যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
শ্রীরামকৃষ্ণের আহ্বানে যখন ভবিষ্যতের ত্যাগী পার্ষদরা আসতে শুরু করলেন একে একে, শ্রীরামকৃষ্ণ প্রথমেই তাঁদের ভালোবাসা দিয়ে বাঁধলেন। তারপর তাঁদের শুদ্ধ অন্তরে তাঁর সাধনলব্ধ ঐশ্বর্য ঢেলে দিতে লাগলেন। এই ‘ঢেলে দেবার’ প্রক্রিয়া মূল অংশ সবার ক্ষেত্রেই এক ছিল। অর্থাৎ ত্যাগ, বৈরাগ্য, ঈশ্বরনির্ভরতা, সাধনভজনের প্রয়োজনীয়তার কথা সবাইকে বললেন। কিন্তু কে কোন ভাব নিয়ে কোন পথে সাধন-ভজন করবেন তা সকলের ক্ষেত্রে এক হল না। সেখানে যার পেটে যা সয়।
শ্রীশ্রীমাকে ঠাকুর একসময় বলেছিলেন যে—তোমাকে এমন সব রত্ন ছেলে দিয়ে যাব, লোকে মাথা কেটে তপস্যা করেও পায় না। নরেন্দ্র, রাখাল, যোগীন, বাবুরাম—এঁরা সব সেই রত্ন ছেলে। শ্রীশ্রীমা যখন ঠাকুরের সেবার জন্য দক্ষিণেশ্বরে এসে থাকতে শুরু করলেন, তখন থেকেই ঠাকুর শ্রীশ্রীমাকে সেই রত্নছেলেদের চিনিয়ে দিতে লাগলেন। নানা কৌশলে তাঁদের সঙ্গে মায়ের পরোক্ষ সংযোগ ঘটিয়ে দিলেন। শ্রীশ্রীমার মাতৃহৃদয়ও ঠাকুরের সন্তানদের মুহূর্তে আপন সন্তানরূপে গ্রহণ করল। আর সেইসঙ্গেত্যাগী পার্ষদরাও রামকৃষ্ণ-সারদার দৈবী পরিবারে চিরকালের জন্য অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলেন নিজেদের অজ্ঞাতসারে।
নরেন্দ্র, রাখাল প্রমুখ জন্ম থেকেই ত্যাগব্রতের জন্য উৎসর্গীকৃত। এঁরা প্রত্যেকেই ঈশ্বরের জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করতে প্রস্তুত। স্বাধীনচেতা, অকুতোভয়, বাঁধনহীন ঈশ্বরময় জীবনই এঁদের অধিক প্রিয়। এঁদের সঙ্ঘবদ্ধ করা চাট্টিখানি কথা নয়। শ্রীরামকৃষ্ণ এবং সারদা দেবীর অপার ভালোবাসাই এঁদের একনীড় করেছিল।