Bartaman Patrika
অমৃতকথা
 

 গুরু

গুরু ও সদ্‌গুরু একই বস্তু, কারণ অসদ্‌গুরু বলিয়া কোন বস্তু নাই। তবে বুঝাইবার সুবিধার জন্য গুরু হইতে সদ্‌গুরু শব্দের বৈলক্ষণ্য দেখান হয়। যাঁহার কৃপায় পূর্ণ সত্যের রূপ প্রত্যক্ষ হয়—যে প্রত্যক্ষের পর আর কোন আবরণ থাকে না—তিনিই সদ্‌গুরু। যিনি আবরণের আংশিক নিবৃত্তিতে সহায়ক হন তাঁহাকে গুরু বলা হয়। যিনি আবরণ অংশতঃ নিবৃত্ত করিতে সাহায্য করিতে পারেন না। তাঁহাকে গুরু বলা যায় না। তান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে দীক্ষা ব্যাপারের যিনি অনুষ্ঠাতা তিনিই গুরু। প্রকৃত প্রস্তাবে গুরু একমাত্র ভগবান্‌, দ্বিতীয় কেহই নহে। কিন্তু জীব সাক্ষাৎভাবে তাঁহাকে ধরিতে পারে না। এই জন্য তিনি যোগ্য আচার্যের আধারে শিষ্য উদ্ধারের জন্য আত্মপ্রকাশ করিয়া থাকেন। আচার্যকেও এইজন্য গুরু বলা হয়। দুর্গা প্রতিমাতে যেমন মহাশক্তি জগদম্বার অধিষ্ঠান হয় বলিয়া ঐ প্রতিমাকেও দুর্গা বলা হয় তদ্রুপ যে দেহকে আশ্রয় করিয়া নিত্য গুরুশক্তি কার্য করিয়া থাকে সেই দেহকেও গুরু বলিয়া বর্ণনা করা হয়। ইহাই আচার্য দেহ। আচার্যের সহিত পরমেশ্বরের সাক্ষাৎ অথবা পরম্পরাগত যোগ স্থাপিত না হইলে আচার্য ভগবানের প্রতিনিধিরূপে গুরুকার্য করিতে সমর্থ হন না। আচার্য জীবোদ্ধার ব্যাপারে নিমিত্ত মাত্র। প্রকৃত গুরুরূপী ভগবানই যথার্থ কর্ত্তা। প্রশ্ন হইতে পারে, এইরূপ নিমিত্ত আশ্রয় না করিয়া সাক্ষাৎভাবে কি ভগবান্‌ অনুগ্রহ করিতে পারেন না? এর উত্তর নেই, নিশ্চয়ই পারেন। তবে সাধারণতঃ তাহা করেন না। তাঁহার অনুগ্রহ বিতরণ দুই প্রকার জানিতে হইবে—একটিকে সাধিষ্ঠান অনুগ্রহ বলে, অপরটিকে নিরধিষ্ঠান অনুগ্রহ বলে ভগবান্‌ স্বরূপতাঃ প্রকৃতি, মায়া বা মহামায়ার অতীত। সুতরাং তাঁহার স্বরূপ হইতে অনুগ্রহ প্রাপ্তি সকলের ভাগ্যে ঘটে না। যে সকল জীব প্রাকৃত বা মায়িক দেহে আবদ্ধ তাহারা ভগবৎ স্বরূপ হইতে নির্গত অনুগ্রহশক্তি ধারণ করিতে পারে না। যে সকল জীব বিবেক-জ্ঞানের প্রভাবে প্রকৃতি ও মায়া হইতে পৃথক হইতে পারিয়াছেন অথচ যাঁহাদের জীবত্ব বা পশুত্ব দিব্যজ্ঞান না পাওয়ার দরুণ এখনও নিবৃত্ত হয় নাই সেই সকল বিদেহ-কৈবল্য প্রাপ্ত আত্মার মধ্যে যাহাদের মল পরিপক্ক হইয়াছে তাহাদিগকে মলপাকের তারতম্য অনুসারে নবীন সৃষ্টির প্রাক্‌ক্ষ঩ণে ভগবান স্বয়ং অনুগ্রহ করিয়া থাকেন। ইহা নিরধিষ্ঠান দীক্ষা দানের দৃষ্টান্ত। এই স্থানে আচার্যের প্রয়োজন হয় না। কারণ ইহা সৃষ্টির পূর্বের অবস্থার কথা। সৃষ্টির অন্তর্গত জীব সাধারণতঃ আচার্য হইতেই দিব্যজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়া থাকে। অবশ্য স্বাতন্ত্র্যময় পরমেশ্বরের পক্ষে সব সময় সবই সম্ভবপর হয়। আমরা সাধারণত যে আচার্যগুরুর কথা বলিয়া থাকি তাহার দেহ মনুষ্যস্তরের অন্তর্গত। কিন্তু সিদ্ধ ও দিব্য স্তরেও গুরু দেহ থাকিতে পারে এবং অনেকে ঐ প্রকার গুরু হইতে দীক্ষা প্রাপ্ত হইয়া থাকেন।
