বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
পশু, পাখি, কীট, পতঙ্গকেও সেবা করবেন। বৃক্ষলতাকে জল দেবেন। এই কাজগুলো ভক্তিভরে করবেন—যেমন ঠাকুরকে স্নান করান—এই ভাব নিয়ে। পিঁপড়েকে ভগবৎবুদ্ধিতে খাবার দেওয়া উচিত। চৈতন্যরূপী সর্বব্যাপী ভগবান তাতেও আছেন। আর পিঁপড়ে জগতের কল্যাণ সাধন করছে প্রতিক্ষণে। তারা ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
ঠাকুরের পায়ে ফুল দিলে এতে ফুলের পরম গতি লাভ হয়। গদীতে (ব্যবসায়ীদের) কাউকে খেতে দেওয়া উচিত নয়। গদী লক্ষ্মীর আসন।
কোনো কিছুই ত্যাগ ও তপস্যা ছাড়া লাভ করা যায় না।
শ্রীমন্ মহাপ্রভু বলেছেন—‘সাধন বিনু সাধ্যবস্তু নাহি হয় লাভ।’ গোস্বামীপ্রভু বলেছেন—‘চিমটি কেটে কারো দুঃখ নিতে পারে না। প্রণালীমত চললেই দুঃখ দূর হয়।’ এই কথাগুলো সর্বদা স্মরণ রেখো।
আপনি রাধাগোবিন্দের সংসারে বাস করেন। সবাই তাঁর সংসারে বাস করে—কেউ তা জানে, কেউ জানে না। যিনি সত্যকে জানেন, তিনি জ্ঞানী—তাঁকেই আমরা জ্ঞানী বলি। গরম কাপড় দিয়ে ঠাকুরের শয়নের জামা না করে—পুরু গেরুয়া খদ্দর বা বীরভূম (কড়িধ্যায়) মুগার মত একরকম কাপড় পাওয়া যায়—তা দিয়ে করতে পার। তা দেখতে খুব সুন্দর।
নতুন ফ্লানেল দিয়েও করতে পার। গৈরিক বা কমলা রঙের হলে তা খুব সুন্দর হবে।
ভগবান আমাকে পরমানন্দে রেখেছেন।
পরিগ্রহ পাপ, এতে অন্তর পরাধীন হয়। দিও বই নিও না। নিজের সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করে থাকাই সবচেয়ে ভালো—এতে স্বভাব থাকে মুক্ত, মন আনন্দে পূর্ণ।
কোন কাজকে তুচ্ছ ভাবতে নেই। যে ছোট কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারে—সে-ই বড় সিদ্ধির অধিকারী হয়।
ছেলেদের মানুষ করার জন্য বিশেষ যত্ন নিয়ে ধর্ম শিক্ষা দেবেন। ধর্মকে আশ্রয় করলেই জীবন ধন্য হয়। সর্বদা ভগবানকে সম্মুখে রেখে কাজ করবেন। যেখানে ধর্ম সেখানে জয়। ধর্মের রক্ষক স্বয়ং ভগবান। ধর্ম রক্ষার জন্য বিশেষ প্রয়োজন বোধ করলে খুব বিনীত নম্র-ই ভাবে আলাপ করবেন।
আহার, নিদ্রা ও বংশবৃদ্ধি—এরপর নীরব শ্মশানযাত্রা— একশ্রেণীর মানুষের কাছে এই জীবন। অতি ক্ষুদ্র একসীমার পৃথিবীতে এরা বন্দী। উপকথার ব্যাঙের মত তারা আত্মরতির অন্ধকূপে গর্বিত, স্ফীত। এদের জীবনকে ঘিরে আছে স্থূল মিথ্যার খেলা! এদের কাছে ক্ষমা দুর্বলতা, ভালোবাসা শুধু ভান—এরা মানুষের মহত্বকে নিয়ে করে বিদ্রূপ, পরিহাস। এরা বহুরূপী—ক্ষণে ক্ষণে করে বেশ, বচন ও ব্যবহারের পরিবর্তন। অধস্তন কর্মচারীর প্রতি এরা উদ্ধত, উচ্চপদস্থের কাছে ভদ্রতার মুখোস পরা বংশবদ চাটুকার, আর সহকর্মীর প্রতি এদের অফুরন্ত ঈর্ষা বিদ্বেষ। এদের অবসর কাটে দৈনিকের সিনেমা জগৎ ও খেলাধূলার পৃষ্ঠায়, দিন যায় লটারী, সিনেমা, ঘোড়দৌড় নিয়ে অথবা চায়ের আসরে পরচর্চায়, তাসের আড্ডায়। অপরিসীম এদের অন্তরের দৈন্য। এদের আভিজাত্য আত্মার ঐশ্বর্যে নয়, অর্থ ও মানের স্পর্ধিত অহংকারে।
শ্রীমৎ স্বামী পরমানন্দ সরস্বতী মহারাজের শাশ্বত বাণী ‘বাণী সঞ্চয়ন’ থেকে