যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জমির ওপর ব্যক্তির মালিকানা যা প্রত্যক্ষভাবে খাদ্যের যোগান দিত তা তার আয়ত্বের বাইরে চলে গেল। বৃদ্ধ এবং অসমর্থ মানুষেরা, আগে যারা একান্নবর্তী পরিবারের মধ্যে আশ্রয় পেত, তাদের সুরক্ষার জন্য নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করা প্রয়োজন হয়ে পড়ল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানাবিধ সামাজিক সুরক্ষা-ব্যবস্থার উদ্ভব হ’ল। পাশ্চাত্যের অনেকগুলি দেশেই এই ব্যবস্থা এতই উন্নত যে তাদের নাগরিকরা সমস্ত আপদ-বিপদ থেকে সুরক্ষিত। ‘কমিউন’ নিয়ে চীনাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এই ব্যাপারে একটি পদক্ষেপ, যার দ্বারা অতি অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের সার্বিক সুরক্ষা সম্ভব করার চেষ্টা হয়েছে। এখানে দাবী করা হয়েছে যে এই ব্যবস্থায় সর্বপ্রকার সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে কারণ প্রত্যেক ব্যক্তিই ‘কমিউনের’ সমান অধিকারী সদস্য। কিন্তু এরজন্য প্রয়োজন কঠোর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ যা শিক্ষিত মানুষকে ক্ষুদ্ধ, অসন্তুষ্ট ও বিরক্ত করে তোলে। ‘সর্বোদয়’ আন্দোলন প্রায় একইরকম সুরক্ষা ব্যবস্থার কথা বলে, কিন্তু তা স্বেচ্ছায় ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করা হবে। এইটিই হ’ল মানুষের প্রচেষ্টার লক্ষ্য—সর্বনিখুঁত, পূর্ণতাপ্রাপ্ত কাল্পনিক রাষ্ট্র—Utopia—যা মানুষকে জাগতিক সুরক্ষা দেবে, কিন্তু মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকবে। জীবনের মৌলিক প্রয়োজনগুলির সুরক্ষা একান্ত অত্যাবশ্যক।