু মধ্যবিত্তদের জন্য অত্যন্ত স্পষ্ট করে কোনও দলের প্রতিশ্রুতি থাকে না। কিংবা কোনও সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীনও মধ্যবিত্তের জন্য বিপুল উন্নয়ন প্যাকেজ কখনও করেছে বলে শোনা যায় না। গোটা দেশে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য তা সে কৃষক হোক, শ্রমিক হোক, বিপিএল হোক হাজারো প্রকল্প আছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের। কিন্তু নিছক মধ্যবিত্তের জীবনযাপনের উন্নতি হবে এরকম প্রকল্প কি প্রত্যক্ষভাবে আছে? নেই। মধ্যবিত্তদের জন্য কী আছে? দেখা যায় এই শ্রেণীর জন্য শুধু ফিল গুড, শুনতে ভালো, বেশ আধুনিক চালাক চালাক শব্দ দিয়ে ঘেরা কথামালা থাকে। স্মার্ট সিটি, ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া। ইউপিএ আমলে ছিল ভারতনির্মাণ। বাজেটে যখনই আয়কর নিয়ে ঘোষণা করা হয় দেখা যায় সেটি নানাবিধ শর্তের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ সরাসরি স্ল্যাব কমানো হয়। সরাসরি আয়করের শতাংশ কমানো হয় না। যা হয় সব ঘুরিয়ে। এবং প্রচুর হিসেব নিকেশ করে দেখা যায় বিশেষ কোনও লাভই হয়নি।
আজ যুবসমাজের কর্মসংস্থান একটি জ্বলন্ত ইস্যু। চাকরি চাই। কাজ চাই। কিন্তু কোনও দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে সরাসরি স্পষ্ট সোজা ঘোষণা নেই যে সরকারে এলে এই কাজ দেওয়ার জন্য কী করা হবে। যা বলা হয়েছে সেটাও স্রেফ ধোঁয়াশা আর গোল গোল কথা। এই সেক্টরে এত চাকরি হবে, এই দপ্তরে এতগুলি নিয়োগ হবে। নতুন কোনও এক ব্যবস্থায় প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। এরকম কোনও নির্দিষ্ট ঘোষণা কিন্তু নেই। সোজা কথায় মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাসকে স্রেফ হাওয়া খাইয়ে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর। আর এই শ্রেণী সেটা বুঝুক না বুঝুক রাতদিন রাজনীতি, ভোট, দল নিয়েই মেতে আছে।
আজকের ভারতের শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত সাধারণত বেসরকারি পরিষেবার উপর নির্ভরশীল জীবনযাপনের ক্ষেত্রে। জ্বর হলে পাড়ার ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয়। গলব্লাডারে স্টোন হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নার্সিংহোমে যেতে হয়। সরকারি হাসপাতালে যাওয়া হয় না তা নয়। তবে ডেট পাওয়া সমস্যা, বেড পাওয়া অনিশ্চিত, এসব থাকে বলে ওটা অ্যাভয়েড করে মধ্যবিত্ত আর উচ্চ মধ্যবিত্ত। একটু বড় অংশই ছেলেময়েদের পাঠায় বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়ামে। আর একটু বড় ক্লাস হলে আকাশ বা ফিটজির মতো টিউটোরিয়াল ইনস্টিটিটিউটে। প্রায় কোনও সরকারি প্রকল্পের আওতায় এই শ্রেণী আসে না। সরকারি বা স্পনসর্ড স্কুলে মিড ডে মিল ছাড়া। ফলে মোটের উপর দেখা যায় মিডল ও আপার মিডল ক্লাস সরকারের উপর তেমন একটা নির্ভরশীল নয়। নিজেদের প্রয়াসে চাকরি পেতে হয়। কাজ খুঁজতে হয়। সেটা সরকারি বা বেসরকারি যাই হোক। যদি আমাদের প্রতিদিনের জীবনে পুরসভা, কাউন্সিলারকে লাগতে পারে। চেনাশোনা থাকলে ভালো। সামাজিকভাবে একটা আত্মগরিমার প্রকাশ দেখা যায় কাউন্সিলার বা বিধায়ক যদি আমাকে চেনে তাহলে। কিন্তু সিংহভাগ মানুষের তাও চেনাজানা থাকে না। অর্থাৎ মিডল ক্লাস ও আপার মিডল ক্লাস সরকারের