কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
‘‘তিনিই’’ অব্যক্ত, অরূপ, নির্গুণ, নিরাকার, চৈতন্যং, বিন্দু নাদ কলাতীতং। তিনিই ‘সত্’ স্বরূপে অরূপ, ‘চিত্’ স্বরূপে স্বরূপ এবং ‘আনন্দ’ স্বরূপে জীবে-জড়ে, ভক্ত-ভগবানে চিন্ময় আনন্দ, পুলকে অপরূপ।
তিনি—‘‘আকাশবত্ সুক্ষ্মশরীর আত্মা, ন দৃশতে বায়ু বদন্তবাত্মা!
সবাহ্যাভ্যন্তর নিশ্চলাত্মা, অন্তর্মুখং পশ্যতি তত মৈকং।।’’
আকাশবত্ সূক্ষ্মশরীর যে পরমাত্মা, তা মনের অগোচর। তবু তিনি বাহ্যে অভ্যন্তরে নিত্য বিরাজিত। সর্ব প্রকাশে অপ্রকাশে তিনি ‘অস্তি’ সত্তা ও ‘ভাতি’ সত্তা। বাহ্যে অদৃশ্য তবু সর্বত্র সর্বময়। মালিকার অভ্যন্তরের গ্রন্থি সূত্রবত্ অপরিহার্য সত্তা।
‘‘জ্ঞাত্বা সর্ব্বগতং ব্রহ্ম সর্ব্বজ্ঞ পরমেশ্বরম্।
অহং ব্রহ্মোতি নির্দ্দিষ্টঃ প্রমাণং তত্র কিং ভবেত্।’’
‘তত্ত্বমসি’ মহাবাক্য দ্বারাও তাঁকে ব্যাখ্যা করা যায় না। ‘‘আমিই ব্রহ্ম’’ এই অবস্থাই নির্দেশ করে—তবে সে গুরু ব্রহ্মকে বিশেষিত করবে কে?
‘‘সদগুরু’’—নিত্য সত্ স্বরূত্। ভাতি পর্বে তিনিই প্রেম গুরু, প্রেমিক-গুরু। প্রেমই সদ্গুরুর স্বরূপ—পূর্ণ মহাজ্ঞানের দিব্য দ্যুতিই প্রেম, আর পূর্ণ ত্যাগের ভূমা-বিস্তারই আনন্দ। তাই তিনি একাধারে ‘‘সচ্চিদানন্দ ঘন বিগ্রহ।’’
বিগ্রহ রূপে না এলে তো মানব তাঁকে বিশেষভাবে গ্রহণ করতে পারবে না। নরের কাছে গ্রাহ্য হতে ও নরকে নারায়ণে অর্থাত্ স্বস্বরূপে ফিরিয়ে নিতে যেতেই তো তিনি নরাকার হয়েছেন। কিন্তু তিনিই ‘‘নিরাকার পরব্রহ্ম’’। যে জীবত্বের তথা বুদ্ধি ও অহংকারের তথা দ্বিবিংশতি ও ত্রিবিংশতি তত্ত্বের আবরণ নারায়ণকে করে বন্দী করেছে, সে মোহাবরণের অজ্ঞানতা বিনাশ করতে ‘‘অজ্ঞান হারিণ্য’’ নিরাকার গুরুর নরাকারে আবির্ভাব। তবু নরাকার গুরুই ধ্যানমূলং। ‘‘ধ্যানমূলং গুরোর্মূর্তি পূজামূলং গুরোর্পদম্ মন্ত্রমূলং গুরোর্বাক্য এবং মোক্ষমূলং গুরোর্কৃপা।’’