কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
মানুষ সবচেয়ে বিপদে পড়েন চিকিৎসার খরচ সামলাতে গিয়ে। যেমন অগ্নিমূল্য ওষুধ, তেমনি বেশি ডাক্তারের ফি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম। পশ্চিমবঙ্গের মতো দু’-চারটি রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ কম কিংবা অনেক সময় নিখরচাতেই চিকিৎসা পরিষেবা মেলে। কিন্তু, তারও একটা সীমাবদ্ধতা আছে। বিশেষত, করোনার মতো মহামারীর সময় তো সরকারি হাসপাতালগুলোই যথেষ্ট নয়। ধনী থেকে মধ্যবত্তি, এমনকী কিছু গরিব মানুষকেও বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালের শরণ নিতে হয়। করোনার চিকিৎসা খরচ বাংলার অনেক জায়গায় লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছে বলে রাজ্য সরকারের কানে এসেছে। সরকার এটা মানবে না। শুধু মুখেই বলেনি, খরচ বেঁধেও দিয়েছে। করোনা টেস্টের খরচ, পিপিই-র দাম এবং ডাক্তারের ফি সর্বাধিক কত হবে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। শুক্রবার নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, অনেক বেসরকারি হাসপাতালে করোনা টেস্টের খরচ নেওয়া হচ্ছিল সাড়ে চার হাজার টাকা! পিপিই-র দাম এবং গিয়ার চার্জও অনেক বেশি ধরা হচ্ছিল। করোনা টেস্টের খরচ কমিয়ে ২,২৫০ টাকা করা হয়েছে। পিপিই এবং গিয়ার চার্জ কমিয়ে করা হয়েছে এক হাজার টাকা। রোগীপছিু ডাক্তারের ফি করা হয়েছে এক হাজার টাকা। সরকারের তরফে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এই নির্দেশ সকলকেই মানতে হবে। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সরকার আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। যদিও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সংগঠনের দাবি, করোনা চিকিৎসার খরচ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তার বেশিরভাগই ভিত্তিহীন।
সাধারণ মানুষ আর্থিক এবং মানসিকভাবে এখন ভীষণ খারাপ আছেন। এতটা খারাপ স্মরণকালের মধ্যে কেউ ছিলেন না। তার মধ্যে যে-বাড়িতে করোনা ঢুকছে, তাঁরা তো মরার আগেই মরে যাচ্ছেন! এই পরিস্থিতিতে সরকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যথার্থ মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছেও একইরকম সহযোগিতা কামনা করে সমাজ। এ লড়াই সবাইকে বাঁচিয়ে রাখার। মানুষ বাঁচলেই সমাজের সমস্ত ক্ষেত্র আগামী দিনে উন্নতি করার সুযোগ নিতে পারবে।