রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
যদি এই সমাজে উচ্চাসন লাভ করতে চাও, তাহলে মুখে মিষ্টি কথা ও অন্তরে বিদ্বেষ- এই দুটি বিপরীতভাব নিয়ে চলতে হবে। কিন্তু যদি আধ্যাত্মিক জগতে মহান হতে চাও এবং অন্যের জন্য বাঁচতে চাও, তাহলে সকলকে আত্মজ্ঞানে ভালবাস।
অজ্ঞাতকে যিনি জানান, তিনিই গুরু। সব থেকে প্রয়োজন গুরুর প্রতি বিশ্বাস। আমরা যদি তাঁকে পূর্ণ বিশ্বাস করে তাঁর চরণে নিজেকে সমর্পণ করতে পারি, তাহলে তিনি নিশ্চিতই আমাদের চরম লক্ষ্যে নিয়ে যাবেন
ভয় মানুষকে ধ্বংস করে। ভয় মানুষকে দুর্বল করে দেয়, জীবনের বাধা-বিপত্তির সাথে লড়ার ক্ষমতাকে নষ্ট করে। সে নিজেও জীবনের সমস্যাগুলিকে এড়িয়ে যায় ও সবাইকে তাই করতে বলে। সংশয়ও মানুষের ধ্বংসের মূল।
আমাদের বনের রাজা সিংহের মত হতে হবে। বনে আরও অনেক হিংস্র পশু আছে। কিন্তু তারা দলবদ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু সিংহ সব সময় রাজার মত একা বিচরণ করে।
যদি জীবনকে উপভোগ করতে চাও তো Individuality (স্বাতন্ত্র) কে ছাড়তে হবে। নিজেদেরকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দাও। সবার সাথে এক হয়ে যাও। তাহলেই সুখী হবে।
যদি আমরা এক অখণ্ড জ্ঞানকে অনুভব করি, তাহলেই মৃত্যুজয় করা হবে। যখন আমরা পূর্ণ আনন্দের সাথে এক হতে পারব। তখনই দুঃখনিবৃত্তি হবে। তখনই সমস্ত ভ্রান্তি দূর হবে।
দুই প্রকারের সমাধি আছে। একটা হল নির্বিকল্প সমাধি, যাকে বলে ব্রহ্মজ্ঞান। সেখানে আত্মার জ্ঞান হয়। দ্বিতীয় সমাধি হল সবিকল্প সমাধি বা ভাব সমাধি, যেখানে ইষ্টদর্শন হয়। সন্ন্যাসী বা গৃহী, সবারই এই দুই সমাধি হতে পারে। এই সমাধি হলে মানুষ সেই সর্বশক্তিমানের দ্বারা পরিচালিত হয়।
কেউ যদি অজান্তে কোন ভুল করে, তাকে মিষ্টি কথায় ভূল ধরিয়ে দিতে হয়। কিন্তু কেউ যদি জেনেশুনেই ভূল করে যায়, তাহলে তাকেও ভূল ধরিয়ে দেওয়া উচিত, কিন্তু অন্যভাবে।
বিশাল বটবৃক্ষের মত হও, যে সকলকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য সদাই প্রস্তুত। জগতের সামনে দৃষ্টান্তস্বরূপ হয়ে ওঠ। নিঃস্বার্থ হও। একটা নিশ্বাসও নিজের জন্য ফেলো না।
আমাদের ভূলের জন্য আমরাই দায়ী। নিজেদের ব্যর্থতার জন্য মানুষ অপরকে দোষারোপ করে থাকে। যদি ব্যর্থ হও, মনে রাখবে যে তুমি সময়ের যথোপযোগ করনি। এর জন্য তুমি নিজেই দায়ী।
নিজে পূর্ণরূপে শুদ্ধ হলেই অপরকে আধ্যাত্মিক উপদেশ দেবে। এমন একজন মহাপুরুষ যাঁর মধ্যে আধ্যাত্মিকতার আগুন জ্বলছে, তাঁর সান্নিধ্যে এসেই মানুষ ঠিক ঠিক আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ করতে পারে।
আদর্শ মানুষ হয়ে উঠতে গেলে একজনকে শুধু আধ্যাত্মিক জ্ঞান থাকলেই হবে না, তার জগতের জ্ঞানও লাগবে।
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে গুরু আমাদের সাথে থাকেন। সদা-সর্বদা গুরু ও সত্যকে ধরে রাখাই আমাদের কর্ত্তব্য।
গুরু শিষ্যের নানাভাবে পরীক্ষা নেন, কিন্তু তার জন্য শিষ্যের চিন্তিত হওয়া উচিত নয়।