পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
কোভিড ভ্যাকসিনের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য নাম কোভিশিল্ড। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার লাইসেন্স নিয়ে ভারতে এটা তৈরি করছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। ভারতীয় রিসার্চ-কাম-ম্যানুফ্যাকচারিং সংস্থা সিরামের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন টেস্ট, তৈরি ও বণ্টনের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। মনে রাখা দরকার, অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন গবেষণার সঙ্গে একাধিক ভারতীয় গবেষক যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাঙালি গবেষক তথা কলকাতার বাসিন্দাও। ভারতের মাটিতে আর যে কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে সেটার নাম কোভ্যাকসিন। এটা ১০০ শতাংশ স্বদেশি বা ভারতীয়। প্রস্তুতকারক সংস্থা হল ভারত বায়োটেক। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (এনআইভি) সহায়তায় ভ্যাকসিনটি দেশের মাটিতেই ‘ডেভেলপ’ করা হয়েছে। কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা, সফল হিউম্যান ট্রায়াল, উৎপাদন এবং দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি লাভ—সব মিলিয়ে ভারত আজ এক ঈর্ষণীয় উচ্চতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ভারতে প্রস্তুত ভ্যাকসিন দু’টি ‘ক্ষতিকর’ এমন কোনও প্রমাণ নেই। ট্রায়ালগুলোর মধ্যে দিয়ে ভ্যাকসিন দু’টি তাদের ‘ইমিউনোজেনেসিটি’ এবং ‘সেফটি’র দিক নিশ্চিত করেছে। ‘এফিসিয়েন্সি’র প্রশ্নেও কোনও বিরূপ রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে সরকারও দু’-একদিনের ভিতরে টিকাকরণ কর্মসূচির শুভ সূচনা করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে কিছু আশঙ্কা প্রকাশ করছে কোনও কোনও মহল। তাতে জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। জরুরি এই টিকাকরণের পক্ষে এটা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। বিশেষ করে ডাক্তার, নার্সসহ মেডিক্যাল প্রফেশনের কোনও মহল থেকে কোনও ধরনের উদ্বেগ ছড়ালে সেটা আরও খারাপ। সরকারের উচিত, অবিলম্বে নাগরিকদের সবরকমে আশ্বস্ত করা। প্রয়োজনীয় প্রচার ও জনসচেতনার উপরে জোর দিতে হবে। কোভিড যুদ্ধে জয়ের এটাও একটা ধাপ, সম্ভবত শেষ ধাপ। আমরা যেন ভুলে না যাই, গত এক বছরে কোভিড সারা পৃথিবীকে কতখানি বিপর্যস্ত করেছে।