গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এমন এক গুরুত্বপূর্ণ নথিও মোদি রাজত্বে দেদার জাল হচ্ছে! কীরকম? বহুক্ষেত্রে আসল আধারের তথ্য ব্যবহার করে মোবাইলের সিম কার্ড কিনছে অন্য ব্যক্তি। তারপর সেই সিম কার্ড ব্যবহার করে দুর্নীতি বা অপরাধমূলক কাজ হচ্ছে। কয়েক বছর আগে এই রাজ্যে দুই জঙ্গির কাছে ছয়টি ভুয়ো আধার কার্ড মেলে। আবার, মোবাইল সিম চালু করতে নকল আধার কার্ড তৈরির একটি ই-ওয়ালেট জালিয়াতচক্র গত বছর ধরা পড়ে। দেখা গিয়েছে এক পড়শি দেশ থেকে বেআইনিভাবে ভারতে ঢুকে নকল আধার কার্ড বানিয়ে দিব্যি পড়াশোনা করছে অনেকে! পুলিসি তদন্তে এও উঠে এসেছে, পড়শি রাষ্ট্রের অনেকে এদেশে এসে মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে নকল বাবা-মা জোগাড় করছে! এমন অজস্র উদাহরণ ছড়িয়ে রয়েছে। দেশজুড়ে প্রতারণাচক্র সক্রিয় হয়ে ওঠায় অনেকের ব্যক্তিগত তথ্যও আর গোপন থাকছে না বলে অভিযোগ। রামের ছবির জায়গায় শ্যামের ছবি বসিয়ে রামের তথ্য দিয়েই যাবতীয় সুযোগসুবিধা হাতিয়ে নেওয়াও আর অসম্ভব নয়। এটিই এখন মোদি সরকারের উদ্বেগের কারণ। সরকারি পরিষেবাতেও দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই অস্বস্তিতে কেন্দ্র।
আসলে এমন আশঙ্কা তো ছিলই। সরকার পক্ষ দাবি করেছিল, ভারতীয় নাগরিকদের আধারে দেওয়া যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য গোপন থাকবে। সত্যিই কি তা আর গোপন থাকছে? মোদি সরকারও এখন বুঝে যাচ্ছে আধার কার্ড এখন আর সুরক্ষিত পরিচয়পত্র নয়। আধারে দেওয়া ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ আগেই উঠেছিল। সরকার তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও আশঙ্কাটি অমূলক ছিল না। এই কারণেই আধারকে আরও কীভাবে সুরক্ষিত করা যায় তা নিয়ে ভাবনা শুরু হয়েছে। অথচ আধারকেন্দ্রিক নিত্যনতুন ফরমানে জেরবার হচ্ছে দেশবাসী। সঙ্গতকারণেই এখন ভাবা হচ্ছে আধারের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ও ফেস রেকগনিশনের বিকল্প তৃতীয় ধাপ কী হতে পারে? সংশ্লিষ্ট সংস্থা নির্দেশিকা জারি করে বলেছে, এবার থেকে সরকারি বেসরকারি প্রতিটি সংস্থাকেই আধার নম্বর ভেরিফিকেশন আবশ্যিক করতে হবে। কিউআর কোড এবং ফেস রেকগনিশনও বাধ্যতামূলক। আধারের ডেমোগ্রাফিক ম্যাচিং মেকানিজম আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। প্রশ্ন হল, এতসব করেও কি আধার জালিয়াতি রোখা সম্ভব হবে? দেশবাসী চায় তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকুক। সেই নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহ বলছে, মোদি জমানায় জালিয়াতচক্রের রমরমায় নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার দায়িত্বটি পালন করতেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে।