প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
এখানেই ব্যতিক্রম জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো। ‘পৃথিবীর অসুখ’ তাদের কোনওভাবে বিচলিত করতে পারে না। মানুষ মরছে, মানব সভ্যতার সঙ্কট তীব্রতর হচ্ছে—এমন দুঃসংবাদেও তাদের অ্যাজেন্ডা বদলায় না। তারা যার বা যাদের ক্ষতি করবে বলে টার্গেট করেছে, তাদের পিছনে লেগেই থাকবে—এতটাই একরোখা তারা। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো বরং মানব সভ্যতার এই সঙ্কটকে একটা বিরলপ্রায় সুযোগ হিসেবে দেখছে। প্রতিটা রাষ্ট্রের আজকের অগ্রাধিকার হল করোনা-যুদ্ধ জয়। জঙ্গিরা ধরে নিচ্ছে, সব ধরনের প্রশাসন এই সময় একটু অন্যমনস্ক থাকবে। জঙ্গিদের ব্যাপারে স্বাভাবিক সময়ের মতো সতর্ক থাকবে না। তারা এটারই সদ্ব্যবহার করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সেনা বাহিনী এবং আইএসআইয়ের হাতের পুতুল পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ বরাবরের মতোই জারি রেখেছে। সম্প্রতি চীনকে পাশে পেয়ে দেশটি যে দ্বিগুণ উৎসাহে নষ্টামিতে মনোনিবেশ করেছে, কাশ্মীর সীমান্ত তার প্রমাণ পাচ্ছে রোজ: ওপার থেকে জঙ্গি রপ্তানির চেষ্টা চলছে। ড্রোনের মাধ্যমে এপারে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে অস্ত্র ও টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষী এবং গ্রামবাসীদের উপরেও আক্রমণ করছে তারা। সব মিলিয়ে কাশ্মীরকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টায় রয়েছে পাকিস্তান।
আসলে পাকিস্তানের লক্ষ্য আরও বড়। তারা পুরো ভারতটাকেই অশান্ত করতে চায়। এজন্য তারা রাজ্যে রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়াতে তৎপর রয়েছে। ইন্টারনেট প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে অল্প বয়সি ছেলেমেয়েদের মগজ ধোলাই করছে। হাত করেছে টেকস্যাভি এবং মেধাবীদেরকেও। শেষমেশ এদেরকে জঙ্গি সংগঠনের ‘জেহাদি’ করে তুলছে। এদেরকেই পাঠাচ্ছে টার্গেটগুলোতে আঘাত হানার জন্য। অতীতে নানা ধরনের জঙ্গি সংগঠন এই নষ্টামি করেছে। ভারতে এবার আল কায়েদার নাম যুক্ত হল। শনিবার এনআইএ-র তৎপরতায় আল কায়েদার একটা বড় চক্রান্ত ফাঁস হয়েছে। কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে মোট ন’জনকে গ্রেপ্তারও করেছে। এনআইএ-র দাবি, এরা ওই ষড়যন্ত্রের অংশ। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা-সহ বড় নগরগুলোতে হামলার ছক কষেছিল এরা। স্বস্তির খবর যে, বিপদ ঘটার আগেই এদেরকে পাকড়াও করা গিয়েছে এবং এদের মতলব বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়েছে। সব রাজ্যকেই এইমতো সতর্ক হতে হবে। এই সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানে কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে। সর্বান্তঃকরণে চেষ্টা করতে হবে, দেশ যেন এই কঠিন মুহূর্তে নতুন কোনও উটকো বিপদে না পড়ে। তেমন হলে সামলানো কঠিন হতে পারে।