বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাও সেইমতো পথ অবলম্বন করো। “দুধে মাখন আছে” ব’লে চেঁচালেই অমনি অমনি মাখন পাওয়া যায় না। মাখন পেতে হ’লে আগে দুধের ঘোল তৈরী করো, তারপর সেই ঘোলকে ভালোভাবে নাড়লে তবে মাখন পাবে। ঈশ্বরলাভই যদি তোমাদের লক্ষ্য হয় তবে তার উপযুক্ত সাধনা, তপস্যা এইসব করো—তবে তাঁর দেখা পাবে। “হে ঈশ্বর, হে ঈশ্বর” ব’লে শুধু চেঁচালেই কি হবে।
বিশ্বচৈতন্যের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে ফেল।
ঈশ্বরের ধ্যান করবে কোণে, বনে, মনে।
প্রশ্ন: ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা কি চেঁচিয়ে করা উচিত?
উত্তর: তোমাদের যেমন ইচ্ছা তেমনি ভাবেই তাঁর প্রার্থনা করবে, তিনি নিশ্চয়ই শুনবেন। কারণ পিঁপড়ের পায়ের শব্দও তিনি শুনতে পান।
যখন দেখবে কোন লোক ‘আল্লা হও, আল্লা হও’ অথবা ‘হে ঈশ্বর, হে ঈশ্বর’ ব’লে চীৎকার করছে তখন বুঝবে তার ‘আল্লা’ বা ‘ঈশ্বর’ দর্শন হ’তে দেরী আছে। কারণ তাঁকে জানলে মানুষ শান্ত হয়ে যায়, আর শান্তিতে ভরে থাকে।
প্রশ্ন: ঈশ্বর কোথায় এবং কেমন ক’রে তাঁর দর্শন লাভ করা যায়?
উত্তর: সাগরের তলায় মুক্তো আছে। কিন্তু তা পেতে হ’লে কষ্ট করতে হবে। ঈশ্বরও সেইরকম রয়েছেন।
এক ডুবে মুক্তো না পেলে ভেবো না যে সমুদ্রে মুক্তো নেই। বার বার ডুব দাও শেষপর্যন্ত সফল হবেই হবে। ঈশ্বর দর্শনের বেলাতেও সেইরকম প্রথম প্রথম বিফল হলেও হতাশ হোয়ো না। লেগে থাকো, শেষপর্যন্ত ঈশ্বরের করুণা পাবেই।
প্রশ্ন: আমরা আমাদের ঈশ্বরকে কীভাবে পেতে পারি?
উত্তর: যে বড় মাছ ধরতে চায়, সে ছিপ ফেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধৈর্য ধরে বসে থাকে যতক্ষণ না মাছ টোপ গেলে। ভক্তকেও সেইরকম ধৈর্য ধরে ভক্তি নিয়ে লেগে থাকতে হবে, শেষে ঈশ্বর দর্শন হবেই হবে।
ঈশ্বর দর্শনের উপায়
প্রশ্ন: ঈশ্বর যদি সর্বব্যাপী, তবে তাঁকে দেখি না কেন?
উত্তর: পানা পুকুরের পাড়ে দাঁড়িয়ে তোমরা ভাবছো যে পুকুরটিতে জল নেই। পানা-আগাছাগুলো যদি সরিয়ে ফেলতে পারো তবেই জলের সন্ধান পাবে। সেইরকম মায়া-আবরণে তোমাদের চোখ ঢাকা আছে, তাই বলছ ঈশ্বরকে দেখতে পাচ্ছ না। তাঁকে যদি দেখতে চাও তবে আগে মায়া-আবরণ চোখ থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। মেঘ যেমন সূর্যকে আড়াল ক’রে রাখে মায়াও তেমনি ঈশ্বরকে আড়াল ক’রে রাখে। মেঘ সরে গেলেই আবার সূর্যের মুখ দেখা যায়, মায়ার আবরণ দূর হ’লেই ঈশ্বরও দেখা দেন।
পানা আর ঝাঁঝিতে ঢাকা পুকুরের জলে মাছ খেলা করলেও বাইরে থেকে লোকে তা দেখতে পায় না। ঈশ্বরও মানুষের হৃদয়ে অদৃশ্যভাবে লীলা করছেন, কিন্তু মায়া-আবরণে ঢাকা থাকায় মানুষ তা জানতে পারছে না।