যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
এই সকল বালকগণকে ব্রহ্মচর্য্যের বাণী শুনাইয়া, আত্মসংযমের মহিমা বুঝাইয়া, আত্ম-অপচয়ের মৃত্যু-মলিন পথ হইতে ফিরাইয়া জীবনের সংগ্রাম-মুখর দিগ্বিজয়-সমুজ্জ্বল কর্ম্মাঙ্গনে আনিতে হইবে। ইন্দ্রিয়-সুখই যে চরম সুখ নহে, ইহার অতিরিক্ত যে বৃহত্তর সুখ মানুষের কর্ত্তব্যনিষ্ঠা এবং আত্মোৎ-সর্গের মধ্য দিয়া প্রসূত হয়, তাহা বুঝাইয়া ইহাদিগকে আত্মস্থ ও সুস্থ করিতে হইবে। ধর্ম্মভাবের প্রেরণা অনবরত দিতে দিতে ইহাদের মানসিক পঙ্গুতা বিনাশ করিয়া ইহাদের ভোগ-লিপ্সু জড়চিত্তে ত্যাগোৎসাহের বন্যা আনয়ন করিতে হইবে। হে যুবকবৃন্দ! এই সকল কাজ আজ তোমাদের উপরেই ন্যস্ত হইতেছে। সর্ব্বথা আত্মোৎকর্ষ লাভ করিয়া তোমাদিগকেই দেশভ্রাতৃগণের মধ্যে উৎকর্ষ সঞ্চারিত করিতে হইবে। নিজে সৎ হইয়া অপরকে সৎ এবং নিজে সংযমী হইয়া অপরকে সংযমী হইতে শিখাইতে হইবে। নিজে মানবোচিত সদ্গুণাবলীতে অলঙ্কৃত হইয়া সকলকে তেমন করিয়া গড়িয়া তুলিতে হইবে। দিন দিন তোমার সমাজ-বন্ধনের একটি একটি করিয়া রজ্জু অপরিণত-বয়সে বীর্য্যক্ষয়ের সুনিদারুণ আঘাতে ছিঁড়িয়া যাইতেছে। ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, প্লেগ, ওলাউঠা প্রকাশ্যভাবে যে ক্ষতি করিতেছে, জাতির ব্রহ্মচর্য্যহীনতা অপ্রকাশ্যভাবে তাহার শতগুণ অকল্যাণ করিতেছে। এই অকল্যাণের বিরুদ্ধে আজ তোমাদিগকেই যুদ্ধ-ঘোষণা করিতে হইবে।
নিজের শক্তিতে অবিশ্বাস না করিয়া যাহা-কিছু ক্ষীণ শক্তির সঞ্চয় তোমার আছে, তাহা লইয়াই কর্ম্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হও। আত্মনিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে তোমার কর্ম্মজীবনের মধ্য দিয়া মহাশক্তির বিকাশ লক্ষ্য করিতে পারিবে। যত গুড়, তত মিঠা। ভাবের নিবিষ্টতা, আগ্রহের অকপটতা এবং চেষ্টার অবিরলতা যত অধিক পরিমাণে বর্দ্ধিত হইবে, ততই তোমার মধ্যে ব্রহ্মশক্তির উন্মেষ ঘটিতে থাকিবে।
অন্য শত শত প্রয়োজনের দাবী হয় ত’ আমরা এখন অনায়াসে আগ্রাহ্য করিতে পারি, কিন্তু ব্রহ্মচর্য্য প্রচারের যে দাবী আমাদের সমক্ষে উপস্থিত হইয়াছে, তাহা কিছুতেই পায়ে ঠেলিয়া যাইতে পারি না।