যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
সদানন্দময়ি মা! একবার আমার দিকে ফিরে চা মা। আমি যে তোর সন্তান। আমাকে তুই যদি ভুলে থাকিস্, আমি কার কাছে যাব, কার আশ্রয় নেব? সত্যই শত শত অপরাধ আমার আছে, কিন্তু তুই যে মা; তুই যদি অপরাধ ধরিস্ আমার তো আর কোন উপায় হবে না মা! মা সদানন্দময়ি মা! তুই প্রসন্না হ। তুই একবার আমায় স্পর্শ কর্। তোর সকল পাপনাশক কর-কমল দিয়ে একবার আমার অঙ্গের ধূলি ঝেড়ে দে মা! মা—মাগো! আমার যে আর অন্য কোন উপায় নেই মা! আমি যে মনকে স্থির করে রামকে ডাক্তে পারি না মা! সুখে-দুঃখে অস্থির হই। একটু প্রশংসা শুনলে, আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে যাই। বিন্দুমাত্র নিন্দা শ্রবণে খড়্গহস্ত হই। নিন্দা-সুখ্যাতি, মান-অপমান মানুষ করে না; তুইই নিন্দা সুখ্যাতি করে, আমার পাপ-পুণ্যে ক্ষয় করে দিস্—এ কথা কার্য্যকালে, সব সময়ে, মনে রাখতে পারি না। মানুষের উপর দোষারোপ করি। মা! আমার ক্ষমা কর মা! আমায় রাম-ভক্তি দে মা! শোন্ মা, এক মজার কথা, লোকে যখন আমাকে ধার্ম্মিক মহাপুরুষ ইত্যাদি বলে, অবাধে সে কথাগুলি শ্রবণ করে মনে মনে আনন্দিত হই। অতি তুচ্ছ কীটানুকীট আমি। এই সব স্তুতি-কথা, আমার পক্ষে অতি অশোভন হলেও কোনদিন তার প্রতিবাদ করি না, বরং আমি মহাপুরুষ, ধার্ম্মিক, ইহা আকার-ইঙ্গিতে প্রকাশ করতেই চাই। আর যদি কেহ, নিন্দা দূরের কথা—আমার সত্য দোষ যা উল্লেখ করেন তা হলে আমার সে দোষ দোষ নয়, মহাগুণ—ইহা বলবার জন্য বাক্চাতুর্য্যে তা প্রতিপন্ন কর্তে কত চেষ্টা করি। বল্ দেখি মা! আমার মত আর অধম কেউ আছে কি? মা, অধম সন্তান তোর বড় কৃপা-পাত্র। আমি অতি অধম, আমার কৃপা কর মা! আমার তোর চরণে ভক্তি দে মা!