উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
বিপর্যয় সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনার। অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে আবশ্যক ছিল গরিব মধ্যবিত্তের হাতে অর্থ জোগান। তাহলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা বাড়ত। সে পরামর্শ গ্রহণ করেনি সরকার। দেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের চেষ্টার পথে আরও একটি বাধা হল রাজকোষ থেকে যথেষ্ট খরচের অভাব। তাছাড়া এই সরকার মানুষের আয়ের বৈষম্য দূর করতে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপও নেয়নি। এব্যাপারে তাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বৈষম্য বেড়েছে এবং চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে আমজনতা। দেশের দরিদ্র মানুষ এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরতরাই সবচেয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। করোনা সংক্রমণের গতিবিধির উপরেও এখন অনেক কিছুই নির্ভর করছে। দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা না লাগলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কাজটি সহজ হবে, নচেৎ নয়। তাই অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে হলে এখন সরকারের উচিত করোনা মোকাবিলার কাজে আরও বেশি করে নজর দেওয়া। পাশাপাশি রাজকোষ থেকে টাকা ঢেলে আর্থিক দাওয়াই দেওয়ার ব্যবস্থা করা গেলে হয়তো পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। প্রশ্ন হল, সে পথে কি হাঁটবে মোদি সরকার? এমন কোনও সদিচ্ছা আপাতত দেখা যায়নি।
দেশে অ্যাকটিভ করোনা কেসের সংখ্যা যত কমবে গ্রামীণ অর্থনীতি ততই ঘুরে দাঁড়াবে। এটুকুই আশার আলো। এখন দরকার রাজকোষ থেকে অর্থ ঢেলে আর্থিক দাওয়াই। তা না দিলে দেশের অর্থনীতি প্রাক কোভিড পরিস্থিতিতে কবে ফিরবে বলা শক্ত। এদিকে আবার পণ্য পরিষেবা করের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির প্রাপ্য না মিটিয়ে দেশের সরকার রাজ্যকেও সমস্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রকৃত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আড়াল করতে নানা কৌশল নিচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানারও কোনও চেষ্টাই করছে না। যদিও দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধিকে টেনে তোলাই এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটির মূল লক্ষ্য। তাই মূল্যবৃদ্ধি তাদের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। এই কারণেই গৃহঋণের ক্ষেত্রে সম্পত্তির মূল্যের উপর ঋণপ্রাপ্তির নিয়ম কিছুটা শিথিল করেছে তারা। যাতে রিয়েল এস্টেট সেক্টর কিছুটা লাভের মুখ দেখে। আশার কথা যে, গ্রাম ও শহরের বহু মানুষ এখন নিজেদের জীবিকায় ফিরছেন। আর্থিক লেনদেন ও কেনাকাটার প্রবণতাও বাড়ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। নগদের জোগান বাড়িয়ে পুরোদমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পথ প্রশস্ত করতে হবে সরকারকে। সেই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করাটা এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি কাজ।