কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
অনুশীলন ছাড়া কোনো বস্তুকে আয়ত্ত করা যায় না। ভগবৎপ্রেম লাভের জন্য প্রত্যেক সাধককেই দুশ্চর তপস্যা করতে হয়েছে। প্রেমলাভের উপায় আছে—কিন্তু সংসারে ক’জন মানুষ তা অনুসরণ করে? সেজন্য এখন সংসার প্রেমহীন, হৃদয়হীন—এতো দুঃখ বেদনাময়! ধর্মের পথ সকলের পায়ের তলা দিয়ে। কোনোরূপ অলৌকিকের দিকে মন একটু আকৃষ্ট হলে প্রেমভক্তি কি বস্তু তা বুঝা যায় না।
সৃষ্টির চেয়ে স্রষ্টা অনেক অনেক মহান ও সুন্দর। যে নারী সারাদিন অলঙ্কার, শাড়ী, বাড়ি—এসব নিয়ে মেতে থাকে, সে তার স্বামীকে কতখানি পায় বা জানে? সেরূপ বিভূতিতে যারা বেশি আকৃষ্ট তারা ভগবানকে তো পায়ই না, এমনকি, প্রকৃত সাধুসঙ্গ থেকেও বঞ্চিত হয়।
আমাদের দেহে মাথা একটি। সেরূপ পৃথিবীরও একটি ভাগবতী লীলাকেন্দ্র আছে। তা হচ্ছে ভারতবর্ষ, পুণ্যভূমি।
মানুষের বিচার কি দিয়ে হয়? দয়া, প্রেম, কর্মক্ষমতা, জ্ঞান ইত্যাদি তার মাপকাঠি,—অর্থ নয়।
মহাপ্রভুর ধর্ম সর্বজন কল্যাণকর।
দেশের এই অবস্থা থাকবে না, আবার দেশ এক হবে। মা ও বাবা— এঁরা সাক্ষাৎ ভগবানের শরীরী মূর্তি—এই ভেবে এঁদের পূজো করতে হয়।
আমি গুরু নই, তোমাদের দীন সেবক। তোমাদের কোনো সেবা করতে পারি না— এ আমার বড় দুঃখ। আমি কাউকে অবজ্ঞা বা অবহেলা করি না। শুধু কল্যাণের জন্য নির্জনে থাকি। বর্তমান কালের একটা দোষ— কাউকে স্বীকার করতে চায় না কেউ। হিংসা মানুষকে কখনো শান্তি দিতে পারে না।
আমার গোঁসাই ফটো নন, স্বয়ং তিনি। যদি শাস্ত্র ও মহাজন বাক্য সত্য হয়, তবে যা বলেছি— তা অভ্রান্ত। আহারের সঙ্গে শরীর ও মনের খুব নিকট সম্বন্ধ। ছেলে-মেয়েরা তামসিক খাদ্য খেলে তমোভাবাপন্ন হবে। দৈনিক অন্তত এক ঘণ্টা ঠাকুরকে দিতে হবে। সমস্ত সময় সংসারের জন্য ব্যয় করতে পারবেন না। আমি তোমাদের চেয়ে বড় নই। বরং অনেক হিসেবে ছোটো। আমি অনুরোধ করবো— কোনো আদেশ দিতে পারি না।
তোমাদের সম্মান করতে পারলাম না, মর্যাদা দিতে পারলাম না। আশীর্বাদ করো জগবন্ধুর দয়ায় যেন তা পারি। মানুষ তার মনের খবর কতটুকু জানে? কোনোখানে মনটা স্থির করতে পারলেই হলো। নির্হেতু প্রেম ছাড়া জীবনে শান্তি নেই। লোকবল বল নয়, ভগবৎ বলই যথার্থ বল। নির্জনে থাকলেই নির্ভরতা আসে, ভগবানের দয়াকে অনুভব করা যায়। মানুষ কৃতঘ্ন, তাই তাঁর দয়াকে অনুভব করে না। জীবনে কোনোদিকে বিশেষ সাফল্য অর্জন করতে হলে আগে মনকে জয় করতে হবে। যিনি মনকে জয় করতে পারেন— তিনি দেবতা, তাঁর কোনো আশাই অপূর্ণ থাকে না।
এই প্রকৃতির শোভা একা মুগ্ধ দৃষ্টি মেলে চেয়ে চেয়ে দেখি, ঐ সাদা ছড়ানো একরাশি পাথর কুঁচি, ভোরের আলোয় ঝিকিমিকি রঙের ঝিনুক হয়ে হাসে।
বর্ষায় ঝিলমিল শামুক হয়ে হাঁটে—
এদের বুকের নিরালা নীড়ে এসে ধরা দেয়
জ্যোৎস্না, চাঁদ, তারার নীল
অসীমের মায়াটুকু—
এরাও কথা কয়
স্বপ্নে বোনে।
অসীমের অঙ্গনে চলছে এ কী অপরূপের খেলা। ভোরের আলোয় মৃণালে ফোঁটে প্রভাতপদ্ম, জীবন কত মধুর, জগৎ কত সুন্দর।