Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মধ্যবিত্তের ভোটচর্চা 

সমৃদ্ধ দত্ত: ভোট নিয়ে সবথেকে বেশি গল্প কারা করে? মধ্যবিত্ত। ভোট নিয়ে সারাদিন বন্ধুবান্ধব আর পরিচিতদের সঙ্গে ঝগড়া কারা করে? মধ্যবিত্ত। যে নেতানেত্রীরা তাঁদের চেনেনই না, তাঁদের হয়ে জানপ্রাণ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছোটবেলার বন্ধু কিংবা আত্মীয়স্বজন অথবা পরিচিত ফ্যামিলি ফ্রেণ্ডকে আক্রমণ করে কারা? মধ্যবিত্ত। রাজনীতির আলোচনায় প্রিয়জনের সঙ্গেও মনোমালিন্য করতে দ্বিধা করে না কারা? মধ্যবিত্ত। সাহিত্য নয়, সিনেমা নয়, সঙ্গীত নয়, বিজ্ঞান নয়, যে কোনও আড্ডা, আলোচনার ভরকেন্দ্রে সবথেকে বেশি করে চলে আসে রাজনীতি কোন শ্রেণীর কাছে? মধ্যবিত্ত। অথচ লক্ষ করে দেখলে দেখা যাবে কৃষকের জন্য স্পষ্ট করে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস বলেছে ক্ষমতায় এলে বছরে ৭২ হাজার টাকা নিশ্চিত আয়ের ব্যবস্থা করা হবে। নরেন্দ্র মোদির বিজেপি বলেছে ৬ হাজার টাকা বছরে ব্যাঙ্ক ট্র্যান্সফার করা হবে দেশের সমস্ত কৃষককে। ক্ষুদ্র দোকানিদের জন্য বলা হয়েছে ৬০ বছরের পর পেনশনের ব্যবস্থা হবে। শ্রমিকদের পেনশন ছাড়াও বিমা এবং বিশেষ সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা হবে। আয়ুষ্মান ভারত নামক স্বাস্থ্যপ্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা করে মেডিক্লেম পাবেন বিপিএল মানুষেরা। কংগ্রেস ঘোষণা করেছে ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টিকে এবার ১৫০ দিনে পরিণত করা হবে। বামপন্থীদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বলা হয়েছে যে কোনও শ্রমের ন্যূনতম মজুরি এমন করা হবে যাতে মাসিক রোজগার অন্ততপক্ষে ১৮ হাজার টাকা হয়। শিল্পপতিদের জন্য লগ্নির সুবিধা ও কর্পোরেট ট্যাক্স ছাড়ের অবাধ সুবিধা দেওয়া হবে।
এই যে এত প্রতিশ্রুতি তার প্রত্যেকটি কিন্তু খুব ফোকাসড। অর্থাৎ কোনও ধোঁয়াশা নেই। স্পষ্ট। কৃষকরা কত টাকা ব্যাঙ্ক ট্র্যান্সফার পাবেন সেই টাকার অঙ্ক স্পষ্ট। কত টাকা প্রিমিয়াম দিলে দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষের মেডিক্লেম পাওয়া যাবে সেটা স্পষ্ট। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য ১০০ দিনের কাজ বেড়ে ১৫০ দিন হবে এই আশ্বাসটি স্পষ্ট যে ৫০ দিন আরও বেড়ে যাবে জব কার্ড পাওয়ার সুযোগ। কৃষক, ক্ষুদ্র দোকানি ও শ্রমিকদের বয়স ৬০ হলে পেনশন পাওয়া যাবে এটাও স্পষ্ট। কিন্তু মধ্যবিত্তদের জন্য অত্যন্ত স্পষ্ট করে কোনও দলের প্রতিশ্রুতি থাকে না। কিংবা কোনও সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীনও মধ্যবিত্তের জন্য বিপুল উন্নয়ন প্যাকেজ কখনও করেছে বলে শোনা যায় না। গোটা দেশে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য তা সে কৃষক হোক, শ্রমিক হোক, বিপিএল হোক হাজারো প্রকল্প আছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের। কিন্তু নিছক মধ্যবিত্তের জীবনযাপনের উন্নতি হবে এরকম প্রকল্প কি প্রত্যক্ষভাবে আছে? নেই। মধ্যবিত্তদের জন্য কী আছে? দেখা যায় এই শ্রেণীর জন্য