কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পাশাপাশি আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকে পথনির্দেশ করেছেন তিনি। দেশের যা আর্থিক হাল, তার থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই নরেন্দ্র মোদি সরকার এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে বেশি করে সামনে আনছে বলে মমতার অভিযোগ। এই অভিযোগ মোটেও উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। সম্প্রতি দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার সাড়ে চার শতাংশে নেমে গিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখলেও জাতীয় গড় উৎপাদনের পরিবর্তিত পূর্বাভাস ৬.১ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। অথচ নরেন্দ্র মোদি বলছেন, ব্যাঙ্কগুলি খুব ভালো পারফর্ম করছে। দেশ এগচ্ছে। যা হালফিলের ছবির সঙ্গে মোটেও খাপ খায় না। বাজার অগ্নিমূল্য। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। অথচ, মানুষের হাতে অর্থের জোগান বাড়ছে না। উল্টে উৎপাদন শিল্প মার খাওয়ায় কর্মসংস্থান কমছে। চলছে ছাঁটাই। বাড়ছে বেকারত্ব। লোকসভা ভোটের আগে এটাই কি প্রতিশ্রুতি ছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির? মানুষ এরপরও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভে পথে নামছে না। কেন? হয় এখনও আম জনতার বিশ্বাস আছে, এই পরিস্থিতি বেশিদিন চলবে না। মোদি সরকার নিশ্চয়ই ভালো কিছু করবে। ফিরবে দেশের আর্থিক হাল। অন্য সম্ভাব্য কারণটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন। গোটা দেশ এখন তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত। নিজের পরিচয়পত্র, পূর্বপুরুষের পরিচয়পত্র...। এটাই এখন ভারতের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এনআরসি হচ্ছে। ঠিকঠাক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে হঠাৎ একদিন অ-নাগরিক হয়ে যেতে হবে। আধপেটা খেয়ে থাকলেও চলবে। আগে তো নাগরিকত্ব! বিরোধীরাও কিন্তু খুব একটা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বাজার মাতাচ্ছে, তেমন নয়! সংসদে পেঁয়াজ নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি বা গান্ধী মূর্তির সামনে ঘণ্টাখানেকের বিক্ষোভে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাব পড়ার কথা নয়। এনআরসি জুজু দেশজুড়ে জাল বিস্তার করেছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খাঁটি কথাটা বলেছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দেশের নাগরিক, অর্থাৎ ভোটার। আর ভোটারকে কোনও রাজনৈতিক দলই চটাতে চায় না। বিজেপিও চাইবে না। কাজেই এনআরসি নয়, এই মুহূর্তে বিরোধী রাজনীতির অভিমুখ অবশ্যই হওয়া উচিত অর্থনীতি। মানুষের যন্ত্রণা। যা রান্নাঘর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।