গুরু খণ্ড হইলেও পরমতত্ত্বের সাক্ষাৎকার না করিয়া থাকিলে তাঁহাকে সদ্‌গুরু বলা যায় না। কিন্তু খণ্ডগুরুর প্রদত্ত জ্ঞানের মধ্যে পূর্ণতার অভাববশতঃ একটা ক্রমিক ভাব বা তারতম্য বিদ্যমান থাকে। তদনুসারে ইহা বলা হইয়া থাকে যে গুরু স্বয়ং যে স্তরে থাকেন শিষ্যকেও দীক্ষা দ্বারা সেই পর্যন্ত উঠাইয়া নিতে পারেন। গুরুর জ্ঞান যদি খণ্ড না হয় তাহা হইলে এই শঙ্কা উত্থিত হইতে পারে না।
শাস্ত্র অনুসারে দীক্ষা ও শক্তিপাতের মধ্যে সাধারণতঃ কিছু কিছু ভেদ প্রদর্শন করা হয়। কারণ শক্তিপাত হয় সাক্ষাৎ পরমেশ্বর হইতে—কারণ তিনি ভিন্ন অনুগ্রহ করিবার যোগ্যতা আর কাহারও নাই। সাপেক্ষ অনুগ্রহ নিম্নস্তর হইতেও হইতে পারে। কিন্তু পরম অনুগ্রহ করিবার যোগ্যতা একমাত্র ভগবানেরই আছে। পরম অনুগ্রহের ফলে শিবত্ব লাভ হয়। খণ্ড অনুগ্রহের ফলে নানা প্রকার উচ্চ অবস্থা লাভ হইতে পারে। যে জীবে শক্তিপাত হইয়াছে একমাত্র সেই জীবই দীক্ষা লাভের উপযুক্ত। আচার্য গুরু জ্ঞানী হইলে দৃষ্টিমাত্র বুঝিতে পারেন কাহারও শক্তিপাত হইয়াছে কিনা। যাহাতে শক্তিপাত হয় নাই এইরূপ জীবকে জ্ঞানীগুরু কখনই দীক্ষা দিতে অগ্রসর হন না। দীক্ষা ক্রিয়াশক্তির কার্য। মূলে ইহা পরিপূর্ণ জ্ঞান ও ক্রিয়ার অভিন্নতাময় চিৎশক্তির ব্যাপার। সৃষ্টির পূর্বে বিদেহ আত্মাকে যে ভগবান্‌ স্বয়ং দীক্ষা দেন সেখানে জ্ঞান-শক্তি ও ক্রিয়া-শক্তির পার্থক্য থাকে না, যদিও আধার-ভেদ অনুসারে সঞ্চারিত শক্তির মাত্রার তারতম্য থাকে। সৃষ্টির অভ্যন্তরে পূর্ণ জ্ঞান ও ক্রিয়ার অভিন্নতাময় চিৎশক্তির ব্যাপার। সৃষ্টির পূর্বে বিদেহী আত্মাকে যে ভগবান্‌ স্বয়ং দীক্ষা দেন সেখানে জ্ঞান-শক্তি ও ক্রিয়া-শক্তির পার্থক্য থাকে না, যদিও আধারভেদ অনুসারে সঞ্চারিত শক্তির মাত্রার তারতম্য থাকে সৃষ্টির অভ্যন্তরে দেহবিশিষ্ট জীবকে অনুগ্রহ করিতে হইলে ক্রিয়া-শক্তির ব্যাপারটি আচার্যকে অবলম্বন করিতে হয় বলিয়া শক্তিপাতের মূল ব্যাপারটি শুধু ভগবৎ সাপেক্ষ থাকে। শক্তিপাতের তাৎপর্য এই যে জীব-বিশেষ উঠাইয়া নিবার জন্য ভগবান্‌ ইচ্ছা করিয়াছেন, অর্থাৎ জীব-বিশেষের উপর ভগবানের করুণাদৃষ্টি রহিয়াছে। ভগবানের এই করুণাদৃষ্টির দিকে লক্ষ্য করিয়াই আচার্য দীক্ষা দানে অগ্রসর হন। দীক্ষার ফলে, জ্ঞান ও ক্রিয়া উভয় শক্তিরই সঞ্চার হয়। ক্রিয়া শক্তির মাত্রা থাকে আংশিক।
গোপীনাথ কবিরাজের ‘সাধনা ও সিদ্ধি’ থেকে
18th  May, 2019
 সুখ দুখ