থেকে বিশেষ যে কিছু পায় এমন নয় (এখানে ডি এ কিংবা অবসরের বয়স ৬২ এসব ধরা হচ্ছে না)। অথচ লক্ষ করা যায় এই শ্রেণীটিই সবথেকে বেশি পলিটিক্স নিয়ে কথা বলে। সবথেকে বেশি রাজনীতির ঝগড়া করে, তুলকালাম আক্রমণ করে একে অন্যকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপে গ্রুপে ঘুরে বেড়ায় পলিটিক্যাল বিষয়ে কমেন্ট করার জন্য। যে দলের হয়ে এঁরা চেনা আপনজনদের আক্রমণ কিংবা অপমান করতে এইসব ঝগড়ার সময় দ্বিধা করে না, সেইসব দলের কোনও নেতাই কিন্তু এঁদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। এমনকী দেখা করতে গেলেও যে দেখা করবেন এমনও নয়। অথচ মিডল ক্লাস ও আপার মিডল ক্লাস সবথেকে বেশি ভোকাল রাজনীতি নিয়ে। আমাদের চারপাশের সমাজে এই ক্লাসের মধ্যে দেখা যায় সবথেকে বেশি যে দুটি জিনিস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান আছে সে-দুটি হল পলিটিক্স আর মিডিয়া। মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাস এই দুটি বিষয়েই সবথেকে বেশি চর্চা করে। কারণ এই দুটি বিষয়ের জন্য কোনও অনুশীলনের দরকার হয় না। প্রতিদিনের জীবনে চোখের সামনেই ঘটছে। বই নিয়ে, সঙ্গীত নিয়ে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে, প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে হলে অনুশীলন করতে হবে। জানতে হবে। সেই প্রয়াস করার থেকে যে দুটি বিষয়ে যে কোনও সময় যে কোনও অভিমত দেওয়া সহজ, সেটার চর্চা অনেক কমফর্টেবল। তাই পলিটিক্স আর মিডিয়া প্রিয় বিষয় আলোচনার।
রাজনৈতিক দলগুলি মধ্যবিত্তদের মধ্যে সবথেকে বেশি আলোচিত। অথচ মধ্যবিত্তদের জন্য তাঁরা কিছু করে না কখনও। আমাদের জীবনযাপন ১০ বছর আগের তুলনায় যদি বদলে যায় তাহলে সেটা আমাদের ব্যক্তিগত কৃতিত্ব কিংবা ব্যক্তিগত অসাফল্য অথবা দুর্ভাগ্য। সরকারের কোনও প্রকল্পের কারণে আমার জীবনযাত্রার মানই বদলে গিয়েছে এটা কিন্তু মিডল ও আপার মিডল ক্লাসের ক্ষেত্রে তেমনভাবে দেখা যাবে না। মিডল ক্লাসের সমস্যা হল তারা আর্থিক, শিক্ষা ও সামাজিকভাবে সবথেকে শক্তিশালী জাতি। কিন্তু অর্গানাইজড নয়। ধরুন নাসিক থেকে কৃষক পদযাত্রা হবে। সেখানে আমি যদি কৃষক হই পশ্চিমবঙ্গ থেকে যোগ দিতে পারি জীবিকার তাগিদে। হয়ও সেরকম। দিল্লির রামলীলা ময়দানে শ্রমিকদের সমাবেশ হবে। সেখানে দেখা যায় প্রায় সব রাজনৈতিক দলের শ্রমিক ইউনিয়ন একজোট। আমি ইউনিয়নের কেউ না হলেও নিছক একজন শ্রমিক হিসেবে নিজের স্বার্থেও সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাই। কিন্তু মিডল আর আপার মিডল ক্লাসের কোনও সম্মিলিত দাবিই নেই। তাদের কোনও সমন্বয়ও নেই। তারা শুধু নিজেদের মধ্যেই লড়াই করে নীতি,আদর্শ, রাজনৈতিক অবস্থান, নেতানেত্রীর প্রতি ভক্তি নিয়ে। কিন্তু স্রেফ মধ্যবিত্ত আর উচ্চ মধ্যবিত্তের স্বার্থ রক্ষা করতে কখনও এই ক্লাসকে একজোট হতে দেখা যায় না। এটা মিডল ক্লাসের দুর্বলতা। আর রাজনৈতিক দলগুলির শক্তি। রাজনৈতিক দলগুলি মিডল আর আপার মিডল ক্লাসকে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী ইউজ করে। কিন্তু তাদের জন্য কোনও প্রকল্প ঘোষণা করে না, প্ল্যান নেই, নির্দিষ্ট ঘোষণাও নেই। অথচ এরাই রাজনীতির ডিসকার্সে সবথেকে সরব।
