Bartaman Patrika
অমৃতকথা
 

প্রেম

কৃষ্ণ বিরহভরা শ্রীরাধা, উদ্ধব মহারাজের নিকটে দশটি শ্লোক বলিয়াছেন। “বলিয়াছেন” না বলিয়া প্রলাপ বকিয়াছেন বলাই ঠিক। গৌড়ীয় বৈষ্ণব-আচার্য্যগণ বলেন— উদ্ধবের সমীপে বিচিত্রতাময় “জল্প” করিয়াছেন। দশটি শ্লোককে তাঁহারা “চিত্রজল্প” নামে অভিহিত করেন।
“চিত্রজল্প” কথাটি আচার্য্যপাদগণের একটি পরিভাষা। পরিভাষাটির তাৎপর্য্য অনুভব করিতে হইলে আচার্য্যপাদগণের আস্বাদিত রসতত্ব সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আলোচনা প্রয়োজন। তাহাই পূর্ব্বাহ্নে করা যাইতেছে।
গৌরীয় বৈষ্ণবাচায্যগণের অনুভবে জগতের পরতত্ত্ব প্রেম। প্রেম হইতেই জগতের উৎপত্তি— প্রেমেই স্থিতি— প্রেমেই পরিণতি। শ্রুতিমন্ত্রে রহিয়াছে জগৎ আসিয়াছে আনন্দ হইতে জগৎ চলিতেছে আনন্দের অভিমুখে। বেদ তাই আনন্দকেই ব্রহ্ম বলিয়াছেন। “আনন্দং ব্রহ্ম”। গৌড়ীয় আচার্য্যগণের মতে আনন্দের পরাকাষ্ঠাই “প্রেমপদবাচ্য” “আনন্দ চিন্ময় রস প্রেমের আখ্যান।” প্রেমের অভিব্যক্তি প্রেমিক-প্রেমিকার ভাব-বন্ধনের মধ্যে।
“যদ্ভাববন্ধনং যূনোর্বুধৈঃ প্রেমা নিগদ্যতে।” (শ্রীরূপ)
যে ভাব-বন্ধন অনিত্য, তাহা প্রেম নহে। যে ভাব-বন্ধন অজর, অমর, অবিনাশী তাহাই প্রেম। ধ্বংস হইবার সর্ব্ববিধ কারণ রহিয়াছে তথাপি ধ্বংস হয় না যে ভাব-বন্ধন, তাহাই প্রেম। “সর্বথা ধ্বংসরহিতং সত্যপি ধ্বংসকারণে।” এই ভক্ত-ভগবানের ভাব-বন্ধনই প্রেমপদবাচ্য হইতে পারে। লৌকিক কোন সম্বন্ধই ঐ পদের বাচ্য হইতে পারে না।
ইক্ষুরস গাঢ় হইলে গুড় হয়। গুড় গাঢ় হইলে চিনি হয়। চিনি গাঢ় হইলে মিছরি হয়। মিছরি গাঢ় হইলে সিতামিছরি, খণ্ডমিছরি হয়। সেইরূপ প্রেমবস্তু ক্রমশঃ গাঢ়তাপ্রাপ্ত হইতে হইতে— স্নেহ-মান- প্রণয়, রাগ- অনুরাগ, ভাব- মহাভাব, রূঢ়- মহাভাব, অধিরূঢ়- মহাভাব ও মাদনাখ্য- মহাভাবে পরিণত হয়। স্তরগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় এইরূপ—
