Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

তাহলে পুলওয়ামা কাণ্ডই কি এবার ভোটের প্রধান ইস্যু?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে লোকসভার ভোট তো এসেই গেল বলা যায়। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে আগামী দু’-তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে। আর, তারপরই গোটা দেশ মেতে উঠবে ভোট উৎসবে। অবশ্য বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতে ভোটগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেহেতু নির্দিষ্ট সময়েই হয়, তাই প্রদীপ জ্বালানোর আগে সলতে পাকানোর মতো ভোটের প্রস্তুতিও বেশ আগেভাগেই শুরু হয়ে যায়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এনডিএ তথা বিজেপি সরকার ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই অনুমান করা গিয়েছিল পরের লোকসভা ভোট হবে ২০১৯এ-ই। তার আগে নয়। তবু বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে সর্বভারতীয় এবং পাশাপাশি প্রভাবশালী আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে রেষারেষি তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল। আগেরবারের চেয়ে বেশি আসন দখল করে ২০১৬ -য় পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বিজেপি’র চোখধাঁধানো সাফল্য নানান তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক চিত্র এঁকে দিয়েছিল। একের পর এক রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপি’র বিজয়রথ যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল তাতে তাদের নেতাদের তোলা ‘কংগ্রেসশূন্য ভারতের’ স্লোগান যেন ধীরে ধীরে স্পষ্ট অবয়ব পাচ্ছিল। কিন্তু সেই সুরও খুব বেশিদিন অব্যাহত রইল না। গুজরাতে বিজেপি’র সিংহাসন কোনওক্রমে রক্ষা পেলেও নরেন্দ্র মোদির দলটি বহু কৌশল করেও কর্ণাটকের মাটিতে সুবিধে করতে পারল না। তারপর উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি আসনের উপনির্বাচনে গেরুয়াশিবিরের পরাজয়ের যে পাল্টা যাত্রা শুরু হল, তা বলতে গেলে ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছে গেল বিজেপি’র তিনটি প্রধান ও পুরনো গড় গোবলয়ের তিন রাজ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে।
ওই তিন রাজ্যে বিজেপি’র ভরাডুবিতে দেশের তাবৎ রাজনৈতিক ছবিটিই অন্য মাত্রা পেল। দিল্লির মসনদ থেকে নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সহযোগীদের উৎখাত করতে বিরোধী দলগুলি রে রে করে মাঠে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিল। ‘মোদি হটাও’ অভিযানে একদিকে যেমন নেতৃত্বের দাবিদার হয়ে উঠলেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেমনি দ্রুত একেবারে সামনের সারিতে চলে এলেন রাহুল গান্ধী। হ্যাঁ, সেই রাহুল গান্ধীর কথাই বলছি, যাঁকে বছর দেড়েক আগেও গেরুয়াশিবিরের নেতারা উঠতে বসতে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে দেশবাসীকে বিনোদনের খোরাক দেওয়ার চেষ্টা করতেন। সেই রাহুল গান্ধীই আজ প্রবল পরাক্রান্ত নরেন্দ্র মোদির সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ২০১৪-র ভোটের মুখে দেওয়া বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পালন না করা থেকে শুরু করে গত পাঁচ বছরে মোদি সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের ব্যর্থতা ও তার সুবাদে কোটি কোটি মানুষের জীবনে নেমে আসা দুর্দশাকে তুলে ধরছিলেন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। আচমকা নোটবাতিলের বিরুদ্ধে প্রথম গর্জে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তড়িঘড়ি জিএসটি কার্যকরের বিরুদ্ধেও তাই। তারপর নীরব মোদি, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়ার মতো লোকজনের দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে বিদেশে পালানোর ইস্যু থেকে শুরু করে ফ্রান্স থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনাকে কেন্দ্র করে বিপুল অঙ্কের টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে সমানে সরব থেকে রাহুল দেশজুড়ে একরকম হইচই ফেলে দেন। রাফাল কেনার চুক্তিকে কেন্দ্র করে সংসদের ভিতরে ও বাইরে গোটা দেশজুড়ে প্রবল বিতর্ক যেভাবে পেকে উঠছিল তাতে মনে হচ্ছিল আসন্ন লোকসভা ভোটের ময়দানে রাফালই বোধহয় হবে বিরোধীদের তুরুপের তাস। কারণ, এখনও পর্যন্ত রাফাল নিয়ে সরকারপক্ষ তেমন কোনও জুতসই জবাব দিতে পারেনি যাতে বিরোধীদের তোলা অভিযোগগুলিকে জোরের সঙ্গে খণ্ডন করে দেওয়া সম্ভব। কেন আগের ইউপিএ আমলের হওয়া চুক্তি থেকে সরে গিয়ে মোদি সরকার তুলানায় বেশি দামে রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে, কেন আগের চেয়ে অনেক কমসংখ্যক বিমান কেনা হচ্ছে, কেনইবা সরকারি সংস্থা হ্যালকে বাদ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাহীন একটি বেসরকারি কোম্পানিকে রাফালের দেশীয় সহযোগী সংস্থা বানানো হচ্ছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রক কেন রাফাল কেনা নিয়ে অতিরিক্ত তৎপরতা দেখিয়েছিল—এসব প্রশ্নের কোনও বিশ্বাসযোগ্য জবাব এখনও মেলেনি।
ফলে, মুখে যাই বলুন না কেন, রাফাল ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদিরা বেশ ব্যাকফুটেই ছিলেন। অনেকেই রাফালকাণ্ডের সঙ্গে তিরিশ বছর আগের বোফর্স কামানকাণ্ডের সাদৃশ্য খোঁজার চেষ্টা করছিলেন। রাজীব গান্ধীর আমলে বোফর্স কামান কেনায় ৬৪ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ১৯৮৯-র লোকসভা ভোটের মুখে বিরোধীরা হইচই বাধিয়ে দিয়েছিলেন। ব্যাপারটি এমন উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল যাতে ওই ভোটে কংগ্রেস দলের ভরাডুবি ঘটে। যদিও তারপর এতবছরেও বোফর্স ঘুষকাণ্ড প্রমাণিত হয়নি। এমনকী সেইসময় অভিযোগ তোলা প্রধান দলগুলির মধ্যে অন্যতম বিজেপি ভিন্ন দুটি দফায় দশবছর দেশ শাসন করল। তা সত্ত্বেও। এদিকে, বোফর্সে মাত্র ৬৪ কোটি টাকা ঘুষের অভিযোগ থাকলেও রাফালে ‘নরেন্দ্র মোদির বন্ধু’ শিল্পপতিকে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছেন রাহুল।
এই পরিস্থিতিতে আচমকাই হাজির হয়ে গেল পুলওয়ামাকাণ্ড। এক আত্মঘাতী কাশ্মীরি জঙ্গির আচমকা হানায় দেশের ৪৯জন বীর আধাসেনা জওয়ানের প্রাণ চলে গেল। এমন ঘটনায় গোটা দেশ শোকে মর্মাহত তো বটেই, পাশাপাশি সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার দাবিতে সোচ্চার। এই ইস্যুতে দেশের মানুষ একজোট। বিষয়টি নিয়ে কোনও রাজনীতি না করার অঙ্গীকার করেছিল বিভিন্ন দল। কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো দলগুলির নেতা-নেত্রীরা প্রকাশ্যেই তা ঘোষণা করেছিলেন। ওই লড়াইয়ে তাঁরা সরকারের পাশের থাকারও আশ্বাস দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীও নিজের আবেগঘন অনুভূতির কথা প্রকাশ করার পাশাপাশি ঘোষণা করেছিলেন, হামলাকারী ও তাদের মদতদাতারা এমন কড়া শাস্তি পাবে যাতে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। সরকার ওই মর্মান্তিক ঘটনার জেরে জাতীয় শোক ঘোষণা না করলেও বিরোধীরা সৌজন্যের খাতিরেই দিনকয়েক তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি একরকম বন্ধ রেখেছিল। কিন্তু ঢেঁকি যেমন স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে, রাজনীতির লোকজনও কোনও পরিস্থিতিতেই রাজনীতিকে বাদ দিয়ে থাকতে পারেন না। পুলওয়ামাকাণ্ডেও তাই হল। পুলওয়ামা নিয়ে রাজনীতি করব না করব না বলেও ৭২ ঘণ্টা কাটার আগেই নেতারা সংযম হারিয়ে ফেললেন। এক্ষেত্রে খেলা শুরুর বাঁশিটি বাজিয়ে দিল গেরুয়াশিবিরের লোকজনই। একদিকে, পুলওয়ামাকে কেন্দ্র করে একদল লোক দেশপ্রেমের নামে ধর ধর মার মার করে মাঠে নেমে পড়ল। সংবিধান প্রতিটি ভারতীয় নাগরিককে মতামত প্রকাশের মৌলিক অধিকার দিয়েছে। কেউ ওই অধিকারের অপব্যবহার করলে তার শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য আইন আদালত রয়েছে। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা না করে কিছু লোক স্বঘোষিত দেশপ্রেমিক সেজে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে চাইল। দেশজুড়ে একটা আবেগের স্রোত বইয়ে দেওয়ার চেষ্টা হল। