বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তন্ত্রে এই সংখ্যা নির্ধারণ প্রসঙ্গে সমগ্র শ্লোক, শ্লোকার্ধ, মার্কণ্ডেয় উবাচ, দেব্যুবাচ প্রভৃতিকে এক একটি মন্ত্র ধরিয়া সর্বমোট সাতশত মন্ত্র স্থিরীকৃত হইয়াছে। সাতশত মন্ত্রের প্রত্যেকটির শেষে স্বাহা বলিয়া যে হোম করা হয় তাহার নাম সপ্তশতী হোম। এই চণ্ডী বা সপ্তশতীর অন্য নাম ‘মহাস্তোত্র’, “যথাশ্বমেধঃ ক্রতুরাট্ দেবানাঞ্চ যথা হরিঃ। স্তবানামপি...এষ সপ্তশতীস্তবঃ।।” সকল যজ্ঞের মধ্যে অশ্বমেধ সর্বশ্রেষ্ঠ, ব্রহ্মের সত্ত্বগুণমূর্তি হওয়ায় অন্যান্য সকল দেবতার মধ্যে শ্রীহরি শ্রেষ্ঠ এবং সকল দেবদেবীর স্তবের মধ্যে মহামায়ার এই সপ্তশতীস্তব সর্বশ্রেষ্ঠ। সকল স্তবের মধ্যে পরম উৎকর্ষের জন্যই নাম মহাস্তোত্র। এই স্তোত্ররাজ পৌরাণিক হইলেও উপনিষদ্সার গীতার তুল্য সমাদর দিয়া সমগ্র ভারতের সর্বত্র সনাতনী হিন্দুগণ মাথায় রাখিয়া পাঠ ও শ্রবণ করেন। পরন্তু গীতা মোক্ষশাস্ত্র এবং জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ, রাজযোগ ও কর্মযোগ প্রভৃতির দার্শনিক বিচারে সকলের পক্ষে সহজবোধ্য নহে। নিষ্কাম জ্ঞানী সন্ন্যাসীই গীতার্থবোধের প্রকৃত অধিকারী এবং শ্রাদ্ধবাসরে পরলোকগত আত্মার মঙ্গলের জন্য গীতার পাঠ হয়। কিন্তু মাতৃভক্তের গৃহে পুত্র জন্ম হইতে আরম্ভ করিয়া অন্যান্য সকল উৎসবে, যজ্ঞে ও অনুষ্ঠানে এবং জগন্মাতার পূজায় সকাম ও নিষ্কাম নির্বিশেষে চণ্ডী পঠন শ্রবণের ব্যবস্থা অতি প্রাচীনকাল হইতে এখনও চলিয়াছে।