উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
জনস্বার্থে রাজ্য সরকারের নেওয়া অসংখ্য উন্নয়নমুখী ও জনকল্যাণমূলক সহায়তা প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছেন রাজ্যবাসী। রাজ্যে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিও আগের তুলনায় অনেক বদলেছে। রাজ্যজুড়ে চলছে উন্নয়নমূলক নানা কর্মযজ্ঞ। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথীর মতো একাধিক সহায়তা প্রকল্পে উপকৃত হচ্ছেন বহু মানুষ। কন্যাশ্রী আজ বিশ্ববন্দিত। মমতা জমানায় এই রাজ্যে অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা কষ্টকল্পিত। অথচ এই রাজ্যেই বাম জমানায় রেশন ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছিল। রেশনসামগ্রী নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। ফলে গ্রাহকদের রেশন নেওয়ার আগ্রহ কমে প্রায় তলানিতে ঠেকেছিল। সেদিন আর নেই। চিত্র বদলেছে। রেশন নেওয়ার আগ্রহ যে মানুষের মধ্যে উত্তরোত্তর বেড়েছে তা বর্তমানে রেশনের দোকানের সামনে গ্রাহকদের লম্বা লাইনই প্রমাণ করে দিচ্ছে। রেশনে খাদ্য পাওয়ার চাহিদা বেড়েছে। দুর্নীতি রোধ করে ঘুঘুর বাসা ভেঙে এই কাজটি করা একদিনে সম্ভব নয়। এখনও যেটুকু ত্রুটিবিচ্যুতি থেকে গেছে তা দূর করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি, রেশন নিয়ে দুর্নীতি তিনি বরদাস্ত করবেন না। রেশন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ দুর্নীতি মুক্ত করতে পারলে বহু মানুষের আশীর্বাদ তিনি পাবেন। অবশ্য সে চেষ্টায় তিনি কোনও ত্রুটি রাখেননি। করোনাকালে মানুষ যখন বাঁচার লড়াই চালাচ্ছে তখন মুখ্যমন্ত্রী বিনা পয়সায় রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা চালু রেখে বহু মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। অস্বীকার করার উপায় নেই তাঁর এই সহৃদয় উদ্যোগে বহু মানুষ প্রাণে বেঁচেছেন। তাঁদের অভুক্ত থাকতে হয়নি। অবশ্যই এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত। যে কোনও দায়িত্বশীল সরকারের এটা অবশ্য করণীয়। যা করেছেন তিনি। করোনা সঙ্কটে দেশজুড়ে রেশন থেকে খাদ্য নেওয়ার চাহিদা বাড়লেও কেন্দ্র সরকার রাজ্যগুলির কোটা বাড়িয়ে সহযোগিতা করেনি। কিন্তু কেন্দ্রের ভরসায় না থেকে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের নিজস্ব খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে আগামী জুন মাস পর্যন্ত বিনা পয়সায় চাল-গম দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। রেশনে খাদ্য পাওয়ার চাহিদা বাড়ায় কেন্দ্র যখন রাজ্যগুলিকে গরিব মানুষের জন্য পৃথক রেশন প্রকল্প চালু করার পরামর্শ দিচ্ছে তখন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব মানুষের চাহিদাপূরণের চেষ্টা করার নজির রাখলেন। এই কারণেই তিনি সাধারণ মানুষের অতি কাছের মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছেন।
বিক্ষিপ্ত কিছু অভিযোগ থাকলেও মমতা সরকারের রেশন নীতি অনেকাংশেই সফল। পড়শি একাধিক রাজ্যও তাই মমতার দেখানো রেশন নীতির পথেই হাঁটছে। বলা যায়, বাংলা এক্ষেত্রেও পথ দেখাল। এর জন্য কৃতিত্ব দাবি করতেই পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।