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাত থেকে বিজেপি’র এক নেতা নিদান দিলেন, এই আবেগকে ভোটের বাক্সে টেনে নিয়ে যেতে হবে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতিও বিভিন্ন সভা সমাবেশে এমন সব মন্তব্য করলেন যাতে স্পষ্ট, পুলওয়ামা নিয়ে তাঁরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে আগ্রহী। ব্যস। খুলে গেল প্যান্ডোরার বাক্স। নীরবতা ভাঙলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গান্ধী এবং বিরোধীপক্ষের আরও অনেকেই। বোঝাই যাচ্ছে রাফাল-টাফালকে পিছনে ফেলে এবার ভোটে পুলওয়ামা কাণ্ডই হতে চলেছে প্রধান ইস্যু। শাসকদল বিজেপি’ই এব্যাপারে পথ দেখাল। সম্ভবত নোটবাতিল থেকে জিএসটি, অসহিষ্ণুতা থেকে নাগরিকপঞ্জি এবং সর্বোপরি রাফাল ইস্যুতে কোণঠাসা বিজেপি এবার পুলওয়ামাকাণ্ডকে ধরেই ভোটের লড়াইয়ে বাজিমাত করার চেষ্টা করবে।
কিন্তু এ পথটিও যে ওই দলের পক্ষে পুরাপুরি নিষ্কণ্টক হবে না তার আভাসও এখন থেকেই মিলছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার যে আওয়াজ তা তোলা হয়েছে তার বাস্তবায়নের দায় থাকছেই। এরই পাশাপাশি পুলওয়ামা কাণ্ড নিয়ে বিরোধীরা যেসব প্রশ্ন ইতিমধ্যেই তুলেছেন সেগুলিরও জবাব দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই প্রশ্ন তুলেছেন, গোয়েন্দাদের আগাম বার্তা সত্ত্বেও সরকার কেন সতর্ক হল না? কেন রীতি ভেঙে ওইদিন ৭২টি গাড়ি দীর্ঘ কনভয়ে প্রায় দু’হাজার জওয়ানকে একসঙ্গে পাঠানো হল? কেন ওই একইসময় ওই পথে সাধারণ যানবাহনের চলাচল অব্যাহত রাখা হল? এরপর রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেস আরও মারাত্মক যে প্রশ্নগুলি তুলেছে সেগুলিরও জুৎসই জবাব আশা করবেন দেশের আপামর মানুষ। কংগ্রেসের সুরেই তাঁরাও জানতে চাইবেন, পুলওয়ামায় যখন জওয়ানরা ভয়ঙ্কর মারণ-হামলার শিকার হলেন, সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি সত্যিই নৈনিতালের জিম করবেট পার্কে ফিল্মের শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন? হামলার খবর তিনি ঠিক কখন পেলেন? খবর পেয়েই শ্যুটিং বন্ধ করে দিয়েছিলেন কি? ঘটনার দু’-আড়াই ঘণ্টার মধ্যেও পুলওয়ামা নিয়ে তাঁর কোনও বক্তব্য শোনা গেল না কেন? অথচ ঘণ্টা দুই বাদে তিনি মোবাইল ফোন মারফত একটি বক্তৃতা দিয়েছেন। সেই বক্তৃতার মধ্যে পুলওয়ামার উল্লেখ নেই কেন? তাহলে কি ওরকম একটা মারাত্মক ঘটনার খবর প্রাধানমন্ত্রীকে জানানোই হয়নি? এর কারণ কী? না কি, জানানো হলেও তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি? যাঁরা নিজেদের দেশপ্রেমের ধ্বজাধারী বলে শোরগোল তুলতে সিদ্ধহস্ত, দেশের জন্য আত্মবলি দেওয়া জওয়ানদের প্রতি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিটি সত্যিই কী রকম? আরও প্রশ্ন উঠতে পারে, ইদানীংকালে এই সরকারের আমলেই কাশ্মীরে অশান্তি সবচেয়ে বেশি হল কেন? কেন সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জওয়ানকে প্রাণ দিতে হল? এর পিছনে ব্যর্থতা কার বা কাদের?
এই প্রশ্নগুলির সরাসরি জবাব দিতেই হবে। নইলে পুলওয়ামা ইস্যুই মোদিজিদের জন্য ব্যুমেরাং হয়ে উঠতে পারে। অবশ্য এর আগে ওঠা বিভিন্ন প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেওয়ার দায় দেখাননি আমাদের প্রধানমন্ত্রী। রাফাল নিয়ে যৌথ সংসদীয় তদন্ত কমিটি গড়া হবে না কেন—এই প্রশ্নে তাঁর জবাব ছিল, আমি গরিবের ছেলে বলে আমার সাফল্য ওদের সহ্য হচ্ছে না। আবার, পুলওয়ামাকাণ্ডের সময় ও তার পরও বেশ কয়েকঘণ্টা মোদিজি শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন কিনা প্রশ্ন উঠলে তাঁর এক মন্ত্রী জবাব দিলেন, কংগ্রেসের মুখে ইমরান খানের কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। কী প্রশ্নের কী জবাব! এতে সাধারণ মানুষের মনে এমন ধারণা সৃষ্টি হওয়া অযৌক্তিক হবে না—কর্তারা বাস্তবকে পাশ কাটাতে চাইছেন। ভোটের বাজারে এতে কি সহজে চিঁড়ে ভিজবে!
শুধু শোক আর ক্রোধ, চেতনা নেই
পি চিদম্বরম