প্রেম যখন গাঢ়তর হয় তখন চিত্তরূপ দীপকে উদ্দীপ্ত করে “চিদ্দীপদীপনন্‌” এবং হৃদয়কে দ্রবীভূত করে “হৃদয়ং দ্রাবয়ন্‌” তখন তাহার নাম “স্নেহ”। অন্তরে স্নেহ জন্মিলে কৃষ্ণের রূপ দর্শনে কখনও নয়নের তৃপ্তি হয় না।
“কোটি আঁখি নাহি দিল সবে দিল দুই।
তাহাতে নিমেষ দিল কি দেখিব মুই।”
স্নেহের উদয় হইলে কৃষ্ণকথা শ্রবণে কর্ণের কিছুতেই তৃপ্তি হয় না। আরও শুনিতে সাধ হয়। কৃষ্ণনাম জপ করিতে রসনার তৃপ্তি হয় না পুনঃ পুনঃ উচ্চারণ করিতে ইচ্ছা হয়।
“না জানি কতেক মধু, শ্যাম নামে আছে গো,
বদন ছাড়িতে নাহি পারে।”
এখানে প্রেম, স্নেহে পরিণত হইয়াছে। স্নেহ দুই প্রকার। ঘৃতস্নেহ ও মধুস্নেহ। ঘৃতস্নেহ শ্রীকৃষ্ণের আদরে কৃতার্থ হইয়া যেন বিগলিত হইয়া যায়। মধুস্নেহ কৃষ্ণের আদরে গাঢ়তাপ্রাপ্ত হইয়া দৃঢ়তর হয়। তাহাতে কৃষ্ণের সুখাতিশয্য হয়। ঘৃতস্নেহ স্বয়ং আস্বাদ্য নহে, অন্যের সঙ্গে মিলিত হইলে আস্বাদ্য। মধুস্নেহ স্বয়ংও আস্বাদ্য, অন্যের সঙ্গে মিলনেও আস্বাদ্য।
মধুস্নেহ উৎকৃষ্টতা প্রাপ্ত হইলে নবতর মাধুর্য্যের উদয় হয়। তখন তাহা কি যেন কি এক অদ্ভুত উপায়ে অতি প্রিয় প্রেমাস্পদের প্রতি অদাক্ষিণ্যভাব ধারণ করে। তখন তাহার নাম “মান”। মানে কৃষ্ণের অত্যাদরেও উপেক্ষা দৃষ্ট হয়। শেষে তীব্র বিরহদশা উদিত হয়।
“কাঁদিয়া কহয়ে পুনঃ ধিক্‌ মোর বুদ্ধি।
অভিমানে হারাইলাম কানুগুণনিধি।।”
মান গাঢ়তাপ্রাপ্ত হইয়া যখন বিশ্রম্ভ রূপ ধারণ করে তখন তাহাকে বলে “প্রণয়”। বিশ্রম্ভ শব্দের অর্থ অভিন্নমনন। নিজ দেহ প্রাণ বুদ্ধির সহিত কৃষ্ণের দেহ মন প্রাণ বুদ্ধির অভিন্নতা মনে হয়। তখন প্রেমের নাম প্রণয়। প্রগাঢ় প্রণয়ে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে দেহপ্রাণ-মনের ঐক্যভাবনাহেতু শ্রীরাধার বাহিরে
“নীলিম মৃগমদে, তনু অনুলেপন,
নীলিম হার উজোর।
নীল বলয় সনে, ভুজযুগ বন্ধন,
পরিহণ নীলনিচোল।।”
এই প্রণয় গাঢ়তর হইলে তাহার নাম হয় “রাগ।।” অন্তরে রাগের উদয় হইলে প্রিয়তমের জন্য অতিশয় দুঃখও সুখ বলিয়া মনে হয়।
