যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
শ্রীরামকৃষ্ণের লীলাবসানের চার বছর পর ১৮৯০ সাল থেকে স্বামীজী ভারত পরিভ্রমণের পথে দেশের মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা, দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব, নীচজাতি ও নারীদের দীন-অবস্থা প্রত্যক্ষ করেছিলেন। দেখেছিলেন ধর্মভূমি ভারতে ধর্মের ভাব কত ম্লান। ধর্মের নামে রাজত্ব করছে রাশি রাশি কুসংস্কার ও লোকাচার। যে ভারত আগামী দিনে শ্রীরামকৃষ্ণের মহান ভাব ধারণ করে বিশ্বের অধ্যাত্মজীবনে প্রাণসঞ্চার করবে, সেই দেশের এই পরিণতি! এই নিদ্রিত ভারতকে জাগ্রত করার দায়ই তো শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁকে অর্পণ করেছেন। চাই অন্নসংস্থান ও শিক্ষার আলো। পরাধীন জাতির মানুষগুলি আত্মবিস্মৃত, তাদের হারানো ব্যক্তিত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে। আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে দাসসুলভ ঈর্ষা ও হিংসার হাত থেকে তাদের মুক্ত করতে হবে। এই ভারতচিন্তা নিয়েই তিনি বিদেশযাত্রা করলেন। সেখান থেকেই সঙ্ঘভাবনার রূপরেখা সুস্পষ্ট হয়ে উঠতে লাগল। ১৮৯৪ সালে আলমবাজার মঠের গুরুভাইদের সম্বোধন করে লিখছেন: “রামকৃষ্ণ পরমহংস জগতের কল্যাণের জন্য এসেছিলেন। তাঁকে মানুষ বলো, ঈশ্বর বলো বা অবতার বলো, আপনার আপনার ভাবে নাও।