পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা সঙ্কটে ঘটিবাটি হারানো গরিব মানুষকে আশু সুরাহা দিতে তাঁদের হাতে নগদ টাকা তুলে দেওয়ার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ থেকে বহু বিশেষজ্ঞ। তাঁদের যুক্তি ছিল, গরিবের হাতে নগদ টাকা গেলে তাঁরা বাজার থেকে পণ্য কিনবেন। তাতে চাহিদা তৈরি হবে। দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্য ফেরাতে এটাই এখন ইতিবাচক পথ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের এই পরামর্শ কানে তোলেননি প্রধানমন্ত্রী। পরিবর্তে গরিবকে ঘুরে দাঁড়াতে ঋণ নেওয়ার দাওয়াই দিয়েছেন! এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু সেই নগদ জোগানেরই বন্দোবস্ত করেছেন। কেন্দ্রের কাছে ৫৩ হাজার কোটি টাকা পাওনা। লকডাউনের জেরে যাবতীয় আয়ের রাস্তা প্রায় বন্ধ। সরকারি কর্মীদের বেতন সহ দৈনন্দিন খরচ ও করোনা মোকাবিলায় জলের মতো টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। সরকারের সংসারে নিতান্তই ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা। তবু বাস্তব পরিস্থিতি আর লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হতে নারাজ নেত্রী। কাজ করে টাকা উপার্জনের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প তো রয়েইছে, এবার আরও একধাপ এগিয়ে কার্যত সর্বহারাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
উম-পুনে ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ নির্ধারণের কাজ শেষ করতে আরও সময় লাগবে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার বিশেষ সময় নেয়নি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের নগদ সহায়তা দিতে প্রাথমিকভাবে ১৪৪৪ কোটি টাকা খরচ করেছে। রাজ্যের তহবিলে থাকা টাকা থেকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। শস্যের ক্ষতি হওয়ার জন্য ২৩ লক্ষ ২৭ হাজার কৃষক ও পান বরজের ক্ষতির জন্য ২ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থসাহায্য পৌঁছে দিয়েছে নবান্ন। এছাড়াও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জরুরি মেরামতের জন্য ৫ লক্ষ মানুষের কাছেও টাকা পৌঁছে গিয়েছে। সব মিলিয়ে উপকৃত হচ্ছেন প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ। বিপর্যয়কালে যে কোনও দায়িত্বশীল সরকারের কাছ থেকে এমন ভূমিকাই আশা করে মানুষ। বাংলার ৩০ লক্ষ দুর্গতর হাতে নগদের জোগান দিয়ে এই সরকার দেখিয়ে দিল, ইচ্ছেটাই মূলমন্ত্র। এছাড়াও মৎস্যজীবী ও প্রাণীপালকদের সহায়তা করার পরিকল্পনা রয়েছে মমতা সরকারের। আছে কৃষকবন্ধু প্রকল্প, যা থেকে চাষিদের রবি ও খরিফ মরশুমে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ওই প্রকল্পে বরাদ্দ করা যে টাকা বেঁচে গিয়েছে, তা থেকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। সব মিলিয়ে গরিব মানুষকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পথ দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী। এর থেকে দিল্লি কি কোনও শিক্ষা নিচ্ছে?