বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জ্ঞান খণ্ডে জ্ঞানের প্রচণ্ডতা আছে অর্থাৎ জ্ঞানের অবস্থায় প্রচণ্ড আছে কি সেখানে আনন্দময় রাগ এর মধুর শব্দ বাজছে যা কোটি গুণেরও অধক আনন্দ বিনোদ প্রদান করে। ‘সরম খণ্ডে’ র বাণী সুন্দরতা। সেখানে উপমা রহিত অপার জীবন গড়া হয় এবং অলংকৃত হয়। সেই অবস্থায় আলোচনা শব্দ দিয়ে করা সম্ভব নয় যে আর যে তার প্রয়াস করে তাকে পর পন্তাতে হয়। সেকানে ‘সরম খণ্ডে’ ধ্যান শক্তি, বুদ্ধি, মন আর মত তৈরী করা হয়। অর্থাৎ তার শুদ্ধি হয় তথা দেবতা তথা সিদ্ধ দের স্মৃতি তৈরী হয়, তথা অলৌকিক বুদ্ধি সত্ত্বারও বিকাশ হয়।
কর্ম খণ্ডের বাণীর বিশেষতা হল আত্নিক ভক্তি এবং শক্তি। সেখানে আত্নিক বল যুক্তারা ছাড়া আর কেউ আসতে পারে না। সেখানে যোদ্ধাগন, মহাবনী এবং শূরবীরেরা আছে। তাদের মধ্যে রাম পূর্ণ রূপে মিশে আছে। সেখানে পবিত্র ভক্তি এবং শক্তির প্রতীক সীতাদের সমষ্টি আছে যারা তাদের প্রিয়তম রামের মহিমাতে নিজেদের গেঁথে রেখেছেন। তাদের সৌন্দর্য এবং দিব্য রূপের বর্ণনা করা অসম্ভব। যাদের মনে রাম বাস কতে তারা মরেও না, মায়া দ্বারা তাদের ঠকানোও যায় না। সেখানে ‘সত্য খণ্ড’ তে নিরাকার পরমাত্মার নিবাস। ‘সে’ সৃষ্টির রচনা করে তার দেখাশোনা করে এবং নিজের কৃপাদৃষ্টি তে সকলকে ভরিয়ে রাখে। সেখানে অসংখ্য খণ্ড, মণ্ডল এবং ব্রহ্মাণ্ড আছে। যদি কেউ কথা ব্যাখ্যান করতে চায় তাহলেও ‘তার’ অন্তের কোন অন্ত নেই। সেখানে অসংখ্য লোক এবং সেই লোকের আনেক আকার। যেমন যেমন ‘তার’ হুকুম হয় তেমনই সমস্ত কাজ করা হতে থাকে। তাঁরা যখন দেখেন তো আনন্দে প্রফুল্লিত হয় ওবেন। গুরু নানক দেব বলেন-সেই অবস্থার বর্ণনা করা লোহার মত কঠিন। আহা! পূর্ণমিলনের অবস্থা অবর্ণনীয়।
হে বন্ধু! সংযমের উনুন জ্বালাও অর্থাৎ ইন্দ্রিয় আর মনের বিষয় বাসনা থেকে দূরে থাকা এবং ধৈর্য রূপী স্বর্ণকার হও। সুমিতা-র লোই পিণ্ড রাখো আর জ্ঞানের হাতুড়ি নাও। প্রভূ ভয় এর ধোঁকনী আর তপস্যার অগ্নি জ্বালাও। প্রেম ভার এর পেয়ালা নাও যাতে অসৃত রূপী নীম রস তালো। এই ভাবে যথার্থ টাঁকশালে শব্দ নামের মুদ্রা তৈরী করো। যার ওপর ‘তার’ অপার দৃষ্টি হয় সেই এই কাজে লাগে। গুরু নানক দেব বলেন সেই মত কর্তা প্রভূ-র কৃপাদৃষ্টি তে কতার্থ হয় যায়।
জগতের গুরু পবন, জল পিতা এবং জমি মহান মাতা। এই সমগ্ন জগত বালকের মত খেলা করছে। তাকে দিন রূপী চাকর খাবার খাওয়ায় আর রাত রূপী দাই ঘুম পাড়ায়। এ রকম করেই সারা জগতের খেলা চলছে। ধর্মরাজ ভাল মন্দের কর্মের বাচন ভগবানের উপস্থিতি তে করে। নিজ নিজ কর্মানুসারে কেউ তার ‘নিকটে’ আর কেউ তার থেকে ‘দূর’। যে খেলা ঘরে নামের ধ্যান করেছে সে সর্বদার জন্য কঠিন পরিশ্রম করে মনুষ্য দেহ সফল করে গেছে। গুরু নানক দেব বলেছেন যে তাঁদের মুখ সেখানে ‘সত্য খণ্ড’ তে উজ্জ্বল হয় এবং তাদের সঙ্গে অন্য কোন জীবও দুঃখ থেকে মুক্তি পান।