“তোমার লাগিয়া কলঙ্কের হার,
গলায় পরিতে সুখ।”
রাগের গাঢ়তর অবস্থার নাম “অনুরাগ।” তখন নিত্যনবায়মান প্রিয়কে নব-নব ভাবে আস্বাদনে সাধ জাগে, কেবল সাধ জাগে না—সামর্থ্যের উদয় হয়। “সোই পিরীতি, অনুরাগ বাখানিতে, তিলে তিলে নূতন হোয়।” শ্রীকৃষ্ণের সৌন্দর্য্য যে কৃষ্ণেই আছে তাহা নহে। অনুরাগী ভক্তের নয়নের উপর উহা নির্ভরশীল। যেমন অনুরাগ বাড়ে, তেমন সৌন্দর্য্য বাড়ে।
“আমার মাধুর্য্য নিত্য নব নব হয়।
স্ব স্ব প্রেম অনুরূপ ভক্ত আস্বাদয়।”
অনুরাগদশায় আর একটি ঘটে অভিনব ব্যাপার। প্রিয়সঙ্গে মিলনকালে এক কল্পুকে এক ক্ষণ বলিয়া মনে হয়। “গত যামিনী জিত দামিনী।” ব্রহ্মরাত্রি ব্যাপিয়া রাসলীলা হইল, গোপীদের মনে হইল বিদ্যুতের মত রাত্রিটা আসিল আর চলিয়া গেল। আবার তদ্বিপরীত, প্রিয়ের বিরহকালে এ কক্ষণার্দ্ধকে যুগশত বলিয়া মনে হত। “যুগায়িতং নিমিষেণ।” আর একটি অদ্ভুত ব্যাপার হয় অনুরাগ দশায়-যাহাতে কৃষ্ণের সুখ হয় তাহাতেও গোপীকার অনিষ্ট আশঙ্কা জাগে। রাসরজনীতে বিরহিণীরা বিলাপ করিতে করিতে বলিয়াছেন—
আমাদের কর্কশ স্তনের উপর কৃষ্ণ, তোমার কোমল চরণকমল রাখিলে পাছে তুমি ব্যথা অনুভব কর এই ভয়ে “ভীতাঃ শনৈঃ দধীমহি কর্কশেষু” কত সন্তর্পণে ধীরে বুকের উপর চরণপদ্ম রাখি। আর সেই চরণে তুমি বিচরণ করিতেছ বনে বনে—যেখানে আছে কত শীলতৃণাঙ্কুর। একথা ভাবিতে মস্তক ঘূর্ণিত হইতেছে। তবে কি আমাদের কঠিন বক্ষস্পর্শে কৃষ্ণের চরণতল কঠিন হইয়াছে? –অথবা কোমল চরণস্পর্শে বনপথের পাথরখণ্ডগুলি কোমল হইয়া গিয়াছে!—এই সকল ভাবনা অনুরাগবতীর লক্ষণ।
অনুরাগ যখন “স্বসংবেদ্যদশা” প্রাপ্ত হইয়া “যাবদাশ্রয়বৃত্ত” হয় তখন তাহাকে ‘ভাব’ বলে। অনুরাগ এমন এক অনির্বচনীয় পরাকাষ্ঠা প্রাপ্ত হয়, যাহা কেবল নিজের অনুভবের বিষয়—তাই বলিয়াছেন স্বসংবেদ্য দশা। আর যতখনি উৎপন্ন হওয়া সম্ভব সবখানি একই সময় হইলে যাবদাশ্রয়বৃত্তি।
ডঃ মহানামব্রত ব্রহ্মচারীর ‘উদ্ধব-সন্দেশ’ থেকে
10th  August, 2020
মহোৎসব

বরানগর মঠের ত্যাগব্রতীরা প্রথম থেকে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষ্যে উৎসব পালন করতেন। সে উৎসবে ত্যাগী ও গৃহী ভক্তেরা সমানভাবে অংশ নিতেন। শশী মহারাজ দীর্ঘসময় ধরে পূজার্চনায় মগ্ন হতেন। ভক্তেরা প্রসাদের আয়োজন করতেন, ভজন-কীর্তনে উৎসব-প্রাঙ্গণ মুখরিত হত। বিশদ

জীবন

জীবনের প্রত্যেকটী অধ্যায়েই প্রলোভন আসে। যুবকের নিকটে যৌবনোচিত প্রলোভন, বৃদ্ধের নিকটে বৃদ্ধজনোচিত প্রলোভন আসিয়া থাকে, এমন জীবন নাই, যে জীবনে প্রলোভন নাই, পদস্খলনের সম্ভাবনা নাই! কিন্তু যৌবনে যে প্রলোভনে টলে নাই, বার্দ্ধক্যের প্রলোভন তাহাকে কমই কাবু করিতে পারে।
বিশদ

18th  April, 2024
গুরু

“ত্রিতাপদগ্ধ জীবকে যিনি শান্তির পথে, ভগবানের দিকে নিয়ে যান তিনিই গুরু। গুরু ও শিষ্যের সম্বন্ধ পারমার্থিক পিতা-পুত্র ভাব। ঐহিক পিতা জন্ম দেন, পিতৃঋণ, বংশরক্ষা, শ্রাদ্ধাদির দ্বারা শোধ করা যায়। কিন্তু গুরু অবিদ্যা থেকে উদ্ধার করেন বলে তাঁর ঋণ শোধ করা যায় না—সর্বস্ব অর্পণ করেও না।
বিশদ

16th  April, 2024
সংসার

গ্যাসের আলো নানা স্থানে নানা ভাবে জ্বলছে, কিন্তু এক আধার হতে আসছে। নানা দেশের নানা জাতির ধার্মিক লোক সেই এক পরমেশ্বর হতে আসছে।
বিশদ

15th  April, 2024
নববর্ষ

আজ নববর্ষের প্রাতঃসূর্য এখনো দিক্‌প্রান্তে মাথা ঠেকিয়ে বিশ্বেশ্বরকে প্রণাম করেনি—এই ব্রাহ্মমুহূর্তে আমরা আশ্রমবাসীরা আমাদের নূতন বৎসরের প্রথম প্রণামটিকে আমাদের অনন্তকালের প্রভুকে নিবেদন করবার জন্যে এখানে এসেছি। এই প্রণামটি সত্য প্রণাম হোক। বিশদ

14th  April, 2024
শিব গুরু

যে-তুমি জ্ঞান-স্বরূপ,/ চিরশুদ্ধ, চিরমুক্ত, চিরন্তন সাক্ষী-স্বরূপ,/যে-তুমি গুণাতীর, বাক্যমনাতীত—/ সেই তোমাকে, আমার সত্য গুরু তুমি,/ একমাত্র তোমাকে আমার নমস্কার। বিশদ

13th  April, 2024
আত্মজ্ঞান

পার্বতী একবার প্রশ্ন করলেন—আত্মজ্ঞান লাভের উপায় কী? প্রশ্নটি করলেন লোকশিক্ষার উদ্দেশ্যে যাতে সাধকেরা উপকৃত হন। সাধনা সংক্রান্ত এত সূক্ষ্ম প্রশ্ন করবার মতো বৌদ্ধিক বিকাশ সে যুগের মানুষদের মধ্যে ছিল না। বিশদ

12th  April, 2024
রামকৃষ্ণ পরমহংস ও ব্রাহ্মসমাজ

আমাদের পূজনীয় আচার্য ব্রহ্মানন্দ যখন বেলঘরিয়া উদ্যানে নির্জ্জন সাধন ভজন করিবার জন্য গমন করিয়াছিলেন, সেই সময়ে আমরা অনেকেই পরমহংসদেবের সহিত পরিচিত হইয়াছিলাম। আমাকে তিনি বড়ই স্নেহ করিতেন।
বিশদ

11th  April, 2024
শিষ্য

গোস্বামীপ্রভুর কোনো শিষ্য বৃন্দাবনে থাকলে বা কোনো শিষ্যের শ্রীধামে আগমন হ’লে তিনি দিব্যদৃষ্টিতে তা বুঝতে পেরেই গুরুভাইয়ের নিকট উপস্থিত হতেন এবং তাঁর মঙ্গলাদি সকল বিষয়ে খোঁজ নিতেন। “মেরা গুরুভাই” বলতে বলতে তাঁর মুখে আনন্দের জোয়ার বয়ে যেত।
বিশদ

10th  April, 2024
সত্য

সত্য-প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ব্রহ্মচর্য্যের পরম-সহায়ক। সত্যই ব্রহ্ম,—ইহা শাস্ত্রের নির্দ্দেশ, ইহা মুনিগণের উপলব্ধি। সত্যে যে বিচরণ করে, ব্রহ্মে বিচরণ তার কেন কঠিন হইবে? সত্যে দৃঢ় প্রতিষ্ঠা অর্জ্জন কর। যে পরের প্রাপ্যের প্রতি অন্যায় ও লুব্ধ দৃষ্টি দেয় না, তাহার পক্ষে সত্যে সুদৃঢ় হওয়ার পথ সুগম। বিশদ

