কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে কেউ ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েনি—প্রধানমন্ত্রীর এই দাবির পর একটি প্রশ্নই যেন বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সত্যিটা কী? কারণ তার দু’দিন আগে সেনারা বলেছিলেন ঠিক উল্টো কথা। এমনকী রবিবারও কেন্দ্রীয় সড়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি কে সিং বলেছেন, আটক লালফৌজের জওয়ানদের ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এর অর্থ, চীনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিল। কোন বক্তব্য ঠিক, তা জাতীয়তাবাদের খাতিরেই সরকারের তরফে স্পষ্ট করা উচিত। দেশে বহিঃশত্রুর আক্রমণ হলে সার্বভৌমত্ব রক্ষার তাগিদেই দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিবাদ পাশে সরিয়ে রাখা উচিত। আর সেইসঙ্গে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে, দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের পাশে দাঁড়ানোটাই হওয়া দরকার প্রধান কর্তব্য। সরকারেরও কিন্তু বিরোধীদের প্রতি শত্রু ভাবাপন্ন মনোভাব ত্যাগ করা উচিত। প্রয়োজনীয় পরামর্শ বিরোধীরাও দিতে পারে। তা ভুললে চলবে না। সঙ্কটকালে ঘরোয়া রাজনীতি আদৌ কাম্য নয়। কিন্তু সেটাই হচ্ছে। লালফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের পর মোদি সরকারের রাজনৈতিক বয়ানে অনেক ক্ষেত্রে যেমন অস্পষ্টতা রয়েছে, তেমনি আচার-আচরণেও যেন চীন ইস্যুতে মুখরক্ষার বিষয়টি প্রবলভাবে ধরা পড়ছে। প্রত্যেককে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তায় কোথায় যেন একটা খামতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদি কোনও দেশ আক্রান্ত হয়, তখন সেনাবাহিনীর বক্তব্যকেই মান্যতা দেওয়াটাই কাঙ্ক্ষিত। না হলে সৈনিকদের আত্মত্যাগের মাহাত্ম্য গুরুত্ব পায় না। এটা স্মরণে রেখেই চীন ইস্যুতে মানুষের বা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে জেগে ওঠা
সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সত্য উদ্ঘাটনের প্রয়োজনীয়তা আছে। কেন্দ্রীয় সরকার তা যেন ভুলে না যায়।
মনে রাখা দরকার, চীনও কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে নেই। লাদাখের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে তারা কোণঠাসা হলেও দাবি থেকে একচুলও সরেনি। বরং ভারতের মোকাবিলায় সমরসজ্জা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। এমনকী আগ্রাসী হয়ে উঠতে ভারতে সাইবার হানারও নাকি প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সময়ে সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতিনীতি মেনে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি ত্যাগ করাটাই বাঞ্ছনীয়। কিছু হয়নি মনোভাবের বদলে দেশরক্ষার স্বার্থে সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই বেশি জরুরি।