শুধু ফিল গুড, শুনতে ভালো, বেশ আধুনিক চালাক চালাক শব্দ দিয়ে ঘেরা কথামালা থাকে। স্মার্ট সিটি, ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া। ‌ইউপিএ আমলে ছিল ভারতনির্মাণ। বাজেটে যখনই আয়কর নিয়ে ঘোষণা করা হয় দেখা যায় সেটি নানাবিধ শর্তের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ সরাসরি স্ল্যাব কমানো হয়। সরাসরি আয়করের শতাংশ কমানো হয় না। যা হয় সব ঘুরিয়ে। এবং প্রচুর হিসেব নিকেশ করে দেখা যায় বিশেষ কোনও লাভই হয়নি।
আজ যুবসমাজের কর্মসংস্থান একটি জ্বলন্ত ইস্যু। চাকরি চাই। কাজ চাই। কিন্তু কোনও দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে সরাসরি স্পষ্ট সোজা ঘোষণা নেই যে সরকারে এলে এই কাজ দেওয়ার জন্য কী করা হবে। যা বলা হয়েছে সেটাও স্রেফ ধোঁয়াশা আর গোল গোল কথা। এই সেক্টরে এত চাকরি হবে, এই দপ্তরে এতগুলি নিয়োগ হবে। নতুন কোনও এক ব্যবস্থায় প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। এরকম কোনও নির্দিষ্ট ঘোষণা কিন্তু নেই। সোজা কথায় মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাসকে স্রেফ হাওয়া খাইয়ে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর। আর এই শ্রেণী সেটা বুঝুক না বুঝুক রাতদিন রাজনীতি, ভোট, দল নিয়েই মেতে আছে।
আজকের ভারতের শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত সাধারণত বেসরকারি পরিষেবার উপর নির্ভরশীল জীবনযাপনের ক্ষেত্রে। জ্বর হলে পাড়ার ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয়। গলব্লাডারে স্টোন হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নার্সিংহোমে যেতে হয়। সরকারি হাসপাতালে যাওয়া হয় না তা নয়। তবে ডেট পাওয়া সমস্যা, বেড পাওয়া অনিশ্চিত, এসব থাকে বলে ওটা অ্যাভয়েড করে মধ্যবিত্ত আর উচ্চ মধ্যবিত্ত। একটু বড় অংশই ছেলেময়েদের পাঠায় বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়ামে। আর একটু বড় ক্লাস হলে আকাশ বা ফিটজির মতো টিউটোরিয়াল ইনস্টিটিটিউটে। প্রায় কোনও সরকারি প্রকল্পের আওতায় এই শ্রেণী আসে না। সরকারি বা স্পনসর্ড স্কুলে মিড ডে মিল ছাড়া। ফলে মোটের উপর দেখা যায় মিডল ও আপার মিডল ক্লাস সরকারের উপর তেমন একটা নির্ভরশীল নয়। নিজেদের প্রয়াসে চাকরি পেতে হয়। কাজ খুঁজতে হয়। সেটা সরকারি বা বেসরকারি যাই হোক। যদি আমাদের প্রতিদিনের জীবনে পুরসভা, কাউন্সিলারকে লাগতে পারে। চেনাশোনা থাকলে ভালো। সামাজিকভাবে একটা আত্মগরিমার প্রকাশ দেখা যায় কাউন্সিলার বা বিধায়ক যদি আমাকে চেনে তাহলে। কিন্তু সিংহভাগ মানুষের তাও চেনাজানা থাকে না। অর্থাৎ মিডল ক্লাস ও আপার মিডল ক্লাস সরকারের থেকে বিশেষ যে কিছু পায় এমন নয় (এখানে ডি এ কিংবা অবসরের বয়স ৬২ এসব ধরা হচ্ছে না)। অথচ লক্ষ করা যায় এই শ্রেণীটিই সবথেকে বেশি পলিটিক্স নিয়ে কথা বলে। সবথেকে বেশি রাজনীতির ঝগড়া করে, তুলকালাম আক্রমণ করে একে অন্যকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপে গ্রুপে ঘুরে বেড়ায় পলিটিক্যাল বিষয়ে কমেন্ট করার জন্য। যে দলের হয়ে এঁরা চেনা আপনজনদের আক্রমণ কিংবা অপমান করতে এইসব ঝগড়ার সময় দ্বিধা করে না, সেইসব দলের কোনও নেতাই কিন্তু এঁদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। এমনকী দেখা করতে গেলেও যে দেখা করবেন এমনও নয়। অথচ মিডল ক্লাস ও আপার মিডল ক্লাস সবথেকে বেশি ভোকাল রাজনীতি নিয়ে। আমাদের চারপাশের সমাজে এই ক্লাসের মধ্যে দেখা যায় সবথেকে বেশি যে দুটি জিনিস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান আছে সে-দুটি হল পলিটিক্স আর মিডিয়া। মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাস এই দুটি বিষয়েই সবথেকে বেশি চর্চা করে। কারণ এই দুটি বিষয়ের জন্য কোনও অনুশীলনের দরকার হয় না। প্রতিদিনের জীবনে চোখের সামনেই ঘটছে। বই নিয়ে, সঙ্গীত নিয়ে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে, প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে হলে অনুশীলন করতে হবে। জানতে হবে। সেই প্রয়াস করার থেকে যে দুটি বিষয়ে যে কোনও সময় যে কোনও অভিমত দেওয়া সহজ, সেটার চর্চা অনেক কমফর্টেবল। তাই পলিটিক্স আর মিডিয়া প্রিয় বিষয় আলোচনার।
রাজনৈতিক দলগুলি মধ্যবিত্তদের মধ্যে সবথেকে বেশি আলোচিত। অথচ মধ্যবিত্তদের জন্য তাঁরা কিছু করে না কখনও। আমাদের জীবনযাপন ১০ বছর আগের তুলনায় যদি বদলে যায় তাহলে সেটা আমাদের ব্যক্তিগত কৃতিত্ব কিংবা ব্যক্তিগত অসাফল্য অথবা দুর্ভাগ্য। সরকারের কোনও প্রকল্পের কারণে আমার জীবনযাত্রার মানই বদলে গিয়েছে এটা কিন্তু মিডল ও আপার মিডল ক্লাসের ক্ষেত্রে তেমনভাবে দেখা যাবে না। মিডল ক্লাসের সমস্যা হল তারা আর্থিক, শিক্ষা ও সামাজিকভাবে সবথেকে শক্তিশালী জাতি। কিন্তু অর্গানাইজড নয়। ধরুন নাসিক থেকে কৃষক পদযাত্রা হবে। সেখানে আমি যদি কৃষক হই পশ্চিমবঙ্গ থেকে যোগ দিতে পারি জীবিকার তাগিদে। হয়ও সেরকম। দিল্লির রামলীলা ময়দানে শ্রমিকদের সমাবেশ হবে। সেখানে দেখা যায় প্রায় সব রাজনৈতিক দলের শ্রমিক ইউনিয়ন একজোট। আমি ইউনিয়নের কেউ না হলেও নিছক একজন শ্রমিক হিসেবে নিজের স্বার্থেও সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাই। কিন্তু মিডল আর আপার মিডল ক্লাসের কোনও সম্মিলিত দাবিই নেই। তাদের কোনও সমন্বয়ও নেই। তারা শুধু নিজেদের মধ্যেই লড়াই করে নীতি,আদর্শ, রাজনৈতিক অবস্থান, নেতানেত্রীর প্রতি ভক্তি নিয়ে। কিন্তু স্রেফ মধ্যবিত্ত আর উচ্চ মধ্যবিত্তের স্বার্থ রক্ষা করতে কখনও এই ক্লাসকে একজোট হতে দেখা যায় না। এটা মিডল ক্লাসের দুর্বলতা। আর রাজনৈতিক দলগুলির শক্তি। রাজনৈতিক দলগুলি মিডল আর আপার মিডল ক্লাসকে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী ইউজ করে। কিন্তু তাদের জন্য কোনও প্রকল্প ঘোষণা করে না, প্ল্যান নেই, নির্দিষ্ট ঘোষণাও নেই। অথচ এরাই রাজনীতির ডিসকার্সে সবথেকে সরব।
