বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
জীবনযাত্রা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। উড়ছে বিমান, রেলের চাকা ঘুরছে, রাজ্যে চালু হয়েছে সরকারি দূরপাল্লার বাসও। প্রশ্ন হল, এই পরিস্থিতিতে সামাজিক সুরক্ষাবিধি রক্ষা করা কতটা সম্ভব? এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (হু) করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্কবার্তাও আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। হু বলেছে, যথাযথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিলে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। যাঁরা উম-পুনের তাণ্ডবের পর লকডাউনের সুরক্ষাবিধি না মেনে মাস্ক ছাড়াই কারণে অকারণে ইতিউতি ঘোরাফেরা করছেন, বলাই বাহুল্য তাঁদের এই স্বস্তিটুকু নিমেষে কেড়ে নিতে পারে এই মারণ ভাইরাস। তাই সাধু সাবধান। উপেক্ষার মনোভাব দূরে ঠেলে সতর্ক থাকাই শ্রেয়। যাঁরা তা ভুলে যাচ্ছেন, নিয়মবিধি অমান্য করছেন, তাঁরা নিজের সঙ্গে অন্যের বিপদও ডেকে আনছেন। এই ঢিলেমির সুযোগে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই একজন সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব পালনই আমাদের প্রত্যেকের অবশ্য কর্তব্য। মানুষের বিপদে রাজ্য সরকার পাশে আছে। দমবন্ধ করা পরিস্থিতি থেকে রেহাই দিতে সাধ্যমতো চেষ্টাও করছে। দেখছে মানুষ যাতে অসুবিধায় না পরে। সরকারের এই উদার মানসিকতার সুযোগটিকে অন্যভাবে না নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করাই বাঞ্ছনীয়। লকডাউনের বিধিনিষেধ ভাঙতে পুলিসের সঙ্গে চোর পুলিস খেলা বন্ধ হওয়া দরকার।
উম-পুনের বিপর্যয়ের জেরে পুলিসকে এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে অন্য কাজেও ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। করোনা সঙ্কটে তাদের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। উম-পুনের পর শহরের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন যে ঠিকমতো মানা হচ্ছে না, সে খবরও তাদের কাছে পৌঁছেছে। তাই চটজলদি সিদ্ধান্ত নিয়ে তৎপর হয়েছে পুলিস। লকডাউন না মানার প্রবণতা যে আদৌ বরদাস্ত করা হবে না, সেই বার্তা প্রতিটি থানাকে দিয়েছে লালবাজার। এখন এটা সত্যি জরুরি। জোর কদমে পুলিসি নজরদারি ও টহলদারি বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ সময়োচিত। না হলে বিপদ বাড়বে, সংক্রমণ আরও ছড়াবে। সব কিছুই স্বাভাবিক হতে চলেছে ভেবে যাঁরা এখন অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছেন, মোড়ে মোড়ে আড্ডা জমাচ্ছেন তাঁদের উদ্দেশে বলা, এ এক আত্মঘাতী কাজ। বিপদ এখনও পিছু ছাড়েনি। তাই সরকারি বিধিনিষেধ মানুন, সতর্ক থাকুন।