 চণ্ডিদাস কহে “শোন বিনোদিনী, সুখ দুখঃ দুটি ভাই। সুখের লাগিয়া যে করে পীরিতি, দুঃখ যায় তার ঠাঁই।” সুখ ও দুঃখ দুটি যমজ ভাই, একজন আর একজনকে ছাড়িয়া থাকিতে পারে না। সুখ যার বাড়ে দিনে দিনে, দুঃখ তার ফিরে সাথে সাথে।
বিশদ

জগতের মূলে একটী বস্তু আছে

ঠিক বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে বিচার করিতে করিতে সর্বশেষ অবস্থায় জ্ঞানীরা দেখিয়াছেন অর্থাৎ বোধ করিয়াছেন, জগতের মূলে একটী বস্তু আছে, যাহা বোধকরা যায়। কিন্তু জগতে সেইরূপ কোনও বস্তু নাই বলিয়া তাহা যে কি সেইকথা প্রকাশ করা যায় না। শুধু, তাহা অনুভব করিবার উপায় বলা যায়।
বিশদ

20th  May, 2019
সাত্ত্বিক ভাব 

ভক্ত যখন সাক্ষাৎভাবে অথবা একটু ব্যবধানে থেকে কৃষ্ণ-প্রেমের দ্বারা গভীরভাবে অভিভূত হন, তাকে বলা হয় সাত্ত্বিক ভাব। সাত্ত্বিক ভাবের লক্ষণ তিন প্রকার— স্নিগ্ধ, দিগ্ধ ও রুক্ষ। 
বিশদ

19th  May, 2019
 শ্রীমা

 শ্রীমায়ের উপস্থিতিতে দক্ষিণ দেশে কি ঘটেছিল তার কিছুটা আঁচ করা যেতে পারে তামিল মাসিক পত্রিকা ‘শ্রীরামকৃষ্ণবিজয়ম্‌’-এর ১৯২৫ খ্রীস্টাব্দের ডিসেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত ‘সারদা দাসন’ ছদ্মনামে জনৈক ভক্তের স্মৃতিকথা থেকে। ‘হিন্দু’ পত্রিকাতে খবর পড়ে তাঁর বাবা ও মা তাঁকে নিয়ে শ্রীমায়ের দর্শন করতে এসেছিলেন। বিশদ

