কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
এই সমন্বিত ধারণা অনেককে আকৃষ্ট করে। এটা খুবই স্বাভাবিকও মনে হয়। কিন্তু ধর্ম মানে, স্বভাবকে অতিক্রম করা ছাড়া আর কিছুই নয়। সংখ্যাতীত জীবনের সংস্কার ও অভিজ্ঞতা যা অস্বাভাবিক তাকেই স্বাভাবিকরূপে গ্রহণ করতে আমাদের শিখিয়েছে। কোন ধর্মই কোন কালে আত্মাকে জড় ও সান্ত বলে নির্দেশ করে না। যুক্তিও সমর্থন করে—যা কিছু চেতন ও সীমার অতীত, তাকে কোন সংজ্ঞা, কোন সীমা, বা কোন প্রাপ্তি দ্বারা নির্দিষ্ট করা যায় না। অসীমের পথ সসীম থেকে সদাই ভিন্ন। কিন্তু আমাদের বুদ্ধি এত বিপর্যয়গ্রস্ত এবং ভ্রান্ত যে পূর্ণত্ব সম্বন্ধে আমাদের ধারণা সীমিত ও অপূর্ণ হয়ে রয়েছে। আমরা আমাদের বর্তমান প্রকৃতিকে কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারি না। তাই অপূর্ণতাকে অতিরঞ্জিত করে বলি—এই হচ্ছে পূর্ণত্ব। মস্তিষ্ক, হৃদয় ও বাহুর সমন্বয়ের ধারণা—এই ধরনের ভ্রান্তির এক উদাহরণ। অবশ্য একথা ঠিক যে আধ্যাত্মিক উন্নতির এক অবস্থায় এরূপ সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে এবং ইহা অভ্যাস করতে হয়। কিন্তু এটিকে একমাত্র লক্ষ্য বলে গ্রহণ করলে ক্ষতিকর হবে। শ্রীরামকৃষ্ণ বলতেন—“হিন্দুদের পাঁজিতে রয়েছে—এক বিশেষ দিনে বিশ আড়া জল হবে। কিন্তু পাঁজি নিঙরালে এক ফোঁটা জলও পাওয়া যায় না।” ঠাকুরের এই উক্তি, ঐ যুক্তির মূলে আঘাত করে। দেশের মানচিত্র—দেশ নয়। ভগবান সম্বন্ধে দার্শনিক ব্যাখ্যা আমরা করি তখন সত্যসত্য ভগবানকে উপলব্ধি করি না। ভগবদ্বিষয়ক ধারণা, স্বয়ং ভগবান নন। এই পার্থক্য সুস্পষ্টরূপে মনে রাখা প্রয়োজন। যুক্তি বা বুদ্ধি—বস্তু সম্পর্কে জ্ঞানগুলি সাজিয়ে নিতে সাহায্য করে মাত্র, অনুভব করাতে পারে না। বিষয়গুলি প্রথমে উপলব্ধি করা চাই। উহা অত্যাবশ্যক।