পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, অর্থনীতি এতটা মুখ থুবড়ে পড়ার প্রথম কারণ ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর চাপিয়ে দেওয়া বিমুদ্রাকরণ। আর্থিক ক্ষেত্র এরপর একে একে বিদ্ধ হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি, আয়কর ও আধার নিয়ে বাড়াবাড়ি, এনআরসি আতঙ্ক প্রভৃতি অগুনতি ভুল পদক্ষেপে। লম্বা দৌড়ের ঘোড়াই হোক আর দেশ—একবার পড়ে গেলেই বিপদ। সেই বিপদ মুহূর্তকাল মধ্যে কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব। উঠে দাঁড়াবার সদিচ্ছা প্রচেষ্টা থাকলেও দুঃসময়ের রেশ কাটতে কিছুটা কাল দরকার। বিশেষজ্ঞদের সৎ পরামর্শ মেনে সরকার শুধরে যাওয়ার চেষ্টা নিলে ২০২০-২১ সালে পুনরুজ্জীবনের সূচনা ভারতের পক্ষে হয়তো অসম্ভব হতো না। কিন্তু হঠাৎ নতুন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে গেল দেশ। করোনা রক্তচক্ষুর হাত থেকে বাঁচতে আমরা বেছে নিয়েছি ধারাবাহিক লকডাউনের বর্ম। আর তাতেই গতি হারিয়েছে শিল্পোৎপাদন, পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়, ব্যাঙ্ক ও এনবিএফসি এবং প্রায় সমস্ত পরিষেবা ক্ষেত্র।
ব্যতিক্রম শুধু কৃষি। গত ত্রৈমাসিকে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ—এই চরম সঙ্কট মুহূর্তে এ বিরাট স্বস্তির খবর। চলতি বছরের পরবর্তী কোয়ার্টারগুলিতেও কৃষিক্ষেত্র সমান সহযোগিতা করবে বলেই আশা করছেন অর্থনীতির পণ্ডিতরা। কিন্তু ভারতীয় অর্থনীতির এত ভারী চাকা কৃষির একার পক্ষে সামনে গড়িয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। শিল্প, বাণিজ্য এবং পরিষেবার সমস্ত ক্ষেত্রকে নতুন করে চাঙ্গা করতেই হবে। এই ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ) অনেকাংশে আশাবাদী হলেও দেশের এবং বিদেশের অনেক বিশেষজ্ঞ অবশ্য ভিন্নমত ব্যক্ত করেছেন। তাই আশঙ্কাকেই বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে কেন্দ্রকে। মোদি সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মিলিতভাবে কিছু পদক্ষেপ করেছে বটে, কিন্তু তার সীমাবদ্ধতা ইতিমধ্যেই প্রকট করে দিয়েছেন অর্থনীতিকরা। তাঁদের পরামর্শ, বাজারে নগদের জোগান দ্রুত বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। নচেৎ পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা কিছুতেই বাড়ানো যাবে না। কে না জানে, নিরন্তর চাহিদা বৃদ্ধিই অর্থনীতির জিয়নকাঠি। নগদের অভাবে চাহিদা এভাবে ঝিমোতে থাকলে কৃষির ম্যাজিকও থেমে যেতে পারে একটা সময় পর।