২০১৯ সালে শহুরে মধ্যবিত্ত অর্থাৎ আরবান মিডল ক্লাস কীভাবে ভোট দেবে সেটা অনেকটাই কিন্তু স্থির করে দেবে নরেন্দ্র মেদি ও রাহুল গান্ধীর ভবিষ্যৎ। ২০১৪ সালে আরবান মিডল ক্লাসের ভোটের বিপুল অংশ নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে গুজরাত বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই দেখা গিয়েছে আরবান মিডল ক্লাসের সামান্য মোহভঙ্গ হয়েছে নরেন্দ্র মোদির প্রতি। গুজরাতের ৪২টি শহুরে বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৩৬টি। যেটা আগে ছিল ৩৮। আবার তার থেকেও উদ্বেগ হল গ্রামীণ আসনগুলির মধ্যে বিজেপির দখলে থাকা ১৪টি আসন কংগ্রেস দখল করে নিয়েছিল। গ্রামের ক্ষোভের পাশাপাশি যদি শহুরে মধ্যবিত্তও ক্রুদ্ধ হয় তাহলে বিজেপির আসন অনেকটা ধাক্কা খাবে। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া তিনটি রাজ্যের ভোটে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়েও দেখা যাচ্ছে ৮০টি শহুরে আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র ৪৬ শতাংশ দখল করতে পেরেছে। যেটা ২০১৩ সালে ছিল ৮০ শতাংশ। তাহলে কি মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত ভোটে সামান্য সুইং আসতে চলেছে ২০১৯ সালে?
পশ্চিমবঙ্গে এই প্রবণতা আরও বেশি আকর্ষণীয় হতে চলেছে। কারণ সিপিএমের আরবান মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাস ভোটের সিংহভাগ বিজেপি দখল করে নিচ্ছে। কারণ একদা সিপিএম সমর্থকদের কাছে ধীরে ধীরে রাজনীতিটা হয়ে গিয়েছে অ্যান্টি মমতা বনাম প্রো মমতা। তারা মমতার উপর এতটাই ক্ষিপ্ত যে মমতাকে হারতে দেখাই একটি আত্মতৃপ্তি। সেটা চাক্ষুষ করার জন্য এই ‘মনে সিপিএম ভোটে বিজেপি’ শ্রেণীটি মমতা বিরোধী ভোট দিচ্ছে। আরবান মিডল ক্লাস আর আপার মিডল ক্লাসের একটি সমস্যা আছে। সেটি হল তাঁরা সাধারণত প্রতিদিন সেইসব মানুষের সঙ্গেই আলোচনা করেন, বা রাজনীতির ইনফরমেশনের আদানপ্রদান করেন যাঁরা সিংহভাগই তাঁদেরই সমাজ ও শ্রেণীভুক্ত। কালেভদ্রে হয়তো সাব অলটার্ন কিংবা কৃষক অথবা গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে দেখা হলে মিডল ও আপার মিডল ক্লাসের আমরা প্রশ্ন করি, কী বুঝছেন? কী হবে এবার? কারা জিতবে? কিন্তু মোটের উপর সারাদিন, সারা মাস, সারা সপ্তাহ আমরা সচরাচর নিজেদের সমাজের সঙ্গেই বেশি কথা বলি। তাই ক্রমেই ওই চেনা সমাজের কথাগুলিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তাদের সঙ্গেই তর্ক করি। তাদের কথার বিরোধিতা করি। তাদের কথায় সমর্থন করি। কিন্তু এই যে নিরন্তর সরব আলোচনা, এসবের আড়ালে একটা নীরবতার জগৎ থাকে। যাঁরা কিছু‌ই বলেন না। শোনেন। পাড়ার আড্ডাস্থল, ক্লাব, অফিসের টিফিন টাইম, স্কুলের স্টাফরুম, চায়ের দোকানের চিৎকৃত এইসব আলোচনার পাশ থেকে এই নীরব লোকেরা মাথা নিচু করে নির্লিপ্তভাবে চলে যান কলেজে, অফিসে বা বাড়িতে। অথবা গ্রামে ১০০ দিনের কাজ করেন, ভেঙে যাওয়া টালি সারাচ্ছেন, বিডিও অফিসে লাইন দিয়েছেন, স্বনিযুক্তির সামগ্রী নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন। এঁরা কী ভাবছেন? এঁরা কোথায় ভোট দেবেন? সরব অংশ প্রেডিকটেবল। তাঁদের মধ্যে রহস্য নেই। ভোটের সবথেকে ইন্টারেস্টিং চরিত্র আসলে এইসব শহর আর গ্রামের নীরব অংশ! যাঁরা এখনও কম কথা বলেন! তাঁদের ভোট কে পাবেন? হয়তো সেটাই স্থির করে দেবে কারা জিতবে!  
19th  April, 2019
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ভোট
শুভা দত্ত

 সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে দু’টি দফার ভোটগ্রহণ ইতিমধ্যে সমাপ্ত। এই নির্বাচনে সাত দফায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৯০ কোটি মানুষ। এক্ষেত্রে একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য হল, এখন দেশে ৫৬ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত। তাদের সিংহভাগ তরুণ-তরুণী। তারা নিয়মিত ফেসবুক, ট্যুইটার আর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে খবর দেওয়া নেওয়া করে।
বিশদ

মোদিজি বনাম ইস্তাহার
পি চিদম্বরম

ভারতে প্রতিটি লোকসভার নির্বাচনই অনন‌্য, এমনকী যদি প্রধান দুই প্রতিপক্ষ পুরনোও থাকে। একটি কারণ হল, দুটি নির্বাচনের মাঝে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ বাদে বাকি রাজনৈতিক দলগুলি তাদের অবস্থান বদলে ফেলে।
বিশদ

22nd  April, 2019
জনতার এখন একটাই জিজ্ঞাসা: এই
শান্তি শেষপর্যন্ত বজায় থাকবে তো?
শুভা দত্ত

 দ্বিতীয় দফাও শেষ। লোকসভা ভোটযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্বও মোটের ওপর শান্তিতেই মিটল। গত বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জ—এই তিন আসনে ভোটের লড়াইতে একমাত্র ব্যতিক্রম হয়ে রইল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া! বাংলার ভোটে রক্তারক্তি, মারামারি, বোমাগুলি, খুনোখুনি কোনও নতুন কথা নয়।
বিশদ

21st  April, 2019
কংগ্রেস তো পরিবারকেন্দ্রিক দল, বাকিরা?
মৃণালকান্তি দাস

‘কংগ্রে একটি পরিবারকেন্দ্রিক দল। কংগ্রেসের বেশিরভাগ সভাপতিই নেহরু-গান্ধী পরিবার থেকে এসেছেন। এটা থেকেই বোঝা যায়, এই দলে গণতন্ত্র নেই, একটা বিশেষ পরিবারই এই দল চালায়। বছরের পর বছর ধরে এই পরিবার শুধু নিজেদের উন্নতির কথা ভেবেছে, দেশের উন্নতির কথা ভাবেনি।’
বিশদ