17th  May, 2019
 গৃহী

গৃহী সন্তানদের প্রতি—বিবাহিত পুরুষদের বলতেন, মানসিক শান্তিই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। নিজের সাধনায় তা অর্জন করে নিতে হয়। এক নারী সদাব্রতী, একাহারী সদা যতি। অপর সকল নারী মাতৃবৎ। বিবাহ Royal Road অর্থাৎ সমাজ অনুমোদিত পথ।
বিশদ

16th  May, 2019
স্বপ্নের কথা

প্রশ্ন: কেন আমরা স্বপ্নের কথা ভুলে যাই? 
কেননা তুমি সর্বদা একই জায়গাতে স্বপ্ন দেখ না। আর তোমার সত্তার একই অংশ সর্বদা স্বপ্ন দেখ না ও স্বপ্নে একই স্থানে থাক না। যদি তুমি তোমার সত্তার সকল অংশের সঙ্গে সংযোগ রাখতে পারতে—সচেতনভাবে, সোজাসুজি, অবিরাম তাহলে তোমার স্বপ্নের সব বৃত্তান্ত তোমার মনে থাকত।
বিশদ

15th  May, 2019
মন ও মন্ত্র 

মনকে যা ত্রাণ করে তার নাম মন্ত্র। মনকে ত্রাণ করতে হলে এমন একটা-কিছুর আশ্রয় নিতে হয় যা মন থেকে পৃথক, যা মনের অতীত, যা মন নয়। সাধক ও তাঁর মনের মধ্যে মন্ত্র হ’ল, প্রথম আবির্ভাবে, এক তৃতীয় শক্তি-স্বরূপ। পরিশেষে অবশ্য, মন্ত্রই একমাত্র শক্তি হিসেবে বিরাজ করেন; সাধক ও তাঁর মনের শক্তি— এ দুটি ক্রমশ মন্ত্র-শক্তিতেই বিলীন হয়। 
বিশদ

14th  May, 2019
‘বাউল’

 ‘বাউল’ শব্দটি ‘বাতুল’ শব্দের অপভ্রংশ। ‘বাতুল’ শব্দ ত্রূমশঃ রূপান্তরিত হয়ে ‘বাউল’শব্দে পরিণতি প্রাপ্ত হয়েছে। ‘বাউল’ শব্দের প্রকৃত মর্মার্থ হল-বাহ্যজ্ঞান রহিত উন্মাদ। অর্থাৎ যিনি বাহ্য ইন্দ্রিয়ের চেতনাশূন্য, বিষয়বুদ্ধি রহিত ভগবৎ প্রেমে পাগল। আর এই ভাবমুখী প্রেমোন্মাদ মানুষকেই ‘বাউল’ বলা হয়।
বিশদ

13th  May, 2019
সমস্ত জীবনই এক শিক্ষা

সমস্ত জীবনই এক শিক্ষা—কম-বেশি সজ্ঞানভাবে, কম-বেশি স্বেচ্ছায় অনুসৃত। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এই শিক্ষা আলোর দিকটি প্রকাশ করবার সহায় হয়, কারও ক্ষেত্রে বিপরীত, অর্থাৎ অন্ধকারের দিক। অবস্থা ও পারিপার্শ্বিকী যদি অনুকূল হয় তাহলে অন্ধকার সরে যায়, হয় আলোরই বৃদ্ধি। অন্য পক্ষে ঘটে বিপরীত।
বিশদ

12th  May, 2019
অমৃতকথা 

দেহ ও মন এই দুইটী যন্ত্র-সহায়ে তোমার আভ্যন্তরীণ শক্তিপুঞ্জ প্রয়োজিত এবং অভিব্যঞ্জিত হইতেছে। দেহ যদি একটী দশ-মর্দ্দা হইয়া থাকে, মন তাহা হইলে একটি বিশ-মর্দ্দা। “মারো ধাক্কা হেইয়োঁ”—বলিয়া দশ-মর্দ্দা দিয়া ধাক্কা দাও, গায়ে তৎক্ষণাৎ জোর আসিবে, কার্য্য-সিদ্ধি ত’ হইবেই।   বিশদ

11th  May, 2019
কার্য

জানার বিষয় হল তিনটি: গ্রহীতা, গ্রহণ ও গ্রাহ্য, অন্য পরিভাষায় পুরুষ, ইন্দ্রিয় এবং ভূত। অর্থাৎ যে গ্রহণ করছে অর্থাৎ জানছে বা দেখছে সেই হল কর্তা বা গ্রহীতা, যা দিয়ে দেখছে তাকেই বলে করণ বা ইন্দ্রিয় এবং যা দেখছে অর্থাৎ বিষয় বা ভূতবর্গ তাকে বলে কার্য। বিশদ

10th  May, 2019
ধর্ম

 বিশ্বের সকল ধর্মবেত্তারা নিজ নিজ ধর্মানুশাসনে নিবিষ্ট ও বোধিদীপ্ত হয়ে জগতের অনেক কল্যাণ সাধন করেছেন।আজ জগতে যা কিছু শুভকর, তা এঁদেরই অনুপ্রেরণা ও সাধনার ফল। জগৎ একই স্রষ্টার করুণাধারায় প্রবাহিত। এই প্রবহমান জগতে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর আনুগত্য সেই একই স্রষ্টার প্রতি বিভিন্ন নামে ও ধ্যানে। বিশদ

09th  May, 2019
  গুরু

ধর্মরাজ্যে এগোতে হলে পথটাকে ভালবাসার চেষ্টা কর। ভালবাসা না এলে এগোনা যাবে না। পথটা ভালো না লাগলে সবই বৃথা। কারণ, একটা পথ ধরে তো এগোতে হবে। যে রূপ ভাল লাগে, যাঁর প্রতি একটা আকর্ষণ বোধ ক’রছো, তাঁকেই ভালবাসতে চেষ্টা কর। গুরুকে ধর। বিশদ

08th  May, 2019
মোড় ঘুরিয়ে দাও

 ‘মোড় ঘুরান’—দু’টি শব্দ, একটি অর্থবহ কথা। অর্থের বৈচিত্র্যে কথাটি অনুধাবনযোগ্য। রাস্তায় চলতে চলতে মোড় ঘুরি। জীবনযুদ্ধে জয়ী হ’তে জীবনের কত মোড় ঘুরাই। কখনো মোড় ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ি। কত অনিশ্চয়তা, কত ব্যর্থতা এই জীবনকে ঘিরে।
বিশদ

07th  May, 2019
  ভাব

যে মহানাম লাভ করিয়াছ, তাহাকেই ভেলাস্বরূপ জ্ঞান। তাহা অবলম্বনেই সংশয়-সাগরের পরপারে পৌঁছিবে। দৃঢ় চিত্তে ভেলাবলম্বন কর। তরঙ্গ-বিক্ষোভে টলিয়া পড়িও না। নামের বলে তোমাদের মধ্যে মহাশক্তি ও মহাভাব জাগিয়া উঠিবে।
বিশদ

06th  May, 2019
ক্ষুধা 

ক্ষুধিত আতুর যেমন করিয়া ধনীর দুয়ারে তাকাইয়া থাকে, আমি তোমাদের মুখপানে তেমনি সতৃষ্ণ নয়নে চাহিয়া আছি, তোমাদের জীবন পরার্থে উৎসর্গীকৃত হইয়া যেদিন তপঃশুদ্ধ হইবে, হে সন্তান, সেইদিনই তোমরা আমার ক্ষুধা তৃষ্ণা যথার্থ মিটাইতে পারিবে। স্বার্থের প্রতি দৃষ্টিহীন, সুখের প্রতি লক্ষ্যহীন, বিঘ্নের প্রতি ভ্রূক্ষেপহীন জীবন লইয়া যে দিন তোমরা মায়ের ক্রোড় জুড়িয়া বসিবে, প্রকৃতই সেদিন আমার সর্ব্বাঙ্গ শীতল হইবে।  
বিশদ