মাসুদ আজহারকে বাগে পেয়েও ২০০০ সালের জানুয়ারিতে তাকে মুক্তি দিতে বাধ‌্য হওয়ার আফটার শক বা ঝটকা আমরা এখনও নিয়মিত অনুভব করি। প্রতিটা ঝটকা ভারতবাসীকে মনে করিয়ে দেয় যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পণবন্দি আইসি-১৮৪ বিমানের যাত্রী ও কর্মীদের মুক্তির বিনিময়ে।
বিশদ

25th  February, 2019
পুলওয়ামার পর
শুভা দত্ত

 পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর কেটে গেল বেশ কয়েকটা দিন। ওই ঘটনার জেরে দেশ জুড়ে ক্ষোভ শোকের যে আগুনে আলোড়ন উঠেছিল তাও আজ অনেকটাই কমে গেছে। মোমবাতি মিছিল, ধিক্কার সভার রেশও এখন অনেকটাই মিলিয়ে এসেছে। অবশ্য, তুষের আগুনের মতো তার তাপ এখনও সাধারণ ভারতবাসীর নিত্যদিনের জীবনের আড়ালে যে ধিক ধিক করে জ্বলছে তা একটু ভালো করে নজর করলেই টের পাওয়া যায়।
বিশদ

24th  February, 2019
অন্তর্বর্তী বাজেটে শিশুরা কী পেল?
শুভময় মৈত্র

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতই বাজেটে বানানোর সময় শিশুদের মত নেওয়া হয় না মোটেই। শিশুদের অবস্থা অনেকটা হতদরিদ্র মানুষের মত। গরিবদের ভালো খারাপ ঠিক করে সমাজের সম্পদশালী মানুষেরা। তেমনই ছোটদের ভালোমন্দ প্রাপ্তবয়স্কদের হাতে।
বিশদ

23rd  February, 2019
জঙ্গি হানার পর
সমৃদ্ধ দত্ত

 সেনাপ্রধান স্যাম মানেকশকে ডেকে ইন্দিরা গান্ধী বললেন, জেনারেল, আমার মনে হয় ইস্ট পাকিস্তানি (পরবর্তী বাংলাদেশ) বেঙ্গলিদের রক্ষা করতে আমাদের মিলিটারি অ্যাকশনে যেতে হবে। ইস্ট পাকিস্তান থেকে স্বৈরাচারী আর্মি রুলকে সরাতে হবে। সেটা ইন্ডিয়ার সুরক্ষার জন্যও খুব দরকার।
বিশদ