২০১৯ সালে শহুরে মধ্যবিত্ত অর্থাৎ আরবান মিডল ক্লাস কীভাবে ভোট দেবে সেটা অনেকটাই কিন্তু স্থির করে দেবে নরেন্দ্র মেদি ও রাহুল গান্ধীর ভবিষ্যৎ। ২০১৪ সালে আরবান মিডল ক্লাসের ভোটের বিপুল অংশ নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে গুজরাত বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই দেখা গিয়েছে আরবান মিডল ক্লাসের সামান্য মোহভঙ্গ হয়েছে নরেন্দ্র মোদির প্রতি। গুজরাতের ৪২টি শহুরে বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৩৬টি। যেটা আগে ছিল ৩৮। আবার তার থেকেও উদ্বেগ হল গ্রামীণ আসনগুলির মধ্যে বিজেপির দখলে থাকা ১৪টি আসন কংগ্রেস দখল করে নিয়েছিল। গ্রামের ক্ষোভের পাশাপাশি যদি শহুরে মধ্যবিত্তও ক্রুদ্ধ হয় তাহলে বিজেপির আসন অনেকটা ধাক্কা খাবে। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া তিনটি রাজ্যের ভোটে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়েও দেখা যাচ্ছে ৮০টি শহুরে আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র ৪৬ শতাংশ দখল করতে পেরেছে। যেটা ২০১৩ সালে ছিল ৮০ শতাংশ। তাহলে কি মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত ভোটে সামান্য সুইং আসতে চলেছে ২০১৯ সালে?
পশ্চিমবঙ্গে এই প্রবণতা আরও বেশি আকর্ষণীয় হতে চলেছে। কারণ সিপিএমের আরবান মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাস ভোটের সিংহভাগ বিজেপি দখল করে নিচ্ছে। কারণ একদা সিপিএম সমর্থকদের কাছে ধীরে ধীরে রাজনীতিটা হয়ে গিয়েছে অ্যান্টি মমতা বনাম প্রো মমতা। তারা মমতার উপর এতটাই ক্ষিপ্ত যে মমতাকে হারতে দেখাই একটি আত্মতৃপ্তি। সেটা চাক্ষুষ করার জন্য এই ‘মনে সিপিএম ভোটে বিজেপি’ শ্রেণীটি মমতা বিরোধী ভোট দিচ্ছে। আরবান মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাসের একটি সমস্যা আছে। সেটি হল তাঁরা সাধারণত প্রতিদিন সেইসব মানুষের সঙ্গেই আলোচনা করেন, বা রাজনীতির ইনফরমেশনের আদানপ্রদান করেন যাঁরা সিংহভাগই তাঁদেরই সমাজ ও শ্রেণীভুক্ত। কালেভদ্রে হয়তো সাব অলটার্ন কিংবা কৃষক অথবা গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে দেখা হলে মিডল ও আপার মিডল ক্লাসের আমরা প্রশ্ন করি, কী বুঝছেন? কী হবে এবার? কারা জিতবে? কিন্তু মোটের উপর সারাদিন, সারা মাস, সারা সপ্তাহ আমরা সচরাচর নিজেদের সমাজের সঙ্গেই বেশি কথা বলি। তাই ক্রমেই ওই চেনা সমাজের কথাগুলিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তাদের সঙ্গেই তর্ক করি। তাদের কথার বিরোধিতা করি। তাদের কথায় সমর্থন করি। কিন্তু এই যে নিরন্তর সরব আলোচনা, এসবের আড়ালে একটা নীরবতার জগৎ থাকে। যাঁরা কিছুই বলেন না। শোনেন। পাড়ার আড্ডাস্থল, ক্লাব, অফিসের টিফিন টাইম, স্কুলের স্টাফরুম, চায়ের দোকানের চিৎকৃত এইসব আলোচনার পাশ থেকে এই নীরব লোকেরা মাথা নিচু করে নির্লিপ্তভাবে চলে যান কলেজে, অফিসে বা বাড়িতে। অথবা গ্রামে ১০০ দিনের কাজ করেন, ভেঙে যাওয়া টালি সারাচ্ছেন, বিডিও অফিসে লাইন দিয়েছেন, স্বনিযুক্তির সামগ্রী নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন। এঁরা কী ভাবছেন? এঁরা কোথায় ভোট দেবেন? সরব অংশ প্রেডিকটেবল। তাঁদের মধ্যে রহস্য নেই। ভোটের সবথেকে ইন্টারেস্টিং চরিত্র আসলে এইসব শহর আর গ্রামের নীরব অংশ! যাঁরা এখনও কম কথা বলেন! তাঁদের ভোট কে পাবেন? হয়তো সেটাই স্থির করে দেবে কারা জিতবে!
19th April, 2019