05th  May, 2019
একনজরে
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে ইউরোপ যাত্রা করেন সিলেটের বিলাল। তিনজনের সঙ্গে নানা দেশ ঘুরে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি যাওয়ার পর আরও ৮০ বাংলাদেশির ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ছেলের হাতে খুন হলেন মা। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর থানার করুণাময়ীতে। মৃতার নাম অপু সরকার (৪৪)। ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে গুণধর ছেলে নিজেই এসে থানায় আত্মসমর্পণ করে। পুলিস জানিয়েছে, ওই ...

 সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: ইস্ট ইন্ডিয়ানিনজা স্পোর্টস মিটে অংশ নিয়ে অন্যান্য রাজ্যগুলির খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিযোগিতার আসরে নেমে আলিপুরদুয়ার জেলার১৬ জন প্রতিযোগী সোনার পদক, ১০জন প্রতিযোগী রুপার পদক এবং ৪জন প্রতিযোগী ব্রোঞ্জ পদক জিতে নিয়েছে।  ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে চরম বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপের হুঁশিয়ারি, ২৩ মে ভোটের ফল বেরনোর পর শাসকদলের দুষ্কৃতীরা হিংসা ছড়ালে তার ভয়ঙ্কর পরিণামের জন্য তৈরি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৫: কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর জন্ম
১৯২১: নোবেলজয়ী সোভিয়েত বিজ্ঞানী আন্দ্রে শাখারভের জন্ম
১৯৯১: ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৫ টাকা ৭০.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৮৮ টাকা ৯০.১১ টাকা
ইউরো ৭৬.০৬ টাকা ৭৮.৯৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০৬৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৪২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮৭৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৬,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৬,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ২১ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, তৃতীয়া ৫১/৪৭ রাত্রি ১/৪১। মূলা ৫৬/২৩ রাত্রি ৩/৩১। সূ উ ৪/৫৮/১২, অ ৬/৮/০, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১১/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে ৪/২২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৫ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫০ মধ্যে।
৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ২১ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, তৃতীয়া ৫২/৪৪/৩৭ রাত্রি ২/৩/৪০। মূলানক্ষত্র ৫৮/১১/৫৫ শেষরাত্রি ৪/১৪/৩৫, সূ উ ৪/৫৭/৪৯, অ ৬/১০/৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১২/২ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৩০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৪ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৬/৫১ গতে ৮/১৫/৫৩ মধ্যে, কালবেলা ১/১২/৫৯ গতে ২/৫২/১ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩১/৩ গতে ৮/৫২/১ মধ্যে।
১৫ রমজান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল

মেষ: গোপন প্রেম থাকলে তা প্রকাশিত হবে। বৃষ: যদি ব্যবসা করার ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৩৫: কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর জন্ম১৯২১: নোবেলজয়ী সোভিয়েত বিজ্ঞানী আন্দ্রে শাখারভের ...বিশদ

07:03:20 PM

মাধ্যমিকের প্রথম সৌগতকে সাহায্যের আশ্বাস পার্থর
আজ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পর প্রথম স্থানাধিকারী সৌগত দাসকে ফোন ...বিশদ

04:54:19 PM

১২৮১০ হাওড়া-মুম্বই (সিএসএমটি) মেল আজ রাত ৮টার বদলে রাত ৯:১৫ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়বে 

03:53:16 PM

মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হওয়ায় পূঃ বর্ধমানের গোপালপুরে আত্মঘাতী ছাত্রী  

03:34:10 PM

খড়্গপুরের আইটিআইয়ের কাছে যুবককে গুলি করে খুন

03:31:00 PM