22nd  February, 2019
শিশুদের বাজেট
শুভময় মৈত্র

 একশো ত্রিশ কোটির দেশে আশি কোটি প্রাপ্তবয়স্ক ভোটার, বাকি পঞ্চাশ কোটি বয়সে ছোট। যার ভোট নেই তার জন্যে লোকসভা নির্বাচনের মাস তিনেক আগে ভাবার সময় থাকে না শাসকদলের। সেই জন্যেই বাজেট বক্তৃতায় শিশুদের কথা খুঁজতে গেলে দূরবিন প্রয়োজন। তবে চশমা ছাড়াই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এবারের বাজেটের বিশালাকার অক্ষরের ভীষণ চমক ‘ভিশন ২০৩০’। আজ থেকে এগারো বছর পর দেশ ঠিক কোথায় পৌঁছবে তার চালচিত্র। কোথাও কিন্তু আজকের শিশুদের কথা নেই।
বিশদ

22nd  February, 2019
আর একটি ৮ ফাগুনের প্রতীক্ষায়...
অতনু বিশ্বাস

ওদিকে বাংলাভাষার তৃতীয় ভুবনে অসমের বারাক উপত্যকায় বাংলাভাষার অধিকার রক্ষার সত্যাগ্রহীদের উপরে পুলিসের নির্বিচার গুলিতে ১৯৬১-র ১৯ মে, রবীন্দ্র শতবর্ষের কবিপক্ষের মাঝেই, জন্ম হল একাদশ শহিদের।
বিশদ

21st  February, 2019
যুগজাগরণে যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ
স্বামী নীলেশ্বরানন্দ

যুগজাগরণ এক যুগাচার্যের সাধনসিদ্ধির প্রাক্কালীন শ্রীমুখ নিঃসৃত যুগমহাবাণী। এ জাগরণ মানব জীবনের উন্নয়ন উদ্বোধনের আকাশবার্তা। ১৯১৬ সনের পুণ্যময়ী মাঘী পূর্ণিমার শুভ লগ্নে এক সাধক সাধন সমাহিত অবস্থা থেকে উত্থিত হয়েই জগৎবাসীর কল্যাণে উৎসর্গ করলেন এক মহাআশ্বাস বাণী—এ যুগ মহাজাগরণের তথা মহাসমন্বয়ের।
বিশদ

19th  February, 2019
ইসলামাবাদের ইসলামি ঐক্যের ফাঁদে কাশ্মীর
হারাধন চৌধুরী

ঘটনাটিকে বাসি বলার সময় এখনও হয়নি। বলিউডের নামজাদা অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহের এক সংকীর্ণ মন্তব‌্যে উৎসাহিত হয়ে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করে বসলেন, ‘‘সংখ‌্যালঘুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হয় তা মোদি সরকারকে দেখিয়ে দেবে পাকিস্তান।’’
বিশদ

19th  February, 2019
বধ্যভূমি কাশ্মীর: আমরা কি
কেবল মার খেতেই থাকব!

শুভা দত্ত

 গত বৃহস্পতিবার আবার জঙ্গি তাণ্ডবে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ, দেশপ্রেমিক জওয়ানদের রক্তে ভিজে গেল কাশ্মীর উপত্যকার মাটি। পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় জয়েশ জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের ৪৪ জন জওয়ান শহিদ হলেন।
বিশদ

17th  February, 2019
মার্কিন মুলুকে (-) ৬০,
সন্ধিক্ষণ কিন্তু পরিবর্তনেরই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পোলার ভর্টেক্সের প্রভাব কি ভারতেও পড়েছে? এবার উত্তর ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডার জন্য আবহাওয়াবিদরা কিছুটা হলেও পোলার ভর্টেক্সকে দায়ী করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোলার ভর্টেক্স দুর্বল হয়ে ঠান্ডাটাকে আমেরিকা ও ইউরোপের উত্তরভাগে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। আর তার ধাক্কায় দক্ষিণের দিকে চলে এসেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এমনিতে বছরে চার থেকে ছ’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে ধাক্কা খায়। চলতি বছর সেই সংখ্যাটা সাত। যার জন্য শীতের প্রকোপ বেড়েছে ভারতে। মূলত হিমালয় এবং তার সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে।
বিশদ