09th  April, 2024
শ্রীকৃষ্ণ

শ্রীমান্‌ উদ্ধব প্রস্তুত হইলেন ব্রজে যাইবার জন্য শ্রীকৃষ্ণের আদেশ শিরে লইয়া। সখার অঙ্গ স্পর্শ করিয়া কহিলেন উদ্ধব,—“প্রিয়! তুমি যন্ত্রী, আমি যন্ত্র। যন্ত্রী যেমন নিজগুণেই যন্ত্রে তোলে সুরের ঝঙ্কার, তেমনি তুমিই করাইয়া লইবে আমাদ্বারা তোমার মনোমত কার্য্য।”
বিশদ

08th  April, 2024
ভক্ত ও ভগবান

জীবনে শ্রীভগবানের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় লাভ হলেই প্রয়াণকালে তাঁকে স্মরণে রাখা সম্ভব। অষ্টম অধ্যায়ের প্রারম্ভে অর্জুনের প্রশ্নের উত্তরে তাই শ্রীভগবান সংক্ষেপে দুটি শ্লোকে তাঁর পাঁচটি বিভাবের পরিচয় দিয়েছেন। মূলে সেই অক্ষর পরম, যিনি ‘ব্রহ্ম’, যিনি ‘স্ব’। বিশদ

07th  April, 2024
ধর্ম

আজকাল ধর্মের আন্দোলন প্রায় সর্বত্রই কিছু না কিছু দেখিতে পাওয়া যায়। বিশেষরূপে ইংরাজী শিক্ষিত লোকেরাও আজকাল নাস্তিকতা অবলম্বন না করিয়া কোন না কোনরূপে ধর্মান্দোলনে যোগ দিতেছেন। যাঁহারা ধর্মচর্চা করেন, তাঁহাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকৃতির লোক দেখিতে পাওয়া যায়।  বিশদ

06th  April, 2024
সাধনা

সাধনার সোপান-পরম্পরার সঙ্গে একান্তভাবে সংযুক্ত ও অখণ্ড মালিকার মতো সুগ্রথিত শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতার যে অর্থের অনুধাবন করছি, এবং সেই অর্থের অনুধাবন করতে করতে আমরা এখন যে অবস্থায় এসে পৌঁছেছি, তাকে আমরা একটি উপমার সাহায্যে বুঝবার চেষ্টা করতে পারি। বিশদ

05th  April, 2024
সন্ন্যাস

সন্ন্যাসের প্রাক্‌কালে শুদ্ধানন্দ আলমোড়াতে স্বামী নিরঞ্জনানন্দজীর সহায়তায় বেশ কিছুদিন ধ্যান-ভজন ও তপস্যাদিতে কাটাইয়াছেন। এই সময়ের স্মৃতি-প্রসঙ্গে তিনি উত্তরজীবনে জনৈক সন্ন্যাসীকে এক পত্রে লিখিয়াছিলেন,—“ঐ সময়ে তাঁহার (নিরঞ্জনানন্দজীর) সঙ্গে আমার অনেক কথা হইত।
বিশদ

04th  April, 2024
ঈশ্বর প্রতিমার উপাসনা বিজ্ঞান

ওঁ তৎসবিতু র্বরেণ্যং ভর্গোদেবস্য ধীমহি (ঋগ্বেদ)। সমগ্র জগতে যত সজ্জন আছেন তাহাদিগকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়—নিরীশ্বর নৈতিক ও সেশ্বর নৈতিক। যাঁহারা পরমাত্মা আত্মা প্রভৃতি আধ্যাত্মিক তত্ত্বে বিশ্বাস করেন না নিন্দাও করেন না কিন্তু মানুষের নৈতিক চরিত্র বিশুদ্ধ করিয়া সমাজে কল্যাণ করিতে সচেষ্ট এবং নিজেরা সচ্চরিত্র তাঁহারা সকলেরই বন্দনীয়।
বিশদ

03rd  April, 2024
একনজরে
শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM