উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এই ঘোষণা মাত্রই কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা দেশজুড়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনের সামনেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। সরাসরি তাদের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়, বিজেপি প্রতিহিংসাপরায়ণ দল। সঙ্কীর্ণ মানসিকতার। গান্ধী পরিবারের সদস্যদের এখনও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তা সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্ত কেন?
এখন থেকে জেড প্লাস নিরাপত্তা পাবেন সোনিয়া-রাহুলরা। কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের সুরক্ষা দেবেন। গান্ধী পরিবারের তরফ থেকে অবশ্য এ ব্যাপারে বাড়তি কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। রাহুল গান্ধী নিজে এসপিজির কমান্ডোদের এতদিন পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
হয়তো কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তই সঠিক। হয়তো এর নেপথ্যে সত্যিই কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। এবং ঠিকই, গোয়েন্দা রিপোর্ট পক্ষে না থাকলে কখনওই কেন্দ্রীয় সরকার এমন পদক্ষেপ নিত না। কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদের মন আর কে পড়তে পেরেছে? আজ বাদে কাল যদি কোনও জঙ্গি সংগঠন গান্ধী পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করে? যদি সত্যিই রাহুল গান্ধী বা সোনিয়া গান্ধী প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন? এসপিজি বা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ হল নিরাপত্তার সর্বোচ্চ বলয়? সবরকম প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকেন এসপিজি কমান্ডোরা। তাই যখন রাহুল গান্ধী বা প্রিয়াঙ্কা সেই বলয় অতিক্রম করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঢুকে পড়েন, তারপরও সুরক্ষায় খামতি থাকে না। অযোধ্যা মামলার রায়দানের পর পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, তা কেউ জানে না। এমতাবস্থায় গান্ধী পরিবারের কিন্তু শত্রুর অভাব নেই! জেড প্লাস নিরাপত্তা নিয়েই কিন্তু তাই কেন্দ্রীয় সরকারকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এই পরিবারকে দেশ থেকে মুছে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এখনও ভারতের প্রতিটি কোণায় এমন বহু নাগরিক আছেন, গান্ধী পরিবারের সদস্যদের গায়ে একটা আঁচড় লাগলেও যাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়বেন। আজ থেকে এসপিজির একমাত্র অধিকারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার জন্য প্রস্তুত তো?