16th  February, 2019
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

গত পাঁচ বছরে সিপিএম একবারও কি রেলমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে রাস্তায় নেমেছে? পশ্চিমবঙ্গ কেন বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কখনও সিপিএমকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখেছে কেউ? কেন কিছু করেনি সিপিএম? কারণ এখন আর রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। বিশদ

15th  February, 2019
রাফাল না সিবিআই, মোদি-বিরোধিতায় সবচেয়ে শক্তিশালী ইস্যু কোনটি?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 রাফাল ইস্যুকে সামনে রেখে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তির ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ধারাবাহিকভাবে রাফাল ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে রাখতে পেরেছিলেন রাহুল। হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়-এ বিজেপি’র পরাজয়ের পিছনে অন্য সমস্ত কারণের মধ্যে রাহুল গান্ধীর তোলা রাফাল যুদ্ধ বিমান দুর্নীতির প্রচার বিজেপি’র বিরুদ্ধে গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।
বিশদ

14th  February, 2019
একনজরে
 আবুজা, ২৫ ফেব্রুয়ারি (এএফপি): নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি ও সংসদ নির্বাচন চলাকালীন হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩৯ জন। সোমবার এমনই দাবি করল নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সামাজিক সংগঠন, ‘দ্য সিচ্যুয়েশন রুম’। এর অধীনে ৭০টিও বেশি সংস্থা কাজ করে। ...

 দীপ্তিমান মুখোপাধ্যায়, হাওড়া: আমতা ব্রিজ থেকে ঝিকিরা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নিল পূর্ত দপ্তর। এখন এই রাস্তাটি অত্যন্ত অপরিসর ও খারাপ অবস্থায় আছে। ফলে লোকজনের যথেষ্ট ভোগান্তি হচ্ছে। এই অবস্থায় এই রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য পূর্ত দপ্তরের কাছে ...

সুকান্ত বসু, কলকাতা: জেলে অসাধু উপায়ে মোবাইল এবং সিম কার্ডের অনুপ্রবেশ রুখতে এবার কারারক্ষীদেরই একটি বিশেষ টিমকে সংশোধনাগারের বাইরে তিনটি শিফটে নজরদারি চালানোর কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। কারা দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতিটি সংশোধনাগারে একই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। প্রয়োজনে স্থানীয় ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম
১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম
১৯৩৬: চিত্র পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৯ টাকা ৭১.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৯.১৪ টাকা ৮২.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৮৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,১৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৬৩৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, অষ্টমী ৫৮/১০ শেষ রাত্রি ৫/২১। অনুরাধা নক্ষত্র ৪২/২৬ রাত্রি ১১/৩। সূ উ ৬/৪/৫০, অ ৫/৩৪/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৮/২২ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৫ গতে ৩/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩২ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৪২ মধ্যে।
১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১০/১৪/২৯। অনুরাধানক্ষত্র রাত্রি ৩/৫৪/২৩, সূ উ ৬/৬/৫, অ ৫/৩৩/১, অমৃতযোগ দিবা ৮/২৩/৫৮ থেকে ১০/৪০/৫১ মধ্যে ও ১২/৫৪/১৫ থেকে ২/২৯/৫০ মধ্যে ও ৩/১৫/৩৮ থেকে ৪/৪৭/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৩/১৩ মধ্যে ও ৮/৫৩/৫০ থেকে ১১/২৪/২৭ মধ্যে ও ১/৪৫/৪ থেকে ৩/৩৫/২৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩১/৫৭ থেকে ৮/৫৭/৪৯ মধ্যে, কালবেলা ১/১৫/২৫ থেকে ২/৪১/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৭/৯ থেকে ৮/৪১/১৭ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বৃষ: মামলা-মোকদ্দমায় জয় লাভ। মিথুন: বয়স্ক ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিন  
১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম১৯৩৬: ...বিশদ

07:03:20 PM

ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের  
আজ বিকাল ৫.৩০টা নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের নৌসেরা, কৃষ্ণঘাঁটি ও ...বিশদ

06:26:29 PM

উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই মোবাইল সহ ধরা পড়ল ৫ জন, বাতিল রেজিস্ট্রেশন 

05:04:13 PM

২৪০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:51:20 PM

যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সেনা এবং দেশবাসীকে তৈরি থাকতে বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান  

03:45:06 PM