মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
তোমার অন্তঃপুরুষের চেতনায় বাস কর সর্ব্বদা, তোমার ইচ্ছা তাহ’লে প্রকাশ করবে শুধু ভগবৎ-ইচ্ছাকে, তোমার রূপান্তরিত আধারও তা হ’লে ভগবৎপ্রেম ধারণ করবার, প্রকট করবার সামর্থ্য পাবে। মন্দিরের অভ্যন্তরে একেবারে চলে যাও, আমাকে পাবে সেখানে। অখণ্ড স্থৈর্য্য ও সমতা—এই হ’ল প্রথম পৈঠা। কোন্ কাজ করণীয় তার জ্ঞান আসে শুধু শান্তির ও সমত্বের মধ্যে। বিপুল শান্তি ও স্থিরতা রয়েছে কাছে, প্রস্তুত—তুমি তাদের দিকে নিজেকে খুলে ধরবে, তাদের গ্রহণ করবে বলে। বাহিরের ঘটনাবলি থেকে চেতনাকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা কর, চেতনা বিক্ষুব্ধ হয় ঐ ক্ষেত্রেই, ঐ রকম বস্তু সব দিয়ে। শান্তি লাভ কর ভিতরে, যার ব্যতিক্রম নাই কখনো।
তোমার মধ্যে, তোমার উপরে কাজ করছে যে চেতনা তার দিকে নিজেকে খুলে ধর; যতখানি সামর্থ্য তোমার, স্থির ও প্রশান্ত হয়ে থাক নিরন্তর। নিরন্তর স্থির, প্রশান্ত, অঞ্চল হয়ে থাক—তোমার চেতনার মধ্যে শক্তিকে কাজ করতে দাও অখণ্ড আন্তরিকতার স্বচ্ছতাকে আশ্রয় করে। ভাগবত চেতনা তোমার রূপান্তরের জন্যে কাজ করে চলেছে। তার দিকে খুলে ধর নিজেকে যাতে তোমার মধ্যে অবাধে সে কাজ করতে পারে। জোর করে কখনো ভগবৎ-জ্যোতির দিকে কিছু খুলে ধরা যায় না। আমি চাই কেবল অজ্ঞানের, নির্জ্ঞানের, অহং-এর বন্ধনী ত্যাগ, কিন্তু কি অপরূপ কি অতুলনীয় লাভ হবে বলে।তোমার মন অতি চঞ্চল—তাই আমার ইচ্ছাশক্তি অনুসারে চলবার অবাধ প্রেরণা তুমি পাও না। শরীরের মধ্যে প্রতিষ্ঠা কর আরো শান্তি, আরো স্থিরতা, ব্যাধির আক্রমণ প্রতিরোধ করবার সামর্থ্য তাতেই পাবে। সব নির্ভর করে বিশ্বাসের তীব্রতা কতখানি, সভ্যভাবের স্থৈর্য্য কতখানি তার উপর। ধৈর্য্য থাকলে, অধ্যবসায় থাকলে সব প্রার্থনাই পূর্ণ হয়। তোমার আস্পৃহাকে ধরে থাক সর্ব্বদা—তা সার্থক হবে সময়ে।