21st  April, 2019
প্রতিবেশীর চোখে ভারতের নির্বাচন
গৌরীশঙ্কর নাগ

বস্তুত আশ্চর্যজনক হলেও পাকিস্তানের তরফে ভারতের নির্বাচনকে সর্বদাই দেখা হয়েছে তাদের জাতীয় স্বার্থের নিরিখে, বিশেষত কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ঘুঁটি সাজানোর ‘গেম প্ল্যান’ হিসেবে। প্রসঙ্গত স্মরণীয়, ১৯৬২ সালের সীমান্ত-সংঘাতের পর থেকে কাশ্মীরের ৩৮,০০০ বর্গকিমি চীনের দখলে রয়েছে। তদুপরি ১৯৬৩ সালে চীনের সঙ্গে সীমান্ত-বোঝাপড়ার মাধ্যমে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ৫,১৮০ বর্গ কিমি চীনকে ছেড়ে দেয়। এখন ভারতের হাতে থাকা অবশিষ্টাংশও পাকিস্তান কব্জা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই ভারতের লোকসভা নির্বাচন পাকিস্তানের কাছে মুসলিমপক্ষীয় বা মুসলিম-বিরোধী এমন অক্ষ গঠনের তাৎপর্যের নিরিখে নয়; পাকিস্তান এ ব্যাপারে অবহিত যে, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ১৭.২২ কোটি (২০১১ সেনসাস অনুযায়ী)। সেক্ষেত্রে পাক হামলায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাও ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
বিশদ

20th  April, 2019
তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ও
বিরোধীদের অনৈক্য
রঞ্জন সেন

এবারের ভোটে ফিরে এসেছে এক পুরনো বিতর্ক। তা হল কোনটা ঠিক—একদলীয় শাসন না বহুদলীয় সরকার? আমাদের দেশ দুরকম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়েই গিয়েছে। দুরকম শাসনেরই স্বপক্ষে ও বিপক্ষে বলার মত নানা কথা আছে। তাই এককথায় এর উত্তর দেওয়া কঠিন। কারণ মানুষ দুরকম সরকারেরই ভালো-খারাপ দুটি দিকই দেখেছেন।
বিশদ

20th  April, 2019
কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে কিছু সহজ প্রশ্ন
শুভময় মৈত্র

সপ্তদশ লোকসভা গঠনের লক্ষ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেল ১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। সাত দফায় চলবে এই ভোট, ১৯ মে পর্যন্ত। তারপর ২৩ তারিখ ভোটফল। মোদি সরকার আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে কিনা সেটাই এবারের মূল প্রশ্ন। আপাতত বিভিন্ন সমীক্ষা যা খবর দিয়েছে তাতে সেই আশা একেবারে অলীক নয়।
বিশদ

18th  April, 2019
সেই প্রশ্নগুলির জবাব মিলছে না কেন?
মোশারফ হোসেন 

দেশজুড়ে রাজনীতির ময়দানে এই মুহূর্তে গনগনে আঁচ। রাজনীতির মাটি গরম। রাজনীতির বাতাস গরম। কারণ দেশে ভোট যে শুরু হয়ে গিয়েছে! ভোটগ্রহণ সব মিলিয়ে সম্পন্ন হবে সাত দফায়।  
বিশদ

16th  April, 2019
দুটি ইস্তাহারের গল্প
পি চিদম্বরম

গত ৮ এপ্রিল বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ হল কোনও প্রকার তূর্যনিনাদ ছাড়াই। বিজেপির পক্ষে এই যে নম্রতা একেবারে অস্বাভাবিক! বিজেপির নরম হওয়ার অনেক কারণ ছিল। 
বিশদ

15th  April, 2019
লোকসভা ২০১৯: বাংলার ভোটে
মমতাভক্তি ঠেকানো যাবে?
শুভা দত্ত

যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। ভোটযুদ্ধ ২০১৯। আগামী লোকসভার দখল কে নেবেন, আগামী পাঁচ বছর কার হাতে থাকবে দেশ-শাসনের ভার তার ফয়সালা হবে এই যুদ্ধের ময়দানে। গত বৃহস্পতিবার এ রাজ্যের সঙ্গে সারা দেশে শুরু হয়ে গেল সেই যুদ্ধ।
বিশদ

14th  April, 2019
দলগুলির ইস্তাহারে রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা
ভবিষ্যতে সংকট ডেকে আনবে না তো?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলি একের পর এক নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। আমাদের রাজ্যে তৃণমূল, বামফ্রন্ট, বিজেপি এবং কংগ্রেস চতুর্মুখী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে চার শিবিরের প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারগুলির তূলনামূলক পর্যালোচনা থেকে বেরিয়ে আসছে যে, প্রতিটি শিবিরই নাগরিকদের আরও বেশি করে রাষ্ট্রমুখী করতে চাইছে।
বিশদ

14th  April, 2019
জাতীয়তাবাদ আজ যে কানাগলিতে
নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী

 জ্যাক বারজুঁ (Jacque Barzun) ১৯৭২ সালে একুশ শতকে সন্ধান করার সময় যে, কথাটা বলেছিলেন, সেটা আজ এই সাতচল্লিশ বছর পর এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রযত্নে যে এমন সত্য হয়ে উঠবে, এটা কে জানত? জ্যাক বারজুঁ এক অ্যামেরিকান ঐতিহাসিক, যিনি বাহাত্তর সালে বলেছিলেন যে, অতীতের রাজনৈতিক ‘বাদ’ (ism) যা যা বোঝাত, সেইরকম কোনও ‘বাদ’ টিকে না থাকলেও একমাত্র জাতীয়তাবাদ অতি অদ্ভুতভাবে টিকে আছে।
বিশদ

13th  April, 2019
একনজরে
নোৎরদমের ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫২ একরের ওক গাছের জঙ্গল কেটে সাফ করে বানানো হয়েছিল এই গির্জা। অন্দরসজ্জার মূল কাঠামো তৈরি করতে লেগেছিল অন্তত ...

 জিয়াং (চীন), ২২ এপ্রিল: এশিয়ান কুস্তি প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রত্যাশা বেশি ওলিম্পিক ব্রোঞ্জ জয়ী সাক্ষী মালিক ও বিশ্বের একনম্বর বজরং পুনিয়াকে ঘিরে। মঙ্গলবার থেকে এই প্রতিযোগিতা ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারপিট চলার সময় ভাইয়ের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান দাদা। যোধপুর পার্কের তালতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিগিং করতে পারছেন না। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ও সুদৃঢ পদক্ষেপ দিদির রিগিং প্রক্রিয়ায় বড়সড় আঘাত হেনেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বই দিবস
১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ও সাহিত্যিক উইলিয়াম শেক্সপীয়রের জন্ম
১৯৪১ - বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তনকারী রে টমলিনসনের জন্ম
১৯৬৯: অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ির জন্ম
১৯৯২: সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৯৫ টাকা ৭০.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৮ টাকা ৯২.৩৬ টাকা
ইউরো ৭৬.৯৮ টাকা ৭৯.৯৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩১, ৯৯৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০, ৩৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০, ৮১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭, ৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭, ৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  April, 2019

দিন পঞ্জিকা

৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ১৪/৩৫ দিবা ১১/৪। জ্যেষ্ঠা ৩০/৫ অপঃ ৫/১৬। সূ উ ৫/১৪/২০, অ ৫/৫৫/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৯ গতে ৮/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৫ মধ্যে।
৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ২০/১৭/২৩ দিবা ১/২১/৪৫। জ্যেষ্ঠানক্ষত্র ৩৫/৫৫/৫৪ রাত্রি ৭/৩৭/১০, সূ উ ৫/১৪/৪৮, অ ৫/৫৭/১২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫০/৬ গতে ৮/২৫/২৪ মধ্যে, কালবেলা ১/১১/১৮ গতে ২/৪৬/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২১/৫৪ গতে ৮/৪৬/৩৬ মধ্যে।
১৭ শাবান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রু বশ মানতে বাধ্য হবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব বই দিবস১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ...বিশদ

07:03:20 PM

আইপিএল: সিএসকের সামনে ১৭৬ রানের টার্গেট খাড়া করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ  

09:37:59 PM

 আইপিএল: হায়দরাবাদ ৯১/১ (১০ ওভার)

08:50:51 PM

গুরদাসপুরে সানি দেওলকে প্রার্থী করল বিজেপি 

08:08:03 PM

টসে জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠাল সিএসকে 

07:36:29 PM